![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: ইয়াসীন, রুকু-২
পর্ব: ৩৩.৩ (আয়াত ৩৩-৫০)
সূরা: ইয়াসীন
অর্থ: ইয়াসীন, (আরবি বর্ণমালার দুইটি বর্ণ)
সূরার ক্রম: ৩৬
পারা: ২২-২৩
অবতীর্ণ: মক্কা
সর্বমোট আয়াত : ৮৩
রুকু: ৫
শুরু করি তা্ঁর নামে আল্লা যিনি
পরম করুণাময় দয়ালু তিনি।
রুকু-৩
প্রাণহীন জমিনের আছে নিদর্শন
কেমনে তাকে আমি করি সন্জীবন,
শস্য হলে তারা করে ভক্ষণ।
সৃষ্টি করি তাতে খেজুর বাগান
আঙুর-ঝরণা আরো প্রবাহমান।
ফলমূল তাহাদেরই খাইবার তরে
যেন তারা মোর কাছে শোকর করে।
পবিত্র মহান তিনি করিলেন জোড়া
উদ্ভিদ মানুষ আরো অজানা ওরা।
রাত্রি রহিয়াছে নমুনা আবার
দিনকে সরিয়ে নিলে আসে অন্ধকার।
আপন কক্ষপথে সূর্য ঘোরে
পরাক্রমী বিধাতার নিয়ন্ত্রণ পরে।
চাঁদের জন্য আছে বিভিন্ন কলা
ক্ষীণ সে হয়ে আসে শেষ পথচলা।
সূর্যের ক্ষমতা নেই রাতকে ধরা,
রাতেরও নেই দিনকে অতিক্রম করা;
নির্ধারিত পথে সব ভ্রমিছে ওরা।
নিদর্শন তাদের আর সন্তান সবাই
আরোহন করিয়েছি নৌকায় বোঝাই,
অনুরূপ করিয়াছি আমি তাহাদের তরে
উহারা তাতে যেন আরোহন করে।
ডুবাইতে পারিতাম ইচ্ছা হলে
উদ্ধার করিত না কেউ চিৎকার দিলে।
রহমত এজন্য মোর নয়তো দেয়া
এ জীবন উপভোগে কিছুকাল নেয়া।
ভয় করো তোমরা সামনে যা আছে
দয়া মোর পেতে হলে তাকাও পাছে।
তাদের প্রভুর কত নিদর্শন রয়
তবু তারা সব থেকে মুখ ফিরে লয়,
আল্লার দান হতে যদি বলা হয়
তোমরা সকলেই কিছু কর ব্যয়।
কাফের মুমিনে বলে কি মোদের আছে
তার চেয়ে চাও তব আল্লার কাছে
আল্লাই ইচ্ছা খাওয়াবেন যাকে
আমরা খাওয়াতে যাব কেন আর তাকে?
প্রকাশ্য ভুলপথে তাহারাই থাকে।.....................(৪৭)
হও যদি সত্যবাদী, আরো তারা বলে
এই ওয়াদা পূর্ণ হবে কবে তাহলে?
অপেক্ষায় আছে তারা বিকট আওয়াজের
পাকড়াও করা হবে সেভাবেই তাদের;
বাক-বিতন্ডার মাঝে পরস্পরের।
সময় পাবে না তারা অসিয়ত করিতে
নিজ পরিবারে কভু ফিরিয়া যাইতে।।..............(৫০)
====================(রুকু-৩ সমাপ্ত)===============
এমপিথ্রি ডাউনলোড করুন: এখান থেকে
ডাইরেক্ট লিংক: Click This Link
ডিসক্লেইমার: পবিত্র কোরআন শরীফ ৬১০ থেকে ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আরবিতে ছন্দোবদ্ধ আকারে নাযিল হয়। কুরআন শরীফ সর্বপ্রথম বাংলা তর্জমা করেন ড. গিরীশচন্দ্র সেন। ১৯৩৩ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম পবিত্র কোরআন শরীফের আমপারার অন্তর্গত ৩৮টি ছোট-ছোট সুরার পদ্যানুবাদ করেন। ২০০৬ সালে গবেষক পান্না চৌধুরী সম্পূর্ণ ৩০ পারা কুরআনকে বাংলায় ছন্দোবদ্ধ আকারে অনুবাদ করতে সক্ষম হন।ছন্দোবদ্ধ অনুবাদ বলতে প্রতিটি লাইনের শেষ বর্ণের উচ্চারণের মিলটুকু বুঝানো হয়েছে। একে ছন্দের প্রকারভেদের মধ্যে ফেলা যাবে না।
কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদকৃত কাব্য কোরআন: Click This Link
আল-কোরানের বাংলা অনুবাদ ডাউনলোড করুন ইউনিকোডে:
1. Click This Link
এই ছোট্ট সফ্টওয়্যারটা কাজে লাগতে পারে: Click This Link setup.exe
©somewhere in net ltd.