নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মফিজের ডাক বিলাস !

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৫


রাত প্রায় শেষ। ভোরের শীতল বাতাস জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকছে। সারারাত ধরে ফাইল আর হিসাবের অঙ্ক কষতে কষতে মফিজের মাথা গরম, পেট একদম খালি। খালি পেটে কি আর শান্তি থাকে? মফিজের তো আবার সংসার নেই যে কেউ রান্না করে দেবে। আর ক্ষুধা তো কোনো রাজনীতি কিংবা অর্থনীতি কিছুই মানে না। হুট করে মফিজ তার মোটরবাইকটা চালু করল। গন্তব্য ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট। এই সময়ে নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংসের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে থাকে। দোকানগুলো তখনও খোলা। লোকজন ছোট ছোট বেঞ্চে বসে ভাত আর হাঁসের মাংস খাচ্ছে। মফিজও একটি দোকানে বসে অর্ডার দিল, “ভাই, এক প্লেট হাঁসের মাংস দেন।”

গরম ভাত আর হাসের মাংসের অর্ডার দিয়ে দোকানে বসার পর মফিজের মনে পড়ল তার ছাত্রজীবনের কথা। তখন তার এই বিলাসিতা ছিল না। ভোরে লাইব্রেরি থেকে ফিরে হলের ডাইনিংয়ে খাবার জুটতো না। বন্ধুরা মিলে এক প্লেট ভাত, এক পিস আলু আর ডাল দিয়েই খেয়ে উঠত। আজ এই ভোররাতে হাঁসের মাংস মুখে দিতেই তার বুক ভরে গেল। মনে হলো, জীবনের সব পরিশ্রম যেন সার্থক। কিন্তু নীলা মার্কেটের একটা নিয়ম আছে, বেশি ভোর হলে দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তাই বেশিক্ষণ খেতে পারল না মফিজ। দোকানদার হাঁক দিল, “সব শেষ, দোকান বন্ধ!” মফিজ হেলমেট পরল, আবার বাইক চালু করল। তার ক্ষুধা তখন নতুন ঠিকানা খুঁজছে। এবার তার গন্তব্য ওয়েস্টিন।

ওয়েস্টিনের ব্রেকফাস্ট বুফেতে পৌঁছে সে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। সেখানে নানা রকম খাবার সাজানো আছে: ক্রোয়াসোঁ , মাখন দেওয়া পাউরুটি, রোস্টেড সসেজ, আর হাঁসের বুকের মাংস। সবকিছু যেন তার অপেক্ষায় ছিল। চোখ বন্ধ করে মুফিজ মনে মনে বিড়বিড় করল, “হে আল্লাহ, আগে আমি হলে এক প্লেট ভাত, এক পিস আলু আর ডাল দিয়েই খেয়ে উঠতাম। আজ তুমি আমাকে নীলা মার্কেটের হাঁস থেকে ওয়েস্টিনের বুফে পর্যন্ত এনেছো। এ যে তোমার অনেক বড় দয়া।”

টেবিলে বসে মফিজ এক কাপ কফি খেল। বাইরের আলো তখন পুরো ভোরের। তার মনে হলো রাতভর পরিশ্রমের সব কষ্ট আজ ভোরের হাঁসের মাংস আর বুফের খাবারেই মিলিয়ে গেছে। এভাবেই মফিজের রাতভর ক্ষুধার যুদ্ধ শেষ হলো নীলা মার্কেট থেকে ওয়েস্টিন গিয়ে । এক প্লেট হাঁসের মাংস, একটা ক্রোয়াসোঁ এই ভোজনযাত্রাতেই তার জীবনের ছোট ছোট সব ক্ষুধা মিটে গেল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: একই অংজ্ঞে এতো রূপ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটাই ভালো। চাপ কম থাকে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: উপহাস করা ভালো নয় ভাইডি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব কিছু হাসময় ।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ............. মফিজের যায়গায় আসিফ লিখতে পারতেন।

অবশ্য তাহলে লেখাটা রঙ পেত না।
এটাই ভালো।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আসিফ নামে আমি কাউকে চিনি না।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় , পুর্ণিমার চাঁ যেন ঝলশানো রুটি” - কবি সুকান্ত একশত বছর আগে লিথে গেছেন....

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাছা কইছুইন ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২

প্রামানিক বলেছেন: দুগ্গা হাঁসের মাংস খায়া বেচারা যে কি বিপদে পরছে হেইডা আর নাইবা কইলাম।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাছা কইছুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.