![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপচিনি গাঁয়ের মাওলা বাড়ির মৃত সায়েজুদ্দিন মাওলার একমাত্র সন্তান সায়েফুদ্দিন মাওলা যখন সৌদি আরব যাওয়ার সব কিছু পাকা করে ঢাকা থেকে ফিরলো, তার মা শরীফুন্নেছার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। একমাত্র ছেলে বিদেশ-বিভূঁইয়ে চলে যাবে এই চিন্তার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ালো ছেলের সৌদিতে গিয়ে ‘আরোবী মাইয়া’ বিয়ে করার আশঙ্কা। সায়েফুদ্দিন যতই মা’কে বুঝায় সে কাজ করতে যাচ্ছে, বিয়ে করতে নয়, শরীফুন্নেছা ততোধিক জোর দিয়ে বলেন বিয়ে না করলে তিনি কিছুতেই তাকে যেতে দেবেন না। ছেলের মত ঘুরাতে তিনি দুইদিন কিছু খেলেন না, তিন রাত বকবক করলেন, না ঘুমিয়ে (সেটা অবশ্য ইচ্ছা করে নয়, ঘুম তার এমনিই আসছিলোনা)। তৃতীয় দিন সকালে ছেলে হার মানলো। শরীফুন্নেছার পাত্রী পেতে দেরি হলো না কারণ মেয়ে তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন – সায়েজুদ্দিন মাওলার দোস্ত এখলাছ শেখের ছোট মেয়ে লুত্ফা। পরদিন সন্ধ্যায় সায়েফুদ্দিন আর লুত্ফার বিবাহ দিয়ে শরীফুন্নেছা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলেন। ঘুম আসলোনা সায়েফুদ্দিন আর লুত্ফার চোখে। তারা নতুন পৃথিবী আবিষ্কারের নেশায় রাত পার করলো।
পরদিন যখন অনেক বেলায় ছেলে ও ছেলের বউ ঘরের বাইরে আসলো এবং নির্লজ্জের মতো প্রায় সারাটা দিন দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকলো, শরীফুন্নেছা মাগরিবের নামাজ পড়ে অত্যন্ত প্রসন্ন মনে চেমনবাহার দিয়ে দু’খানা পান মুখে পুরে প্রতিবেশিনী আকলিমা বেগমের সাথে ছেলে ও ছেলে-বউয়ের বেহায়াপনার আলাপ করতে গেলেন। ফিরে এসে শুনলেন তারা খেয়ে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছে। শরীফুন্নেছা ‘বেশরম জমানার বেশরম পোলাপাইন’ বলে মিছা রাগে গজগজ করতে লাগলেন।
লুত্ফা স্বামীকে ছাড়তে চায়না। বলে, ‘তুমার যাওনের দরকার নাই.........তুমার কি কম আছে! এক বাপের এক পোলা তুমি, তুমার অবাব কিসের? কি ঠেকা পরছে সউদি যাওয়ার!’ এইট পাশ সায়েফুদ্দিন ফাইভ ফেল লুত্ফাকে আত্মমর্যাদার শিক্ষা দেয়। বুঝায় বাপেরটা বসে বসে খাওয়াতে কোন গৌরব নেই, বুঝায় জীবনে নিজে কিছু না করতে পারলে জন্মই বৃথা। লুত্ফা এসব বুঝতে চায়না, সে সায়েফুদ্দিনকে কিছুতেই ছাড়বে না।
তারপর যখন বুঝতে পারলো সায়েফুদ্দিন যাবেই, তখন সে স্বামীকে ধরে রাখার হাল ছেড়ে দিয়ে স্বামীর স্মৃতি ধরে রাখার আশা বাঁধল। বলল, ‘আমাকে একটা বাচ্চা দিয়া যাও’। সায়েফুদ্দিন আবার বউকে বুঝায়। এত তাড়াতাড়ি সন্তান নেয়ার বিপক্ষে হাজারো যুক্তি খাড়া করে। তারপর বলে, ‘আমি তো একবছর বাদেই আইতাছি। তহন আমরা বাচ্চা নিমু। এক বছর দেকতে দেকতে যাইব গা’।
এক বছর দেখতে দেখতে যায়না। পলে পলে তার স্বামীর কথা মনে হয়। মানসিক যাতনা আর শারীরিক তাড়নায় একেকটা দিন একেক বছরের মতো লাগে। শরীফুন্নেছা বউকে বলে ‘বাপের বাড়িত্ তে গুইরা আসো, বালা লাগবো’। দু’দিন পরেই ফিরে আসে লুত্ফা। এখানে তার স্বামীর স্পর্শ আছে, বালিশে এখনো গন্ধ আছে – সে অন্য কোথাও গিয়ে থাকতে পারবেনা। শরীফুন্নেছা মনে মনে প্রীত হয়, ‘বেটি তাইলে প্রেমে মইজাছে!’
মৃত সায়েজুদ্দিন মাওলার একটা ভাই ছিলো, তার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা। তার বড় ছেলেটিকে শরীফুন্নেছা নিজের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন, তার সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বাড়ির বাইরের সব কাজ সে-ই করতো – গেরস্তি, বাজার-সদাই, যখন যেটা লাগে। তার নাম রইছুদ্দিন। সম্পর্কে ছোট হলেও বয়সে সে লুত্ফার কিছু বড়ই ছিলো। শরীফুন্নেছা লম্বা, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এই ছেলেটিকে নিজের ছেলের মতই দেখতেন।
কখন কিভাবে শুরু হলো কেউ জানেনা, তবে শরীফুন্নেছার চোখকে ফাঁকি দিয়ে, কাক-পক্ষীটিকেও বুঝতে না দিয়ে, লুত্ফাও রইছুদ্দিনকে সায়েফুদ্দিনের জায়গায় বসিয়ে দিলো। বেচারা সায়েফুদ্দিন বিয়ের সাড়ে চার মাসের মাথায় সবার আড়ালে বউকে হারালো!
এক বছর চলে যায়। সায়েফুদ্দিন জানায় এইবার তার ছুটি মিলে নাই, পরের বছর আসবে। লুত্ফা শাশুড়ীর সামনে অনেক রাগ দেখায়, দুই বেলা না খেয়ে থাকে। বউয়ের চাতুরী ধরতে ব্যর্থ শাশুড়ী খুশি মনে তার রাগ ভাঙ্গায়। মনে মনে ভাবে, ‘বেটি প্রেমে মইজাছে!’
আরেকটা বছর চলে যায়। সায়েফুদ্দিন বলে এইবার সে টিকিট কেটেছে, বাড়ি আসবে। লুত্ফা শাশুড়ীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। শরীফুন্নেছা আদর করে বলে, ‘পাগলী’। সেদিন রাতে রইছুদ্দিনকে সে একটু বেশিই ভালোবাসলো। রইছুদ্দিন গর্ভপ্রতিরোধক ব্যবহার না করতে চাইলে সে কেবল একটু অমত করেছিলো।‘কিছু অইবোনা.........আর অইলেই কি? তুমার জামাই আয়া পরতাছে কয়দিন পরেই’ রইছুদ্দিনের এ কথাতেই তার নারাজি উড়ে গিয়েছিলো।
সপ্তাহখানেকের মাথায় যখন হালকা রক্তক্ষরণ হলো, শঙ্কায় লুত্ফার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে আসলো। রইছুদ্দিনকে জানালে সে তাকে চিন্তা করতে না করলো। আর তো এক সপ্তাহ, সায়েফুদ্দিন দেশে আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে, কেউ টের পাবেনা। একথা বলে লুত্ফাকে আশ্বস্ত করে রইছুদ্দিন তাকে এড়িয়ে চলতে লাগলো। অনেক কষ্টে লুত্ফা যখন তার সাথে কথা বলার সুযোগ পেলো, রইছুদ্দিন সাফ জানিয়ে দিলো যে এই ‘কেলেঙ্কারির’ দায় সে নেবেনা। লুত্ফা বুঝলো সব দিয়েও সে কেবল শরীরটা পেয়েছে, মনটা নয়। তার আফসোসের সীমা রইলো না।
মাওলা বাড়িতে পুরো গ্রাম ভেংগে পড়েছে। মৃত সায়েজুদ্দিন মাওলার একমাত্র সন্তান ছায়েফুদ্দিন মাওলা সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। লুত্ফার মাথায় কিছু আসছেনা। কি করবে সে? সে মাওলা বাড়ির বউ, শেখ বাড়ির মেয়ে – এতবড় অপবাদ মাথায় নিয়ে কিভাবে বাঁচবে সে! লুত্ফা অনেক কাঁদলো, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলো। সবাই তাকে নানানভাবে সান্তনা দিতে লাগলো। কিন্তু ভুল উপলক্ষে দেয়া সেসব সান্তনায় তার কষ্ট বিন্দুমাত্র কমলো না। সায়েফুদ্দিনের লাশ আসার দিন ঘনালো। লুত্ফার শরীরের আরো ছোটখাট উপসর্গ তাকে ক্রমাগত জানান দিতে লাগলো যে তার ভেতরে নতুন জীবনের বিকাশ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সায়েফুদ্দিনের কফিনবন্দী লাশ বাড়ি আসলো। লুত্ফা সে লাশ দেখেনি। সেদিন ভোরেই ঘরের ধর্নার সাথে দড়ি বেঁধে সে আত্মহত্যা করেছে। স্বামীর মৃত্যুশোকে স্ত্রীর আত্মহত্যা – এই বিরল ঘটনায় চারপাশের গ্রামগুলো জনশূণ্য হয়ে পড়লো। শরীফুন্নেছা কাঁদতে কাঁদতে তার ছেলে আর ছেলে-বউয়ের গভীর ভালোবাসার কথা বার বার বলতে বলতে পেরেশান হয়ে গেলো।
বিকেলে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের সমাহিত করা হলো। তাদের ভালোবাসার কাহিনী রুপকথা হয়ে মানুষের সাথে ঘরে ঘরে ফিরে গেলো। একটি জাতীয় দৈনিকও বক্স করে নিউজ ছাপালো। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো স্বামীভক্তির এই বেমিসাল বৃত্তান্ত। সবাই এই মহিয়সী নারীর জন্য শোক করতে লাগলো। কেবল রইছুদ্দিনই জানলো লুত্ফা মরে কতটা বেঁচেছে এবং তাকে কতটা বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
ঢাকা।
[১৯৯৮-৯৯ সময়কালে লেখা মূল গল্পটি হারিয়ে গেছে। এটি মূল ভাবনা থেকে পুনর্লিখিত]
অন্যান্য গল্পঃ
ক্যামেরা (ছোটগল্প)
মায়ামৃগ (ছোটগল্প)
বাসুনী (ছোটগল্প)
মান ভাঙানোর গপ্পো (রম্যগল্প)
বারোটার ট্রেন (ছোটগল্প)
ফইন্নির পুত (ছোটগল্প)
লামিয়ানা (ছোটগল্প)
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০০
এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।
বেশী ছোট হয়ে গেলো কিনা এ নিয়ে ভাবনায় ছিলাম।
শুভকামনা।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৭
মারুফা নাসরীন মিলি বলেছেন: শব্দের ব্যবহার পরিমার্জিত, অবশ্যই প্রশংসনীয়।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্প ছোট হয় নাই। বরং পরিমিত অবয়বে মূল বক্তব্যটা যথার্থভাবেই উঠে এসেছে। প্রেমের কাহিনীর আড়ালে পাপের কাহিনী ঢাকা পড়ে গেলো। লুতফার দোষটা না হয় বাদই দিলাম, কারণ এখানে প্রথম দোষী শরীফুন্নেচ্ছা, যার পীড়াপীড়িতে বিদেশ যাওয়ার আগমুহূর্তে সায়েফুদ্দিন বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। সদ্য দৈহিক স্বাদ পাওয়া লুতফা স্বামীর অবর্তমানে বেশী দিন নিজের চরিত্রকে ধরে রাখতে পারে নাই। বরং দৈহিক চাহিদার কাছে হার মেনে রইছুদ্দিনের কাছে নিজেকে সঁপে দিল। আমাদের সমাজে এমন ব্যভিচারের অনেক নমুনা আছে। তার কতটা হয়তো লুতফার মতো আড়াল করে ফেলতে সক্ষম হয়, তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সক্ষম না হয়ে বরং আরও বেশী সামাজিক এবং পারিবারিক অশান্তি বাড়ায়। এমন ঘটনার রেশ ধরে অনেক মেয়ে সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে পতিতাবৃত্তিও বেছে নেয়। আরও অনেক কিছুই হয়ে থাকে।
আপনার গল্প লেখার হাত যে খুব ভালো সেটা আগেও বলেছি। আজও বলছি। চমৎকার লিখেন আপনি। খুব ভালো লাগলো করিম। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালি। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য সবসময় অনুপ্রেরণা যোগায়।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সাথে থাকার জন্য।
ভালো থাকবেন।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শায়মা বলেছেন:
অনেক অনেক সুন্দর লেখা ভাইয়া। কাল রাতে পড়েছিলাম। কমেন্ট করা হয়নি।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন সব সময়।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
এনামুল রেজা বলেছেন: শুরু থেকে শেষ, মন্ত্রমুগ্ধের মতই পড়েছি।
মেদহিন টানটান একটা গল্প।
অতি বাস্তব একটা সমাজচিত্রই পেলাম।
শুভকামনা আপনার জন্য ভাই।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৬
এম এম করিম বলেছেন: সমাজের/জীবনের ছোট ছোট চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করি মাত্র।
সাথে থাকবেন আশা করি।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর গল্প| আমার মনে হয় এখানে মেয়েটার কোন দোষ নাই| ভাল লাগা গল্পে
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
এম এম করিম বলেছেন: একটু ভাবলে কোন চরিত্রকেই সহজে দোষ দেয়া যায় না।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৌদীতে ও মালয়েশিয়ায় বাংগালীদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় করে হাজার বাংগালী কোটীপতি হয়েছে, ধ্বংস করেছে পারিবারিক জীবন।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
এম এম করিম বলেছেন: সহমত।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৩
এনামুল রেজা বলেছেন: সাথে আছি। আপনি চমৎকার খন্ডচিত্র এঁকেছেন। পরের গল্পগুলোও পড়বার ইচ্ছা রাখি।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা নিরন্তর।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩০
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: গল্পে বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
ভালো লাগলো।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১৭
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:৪৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: বাস্তবতা নির্ভর গল্প।
খুব ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।
আপনাদের ভালো লাগাতেই গল্পের সার্থকতা ।
ভাল থাকবেন সবসময়।
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
জুন বলেছেন: অত্যন্ত বাস্তব একটি ঘটনা নিয়ে টান টান একটি গল্প । এমন কত লুৎফার কাহিনী রয়েছে গ্রামে গঞ্জে কিন্ত আপনার সুনিপুন লেখায় করুন কাহিনীটি ভারী সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন এম এম করিম।
+
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
এম এম করিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো।
শুভকামনা।
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০১
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর গল্প লিখেছেন। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
এম এম করিম বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই।
ভালো থাকুন, এই কামনা।
১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৮
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাল লাগলো গল্পটা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
ভালো থাকবেন।
১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খুব নিষ্ঠুর বাস্তবের গল্প।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
এম এম করিম বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
সব সত্য দেখা যায় না।
আপনার গল্প লেখার প্রশংসা করতে হয়। শালীনভাবে বেশ সুন্দর করে সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা দিক তুলে ধরেছেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৩
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণনা দেয়।
ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: দারুণ শব্দবুননে সুকঠিন বাস্তবচিত্র এঁকেছেন ভাই।
মুগ্ধতা!
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
এম এম করিম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্প হিসেবে খুব চমৎকার কিন্তু গল্পটা খুব কষ্টের । দুঃখজনক বাস্তবতা।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৫
এম এম করিম বলেছেন: অগুনতি ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
ডি মুন বলেছেন: কেবল রইছুদ্দিনই জানলো লুত্ফা মরে কতটা বেঁচেছে এবং তাকে কতটা বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে।
খুব চমৎকার সমাপ্তি। যদিও গল্পটা খুব বেশি প্রেডিক্টেবল মনে হচ্ছিল আমার। আমাদের চারপাশের গল্প বলেই হয়তো।
ব্যাপারটা অপ্রীতিকর হলেও স্বামী বিদেশে থাকাকালীন অনেক নারীই ভিন্ন সম্পর্কে জড়ায়। শরীরী কামনার কাছে ভালবাসা/কমিটমেন্টের পরাজয় হয়। এমনটা হওয়া বেশ স্বাভাবিক বলেই আমার ধারণা। কারণ যৌনতা উপেক্ষা করবার মতো বিষয় নয় কিংবা উপেক্ষা করা/দীর্ঘদিন ক্ষুধার্ত থাকা সম্ভব নয় রক্ত-মাংসের সাধারণ মানুষের পক্ষে।
যাহোক, গল্পটা শেষ অংশটুকুর কারণে ভিন্ন একটা মাত্রা পেয়েছে।
ভালো লাগলো।
গল্পময় হোক আপনার ভুবন
শুভেচ্ছা।
১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৯
এম এম করিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
শুভকামনা রইল।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেকে প্রবাসে আছেন বছরের পর বছর । তাদের স্ত্রীরা বাস করছেন তাদের থেকে অনেক দূরে । সৌদিতে মারা যাওয়া চরিত্র ষেখানে কি করেছে তা ক্ন্তিু পাঠক জানেনা । শেষে একটা মেয়ের মৃত্যু বাচিয়ে দিল মেয়েটির সম্ভ্রম আরেকজন বিপথগামী মানুষের ।এখানে দোষ কার ।প্রবাসে যেতে মানা করেছিল লুৎফা আর তাদের পার্সপরিক শারীরীক আকর্ষণ বিয়ের প্রথম দিকের ঘটনায় বর্ণিত হয়েছে ।যারা বছরের পর বছর বাইরে থেকে টাকা পাঠিয়ে সংসারের ভরণপোষণ করেন তার কি পরিণতি হলো?
গল্প নয় একেবারে বাস্তব ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন । কঠিন পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে বলেই আমার বিশ্বাস ।
তাই বলবো শিক্ষণীয় গল্প । সুন্দর ।
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
এম এম করিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই, মন্তব্য এবং সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য।
শুভকামনা নিরন্তর।
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে ভাল লাগলো । +++
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১১
এম এম করিম বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুগল্প। কিন্তু শক্তিশালি।
ভাল লেগেছে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৩
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর।
মন্তব্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো।
শুভকামনা।
২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
সুমন কর বলেছেন: গল্পের অাড়ালে গ্রামীণ জীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
চমৎকার লাগল।
৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা
খুব ভালোলাগলো
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩০
রোদেলা বলেছেন: এমন অনেক ঘটনা লকুচোক্ষের আড়ালে থেকে যায়,আপনার গল্পের গাঁথুনী অনেক শক্ত।