নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার পরিবার আমার পৃথিবী। ভালোবাসি পরিবার, ভালোবাসি দেশ, তবে সেই ভালোবাসা আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা\'আলা আর তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে বেশি নয়।

মিঃ হাসান

যুক্তি আর আবেগের গ্যাঁড়াকলে আটকে থাকি আর ভাবি চলছে তো মন্দ নয়, না হোক কেউ বিজয়ী । দিনশেষে জয়টাই কি সব?

মিঃ হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়াবতী - কোয়েল পাখি

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৮

পড়ার অভ্যাসটা ছেলেবেলা থেকেই । প্রতিবছর বেশ উৎসাহ নিয়ে পরিবারের সবাই যেতাম বইমেলায় । কিশোর বয়সে জাফর ইকবাল, জুল ভার্ন, একটু পরিণত হতেই শীর্ষেন্দু, সমরেশ, আর বয়সের নিষেধাজ্ঞা কেটে যেতেই রুদ্র, গোস্বামী আর বুদ্ধদেব বসুতে প্রবেশ । আর যখন সুনীলে ডুবলাম, তখন পড়ার সাথে সাথে অল্প-বিস্তর লিখতেও শুরু করলাম । কেমন লিখতাম জানিনা-তবে অভ্যাসটা টিকে গেলো । গ্র্যাজুয়েশনের পর পড়ার সাথে সমানুপাতে ভরতে থাকলো আমার স্টাডির ছোট্ট টেবিলের ডানদিকে সযত্নে সংরক্ষিত সাহিত্য-স্ক্র্যাপবুকের পাতাগুলো । সাহিত্যের বেশ ভালোই সমঝদার বলে মনে হত নিজেকে । সব ঠিকই ছিলো-তবে ২০১৬ এর আগস্টের আগে পর্যন্ত । সাহিত্য-প্রতিভা নামক ফুলটি যবে আমার মধ্যে কেবল ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করছিলো, তখনই হঠাৎ এক গজদন্তী হাসি ঝড় হয়ে এসে সব ভেঙ্গেচুরে খানখান করে দিলো । প্রতিটি পদ্য, প্রতিটি উপন্যাস একজন লেখকের ব্রেইনচাইল্ড । যে মস্তিষ্ক থেকে আমার সেই পদ্যশিশু জন্ম নিবে, যে হৃদয় থেকে নিংড়ে নিংড়ে রস বের করে সাধারণ কথামালায় প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে তৈরি হবে একটি উপন্যাস; সেই হৃদয়ে, সেই মস্তিষ্কে সারাক্ষণের জন্য জেঁকে বসলো এক মায়া ভরা মুখশ্রী । সেই হাসি, সেই মুখ আমি যে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারিনা । আমার পৃথিবী, আমার সাহিত্য ভাবনা তখন থেকে শুধু সেই মায়াবতীকে ঘিরে আবর্তিত হতে লাগলো । আর ২১/০২/২০১৭ থেকে ধীরে ধীরে বুঝতে শিখলাম সাহিত্য যে আসলে কী-তা এতোদিন আমি বুঝিনি তিলমাত্রও । যাকে এতোদিন পদ্য ভেবেছি, তা আসলে পদ্য নয়; যেটিকে উপন্যাস ভাবতাম, উপন্যাস নয় আদতে সেটিও । বরং সেই মায়াবতীর প্রতি নিবেদিত আমার প্রতিটি চাহনি একেকটি কবিতা, তার সাথে বলা আমার কথামালা একেকটি গান, যাতে সুরারোপিত হয় আমাকে দেয়া তার দুষ্টু-মিষ্টি গজদন্তী হাসিতে । তার সাথে ব্যয়িত মহাকালের এই ক্ষুদ্র সময়টুকু একটি মহাকাব্য । যে মহাকাব্যের কেবল চতুর্থ অধ্যায় শেষ হলো, এ অনন্ত, অনিঃশেষ মহাকাব্যের উৎসর্গ পাতায় শুধু একটি নামই লেখা-“কোয়েল পাখি”। আর নিঃসন্দেহে বুঝতে পারি এটিই হতে যাচ্ছে আমার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি । কারণ, সাহিত্য কী-তা এখন আমি জানি !

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৩৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার মায়াবতীকে শুভেচ্ছা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫

মিঃ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫

মিঃ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কিছু আপনার লেখকদের নাম বললেন। এখন তাদের লেখা এবং আপনার পড়া তাদের বই গুলো নাম বলুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৪

মিঃ হাসান বলেছেন: "আপনার লেখকদের" নাম বলি নি । তারা সবার লেখক । তাদের লেখা অনেক বই এর মাঝে আমার সবচেয়ে পছন্দের বইগুলো হলো - তিথিডোর, সেই সময়, দূরবীন, কালবেলা, ক্রোমিয়াম অরণ্য, সেইসব শেয়ালেরা, ছোবল ইত্যাদি । এর মধ্যে কোনটা রয়েছে, যা আপনারও প্রিয় ? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা এবং ছবি দুইটিই ভালো লাগলো

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৬

মিঃ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ । ছবিটি সেন্ট মার্টিনের, আমার নিজেরই তোলা । আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন? এবার একটি নতুন পোস্ট দিন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫২

মিঃ হাসান বলেছেন: ভালো আছি । আপনি ভালো? নিজে লেখার চেয়ে আপনাদের লেখা পড়তেই ইদানীং ভালো লাগে বেশি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.