নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,
'ভরা পকেট' দুনিয়ার অলি-গলি কোন পথে কী ধূলি, চিনতে সহায় হয়। কোথায় যায় না মানুষ তখন, পকেট ভরা সময়-টাকায় যখন! গাঁটের কড়ি খরচ করি পরের চিন্তা কিনে পড়ি। দেখি, শোনে, বুঝার চেষ্টা করি। পরের পেরেশানির ঝুড়ি মাথায় করে নিজের পেরাশানি বাড়াই।
সবখানেই তখন সে স্বার্থবাদী। অথচ জানবার বেলায় সবচেয়ে গুরুত্বের, নিজেরে রেখে অবহেলায় একেবারেই সে বিশ্বপ্রেমিক! বিশ্বদরদী; উদারতার মূর্ত প্রতীক!
তখন 'খালি পকেট' চেনায় এই মহাবিশ্বের নিকটতম অথচ কঠিনতম অধরা অজানা সবচাইতে আপনজনকে; নিজেকে। পূর্ণ একটা জীবন পার করে এসেও অধিকাংশের কাছে এই চিরচেনাটাই রয়ে যায় চির অচেনা, চির অজানা। "আমি কী চাই?" সেটাই হয় না জানা এক জীবনের সবটা পথ পেরিয়ে এসেও!
'পকেট শূন্য থাকলে' কিংবা 'সময় ফুরুলে' মানুষ তখন ভাবতে বসে সেই আপনার আপনজনকে নিয়ে, নিজেকে নিয়ে। বিশ্লেষে বিশ্লেষে ভাঙে নিজের ভাবনাকে, নিজের বিশ্বাসকে-আশ্বাসকে, নিজের শক্তিকে-দুর্বলতাকে।
তখন সে জানবার চেষ্টা করে,
'সে কী চায়? কেন চায়? কী চাইত? পেয়েছে?
কী পেতে পারত সে, কী পেয়েছে, কী কী পায়নি, কেন পায়নি? কেন সে এসেছে এখানে?
ভোগের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কী তার কাজ ছিল? সেটা কী ঠিকঠাক করেছে?
হিসেবের খাতায় পাওনা কী তার কিছু জমেছে? নাকি সবই যে তার দেনায় দেনায় ভরেছে?'
এখনো তার কী করবার আছে?
এসব তখন তার সমস্ত চিন্তাকে খেপলা জালের মতো জড়িয়ে ধরে। সেই চিন্তার জাল থেকে একটা একটা উত্তরের মাছে তার ভরতে থাকে খারাই। জেলের মুখের তৃপ্তির হাসি তখন একটু একটু করে আলোকিত করে তার মুখ। তখনি তার চিন্তারা হয়ে ওঠে কঠিন পদার্থের অণুর মতো আন্তঃআণবিক শক্তিতে বলিয়ান। অজানার কুয়াশা কেটে কেটে জীবন পরিষ্কার হয় তার সামনে।
জীবনের মধু কেবল তখনি মধুর হয়ে ওঠে।
সে মধুর স্বাদ যে একবার পেয়েছে জীবনের যাবতীয় ঝামেলার জট তার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
কে না পেতে চায় এমন মধুর স্বাদ?
১০ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
মাস্টারদা বলেছেন: ইয়াপ্! একদম।।
২| ১০ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন! +
১০ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
মাস্টারদা বলেছেন: ঠকে ঠকে শেখাটাই আসল অর্জন।
৩| ১০ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: খালি পকেটে দুনিয়া টা বেশি সুন্দর লাগে।
এই শহরে খালি পকেটে দিনের পর দিন ঘুরেছি।
১০ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
মাস্টারদা বলেছেন: হ্যাঁ
৪| ১০ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কি হবে ভরা পকেট দিয়ে সুখ নেই।
সুন্দর পোষ্ট মাসারদা।
১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১১
মাস্টারদা বলেছেন: ভালো বলেছেন। আসলেই সুখ নেই। সুখ পুরোটাই মনের ওপর।
৫| ১০ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রেজাউল৯৬ বলেছেন: "আমি কী চাই?" সেটাই হয় না জানা এক জীবনের সবটা পথ পেরিয়ে এসেও!
গুরু ছারা একা একা এ পথে আগানো কঠিন। উহু, মনে হয় অসম্ভব।
১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১০
মাস্টারদা বলেছেন: সবার কিন্তু থাকে না গুরু। গুরুর কে ছিল গুরু?
৬| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৫
জ্যাকেল বলেছেন: গুরু ছাড়া সম্ভব না। তবে বই কিংবা ইন্টারনেটও গুরুর কাজ সমাধা করে দিতে পারে।
আসল কথায় আসি। আপনার পোস্টের জীবন মধু খাইতেই কোটিতে ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত জন মানুষ ব্যস্ত আছেন। আমিও আছি। আপনে আছেন কি-না সেটা পরিস্কার করতে পারেন।
(আমি জীবন মধুর চেয়ে অন্তরাত্মার মধু অধিক স্বাদ পাই)
১১ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
মাস্টারদা বলেছেন: আপনি বলেছেন ঠিকই, অধিকাংশই ছুটেছে ভুলের পেছনে।
একটা বিষয় খেয়াল করেন, কম মিষ্টি আম ব্যাপক মিষ্টি বলে আমওয়ালা বিক্রি করল। আপনি খেয়ে দেখলেন তেমন মিষ্টি না। এখানে দু'জনের কেউ হয়তো মিথ্যে বলে নি। (বিক্রেতারা মিথ্যে বলে, বুঝার সুবিধার্থে ওদিকে যাচ্ছি না) আসল পার্থক্যটা সে হয়তো কম মিষ্টি পছন্দ করে, আর আপনি একটু বেশি। কিন্তু দু'জনেই দু'জনের কথায় ঠিক।
আপনি যাকে কথার গাম্ভীর্যে বাঁধলেন অন্তরাত্মা বলে, আমি সেটাকেই জীবনের মধু বলেছি। আমার চোখে অন্তরাত্মা আর জীবন একে অন্যেকে আছে জড়ায়ে। পার্থক্যটা ভোগে, স্বার্থে। যারা যতটুকু ভোগের পেছনে তাদের জীবন তত কম মিষ্টি।
৭| ১১ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৩
জ্যাকেল বলেছেন: আপনি যাকে কথার গাম্ভীর্যে বাঁধলেন অন্তরাত্মা বলে, আমি সেটাকেই জীবনের মধু বলেছি।
কথার বেশকম হইয়াছে। আমার কাছে মনে হল জীবন মধু মানে ভোগ, অন্তরাত্মার মধু মানে আত্মার সাধনের ফলাফল।
১৪ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:২৬
মাস্টারদা বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: কথার বেশকম হইয়াছে..
হ্যাঁ, লেখক পাঠকের সংযুক্তির ঘাটতিজনিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভরা পকেট আর খালি পকেটের মাঝে তফাত যোজন যোজন