![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রসঙ্গঃ ডক্টর ইউনুস স্যারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য...
জাপান সফরে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস স্যার উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন- "দেশের একটামাত্র দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়"।
কথাটা আংশিক সত্য।
কারণঃ
★ দেশে রাজনৈতিক দল বলতে 'সেই একটা দল'ই আছে, যারা ২০০৭ সাল থেকে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
★ সেই 'একটামাত্র দল' এর নেতা কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার মিথা মামলায় নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে।
★ সেই 'একটামাত্র দল' এর ৬০ লক্ষ নেতা কর্মী সমর্থকদের আসামি করা হয়েছে।
★ আপনাদের সমর্থিত সেনা তত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৭১ জন বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থক।
★ Guম হয়েছেন ১ হাজার ২০৪ জন বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থক।
★ গত জুলাই আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণ করেছেন ৪২২ জন বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থক।
সেই দলটির নাম- বিএনপি। আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের ৬৪ টি জেলায় বিএনপির যত নেতা কর্মী সমর্থক আছেন, সেই ৬৪ জেলার একটি জেলার বিএনপির সমর্থকদের চাইতেও আপনার সমর্থক কম!
নিঃসন্দেহে 'আপনি আপনার ভাগের টাকাপয়সা' গোনা এবং হিসাবে অতিশয় পাকা। অতএব, আপনি সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল না গুণে দলের কর্মী সমর্থক গুনে কথা বলুন।
স্যার, মনে রাখবেন, আপনি যখন ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে জানপেহসান অবস্থায় তখন বিএনপি ছাড়া কেউ আপনার পক্ষে কথা বলেনি। অথচ সেই সেনা তত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে ফ্যাসিবাদের ষোলো বছরে একটি বারের জন্যও দেশের নির্যাতিত নিপীড়ন মানুষের জন্য আপনি ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস স্যার একটা কথাও বলেননি!
বিএনপি কখনো আপনার পদত্যাগ চায়নি, নির্বাচন চেয়েছে। নির্বাচন চাওয়া কি অপরাধ?
(২) স্যার, আপনি বলেছেনঃ
"আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নাই"- আপনার এই কথাটা সত্য নয়। আপনি শতভাগ ক্ষমতাশ্রয়ী। আপনি ২০০৭ সালে সেনা তত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু 'কোরাম পূর্ণ করার মতো এগারোজন লোক জোগাড় করতে পারেননি'- বলেই আপনার সেই খায়েশ পূর্ণ করতে পারেননি- সেই সংবাদ মিডিয়ায় চাউর হয়েছিল।
২৪ এর জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর ছাত্রজনতা, রাজনৈতিক দলের সমর্থনে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য। ক্ষমতা পেয়েই আপনি আপনার অফিস স্টাফদের ছাড়াও সমমনাদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন।
স্যার, আপনি মোটেই নির্লোভ মানুষ নয়। একটা উদাহরণ দেই- যেকোনো ট্রাস্টির এমডি'র বয়সসীমা আছে, আপনি ৬০ বছরের বেশি বয়সেও ট্রাস্টির এমডি পদের লোভ ছাড়তে পারেনি!
স্বভাবে আপনি কোথাও বসলে সেখানে নিজেকে সুপার গ্লু লাগিয়ে আটকে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উদ্দেশ্য প্রণিত আপনার বিভিন্ন বক্তব্যের জন্যই লিখতে বাধ্য হচ্ছি।
৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ডক্টর ইউনুস আমার প্রিয় ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। কিন্তু তিনিই এখন ক্ষমতা আর খ্যাতির মোহে তিনি বুঝতে জনগণের পালস পারছেন না! ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব যদি সম্মান নিয়ে বিদায় নিতে চান, তাহলে ওনার উচিত যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে কেটে পড়া। নয়তো এ জাতি ওনাকে সম্মান দিয়ে বিদায় দিবে না।
২| ৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূস নিরপেক্ষ নন। কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
৩০ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৩| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:২৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: ইউনূস নিরপেক্ষ নন। কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তবে bnp এর অনেক সংস্কার নিজের দলের ভিতর করলে ভাল হবে। ভোটে তারাই জিতবে হয়ত কিন্তু যতটুকু পাবার কথা তার থেকে অনেক পিছিয়ে থাকবে।
৩১ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
কাঁউটাল বলেছেন: উনার উপর চাপ অব্যহত রাখতে হবে। যাতে উনি নির্বাচন দিতে বাধ্য হন।