![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুকম্পা হলে ডেকে নিও আমায় যে-কোনো সময়ে;
আমি তো অতীতকাল নই যে ফিরে আসতেই পারবো না।
- গালিবের গজল থেকে
আসাদুল্লাহ খাঁ গালিব ওরফে মির্জা গালিবের শেষ জীবন ছিল দুঃখজর্জরিত। অবশ্য এর পূর্বে যে খুব সুখকর জীবন তিনি যাপন করেছেন, তাও ঠিক নয়। অসংখ্য অপূর্ণ আশা তাঁকে নিরাশার পথে বরাবরই ঠেলে দিয়েছে। তাই “নৈরাশ্যবাদ” গালিব-সৃষ্ট রচনার একমাত্র বিষয় না হলেও অন্যতম বিষয়।
দুঃখ প্রাণক্ষয়ী কিন্তু কেমন ক’রে রক্ষা পাবে আমার হৃদয়;
প্রেমের জ্বালা না-ও যদি থাকতো, জীবিকার গ্লানি তো থাকতোই।।
অথবা,
মৃত্যু ছাড়া জীবনযন্ত্রণার আর কী ওষুধ আছে, আসাদ;
প্রদীপকে তো সবরকমের জ্বলা জ্বলতেই হবে ভোর হওয়া পর্যন্ত।।
উদ্বৃত শেরদ্বয়ের মতো আরও অসংখ্য শেরে জীবনের প্রতি গালিবের নিরাশা ও অতৃপ্ত বাসনার বিষণ্ণ চিত্র ফুটে ওঠে।
নিরাশা ছাড়াও গালিবের শেরে প্রেমকেও পাওয়া যায়। কোনো কোনো শেরে নিবেদিত প্রেমার্ঘ্যের প্রেমাস্পদকে চিহ্ণিত করা গেলেও, কোথাও বা তা দ্ব্যর্থবোধক। সেগুলোকে ভক্তিমূলক, কিংবা চাইলে ‘রোমান্টিক’ শের হিসেবেও বিশ্লেষণ করা যেতে পারে-
আবার হৃদয় আমার অস্থির হয়ে উঠছে,
খুঁজতে বেরিয়েছে তাকে যার আঘাতে সে আবারও বিক্ষত হবে।।
একজন বিশ্লেষক হিসেবে মনে করি, দ্ব্যর্থবোধকতাই গালিবের রচনাকে একই সাথে করেছে কালোত্তীর্ণ এবং মানোত্তীর্ণ। কেননা, যে সৃষ্টিকর্ম দেশ-কাল-প্রেক্ষাপট নির্বিশেষে নিজের আবেদন অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে তাই-তো সেরা সাহিত্য!
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০২
ক্রেটোস বলেছেন: আপনি গালিবের শেরগুলোর কোন পঙক্তিতে দ্ব্যর্থতা পেলেন? আপনি শেষে এসে যেভাবে বললেন, "একজন বিশ্লেষক হিসেবে মনে করি......" আপনি এখানে তো কোন বিশ্লেষণ তো করলেনই না উপরন্তু আপনি কোন কিছুই বিস্তারিত বলেননি। যে উপসংহার টানলেন সেটাও অপ্রাসঙ্গিক ও খাপছাড়া। এটা ঠিক কোন মাপের বিশ্লেষণ হলো?
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: কালের গর্ভে সবকিছুই হারিয়ে যায়।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মৌরি হক দোলা,
কোনও এক "ব্লগ-ডে" তে আত্মপ্রত্যয়ী যে কিশোরী মেয়েটিকে দেখেছিলুম, নিঃসন্দেহে সে এখন বিদগ্ধ এক তরুনী। তাই হয়তো "শের" সম্রাট গালিবকে নিয়ে ছোট করে লেখা এই পোস্টে সে বিদগ্ধতার দেখাই মিললো।
বিশ্লেষণ হয়তো বিশদ হয়নি তবে যেটুকু হয়েছে তাতে গালিবকে বুঝতে কণ্ট হবার কথা নয় যা ফুটে উঠেছে এখানে --
"আসাদুল্লাহ খাঁ গালিব ওরফে মির্জা গালিবের শেষ জীবন ছিল দুঃখজর্জরিত। অবশ্য এর পূর্বে যে খুব সুখকর জীবন তিনি যাপন করেছেন, তাও ঠিক নয়। অসংখ্য অপূর্ণ আশা তাঁকে নিরাশার পথে বরাবরই ঠেলে দিয়েছে। তাই “নৈরাশ্যবাদ” গালিব-সৃষ্ট রচনার একমাত্র বিষয় না হলেও অন্যতম বিষয়।"
জীবনকে গালিব দেখেছেন ফিলোসোফিক্যালী। তাইতো তিনি বলতে পেরেছেন -
"গালিব শরাব পিনে দে মসজিদ ম্যা ব্যায়ঠ কার,
ইয়া ও জাগা বাতা যাঁহা খুদা নেহি"
বঙ্গানুবাদ:
গালিব কে মসিজেদ বসেই পান করতে দাও
নয়তো ঐ ঠিকানা বলো- যেখানে খোদা নেই।।
আবার এখানে ---
"ইন আবলো সে পাঁও কে ঘাবরা গ্যায়া থা ম্যায়
জি খুশ হুয়া হ্যায় রাহ কো পুরখার দেখ কর"
বঙ্গানুবাদ:
পায়ের এই ফোস্কা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম
পথ ভর্তি কাঁটা দেখে মন খুশি হয়ে গেল
এখানেও -
হাথো কে লাকিরু পে মত্ যা এ গালিব ,
নসীব উনকে ভী হোতে হয়্ জিনকে হাত নাহি হোতে।
বঙ্গানুবাদ:
হাতের ভাগ্যরেখার দিকে দেখোনা গালিব
ভাগ্য তারও থাকে, যার হাতই থাকে না -
আজকাল এসব বিষয় নিয়ে তো আর কেউ লেখেনা তাই যা লিখেছেন তাতে +++++++++
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: মির্জা গালিব গ্রেট।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১২
বিজন রয় বলেছেন: নিঃসন্দেহে মির্জা গালিব কালোতীর্ণ।
গালিবের তাসখন্দ।
আপনার লেখাটি আর একটু বড় হতে পারতো।
তবুও যা লিখেছেন হৃদয় নাড়া দেয়।
লিখুন।