নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,
বয়স অনুমান করতে পারিনি। নিশাবসানে মোমের অবশিষ্টাংশ দেখে বিগত রাতের আঁধার দূর করা মোমবাতির পরমায়ু হয়তো বলা যায়, কিন্তু গেরস্তের ঘরে রাতের পর রাত দুঃখের আঁধার তাড়ানো সলতের চেহারা দেখে বয়স অনুমান করে____ সাধ্য কার!
শূন্য দৃষ্টি মেলে বসেছিল সে ঢামেকের ওয়েটিং বেঞ্চে।
দীর্ঘ ব্যবহারে সাদা এয়ারফোনের মতো মশিমাখা রঙ ধরেছে। একদা যে সফেদ-নির্মলা-সুষমা মণ্ডিত মুগ্ধ রূপের পসরা ছিল___তা যেন মশিমাখা ওই বর্ণ চোখে আঙুল দিয়ে রাজ সাক্ষী হয়ে বলছিল বারবার।
সবচেয়ে আশ্চর্য তার চোখ দু'টি। শূন্য-শুকনো সুরম্য-সুন্দর! জলের অভাবে যেমনি করে নদীর চলন বুক জুড়ে জেঁকে বসা কাশের চরের বাঁধাকে এড়িয়ে মাড়িয়ে দু'পাড়ের দুঃখ-সুখে বয়ে নিয়ে চলে সাগরে, তেমনি করে যেন নীরব-নিরন্তর-ভালোবাসার অভাবে বুকে জাগা আশা নিরাশার দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাসের চর গুলোকে এড়িয়ে মাড়িয়ে সে সংসারের অনাহুতকে বয়ে নিয়ে চলেছে মহাকালের কালো গহ্বরে।
একটু খেয়াল করলেই সেই চোখে এককালের মহাযোগীর যোগ সাধনা পলকেই উধাও করার স্রোত টের পাওয়া যায়___ পদ্মার মতো। এখন তো সে বুড়ি পদ্মা তবু চরে গেলে গা শিরশির করে____
"হঠাৎ বানে অকূলে ভাসিয়ে নেবে না তো? এই তো গত বছরও ভাসিয়েছে বাপ-মা'র গোর, সাত পুরুষের ভিটেমাটি!"
কালের কোণায় কান পাতলে এখনো শোনা যায় রাজা রায় বল্লভের অমর কীর্তি নাশ করা গান! তাই তো ও কীর্তিনাশা।
তেমনি করে চোখে ছিল তার কালোত্তীর্ণ যোগী-মহাযোগীর সাত জনমের যোগ সাধনার সর্বগ্রাসী সৌন্দর্য!
বি.দ্র. তার ছবি তোলার মত বোধ ছিল না তখন। এই বেদেনীর চোখেও তেমনি সে মায়া খেলছে মজায়। ভাবনার সুবিধার্থে পিন্টারেস্টের এই ছবি।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম অনুভূতির কথা ।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর লেখা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বর্ননার ভাষা খুব সুন্দর ও সাবলীল।