নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই হয়নি মর্মে জানা/ \"জানি জানি\"--তবুও চড়াই গলা/ আমি কত বড় তালকানা!

মাস্টারদা

মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,

মাস্টারদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁকি

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫২



___'কেমন আছো?' লজ্জায়-খুশিতে মাখামাখি হয়ে বললে বৈঠকখানার দরজায় উঁকি দেয়া এক জোড়া চোখ।

___'ভালো। তুমি?' খুশির বিনিময়ে সুন্দর একটা হাসি ছাড়া আর কী হতে পারে!

___'আছি।' বলার ঢঙে অভ‍্যস্ততার প্রকাশ হল। তারপর ঠোঁটের কোণে কৌতুককে বসিয়ে নিয়ে রাজহংস পদে এগুতে এগুতে জিজ্ঞেস করলে, 'তা তোমার এই "ভালো"র মধ‍্যে আবার অন‍্য কিছু নেই তো?'

___'লক্ষ্মী! যে আমওয়ালা ''কম মিঠে আম'' নিজে খেয়ে ''মধুর মতো মিঠে'' বলে বিক্রি করে সে হয়তো মিথ‍্যে বলে না। খুব সম্ভবত সে মিষ্টি কম খায়। অল্প মিষ্টিতে তার গলা কিটোয় আসে।'

____''তার মানে?'' হঠাৎ যেন মেঘের পূর্বাভাস প্রকাশ পেল ঈশান কোণে। উষ্ণ বসন্তের হাওয়ায় হঠাৎ যেন শীত ঝরার শব্দ।

____'কেমন আছো' এর আসল উত্তরটা এখন পুরনো দিনের বাংলা ছায়াছবির বাঁশির করুণ সুরের মতোই শুনতে।'

___'তুমি সব সময় আমাকে ফাঁকি দেও।' চকবাজারের বেণে যেন তার সদ‍্য গড়া উষ্ণ গয়না পানিতে দিলে। শক্ত করবার জন‍্যে। ভালোবাসার উষ্ণতার বিপরীতে শীতল জলের পরশে প্রতিবাদ 'ঝুপ' করে উঠলে। 'অবহেলা করো, হেয়ালিতে তুচ্ছ করো!'

অপমানের বিকৃত আলোয় কেমন যেন ফিকে হয়ে গেল পূজ‍্য প্রতীমা লক্ষ্মীরূপ। আর বাঁধ মানলে না। মুখের আঁচলে হয়তো বানের উচ্ছ্বসিত শব্দকে রুখে দিল কিন্তু রোদন ঊর্মির বেগকে রোধ করে পৃথিবীতে এমন আর কে আছে? তীর বেগে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। একবারও ফিরে চাইলে না আর। চাইলে শুভংকরের সত‍্য-মিথ‍্যের অভিনয়ের ফাঁকটা হয়তো ততক্ষণে ধরা পড়ে যেত। হয়তো ধরা পড়তো না। কিন্তু এই যে অভিমানের জয়টা হলো, ভুলের জয়টা হলো, সে পরাজয়ের বোঝাটা হয়তো দুজনের আর অসমান রইত না।


___এই সময়ে সময়ের প্রয়োজনে শুভংকরের কাছেই আসছিল নিরুদোয়। লক্ষ্মীকে ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে যেতে দেখে ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললে 'হতভাগীকে এভাবে না কাঁদালেও কিন্তু পারতে?'

___ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলে। তারপর নির্বিকারভাবে বললে 'তা হয় না নিরু কা। তা হয় না! রাত পোহালেই আমাকে বেরুতে হবে সাকিনহীন হয়ে। ব‍্যর্থ নিরঞ্জনের নির্জন জীবনে আর নিবেদনের ফুল চড়িয়ে কী লাভ? কী লাভ ঝড়ের মুখে ফুরিয়ে আসা সলতেতে আশার দিয়ে জ্বালিয়ে? ডাক্তারে তো আজ ফিরতি ট্রেনের টিকিট হাতে ধরিয়ে দিল। দু'মাসের ভিসায় আছি আর।'

___'আমি বলি কী, পশ্চিমের ডাক্তার তো অন‍্য কথাও বলতে পারে...?'

শেষ বেলার ক্লান্ত রবি রশ্মি হাসলে যেন ঠোঁটে। 'অনেক তো হলো। শুধু হয়তো সময়টা একটু আগে পিছে হবে। কিন্তু থার্ড স্টেজ নিয়ে তো আর...' শেষ করলে না কথা। শুনশান নিরবতা। অন‍্য মনস্ক হয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললে শুধু। মুখ না তুলেই বললে, 'অসুখের কথা ওকে কিছু বোলো না। পারলে ভুলায়ে রেখো!'

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সকাল সকাল ফাঁকি দিলেন!

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মাস্টারদা বলেছেন: সবই মায়া। সবই ফাঁকি

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মাস্টারদা বলেছেন: দেখলাম। ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লেখাটা ভাল লাগলো।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মাস্টারদা বলেছেন: ♥

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গুড।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৮

মাস্টারদা বলেছেন: থ‍্যাঙ্কস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.