![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ও মেন্ডেলের বংশগতির সূত্র পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত। ডারউইনের প্রকারণ তত্ত্ব অনুযায়ী, জীবজগতের লক্ষণই হচ্ছে নানা প্রকার হওয়া। এদের মধ্যে যে প্রকারণ প্রাকৃতিক নির্বাচনে টিকে যায়, তা পরবর্তী প্রজন্মসমূহে আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এভাবে চলতে চলতে এক সময় নতুন প্রজাতি তৈরি হয়।
আর, মেন্ডেল দেখান যে “প্রকারণ ঘটে বৃহৎ মাত্রায় এবং অসংলগ্নভাবে”। টমাস হান্ট মর্গানের আবিষ্কৃত জিনও এই প্রক্রিয়ায় বংশ পরম্পরায় বাহিত হয় বলে অনেক বিজ্ঞানী ধারণা করেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশও অনেক বড় ভূমিকা রাখে- এমন তত্ত্বও আছে। ফিলিপ জিমবার্ডোর ‘লুসিফার এফেক্ট’-ও এমনই এক ধারণা। এই ধারণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির নেতিবাচক আচরণের উপরে সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব পড়ে।
আমাদের সমাজে লুসিফার এফেক্ট যতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, ডারউইন ও মেন্ডেল প্রস্তাবিত তত্ত্বদ্বয় তার চেয়েও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, সমস্যা হলো এই যে, বেশিরভাগ মানুষ বিবর্তন ও বংশগতিকে অর্ধেক গ্রহণ করেছে; বাকি অর্ধেক সম্ভবত বুঝতেও পারেনি।
সমাজ বিশ্বাস করে যে বংশগতির মাধ্যমে একই ধরণের আচরণ পরবর্তী প্রজন্মেও দেখা যায়। কিন্তু মিউটেশন যদি অধিকতর শক্তিশালী কোনো বিপরীতধর্মী জিনের সাথে ঘটে, তাহলে সেই একই আচরণ বাহিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে তা আবার ফিরে আসতে পারে লুসিফার এফেক্টের কারণে। আর এইটাই মানুষ এখনও ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তাই মানুষ বংশগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে খুব সহজেই কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা পোষণ করে সেই আলোচিত বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবশালী করে তুলতে পারে।
picture credit
২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ধর্মের সাথে যাবেন? না ডারউইন সাথে যাবেন? কাকে মানবেন??
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৬
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
কিন্তু একটি বিশেষ শেণী তো ডারউইন এর মতবাদকে ফালতু বলে।