![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হতে হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। হতে হবে সকল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই দর্শনের নিহিত রয়েছে আত্মসামাজিক, আর্থসামাজিক রাজনৈতিক কর্মসূচি, যা দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সমকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সময় উপযোগী শান্তিপূর্ণ নিরব উন্নয়নের বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংবদ্ধ করবে। জাতিকে পৌঁছে দিবে সুনিশ্চিতভাবে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদা ও গুরুত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।
আমাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূলে রয়েছে শোষণ এবং শোষক মুক্ত সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে, জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। শোষণমুক্ত সমাজ বলতে মূলত বোঝায় বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য খাদ্য বস্ত্র ও পরিবার পরিকল্পনার চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা। মূলত এ বিষয়টির সাথে জড়িয়ে আছে আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয়। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হচ্ছে শোষণমুক্ত সমাজ তা অত্যন্ত বাস্তব প্রগতিশীল একটি সমাজব্যবস্থা যাতে থাকবে সমতা অপেক্ষতা ন্যায় বিচার।
সাতটি মৌলিক বিবেচ্য বিষয়ঃ
(১) বাংলাদেশ ভূমি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যবর্তী আমাদের ভৌগলিক রাজনৈতিক এলাকা।
(২) ধর্ম গোত্র নির্বিশেষে দেশের জনগণ।
(৩) আমাদের মাতৃভাষা।
(৪) আমাদের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা উদ্দীপনা ও আন্তর্জাতিকতার কারক ও বাহক নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি।
(৫) ২০০ বছর উপনিবেশ থাকার প্রেক্ষাপটে বিশেষ অর্থনৈতিক বিবেচনায় বৈপ্লবিক দিক।
(৬) আমাদের ধর্ম প্রতিটি নারী ও পুরুষের অবাধে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন ও রীতিনীতি পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা।
(৭) ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ যার মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন বাস্তব ও চূড়ান্ত রুপ লাভ করেছে।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করা যায়। উত্তরে হিমালয় দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে সংকীর্ণ পরিসরে এই দেশের পূর্বে- এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশ এ দুটি অঞ্চল বা দুটি উপমহাদেশের সেতুবন্ধন সরুপ। এ কারণে আঞ্চলিকভাবে এবং সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিশেষ কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। এ কারণেই সুদূর অতীত থেক এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধনের দখল কর্তৃত্ব লাভের জন্য পূর্ব ও পশ্চিম থেকে এদেশ বারবার আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এদেশের জমির উর্বরাশক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য শতবর্ষ ধরে বারবার আক্রমণকারীদের এদেশ আক্রমণে করতে প্রলুব্ধ করেছে। এ কারণে শতাব্দীর পর শতাব্দী শতাব্দী ধরে উপনিবেশিক শাসন ও পরিপূর্ণ শিকার হয়েছি এই মহান এর জনগণ দুর্বল হয়ে থাকলে ভবিষ্যতেও দুর্বল হয়ে থাকা থাকলে ভবিষ্যতেও সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণবাদী নাব্য উপনিবেশবাদ সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের শিকার হয়ে পড়তে পারে। সেজন্য এদেশের জনগণকে নিজেদের সত্তা রক্ষা এবং দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষার ব্যবস্থা শিখতে হবে।
(বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হিজবুল বাহার জাহাজে দেওয়া বক্তব্য থেকে...)
আজ তাঁর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমরা কেবল একজন শহীদকে স্মরণ করছি না; আমরা স্মরণ করছি একটা আদর্শকে, একটা নির্ভীকতা-গাঁথাকে, একটা প্রশ্নহীন কর্তব্যবোধকে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাকু।
২| ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
ফেনিক্স বলেছেন:
হাওয়াভবনের ৪০ ডাকাত জিন্দাবাদ।
হাওয়াভবনের জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ।
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: কে বা কারা ডাকাত তা বিশ্ববাসী জানে।
৩| ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ফেনিক্স বলেছেন:
আইয়ুবের তার ক্যু'এর সময় কাউকে হত্যা করেনি, সে বেঁচেছিলো।
এরশাদ ক্যু করার সময় কাউকে হত্যা করেনি, সে জীবিত ছিলো।
জিয়ার ক্যু' করার সময় শেখকে হত্যা করেছে, নিজের প্রাণ দিয়ে মুল্য শোধ করেছে; সে আমাদের দেশকে মিলিটারীর হাতে তুলে দিয়ে গেছে, সেটা আজো চলছে।
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী ভাকুর বংশধর এখনো ব্লগে আছে!
৪| ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
আব্দুল হাদী আল নাফী খান বলেছেন: আমি ঠিক পরিষ্কার না জাতীয়তাবাদ বলতে এখানে এক্সক্লুসিভলি কী বুঝানো হয়েছে। হয়তো আমার পড়াশোনা এতো ভালো না। যে সাতটি ফোকাল পয়েন্টের কথা বলা হয়েছে তা তো যেকোন গণতান্ত্রিক দেশের ভিত্তি, জাতীয়তাবাদের প্রতিফলন কোথায়? আপনার জানা থাকলে একটু বুঝিয়ে বলবেন? - আমি একান্ত জানার তাগিদ থেকেই বলছি এবং আমি নিশ্চিত বিএনপির বেশীরভাগই এটার মানে জানে না।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে- নিজেদের জনগোষ্ঠীকে উন্নত করে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যাতে আমরা বৈশ্বিক ময়দানে বাংলাদেশী হিসেবে ছাপ রাখতে পারি। এরপরো, গ্লোবালাইজেশন এর যুগে জাতীয়তাবাদ আমার কাছে খুবই ভেইগ মনে হয়।
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব মোটেই সহজ ভাবে অল্প কথায় দেওয়া অসম্ভব। কারণ, বিষয়টা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে হবে... তবুও অল্পতেই বলতে চাইঃ বাংলাদেশ জাতি হিসেবে একটি Homogeneous, অর্থাৎ সমরূপে গঠিত একটি রাষ্ট্র। শতকরা ৯৯ ভাগের অধিক অধিবাসী বাঙালি জাতিসত্ত্বাভুক্ত, যা শত শত বছরের সৃষ্টি। তাই আমাদের জাতীয়তাবাদ বাঙালি। যেমন, ইংরেজ, রুশ, বা স্প্যানিশ। বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'জাতীয় মর্যাদার' বিপরীতে ছাপা হয় 'বাংলাদেশী'। এটা কী যুক্তি সঙ্গত? এ ভুল নিরসনে প্রয়োজন দুটি শব্দের ব্যবহার।
জাতীয়তা (জাতীয় মর্যাদা)- বাঙালি। নাগরিকত্ব- বাংলাদেশী। বাঙালি আর বাংলাদেশীতে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব শুধু এ শব্দদ্বয়ের সঠিক প্রয়োগে। একজন ইংরেজকে স্কটিশ বলা যায় না। অথবা, একজন স্কটিশকে ইংরেজ। তবে তারা উভয়েই ব্রিটিশ নাগরিক, এর মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই। ভারতে ৩৬ টি স্বীকৃত ভাষা আছে। কিন্তু তারা ভাষা ভিত্তিক পরিচয়ে পরিচিত নয়, ভারতীয় হিসেবে পরিচিত। সেইজন্যই ইন্ডিয়ার উন্নয়নের স্লোগান- "মেক ইন্ডিয়া", মেক বিহার, উড়িস্যা কিম্বা মহারাষ্ট্র নয়।
মূলত বাঙালি একটি জাতিগত গোষ্ঠী যার বিভাগীয় শেকড় রয়েছে কোথাও বিভক্ত হওয়ার আগে ব্রিটিশ ভারতে প্রাক্তন বঙ্গ প্রদেশে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে বাংলা তাদের বাংলা হিসাবে মাতৃভাষা রয়েছে তবে তারা বিশ্বের যে কোনও দেশে থাকতে পারে। একইভাবে, নেপালের লোকেরা মাতৃভাষার সাথে নেপালি, কারণ নেপালি ভাষাও গোর্খা, তামাং, গুরুং, মাঙ্গার প্রভৃতি একইভাবে ভারতে একই মাতৃভাষার ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে বসবাসকারী লোকেরা।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশের পাশাপাশি, পূর্ব বাংলা প্রদেশ বিভক্ত হওয়ার পরেও ভারতবর্ষে বাঙালির বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস। বাংলা হিন্দি পরে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কথ্য ভাষা। আর একটি বিষয় আপনি যদি বাংলাদেশী বাংলা ভাষা এবং ভারতীয় বাংলা ভাষা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তবে দেখতে পাবেন যে এই দু'টির মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে তবে এখনও এর বাংলা ভাষা।
আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের স্লোগান মেক বাংগালী, মেক বাংলা নয়। আমাদের সকল উন্নয়ন হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে, যা একান্তই বাংলাদেশের।
৫| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: বাঙালি জাতিয়তাহাজ ছিল আওয়ীমী লীগের স্লোগান।তার বিরোধিতা করার জন্য এই আজগোপি শব্দ আনা হয় বাংলাদেশী জাতিয়তাহাজ।
বাংলাদেশ নামটাই ছিলো ভুল।তাতে করে পশ্চিমবাংলার বিরাট একটা বাঙালি জনগুষ্টিকে বাদ দেয়া হয়।পূর্ববাঙলা ছিলো সঠিক নাম।যে নামে আমরা বহুদিন পরিচিত ছিলাম।
মনে পড়ে যায় সৈয়দ আলী আহসানের কবিতা আমার পূর্ব বাংলা আমার পূর্ব বাংলা
সৈয়দ আলী আহসান
------------------------------------
আমার পূর্ব-বাংলা এক গুচ্ছ স্নিগ্ধ
অন্ধকারের তমাল
অনেক পাতার ঘনিষ্ঠাতায়
একটি প্রগাঢ় নিকুজ্ঞ
সন্ধ্যার উন্মেষের মতো
সরোবরের অতলের মতো
কালো-কেশ মেঘের সঞ্চয়ের মতো
বিমুগ্ধ বেদনার শান্তি
আমার পূর্ব-বাংলা বর্ষার অন্ধকারের অনুরাগ
হৃদয় ছুঁয়ে-যাওয়া
সিক্ত নীলাম্বরী
নিকুজ্ঞের তমাল কনক-লতায় ঘেরা
কবরী এলো করে আকাশ দেখার
মুহূর্ত
অশেষ অনুভব নিয়ে
পুলকিত সচ্ছলতা
এক সময় সূর্যকে ঢেকে অনেক মেঘের পালক
রাশি রাশি ধান মাটি আর পানির
কেমন নিশ্চেতন করা গন্ধ
কত দশা বিরহিণীর-এক দুই তিন
দশটি
এখানে ত্রস্ত আকুলতায় চিরকাল
অভিসার
ঘর আর বিদেশ আঙিনা
আকুলতায় একাকার
তিনটি ফুল আর অনেক পাতা নিয়ে
কদম্ব তরুর একটি শাখা মাটি
ছুঁয়েছে
আরও অনেক গাছ পাতা লতা
নীল হলুদ বেগুনি অথবা সাদা
অজস্র ফুলের বন্যা অফুরন্ত
ঘুমের অলসতায় চোখ বুঁজে আসার মতো
শান্তি
কাকের চোখের মতো কালোচুল
এলিয়ে
পানিতে পা ডুবিয়ে-রাঙা-উৎপল
যার উপমা
হৃদয় ছুঁয়ে-যাওয়া স্নিগ্ধ নীলাম্বরীতে
দেহ ঘিরে
যে দেহের উপমা স্নিগ্ধ তমাল-
তুমি আমার পূর্ব-বাংলা-
পুলকিত সচ্ছলতায়,প্রগাঢ় নিকুজ্ঞ।।
৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, চমৎকার একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন, যদিও আপনারা সৈয়দ আলী আহসানকে আপনারা শত্রুজ্ঞান করেন, তারপরও সুবিধাজনক সময় ব্যবহার করার জন্য ধন্যবাদ। প্রসংগত বলতে হয়-
বর্তমান বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী
জনগােষ্ঠী অধ্যুষিত বিস্তৃত জনপদের একটি অংশমাত্র। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সবখানে, আসামের অন্তর্গত কাছাড় ও গােয়ালপাড়া, বিহারের অন্তর্গত পূর্ণিয়া, সিংভূম ও সাঁওতালের কতকাংশ, উড়িষ্যা ও ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশে এবং মায়ানমারের আরাকানে বাংলা ভাষাভাষী লােকের বসবাস। প্রাচীনকালে এ অঞ্চলের কোনাে নির্দিষ্ট নাম ছিল না। বৃহৎ বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল বঙ্গ, পুণ্ড্র, রাঢ়, সূক্ষ, হরিকেল, সমতট, চন্দ্রদ্বীপ, তাম্রলিপ্তি, কামরূপ, বরেন্দ্র প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। সপ্তম শতাব্দিতে বাংলার প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম রাজা শশাংক এই জনপদ গুলিকে গৌড় নামে একত্রিত করেন। এর পর বঙ্গদেশ পুভ্র, গৌড় ও বঙ্গ এই তিন নামে বিভক্ত হয়ে যায়। মুসলমান আমলে এসব জনপদ একত্রে বাংলা অথবা বাঙালা নামে সর্বপ্রথম পরিচিত হয়।
বঙ্গ বা বাংলা নামের উৎপত্তি নিয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। কারাে কারাে মতে, বঙ্গ নাম থেকেই বঙ্গাল এবং পরবর্তীতে বাঙালা নামের উৎপত্তি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, অতীতে বং নামের এক জনগােষ্ঠি এ অঞ্চলে বসবাস করত এবং তাদের নাম অনুযায়ী অঞ্চলটি বঙ্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। আবার অনেকেই মনে করেন জলমগ্ন স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চলকে বঙ্গ বা বংশ বলা হতাে। তাই নদী মেঘলা ও জলমগ্ন দক্ষিণাঞ্চল বঙ্গ নামে অভিহিত হয়ে আসছে।
৬| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
একে নিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অবজারবেশন বলবেন ?
৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অযোগ্য লোকের অপ্রত্যাশিত ক্ষমতা মানুষকে বেপরোয়া, নির্লজ্জ, দুর্বিনীত দুর্নীতি পরায়ণ ও চরিত্র হীন করে তোলে- তেমন একটা ইতর হচ্ছে সারজিস আলম। আর কিছু বলার নাই।
৭| ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন বলে শুনেছি। তাঁর ডাকে হাজারো মানুষ পথে নামতো!
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অনেক প্রলম্বিত হতো যদি না তিনি রেডিওতে সেই কালজয়ী ভাষণ না দিতেন।
আফসোস যে, তাঁর মতো মানুষ এখনকার রাজনৈতিক অঙ্গনে খুঁজে পাওয়া যায় না।
৩১ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা যতই শিক্ষিত হই, সত্য মেনে নেওয়ার মতো উদারতা সবাই স্বীকার করতে পারি না।ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সংক্ষেপে জাতীয়তাবাদী দর্শনের উপস্থাপনা, মৌলিক বিবেচ্য বিষয়গুলোর উল্লেখ এবং আপনার মন্তব্যের উত্তরগুলো ভালো লেগেছে। আপনি যে সাতটি মৌলিক বিবেচ্য বিষয়ের কথা বলেছেন, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সত্যি বলতে কী, বিএনপির অতীত ইতিহাস এই দর্শনের সঙ্গে খুব একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়নি। দলটি দীর্ঘদিন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেছে, যা অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়ভিত্তিক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি, আপনারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যেভাবে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন, তা আমার কাছে কিছুটা সেকেলে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়।
আমার মনে হয়, জিয়াউর রহমানের অতীতের অনেক অন্যায় কাজ (যেমন: ১১০০-এর বেশি সেনা অফিসারকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া, রাজাকার পুনর্বাসন ইত্যাদি) এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত (যেমন: মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ও জঙ্গিবাদের পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা)- এসব বিষয়কে সমালোচনামূলকভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপিকে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। আর আপনাদের মতো চিন্তাশীল মানুষের উচিত দলান্ধ না হয়ে, এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে তুলে ধরা।
৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ১০০& আওয়ামী দলান্ধ!
জিয়ার শাসনামলে সেনাবাহিনীর মাত্র তিনটা ব্রিগেড ছিলো, যেখানে সাকুল্যে অফিসার ছিলেন ১০৪৪ জন। আরও তথ্যপূর্ণ হিসাব দেওয়া যায়, কিন্তু আপনার বিবেক বিবেচনা সীলমোহর করে বন্ধ করে রেখেছেন, কাজেই আপনার জন্য সময় নষ্ট করা নিছক বোকামি।
আপনি আওয়ামী লীগের অতীত বর্তমান কোনো কিছুই স্বীকার করেননি। আপনি ভুলে গিয়েছেন- স্বাধীনতার পর আওয়ামী দুর্বিনীত লুটপাট, নারী নির্যাতন, খুন গুম করার কথা। আপনি ভুলে গিয়েছেন- ৩০ হাজার জাসদ কর্মী সমর্থক হত্যার কথা। একদলীয় বাকশাল কায়েম করার কথা। লুটপাটের কথা। আপনি ভুলে গিয়েছেন গত ষোলো বছরের আওয়ামী দঃশাসনের কথা, যেখানে অজস্র গুম খুন করে, শুধু বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬০ হাজার মিথ্যা বানোয়াট মামলায় ১ কোটি ৬০ লাখ নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন করেছে। এমনকি জনরোষে পালিয়ে যাওয়ার আগেও মাত্র চার দিনে দুই হাজার ছাত্র জনতা, নারী শিশু হত্যা করেছে, ৩০ হাজার মানুষ ইনজুরি নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে- তাতেও আপনার বিবেক নাড়া দেয়নি। আপনার এহেন বক্তব্যে অবাক হইনি, কারণ, এটাই আওয়ামী চরিত্র। ধন্যবাদ।
৯| ৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বলেছেন: দেশের সাধারণ মানুষ লীগ এবং জাশিকে সমান ভাবে বিবেচনা করে, সমান ভাবে ঘৃণা করে। এখন একটা দলই আছে যারা পাকি দালালওনা ভারতীয় দালালও না। দিল্লীও না পিণ্ডিও না। সেটি হল জাতীয়তাবাদী দল । এই দলেরও কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে যোগ্য নেতৃত্ব, আওয়ামীলীগের মত বা জাশির মত আচরণ । এসব স্থানে সংশোধন করে নিলে বি এনপি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাই আসবে। কারণ দেশের মানুষ লীগ ও জাশিকে ভোট দিবে না।
৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার মন্তব্যের একি উত্তর দিলেন!!!
আমি তো এখানে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কিছু বলিনি, বরং বিএনপি কীভাবে আমার মতো সাধারণ জনগণের পক্ষের একটি শক্তি হিসেবে শক্তিশালী হতে পারে, সেই বিষয়েই নিজের চিন্তা প্রকাশ করেছি মাত্র।
আপনি আওয়ামী লীগের যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না। আওয়ামী লীগের অপরাধই যদি বিএনপির পক্ষে এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক অতীতের রাজনীতির পক্ষে আপনার যুক্তি হয়, তাহলে তো মহা মুশকিল!
৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আপনার ইংগিত বুঝতে ভুল করিনি।
বিএনপি মোটেই দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে নয়। সেই ভুল ত্রুটি শোধরাতেই তিন বছর আগে বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছে এবং সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের উজ্জিবীত করে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
ফেনিক্স বলেছেন:
জিয়ার ক্যু জিন্দাবাদ।
শেখ হত্যা জিন্দাবাদ।
জিয়া হত্যা জিন্দাবাদ।
হাওয়াভনের ৪০ ডাকাত জিন্দাবাদ।