নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দের জন্য লেখা

MMohin

মহিউদ্দিন

MMohin › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারী সুন্দরী

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

১.

এম, বি, বি, এস পাশ করেছি মাত্র বছর দুয়েক হল। এর মধ্যে কত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এখন আমি পাশ করা ডাক্তার, সবাই ভাবে কত টাকার মালিক। বাড়িতে ও টাকা চাওয়া যায় না লজ্জায়। আমার সাথের বন্ধুরা বুয়েট, আইইউটি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে কেউ হয়ত গাড়ির মালিক হয়েছে,কেউ বা বিদেশে পি এইচ ডি করতে গেছে আর আমি হতভাগা একটা ডিগ্রির জন্য পিজির লাইব্রেরিতে দিন রাত পড়ে আছি। তার মাঝে যখন কোন বন্ধু বিয়ের কার্ড পাঠায় তখন মেজাজ আর ও খারাপ হয়ে যায়। সপ্তাহে দুই দিন কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কামলা খাটি, তাতেই কোন মতে দিন চলে যায়। আর বিসিএস এখন সোনার হরিণ, সেটার কথা চিন্তা ও করা যায় না। এমন অবস্থায় হঠাৎ একদিন আমার হোস্টেল জীবনের সব থেকে কাছের বন্ধু আশিক ফোন দিল, বিয়ে করছে আগামি ২৫ তারিখ। মেয়ে কলেজের জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক। বাড়ি কুষ্টিয়াতে। আশিকের বিয়ে করার যুক্তি আছে। মা নেই সংসারে, বাবা আর ছোট ভাইকে দেখার জন্য একজন সংসারকর্তীর দরকার। অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম বিয়ে কর, বিয়ে কর। যাক অবশেষ এ তার বিয়েটা করাই হচ্ছে।
আজকে ২৩ তারিখ, কালকেই রওয়ানা দিতে হবে। পরের দিন গাবতলি থেকে আমরা আর ও কয়েক বন্ধু মিলে আশিকের গ্রামের বাড়ি মাগুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম।
যথাযথ আনন্দের মধ্যে গায়ে হলুদ সেরে ২৫ তারিখ আমরা কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রা শুরু করলাম। কুষ্টিয়া শহরে পৌছানোর পর শুনলাম বিয়েটা কনের গ্রামের বাড়ি মিরপুরে হবে। মিরপুর নামটা শুনতেই আমার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। দুই বছর আগের একটা কাহিনী বারবার মনে হতে লাগল যার ভিত্তি আজ ও খুজে পাই নাই কিন্তু সত্যিই সেটা ঘটেছিল।


২.

সেদিন ছিল শুক্রবার। আমাদের ফাইনাল ইয়ারের ক্লাস এক মাস কি বা তার একটু বেশি বাকি আছে। ডাক্তারি জীবনের কিছুটা একঘেয়েমি কাটাতে কয়েকজন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসব। মলয়, আরভি, কলি, নওশিন আর আমি মিলে ঠিক করলাম রাজবাড়ি যাব ট্রেনে। মলয়ের একটু দেরির কারনে আমার ট্রেন মিস করা, পরবর্তীতে মলয়সহ বাসে রাজবাড়ি যাওয়া, বাকি তিনজনকে রাজবাড়ি রেল স্টেশন থেকে খুজে বের করা এসব লম্বা কাহিনি না বলে মুল গল্পে চলে আসি। সকালের নাস্তা সেরে রাজবাড়ি বাস স্টেশন এ দাড়িয়ে ফরিদপুর আসার পরিবর্তে কুষ্টিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম সবাই। শিলাইদহ কুটি বাড়ি ঘুরে লালনের মাজার হয়ে কুষ্টিয়া শহরে গেলাম। পেটকে শান্ত করে একটু বসলাম। মাঝখানে মলয় বলে উঠল
" মামা, এত দুর যেহেতু আসছি,চল লালন শাহ সেতু আর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দেইখা যাই। "
মেয়েরা এক কথায় রাজি হয়ে গেল। কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না কারন এখন প্রায় ৪ টা বেজে গেছে। রাতে ফরিদপুর যাবার কোন বাস পাব না। কিন্তু সবাই বলল যা হওয়ার পরে হবে, এখন যাবেই। কি আর করা। একটা রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম। বিকাল বেলায় ঘুরা শেষ করে যখন ফিরব তখন সূর্য প্রায় ডুবে গেছে। যখন ফিরার জন্য সিএনজি তে উঠলাম তখন কলি আবার বায়না ধরল সে লিচু খাবে। কি আর করা লালনশাহ সেতু থেকে আর ও দুই তিন কিলোমিটার পাবনার দিকে গেলাম। রাস্তার পাশেই লিচু নিয়ে বসে থাকে মালিকরা। লিচু কিনে যখন কুষ্টিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করলাম তখন প্রায় চারদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে। একটু আগেই মাগরিবের আজান হয়ে গেছে। গায়ে একটু ঠান্ডা বাতাস লাগতে শুরু করল, হালকা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গেলাম। হঠাৎ একটা আওয়াজে তন্দ্রাভাব কেটে গেল।
" মামা,টায়ার ফেটে গেছে। অনেক সময় লাগব ঠিক করতে। আপনার একটা অটোতে করে চলে যান, মজমপুর বাস স্ট্যান্ড বেশি দুর নাই। মিনিট দশেক লাগবে। "
কি আর করা। সবাই রাস্তায় এসে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম একটা খালি সিএনজি আসছে। হাত দিয়ে ইশারা করলাম। আমাদের কাছে এসেই ব্রেক করল। ড্রাইবার মধ্যবয়সী একজন কাচা পাকা চুল ওয়ালা লোক, জাদরেলি গোফ।
" কাকা, মজুমপুর যাবেন? "
কোন কথা না বলেই হ্যা সূচক মাথা নাড়াল। আমরা ও সবাই উঠে পড়লাম।

৩.

হঠাৎ বজ্রপাতের আওয়াজে আমার ঘুম ভেংগে গেল। আমি একটি আধা পাকা স্যাঁতস্যাঁতে মেঝের উপড় শুয়ে আছি। কিছুক্ষণের জন্য মনে হল স্বপ্ন দেখছি। বিজলীর আলোতে দেখলাম বাকি চারজন উঠে বসেছে। সবাই একে অপরের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। তখন মনে পড়ে গেল আমরা বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার জন্য সি এন জিতে উঠে ছিলাম। কিন্তু তারপরে আর কোন কথা মনে নাই। তখন বুজতে বাকি রইল না আমরা যে কোন সন্ত্রাসী দলের খপ্পরে পড়েছি। হয়ত আমাদের বন্দী রেখে আমাদের অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করবে। মাঝে মাঝে বিজলীর ঝলকে সবার চেহারা দেখা যায়, বুজতে পারলাম সবাই আমার মতই চিন্তা করছে। কিন্তু কার ও মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। সবাই যেন বোবা হয়ে গেছি। এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। হালকা বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে মাত্র। বাড়ির সামনে উঠানে শ্যাওলা জমে পিচ্ছিল হয়ে গেছে, শত বছর ধরে কেউ মনে হয় পা দেয় নি। ছোট ছোট ব্যাঙ লাফিয়ে লাফিয়ে উঠোনের এক কোনে ভাংগা একটা কুয়ায় পড়ছে। বাড়ির সামনে একটি গেইট আছে, এক পাশের দেওয়াল একেবারে ভেংগে পড়ছে। লোহাতে কয়েক স্তর মরিচার আস্তরণ পড়ে গেছে। হালকা বাতাসে বৃষ্টির তালে তালে সুন্দর একটা সুর তৈরি হচ্ছে সেখানে ।
আমি পকেট এ হাত দিয়ে মোবাইল বের করতে যাব এমন সময় দেখি আমার মোবাইল নাই। বুজতে আর বাকি রইল না কিছু । আমিই প্রথম মুখ খুললাম।
" দেখত, তোদের সব কিছু আছে কিনা? "
সবার কাছে না সূচক জবাব পেলাম। তার মানে আমাদের সাথে আর কিছু নেই হাত পা ছাড়া। আমি এক দৌড়ে উঠান এ নেমে এলাম। আমরা কোথায় আছি বুজার চেষ্টা করলাম। বাড়িটি একটি দোতলা বাড়ি, দুইপাশ ভেংগে পড়ছে। পিছনে বিশাল দুটি তাল গাছ আছে। বুজতে পারলাম বাড়িটি প্রাচীন কোন জমিদার বাড়ি হবে। বৃষ্টি আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় আমি আবার আগের জায়গায় ফিরে গেলাম।


৪.

চারদিকে শুনশান নিরবতা। বৃষ্টির অবিরাম ছন্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। হঠাৎ মনে হল আমাদের পিছনে মশাল হাতে কেউ দাড়িয়েছে।
এক সাথে সবাই পিছনে তাকালাম। দেখেই চিনতে পারলাম লোকটি আমাদের সিএনজির ড্রাইবার। মশাল হাতে এগিয়ে আমাদের সামনে এসে দাড়াল। তার পিছনে আর ও কয়েকজন লোক। সবার শেষে বিশালদেহী, জাদরেলি গোফওয়ালা একজন এসে দাড়াল।
" বাচারা, তোমারা ভয় পেয় না, তোমাদের কোন ক্ষতি করব না। সবার বাসার ফোন নাম্বার দাও। মাত্র এক লাখ করে টাকা দিলে সসস্মানে তোমাদের জায়গা মত রেখে আসব।"

আমি প্রতিবাদ করলাম। বিনিময়ে চড় পেলাম। কিন্তু তারপর ও থামলাম না।
" এই,কেউ ছুরিটা দিয়ে যা, এটাকে শেষ করে ফেলি। তাহলে বাকি গুলা এমনি বাসায় ফোন দিবে। '
এ কথা বলেই লোকটা আমার গলা চেপে ধরল। বাকি চারজনের মুখ বেধে ফেলেছে, কোন শব্দ করতে পারছে না । পিছনে থেকে একজন তার হাতে ছুরি দিয়ে গেল। আমি শেষ মূর্হতে চোখ বন্ধ করার আগে চার জনের দিকে তাকালাম। মশালের উজ্জল আলোতে সবার চোখে পানি জ্বলজ্বল করছে। চোখ বন্ধ করে বাড়ির কথা মনে করতে লাগলাম আর দোয়া পড়তে লাগলাম।বাবা- মায়ের চেহার,আদরের ভাগনের কথা বেশি মনে পড়তে লাগল। লোকটা আমার গলায় ছুরি রেখে বেসুর গলায় একটা গান ধরল আর চাপ দিতে লাগল। একটু একটু মৃত্যুর যন্ত্রনা শুরু হতে লাগল।
হঠাৎ টুং করে একটা শব্দ হল, তারপর ধপাস একটা শব্দ। ভাবলাম এটা মনে হয় জাহান্নামের আজাবের শব্দ। আমি পরকালে চলে এসেছি। আমাকে কেউ একজন এসে উঠায়ে দিল, ভাবলাম জাহান্নামে ফেলে দিবে এখন।
কিন্তু যখন উঠে দাড়ালাম তখন দেখলাম আমার সামনে রাজকীয় পোশাক পড়া এক সুন্দরী রাজকন্যা দাড়িয়ে আছে। এই মাত্র মনে হয় দুধের সাথে হলুদ মিশানো পানি থেকে উঠে এসেছে। মশালের আলো সেখানে প্রতিফলিত হচ্ছে। চুল গুলো হালকা বাতাসে ছন্দের তালে উড়ছে। চোখ যেন শত বছরে ও বন্ধ করেনি, এ চোখে আছে কাছে টেনে নেওয়ার মত ক্ষমতা। তার সামনে দাড়িয়ে আমি মনে হয় শীতকালে আগুন পোহাচ্ছি, দুর থেকে ভাল লাগছে কিন্তু আগুনে হাত দিলে পুড়ে যাবে। আরব কন্যা আয়েশাকে যেন আমি দেখছি।

" তুমি মরনি।"
এ কথা শুনে আমার ধ্যান ভাংল। চারপাশে তাকিয়ে দেখি ছিনতাইকারী সবাই হাত পা বাধা অবস্থায় পড়ে আছে, আর দেওয়ালের কাছে ছুরি পড়ে আছে। আমার বন্ধুরা সবাই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল ।
আনন্দে সবাই কান্না শুরু করে দিল।
"নাও, তোমাদের মোবাইল, ব্যাগ নিয়ে নাও। "
আমার মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম রাত প্রায় ১২ টা বেজে গেছে।
" আপনি কে? "
অতি আগ্রহের সুরে আমি প্রশ্ন করে বসলাম।
" আমি এই বাড়ির রাজকন্যা। রাজা রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা। এই সদরপুরের জমিদারি আমদের ছিল। আজীবন লড়েছি মাটি ও মানুষের পক্ষে। অত্যাচারী নীলকরের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও লাঠিয়ালদের নিয়ে সংগ্রাম করেছি। প্রতিপক্ষ ছিল নীলকর টমাস আইভান কেনি, সবাই কেনি নামে চিনত। ফার্গুসন, শেলি ক্রফোর্ড, স্টিফেনসন, সিম্পসন প্রমুখ অত্যাচারী নীলকররা।

কেনির কাচারি ছিল কুষ্টিয়া শহরের বেকিদালানে, কুঠি ছিল অনতিদূর শালঘর মধুয়ায়।

আমি ঘোষণা করেছিলাম ‘যে ব্যক্তি যে কোন কৌশলে কেনির মাথা আমার নিকট আনিয়া দিবে, এই হাজার টাকার তোড়া আমি তাঁহার জন্য বাঁধিয়া রাখিলাম।...ধর্ম্ম সাক্ষী করিয়া বলিতেছি, সুন্দরপুরের (সদরপুর) সমুদয় সম্পত্তি কেনির জন্য রহিল।...দুরন্ত নীলকরের হস্ত হইতে প্রজাকে রক্ষা করিতে জীবন যায়, সেও আমার পণ। আমি আমার জীবনের জন্য একটুকুও ভাবি না।’

আমার সঙ্গে সর্বস্ব হারানো জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল।

আমার সাথে কেনির বিরোধের সূত্রপাত ভাড়ল-পোড়াদহ অঞ্চলের ধানের জমিতে জোরপূর্বক নীল চাষ করা নিয়ে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষক, প্রজা, চাষিরা আমার কাছে দিনের পর দিন প্রতিকারের জন্য নালিশ জানায়। আমি নায়েব রামলোচনকে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়োগ ও আক্রমণের পরামর্শ দিলাম। কেনির বাহিনীর কাছে তারা পরাজিত হয়। ভাড়ল কুঠি লুণ্ঠিত হয়। কেনির অত্যাচার বৃদ্ধি পায়।

আমি আবার নতুন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কেনির কুঠিতে আক্রমণ করি। কেনি কুঠিতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। মিসেস কেনি অজস্র কাঁচা টাকা ছড়িয়ে দিয়ে আমার লাঠিয়ালদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। কেনি আমার বিরুদ্ধে কুঠি লুটের মামলা করেন।

ভীত না হয়ে উল্টো, গর্ববোধ করি আমি। কেনির মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করি এবং মিসেস কেনিকে বালা পরিয়ে বাঙালি বধূ সাজানোর অঙ্গীকার করি। ক্ষিপ্ত হন কেনি।

ঘোষণা করেন, যে আমাকে তাঁর কাছে এনে দিতে পারবে, তাকে তিনি এক হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন এবং আমাকে গাউন পরিয়ে মেম সাজিয়ে তাঁর কুঠিতে রাখবেন।

শুরু হয় পাল্টাপাল্টি পুরস্কার ঘোষণা ও আক্রমণ। আবারও কেনির কুঠিতে আক্রমণ করে আমার বাহিনী। চতুর কেনি পালিয়ে বাঁচেন। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশও প্রাণে রক্ষা পায়। দারোগা মোহাম্মদ বক্স খুন হন। আবারও আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রহসনের বিচারে যাবতীয় জমিদারি ইংরেজ সরকার অধিকার করে।

গরিব কৃষক, চাষি ও প্রজা নিয়ে অকূলে পড়ি আমি। রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে জমিদারি ফেরত পাই। কিন্তু তখন আমি ঋণের ভারে জর্জরিত, ফলে জমিদারির বিরাট অংশ পত্তনি বন্দোবস্ত করে দিলাম আমি।
এই হল আমার কাহিনী। আমার বাড়িতে এসে তোমরা বিপদে পড়েছ সেটা আমি আর সহ্য করতে পারি নাই। তাই ছুটে এসেছি। এদের বিচার তোমরা যাওয়ার পর করব। চল, এখন ফজরের আজান পড়ে যাবে, তার আগেই মজমপুরে তোমাদের দিয়ে আসি।
আমাদেরকে মজমপুরে রেখে আস্তে আস্তে অন্ধকারের সাথে সে মিলিয়ে যেতে লাগল আর তখনই আমি ডাক দিলাম।
"আপনার নামটা জানা হল না। "

চারপাশে ধ্বনিত হল -

" আমি প্যারী সুন্দরী। "

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০১

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর প্রেক্ষাপট।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২০

MMohin বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভালো লাগে নাই। মিলাতে পারেন নাই। জমিদার কন্যা না জমিদার কন্যার ভুত ছিল সেইটা বলেন নাই। কন্যা হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আর এর সাথে কুষ্টিয়ার মিরপুরের কি সম্পর্ক ? ৪ নং পার্টে তো মিরপুর দেখলাম না। তারউপর অনেক বেশী জায়গার উল্লেখ করে ফেলেছেন। অপ্রাসংগিক হয়ে গেছে কোথাও কোত্থাও।

আপনার কাছে স্টোরি থাকলেও স্টোরিটেলিংটা ভালো হয় নাই। এরপরেরগুলোতে সুন্দর হবে আশা করি। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.