নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টিসুখের উল্লাসে

মোঃ ইয়াসির ইরফান

পৃথিবীর সব রাজনীতিবিদ যদি কবিতা ভালোবাসতেন অথবা সব কবি যদি রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। -জন এফ কেনেডী

মোঃ ইয়াসির ইরফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ম্যানচেস্টার-ডার্বি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮



গার্ডিওলা যখন বার্সালোনার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ফিরে গেলেন, মনে হয়েছিল দু'জনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে । কিন্তু নিয়তির চিন্তা ভাবনা একটু অন্যরকমই ছিল হয়তো । তাই আবার তাদের দেখা হয়ে গেল, সুর পাল্টে আগের গানটি এখন হয়ে গেছে, তুমি যেখানে আমি সেখানে সে কী জান না !

আচ্ছা, রসিকতা থাক । এই ম্যাচ নিয়ে আর যাই হোক, রসিকতার সুযোগ নেই । একই শহরের দুটি ক্লাব, একই সংস্কৃতি, আচার-প্রকৃতির ধারক-বাহক তাঁরা । ম্যানইউ'র আছে বিশাল ঐতিহ্যের বিরাট বহর, আর অন্যদিকে ম্যানসিটির পেট্রোডলার যেন বলছে, 'ঐতিহ্য ? মাই ফুট !'
এখানে কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান ।



ফুটবলে কোচ ডার্বি বলে কোন কথা নেই । তাহলেও মরিনহো-গার্ডিওলা দৈরত্ব্য কে কোচ ডার্বি কি বলা যায় না ? কিভাবে ? মরিনহো যখন বার্সার সহকারী কোচ, গার্ডিওলা তখন বার্সার মিডফিল্ড জেনারেল ।
পরে এই দুজনের যখনই দেখা হয়েছে, তখনই তাঁরা চিরশত্রু । একজন বার্সায় তো অন্যজন রিয়ালে । একজন ম্যানসিটি তো অন্যজন ম্যানইউ ।

দুই শহরের দুই ক্লাবের লড়াইটা আগে থেকেই ছিল মহা উত্তেজণার, ভয়ংকর উত্তাপের । আর আগুন-উত্তাপে ঘি ঢালার মতো, এ বছর দুটি দলে ভিড়েছেন দুই পুরনো প্রতিদ্বন্ধী গার্ডিওলা ও মরিনহো । সাথে ইব্রামোভিচকেও যদি রাখেন, মৌসুমের শুরুর দিকেই এমন একটি ম্যাচ নিঃসন্দেহে মধ্যরাতের ঘোরলাগা স্বপ্ন মনে হবে ।
তবে হ্যাঁ, মধ্যরাতের না হলেও বিকেলের ঘুম-স্বপ্ন মনে হতে পারে । খেলাটা যে হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় !

গার্ডিওলা সংযত ও বিনয়ের অন্য নাম হলে, মরিনহো ঔদ্ধত্য ও ঠোঁটকাটার স্বার্থক উদাহারণ । ইব্রামোভিচও কি কম যান । বার্সা-অধ্যায়ে যে পেপের সাথে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না, তা তো জানা কথা । তাই আত্নজীবনীতে পেপ গার্ডিওলাকে অভিহিত করেছেন 'কাপুরুষ' বলে । অন্যদিকে ম্যানইউতে এসে মরিনহোর জন্য মরতেও রাজী বলে পেপকে যেন আরো একবার কথার বাণে বিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন ।

বরাবরের মতো নম্র-সম্র পেপ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় ভাল করেছেন তা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন আর বাকী জায়গুলোতে উন্নতি আনার চেষ্টা অব্যহত রাখবেন । অন্যদিকে মরিনহো তাঁর রক্ষণাত্নক মানসিকতা নিয়ে বলেছেন "ইউনাইটেড হচ্ছে এমন একটা ক্লাব, যেখানে রক্ষণাত্নক কিছু আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না । এখানে আপনাকে সরাসরি বলতে হবে, আমরা শিরোপা জিততে চাই" ।
ইংগিত স্পষ্ট, ম্যানসিটিকে এতটুকু ছাড় দেয়ার কোন ইচ্ছা তাঁর নেই ।

সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা লড়াইয়ের সুর যেন ছড়িয়ে পড়ছে, ইংল্যান্ডের আকাশে বাতাসে । সেই অদম্য লড়াইয়ের তেজস্বী সুর ইংল্যান্ড ছাড়িয়ে ছড়িয়েছে ইউরোপে, সারা পৃথিবীতে ।
তাই ফুটবল-পিয়াসীদের অদ্ভুত রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত আজ ফুটবল আঙিনা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কোচ হিসেবে গার্দিওলাকে আমার বেশি পছন্দ। মরিনহোকে আমার দেখতেই ইচ্ছা করে না।

কিন্তু আমি ম্যান ইউ এর পাগলা ফ্যান। সো, মরিনহোর সাপোর্টই করা লাগবে।


নিজেরর সাথেই নিজে এক ডার্বিতে পড়ছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: হা হা হা ।
আমিও অবশ্য মরিনহো কম পছন্দ করি, তবে মানুষ হিসেবে । কোচ হিসেবে তাকে একটু শ্রদ্ধাই করি । সত্যিকার একজন টিমম্যান । স্বঘোষিত স্পেশাল ওয়ান হলেও, নিজের উপর তাঁর অসীম আস্থার ব্যাপারটা ভালো লাগে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.