নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এমজেডএফ

কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী

এমজেডএফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ

১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৪


উপরের ছবির স্থানটি কোনো বিনোদন পার্ক, নার্সারি বা পিকনিক স্পট নয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত-অঞ্চল কসবা উপজেলার কোল্লাপাথর গ্রামের একটি টিলার ওপর সাজানো-গোছানো একটি সমাধিস্থল। এখানে ঘুমিয়ে আছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যারা যুদ্ধ করে নিজেদের জীবনের বিনিময়ে আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। সারিবদ্ধভাবে সাজানো মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সমাধি দেখতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। সমাধিস্থলের চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার উঁচু-নিচু টিলা, নানা প্রজাতির বৃক্ষ, সামাজিক বনায়ন আর সবুজের সমারোহ পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মুক্তিযোদ্ধদের গণকবর কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে! সাপ্তাহিক ও ঈদের ছুটিতে অনেকেই সেখানে গিয়ে শহীদদের গণকবরের ওপরে বসছেন, ছবি তুলছেন। এদের কাছে এটি এখন আড্ডা, বিনোদন ও পিকনিক স্পট। এদের বেহায়াপনায় কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে, বীর শহীদদের অসম্মান করা হচ্ছে। হিজাব-নিকাব পরা কিছু মেয়েও কবরের উপর বসে আড্ডা মারছে, ছবি তুলছে। মুসলমান হিসাবে কবরস্থানের পবিত্রতা সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম জ্ঞানটুকু নেই তারা আবার বোরকা, হিজাব, নিকাব পরে পর্দাশীল ঈমানদার মুসলমান সেজেছে!

কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ


কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাধিস্থল। একটি ছোট টিলার উপরে এই সমাধিস্থল অবস্থিত। কসবা বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা যা মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নম্বর সেক্টরের আওতায় ছিল এবং এর পাশে ভারতের আগরতলা, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থাকার কারণে এ অঞ্চলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম লক্ষে পরিণত হয়েছিল। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারাও জীবনবাজি রেখে এ এলাকাকে হানাদারমুক্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। ফলে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এ এলাকায় বেশি যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। এখানে দুজন বীরবিক্রম, একজন বীরউত্তম, দুজন বীরপ্রতীক সহ মোট ৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রয়েছে। এখানকার প্রতিটি কবরের উপরেই লেখা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাম এবং ঠিকানা। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম এবং তার আত্নীয়রা মিলে তার পৈতৃক ভিটায় মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ সংগ্রহ করে দাফন করেন। ১৯৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা প্রশাসক ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতায় এ স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়াও রেস্ট হাউস, তোড়ণ এবং পুকুরের পাঁকা ঘাট নির্মাণ করা হয়।

এখানে যাঁরা ঘুমিয়ে আছেন, সেই ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা হলেন: সিপাহী দশন আলী, জাকির হোসেন, আবদুল জব্বার, হাবিলদার তৈয়ব আলী, নায়েক আবদুস সাত্তার, সিপাহী আব্বাস আলী, ফারুক আহম্মদ, ফখরুল আলম, মোজাহীদ নূরু মিয়া, নায়েক মোজাম্মেল হক, নায়েক সুবেদার আবদুস ছালাম, নোয়াব আলী, সিপাহী মোসলেম মৃধা, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, আবদুল অদুদ, সিপাহী আজিম উদ্দিন, মতিউর রহমান, মোশারফ হোসেন, নায়েক সুবেদার মইনুল ইসলাম, সিপাহী নূরুল হক, আবদুল কাইয়ুম, সিপাহী হুমায়ুন কবির, ল্যান্স নায়েক আবদুল খালেক, ল্যান্স নায়েক আজিজুর রহমান, তারু মিয়া, নায়েক সুবেদার বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোর্শেদ মিয়া, আশুতোষ রঞ্জন দে, তাজুল ইসলাম, শওকত, আবদুস ছালাম, জাহাঙ্গীর, আমির হোসেন, পরেশচন্দ্র মল্লিক, জামাল উদ্দিন, আবদুল আওয়াল, আবেদ আহাম্মদ, সিরাজুল ইসলাম, ফরিদ মিয়া, মতিউর রহমান, শাকিল মিয়া, আবদুর রশিদ, আনসার এলাহী বক্স, সিপাহী শহীদুল হক, সিপাহী আনোয়ার হোসেন, আবদুল বারী এবং অজ্ঞাত তিনজন। ওই সমাধিস্থলে রয়েছে নায়েক সুবেদার মইনুল ইসলামের কবর। তাঁর নামেই ঢাকা সেনানিবাস এলাকার অতি পরিচিত মইনুল সড়ক নামকরণ করা হয়েছে। এ সমাধিতে ৫০ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ জনের পরিচয় মিলেছে। অন্য তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য প্রয়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুল হাই সাচ্চুর নেতৃত্বে তৎকালীন জেলা প্রশাসন কোল্লাপাথর শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত কবর চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা - এই তিন আমলে সরকারি ভাবে কোল্লাপাথর শহীদদের স্মৃতির তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে সেখানে স্মৃতিসৌধ, মসজিদ, রেস্টহাউস, সীমানাপ্রাচীর ও পুকুরঘাট বানানো হয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি এম তাজুল ইসলামের উদ্যোগে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এই শহীদস্মৃতিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হয়। কোল্লাপাথর থেকে খুব কাছেই ভারতীয় সীমান্ত। দুই দেশের ভ্রাতৃত্ববোধ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে মনে করিয়ে দেয় এই সমাধিস্থল ও পর্যটন কেন্দ্র।

তরুণ প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধ
এটি দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিরাট একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না বা জানার আগ্রহ নেই। যারা জানে তাও খুব অল্প অথবা যা জানে তার মধ্যে বেশিভাগই বিকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এগুলো এদের কাছে আনন্দ-বিনোদনের জন্য শুধুমাত্র ছুটির দিন ছাড়া আর কিছু নয়। এমতাবস্থায় নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে এদেরকে অবহিত করতে অভিভাবক, শিক্ষক ও মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তথ্য ও ছবি সূত্র:
উইকিপিডিয়া, ফেসবুক
বাংলা ট্রিবিউন, জুন ০৯, ২০১৯
প্রথম আলো, ২৯-১২-২০১০

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় এখন সবাই ছবির পিছে ছুটছে! এমনই ছোটা যে মরা বাড়িতে গিয়েও মরার সাথে সেলফি তোলে

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫০

এমজেডএফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, ডিজিটাল যুগের এই সেলফির আগ্রাসন থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। ইচ্ছা থাকলে কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করেও ছবি/সেলফি তোলা যায়। কিছুদিন আগে ঈদের নামাজে নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সবাই তো বিভিন্নভাবে ছবি/সেলফি তুলতেছে, আমার পাশে একজনকে দেখলাম নামাজের নিয়ত বাঁধার পরও এক হাতে মোবাইল দিয়ে নামাজ লাইভ শেয়ার করতেছে। আলহামদুলিল্লাহ!

২| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: এটার দায় শুধু নীতিবোধ দিয়ে হবে না। প্রশাসনের ভূমিকাও আছে।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। একে কোন সন্দেহ নেই। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের বীর।

এই সমাধিস্থান নিশ্চয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তাহলে ঠিকমত এর সম্মান এর প্রতি খেয়াল রাখা হয় না?
কেন জেলা,উপজেলা,থানা ভিত্তিক বিনোদেন কেন্দ্র করা হয় না? কেন ছেলে মেয়েদের খেলার মাঠ রাখা হয় না? যা আছে তা ঈদগাহ হিসেবে, ব্যক্তিগতভাবে দানকৃত, স্কুলের মাঠ হিসেবে। দেশের পরিকল্পনা নাই, থাকলেও তাতে ঘোলা করে সুবিধাভোগীরা নিয়ে নিচ্ছে। যেমন জনৈক জনপ্রতিনিধি রাস্তার টাকা মেরে দিয়েছে অথবা রাস্তাটা জনমানবহীন এলাকায়, নিজের বাড়ির পাশ দিয়ে নিয়েছে।

বিনোদনের জন্য মানুষ নিজ জায়গা থেকে দূরে কোথাও যেতে হচ্ছে।
স্কুলের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক তত্থ্য রয়েছে। জানার কথা, এখন লোক দেখানো শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে তো আংগুল যাবে প্রশাসনের উপরেই। পরীক্ষা পাস করতে হলে এইসব দেশ বিদেশের তথ্য জেনেই পাশ করতে হয়। দেশপ্রেম জাগাতে হবে। আপনি বলছেন তারা জানে না। এটা মিথ্যা। তারা জানে কিন্তু ভুলে গিয়েছে কারণ দেশপ্রেমের অভাব।

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:১২

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে বিনোদনের সবকিছু এখন বড় বড় শহরভিত্তিক। উন্নয়নের ছোঁয়ায় এখন অজ পাড়াগাঁয়ের মানুষের জীবনযাত্রারও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অথচ এদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এরা এভাবে হাতের কাছে বিকল্প বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে। স্কুলের বইয়ের মুক্তিযুদ্ধের তথ্য অনেকে পরীক্ষা পাশের জন্য মুখস্থ করছে, কিন্তু আান্তরিকতার সাথে জানার জন্য অনেকেই পড়ে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ১০০% সঠিক যে কথাটি বলেছেন সেটি হলো "দেশপ্রেমের অভাব!।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫১

আল আমিন সেতু বলেছেন: আমরা মানুষরা এমনই সেলফিপাগল হয়ে গেছি। কবর বা মসজিদকেও বিনোদনকেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছি। বরিশালের গুঠিয়া মসজিদের ও একই বিশ্রী অবস্থা। ছেলে মেয়ে অবাধে নোংরামি করছে, হাহা হিহি করছে, সেলফি তুলছে। অথচ এগুলো যে পবিত্র স্থান তারা থোড়াই কেয়ার করছে না। প্রশাসনের ব্যাপারে আর কী বলব?

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:২৮

এমজেডএফ বলেছেন: আসলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদের এ ধরনের নোংরা কাজকর্মের ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে। প্রথম নীতিজ্ঞানটা পারিবারিক বলয়ে অভিভাবক থেকে শিখবে। এরপরে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের ঈমাম সাহেবেরা মসজিদে নামাজে ছোট অবুঝ বাচ্চারা একটু চেচাঁমেচি করলে চোখ রাঙায়, বাচ্চাদেরকে মসজিদে আনতে নিষেধ করে। কিন্তু এসব টিনএজারদের কোনো কিছু বলতে ভয় পায়!

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ডিজিটাল নামের আনস্মার্ট, বোকাসোকা, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন......

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৪

এমজেডএফ বলেছেন: ভবিষ্যতে এই বোকাসোকা জেনারেশনটাই এই স্বাধীন দেশটার দায়িত্ব নেবে। সুতরাং লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশটাকে গড়ে তোলতে এদেরকে এখনই আমাদের সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই সমাধীস্হলটি আমার বাড়ির কাছাকাছি বললে ভুল হবে না। আমার যাওয়া আসা আছে এই যুগে যা দেখছি তা কিন্তু গত যুগে ছিলনা। এখনকার ছেলে মেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বুঝে না। মৃত্যু লাশের পার্শে দাড়িঁয়ে সেল্ফীর ঢং দেখা লাগছে এখন।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

এমজেডএফ বলেছেন: এখন সবার হাতে স্মার্টফোন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিযোগীতা - তাই সব জায়গায় সেলফি। এরা সত্যিকারভাবে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য না বুঝলে শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি এদের শ্রদ্ধা আসবে না।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সেখানের দায়িত্বরত মানুষ গুলো কি অন্ধ নাকি?? নাকি টাকার কাছে শহীদের মর্যাদা হেরে গেলো? আর এরাই বা কেমন তরুণ প্রজন্ম,যাদের বোধ-জ্ঞান বলতেই নেই,সমাধির উপর বসে ছবি তোলা গাধা-বলদদের কাজ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

এমজেডএফ বলেছেন: এই তরুণ প্রজন্মকে বুঝাতে হবে যে এরা যা করছে তা কবরস্থান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননা। সেইসাথে দায়িত্বরত ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রশাসনকে এগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শেষ পর্যন্ত গোরস্তানে গিয়েও প্রেম ভালো বাসা করতে হবে?
নতুন প্রজন্ম এই সব কি করছে?
তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর দরকার ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

এমজেডএফ বলেছেন: সঠিক পথ দেখানোর শিক্ষাটা এদেরকে প্রথমে পরিবার থেকে দিতে হবে, এরপরে আসবে সবার সামাজিক দায়িত্ব।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাক্যহারা হয়ে গেলাম।
প্রতিটি স্কুলে বাধ্যগত ভাবে শেখানো উচিত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। যাদের কারণে আজ এই স্বাধীন দেশের নাগরিক। হৃদয়ে কেন তাদের কথা সবাই ধারন করবে না।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১১

এমজেডএফ বলেছেন: স্কুলের লেখাপড়ার একমাত্র উদ্দেশ্য এখন পরীক্ষা পাস আর জিপিএ ৫, তাই ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনে এর কোনো প্রতিফলন নেই। ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে শেখাতে হবে যাতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এদের হৃদয় থেকেই শ্রদ্ধা আসে।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ গুলো আইন মানতে নারাজ।
তারা আইন না মানাকেই বাহাদূরি মনে করে।
আইনের প্রয়োগ নেই আমাদের দেশে।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

এমজেডএফ বলেছেন: মূল সমস্যাটা হলো সেটাই: আইনের প্রয়োগ নেই, আর যদি প্রয়োগ থাকে মানতে নারাজ, আর যদি না মানি সেটা হলো বাহাদুরি। দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করার সময় লক্ষ্য করেছি, দেশের যে লোকটা বিদেশের বিমানবন্দরে লাইন ধরে শৃঙ্খলার সাথে বোডিং কার্ড নিয়েছে, ইমিগ্রেশন চেক পার হয়েছে, বিমানে উঠেছে সে লোকটাই ঢাকা বিমান বন্দরে নামার পর সব কিছুতেই লাইন ভঙ্গ করে কিভাবে আগে যাবে সে চেষ্টা করছে! কারণ তার ধারণা এখানে আইনের প্রয়োগ নেই, লাইন ভঙ্গ করে যত আগে যাওয়া যায় ততই বাহাদুরি, আর আইন মেনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বোকামী।

১০| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশটাকে নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী হতে চাই, কিন্তু পারি না। কেন জানেন? বর্তমান প্রজন্মের যারা মাথা, দেশের হর্তা-কর্তা-বিধাতা, তারা দেশটাকে তো ধ্বংস করছেই, সেই সাথে ভবিষ্যত প্রজন্মকেও নষ্ট করে দিচ্ছে। এই প্রজন্ম যখন নেতৃত্ব গ্রহন করবে তখন এদের কাছ থেকে আপনি কি পাবেন?

সব সমস্যার সমাধান গোড়ায়। আগায় পানি ঢেলে সাময়িক মুক্তি হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।

১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

এমজেডএফ বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে দলীয়করন বা বিকৃত করে পদ-হালুয়া-রুটির লোভ ও ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে এই তরুণ প্রজন্মকে দলে টানার চেষ্টা করে। এরা চায় তরুণ প্রজন্ম নেতাকে পুজা করুক, বড় ভাইদের তাঁবেদারি করুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সত্যিকারের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে ভালবেসে এই তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্বে এগিয়ে আসুক এটা এ দেশের রাজনীতিবিদরা চায় না।

১১| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: আপনার শেষ স্তবকটিতেই রয়েছে সমাধান । কিন্ত মা বাবা বা অভিভাবকরাও এখন ব্যাস্ত সেলফি তুলতে আর রাজনীবিদরা ব্যাস্ত টুইটে ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

এমজেডএফ বলেছেন: সেলফি আমাদেরকে দিনদিন সেলফিশে পরিণত করছে, আর টুইট রাজনীতিবিদদের টাউট বানাচ্ছে।

১২| ১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সচেতনতার অভাব । ওটা গড়ে তুলতে হয়। দেশপ্রেম স্বতনস্ফূর্ত একটা ব্যাপার....আমরা যেন সবাই দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠি ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪২

এমজেডএফ বলেছেন: দেশপ্রেম, সচেতনা এগুলো এগুলো শুধু আইন করে মানুষের মধ্যে জাগানো সম্ভব নয়। এগুলো গড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা, ইতিহাস শিক্ষা, সামাজিক আচার-আচরণ এবং রুচিবোধ।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন কষ্টে ভরে যায়
মানুষের মনে ভয় ডর কিছু নাই

রিস্কা গাড়ি কবরস্থান মড়াবাড়ি সব জায়গায় মানুষ সেলফি তুলতেই ব্যস্ত :( আফসোস

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমি ক্লাস ৭ এ থাকা অবস্থায় গিয়েছি কসবা উপজেলা অফিসার্স কোয়াটার থেকে, সময় ১৯৯০। এত সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশে আর আছে কিনা আমার জানা নেই। একদম পিনপতন নিরবতা চারদিকে। পুরো দিন টা ই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ব বিষয়ক আলোচনা, মিলাদ, দোয়া বিষয়ক। আমরা স্মৃতিসৌধ এর বাহির থেকে ছবি ও নিয়েছিলাম। আসাধারণ একটা দিন ছিল, আজও আমার স্পষ্ট মনে পড়ে সেই কোল্লাপাথর।

তখনকার সময়ে মানুষ এত বেয়াদপ ছিল ন..... তবে কি মিড়িয়া আমাদেরকে মানুষ থেকে বেহায়া / বেস্যায় রুপান্তর করছে ?

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৬

এমজেডএফ বলেছেন: আমি কখনোও যায়নি, ভাবছি এবার সময় পেলে একবার ঘুরে আসবো। যদি এসব বেহায়াপনা দেখি তবে সমাধিস্থলের কেয়ারটেকার ও স্থানীয় প্রশাসনের (উপজেলা ও ইউনিয়ন) সাথে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আলাপ করবো। মিডিয়া থেকে তরুণ প্রজন্ম খারাপগুলো শিখছে, ভালোগুলো শিখছে না।

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রশ্ন ফাসের জেনারেশানদের কাছে আপনি কি আশা করেন? কিছুদিন আগে ডেডবডি কবর দেয়ার আগে দেখলাম ডেডবডির সাথে সেলফি তুলছে। সেই তুলনায় এটা তো কিছুই না!! মাত্র প্রেম ভালোবাসা করছে। সারাদিন দেশে টিভি চ্যানেলে নাটকের নামে সিনেমার নামে যা দেখায় সেটার প্রাক্টিক্যাল প্রাক্টিস করছে! পারলে আগে সেইগুলি বন্ধ করেন যেখান থেকে এত সুন্দর নৈতিকতা শিখছে এরা!!!

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪১

এমজেডএফ বলেছেন: তরুণ প্রজন্ম একটু বেশীমাত্রায় ইমোশনাল হয়। তারা আসলে বুঝে না যে বাস্তব জীবন আর নাটক-সিরিয়াল এক নয়। নাটক-সিনেমার বিনোদনের গল্পের সাথে বাস্তবের অনেক অমিল। এদেরকে শিখাতে হবে, বুঝাতে হবে। জোরাজুরি করলে ফলাফল আরো খারাপ হবে।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আতকে উঠলাম ছবিগুলো দেখে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে এই জায়গাটার সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন?

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৩

এমজেডএফ বলেছেন: সংরক্ষনের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু পোলাপাইনরা কারো কথা শুনে না। কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর হতে হবে।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: এমজেডএফ ,




আপনার এই লেখা আর অনেকেরই মন্তব্য পড়ে একটা কথাই বলতে হয় - পৃথিবীর নিকৃষ্টতম মানসিকতার একটা জাতি আমরা!
একটি সমাধি বা কবরের বুকে বসে থেকে আড্ডা দেয়াকে যে প্রজন্ম বিনোদন মনে করে, একজন মৃতের প্রতি যে প্রজন্মের মনে সামান্যতম শ্রদ্ধা বা সম্ভ্রমবোধটুকু পর্যন্ত অনুপস্থিত, তাহলে বুঝতেই হবে এ জাতির আয়ুষ্কাল আর বেশী বাকী নেই। ধংসের তলানীতে এসে ঠেকেছে সে জাতির ভাগ্য।
আর এতো, এই মুক্ত বাতাসে শ্বাস টেনে নেয়ার অধিকার যারা রক্তের বিনিময়ে তাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন তাঁদেরই সমাধি!

ধিক ঐসব নরাধমদের!!!!!!!!!!!

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৭

এমজেডএফ বলেছেন: এসব ব্যাপারে শুধু দেখে সমালোচনা করলে হবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন, মিডিয়া, আশাপাশের মানুষ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমরাও অসচেতন, কর্তৃপক্ষও উদাসীন। সমাধিক্ষেত্রের প্রবেশ পথে ও ভেতরে কয়েকটা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিলেই হয়। তারপরও যারা ত্যারামি করবে, ওদের ফাইন হবে। বাঙালীদের টাইট দেয়া কোন ব্যাপার?

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৯

এমজেডএফ বলেছেন: এখন আর অসচেতন ও উদাসীন থাকার সময় নাই। তরুণ প্রজন্মকে বুঝাতে হবে, এতে কাজ না হলে টাইট দিতে হবে।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: রসুলুল্লাহ (স) মুসলমানদেরকে কবরের উপর বসতে নিষেধ করেছেন ।

২০| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

নীলপরি বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা ।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ যে কবরের উপরে এই ভাবে বসতে পারে? ধারনা ছিল না।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।

২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমরা আসলে চরম পর্যায়ের নাফরমান।
নিয়ম মানতে নারাজ , সচেতনতায় উদাসীন।

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২

শের শায়রী বলেছেন: কসবা, সালদা কর্ম উপলক্ষ্যে কয়েক মাস কাটাতে হয়েছে, প্রায় প্রতিদিন হাটতে হাটতে ওখানে গিয়ে বসে থাকতাম। প্রশান্তিময় জায়গা। কিন্তু আফসুস খুব সামান্য মানুষ এর খবর রাখে। আমাদের উদাসীনতা আমাদের গৌরব কে হারিয়ে ফেলছি।

পোষ্টে ভালো লাগা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৫৪

এমজেডএফ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.