![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব রাজনীতিবিদ যদি কবিতা ভালোবাসতেন অথবা সব কবি যদি রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। -জন এফ কেনেডী
একটি বিজয়ের মহাকাব্য লেখা হবে বলে বিনিদ্র রজনী কেটেছে অফুরান উৎসাহ ও ধৈর্য্য নিয়ে। শীতের সকাল পেরিয়ে মধ্যহ্নের গনগনে সূর্যের আঁচও উপেক্ষিত থেকেছে অপেক্ষার প্রহর গোণায়। মাহেন্দ্রক্ষণের শুভাগমণ কল্পনায় চিত্তে কত পুলক, রোমাঞ্চ আর আবেগের উচ্ছ্বল শিহরণ!
সেজো মামা তখন সদ্য ক্রিকেট বুঝতে শিখেছেন। আমার সাথে সাথে থাকেন। জুমার নামায আদায়ের উদ্দেশ্য বের হয়েছিলেন, জামাতের কাঁটায় কাঁটায়। নিয়মিত যে মসজিদে নামায আদায় করতাম, সে মসজিদ ছেড়ে গিয়েছিলেন অন্য মসজিদে। বলেছিলেন, 'বুঝলি, এখানে তাড়াতাড়ি নামায শেষ হয়ে যায়। তারপর তাড়াতাড়ি গিয়ে খেলা দেখতে পারবো।'
দেখেছিলাম সে খেলা। দেখেছিলাম সে বিজয়। মুলতান-সেন্ট লুসিয়া ছাড়িয়ে আক্ষেপের গল্প থেকে স্বপ্নপূরণের মহা উদ্যান হয়ে আমাদের কাছে ধরা দিয়েছিল, পূণ্যভূমি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম।
মহাকালের অন্দরে ২০০৫ সালটা তখন সবে প্রবেশ করেছে। সেই বর্ষের দশম দিবসের ঠিক মধ্যহ্নের কোন এক শুভক্ষণে, মহোল্লাসে ভেসে যাওয়ার উপলক্ষ জুটে গিয়েছিল আমাদের। তাও আবার সনাতন ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় পা-রাখার কেবলই পঞ্চম বর্ষের মাথায়।
জিম্বাবুয়েকে ২৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছিল ঐতিহাসিক এক বিজয়। হোক না সে জিম্বাবুয়ে ছিল দূর্বল, ভঙ্গুর, ক্ষয়িষ্ণু। তাতে কি! বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম টেস্ট জয়ের মান-মর্যাদয়, শান-শওকতে, দাপট-প্রতাপে একটুও কলঙ্কের প্রলাপ যে লাগেনি।
প্রথম সবকিছুই অন্যরকম, ভিন্ন এক অনুভূতি। আমাদের প্রথম টেস্ট জয়ও তাই আমাদের কাছে ভিন্নতর এক অনুভূতি। কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। কোন কিছুতে তা রঙ হারানোর নয়, বিবর্ণ হওয়ারও নয়।
সময় কেমন তরতরিয়ে এগিয়ে চলে, না? দেখতে দেখতেই কেমন বারোটি বছর কেটে গেল। একযুগ! বাশার-রফিক-এনামুলরা গেলেন। তাদের জায়গায় এলেন নতুনেরা। আসবেনই তো। জয়ও প্রথম পেরিয়ে আটটি এসেছে যে!
একযুগে আটটি জয়? বড্ড বেমানান। বড় সংকীর্ণ।
থাক, এই যুগপূর্তির দিনে নিরানন্দের ওই পরিসংখ্যানের দিকে আর না যাই। বরং সেদিনের মহা আনন্দের মহা উচ্ছ্বাসের স্মৃতিচারণাই না-হয় হোক, এদিন।
কি বলেন?
©somewhere in net ltd.