নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এমজেডএফ

কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী

এমজেডএফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালি পাঠককে গত অর্ধশতাব্দী সময়কাল মুগ্ধ করে রেখেছিলেন তার সৃষ্ট কবিতা, উপন্যাস ও গল্পের যাদুতে । তিনি অসামান্য কবি, অতুলনীয় গদ্য লেখক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। আজ তাঁর ৮৫তম জন্মদিন। একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সাংবাদিক ও নিবন্ধকার এই জনপ্রিয় সাহিত্যিকের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুরের তৎকালীন মাদারীপুর (বর্তমানে জেলা) মহাকুমায়। বাংলা কথাসাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে কলকাতায় নিজ বাসায় আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্বনামে ও নানা ছদ্মনামে লেখনীর জাদুশক্তি দিয়ে এপার-ওপার বাংলার সাহিত্যপ্রেমীদের গল্প, কবিতা, উপন্যাসের মোহজালে আবৃষ্ট করে রেখেছিলেন। বহুমাত্রিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন যেমন একজন অসাধারণ লেখক, ছিলেন দয়ালু এবং সেইসাথে উষ্ণ হৃদয়ের একজন প্রাণবন্ত আড্ডাবাজ মানুষ। ‘আত্মপ্রকাশ’ উপন্যাস লিখে বাংলা সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ দুশোরও বেশি বই লিখেছিলেন৷ কবিতা ছিল তাঁর প্রথম প্রেম৷ কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সম্পাদক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালির মননে তাঁর কবিতা, গল্প, উপন্যাস দিয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন৷ প্রিয় লেখকের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। সেইসাথে লেখকের শ্রেষ্ট কিছু কবিতা ও উপন্যাসের পিডিএফ ভার্সন এখানে তুলে ধরলাম।

(লেখকের জীবনীর বহিঃসংযোগ: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী)

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় কবিতাসমূহ:

যদি নির্বাসন দাও

যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো
                       আমি বিষপান করে মরে যাবো!
বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ
                       নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ
                       প্রান্তরে দিগন্ত নিনির্মেষ
                       এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো
                              আমি বিষপান করে মরে যাবো।

ধানক্ষেতে চাপ চাপ রক্ত
                    এইখানে ঝরেছিল মানুষের ঘাম
এখনো স্নানের আগে কেউ কেউ করে থাকে নদীকে প্রণাম
এখনো নদীর বুকে
             মোচার খোলায় ঘোরে

                    লুঠেরা, ফেরারী!
শহরে বন্দরে এত অগ্নি বৃষ্টি
                    বৃষ্টিতে চিক্কণ তবু এক একটি অপরূপ ভোর
বাজারে ক্রুরতা, গ্রামে রণহিংসা
                    বাতাবি লেবুর গাছে জোনাকির ঝিকমিক খেলা
বিশাল প্রাসাদে বসে কাপুরুষতার মেলা
                              বুলেট ও বিস্ফোরণ
                              শঠ তঞ্চকের এত ছদ্মবেশ
                              রাত্রির শিশিরে কাঁপে ঘাস ফুল-
            এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি
যদি নির্বাসন দাও আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো
                 আমি বিষপান করে মরে যাবো।

কুয়াশার মধ্যে এক শিশু যায় ভোরের ইস্কুলে
নিথর দিঘির পাড়ে বসে আছে বক
আমি কি ভুলেছি সব
                    স্মৃতি, তুমি এত প্রতারক?
আমি কি দেখিনি কোনো মন্থর বিকেলে
                    শিমুল তুলোর ওড়াউড়ি?
মোষের ঘাড়ের মত পরিশ্রমী মানুষের পাশে
                    শিউলি ফুলের মত বালিকার হাসি
নিইনি কি খেজুর রসের ঘ্রাণ
শুনিনি কি দুপুরে চিলের
                        তীক্ষ স্বর?
বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ…
                        এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি
যদি নির্বাসন দাও আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোঁয়াবো
                        আমি বিষপান করে মরে যাবো।

কেউ কথা রাখেনি

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
                      শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী 
                                                    আর এলোনা
                      পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
                      তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
                      সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর 
                                                                  খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো?  
আমার মাথা এ ঘরের ছাদ 
               ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় 
                                 তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
                                     ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
                      কত রকম আমোদে হেসেছে
                      আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
                                        আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
                      সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
                                         এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!


মন ভালো নেই

মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোনো প্রিয় স্বাদ
এমনকি নারী এমনকি নারী এমনকি নারী
এমনকি সুরা এমনকি ভাষা
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে
একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল
আমার কী আছে অথবা কী ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায় ..

শুধু কবিতার জন্য

শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতার
জন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলা
ভুবন পেরিয়ে আসা, শুধু কবিতার জন্য
অপলক মুখশ্রীর শান্তি একঝলক;
শুধু কবিতার জন্য তুমি নারী, শুধু
কবিতার জন্য এতো রক্তপাত, মেঘে গাঙ্গেয় প্রপাত
শুধু কবিতার জন্য, আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে লোভ হয়।
মানুষের মতো ক্ষোভময় বেঁচে থাকা, শুধু
কবিতার জন্য আমি অমরত্ব তাচ্ছিল্য করেছি।

উত্তরাধিকার

নবীন কিশোর, তোমায় দিলাম ভূবনডাঙার মেঘলা আকাশ
তোমাকে দিলাম বোতামবিহীন ছেঁড়া শার্ট আর
ফুসফুস-ভরা হাসি
দুপুর রৌদ্রে পায়ে পায়ে ঘোরা, রাত্রির মাঠে চিৎ হ’য়ে শুয়ে থাকা
এসব এখন তোমারই, তোমার হাত ভ’রে নাও আমার অবেলা
আমার দুঃখবিহীন দুঃখ ক্রোধ শিহরণ
নবীন কিশোর, তোমাকে দিলাম আমার যা-কিছু ছুল আভরণ
জ্বলন্ত বুকে কফির চুমুক, সিগারেট চুরি, জানালার পাশে
বালিকার প্রতি বারবার ভুল
পরুষ বাক্য, কবিতার কাছে হাঁটু মুড়ে বসা, ছুরির ঝলক
অভিমানে মানুষ কিংবা মানুষের মত আর যা-কিছুর
বুক চিরে দেখা
আত্মহনন, শহরের পিঠ তোলপাড় করা অহংকারের দ্রুত পদপাত
একখানা নদী, দু’তিনটে দেশ, কয়েকটি নারী —
এ-সবই আমার পুরোনো পোষাক, বড় প্রিয় ছিল, এখন শরীরে
আঁট হয়ে বসে, মানায় না আর
তোমাকে দিলাম, নবীন কিশোর, ইচ্ছে হয় তো অঙ্গে জড়াও
অথবা ঘৃণায় দূরে ফেলে দাও, যা খুশি তোমার
তোমাকে আমার তোমার বয়সী সব কিছু দিতে বড় সাধ হয়।

হঠাৎ নীরার জন্য

বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল
                                    স্বপ্নে বহুক্ষণ
দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–
বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে
তোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নের
নীল দুঃসময়ে।

দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে গিয়েছিলে কবে, কার সঙ্গে? তুমি
আজই কি ফিরেছো?
স্বপ্নের সমুদ্র সে কী ভয়ংকর, ঢেউহীন, শব্দহীন, যেন
তিনদিন পরেই আত্মঘাতী হবে, হারানো আঙটির মতো দূরে
তোমার দিগন্ত, দুই উরু ডুবে কোনো জুয়াড়ির সঙ্গিনীর মতো,
অথচ একলা ছিলে, ঘোরতর স্বপ্নের ভিতরে তুমি একা।

এক বছর ঘুমোবো না, স্বপ্নে দেখে কপালের ঘাম
ভোরে মুছে নিতে বড় মূর্খের মতন মনে হয়
বরং বিস্মৃতি ভালো, পোশাকের মধ্যে ঢেকে রাখা
নগ্ন শরীরের মতো লজ্জাহীন, আমি
এক বছর ঘুমোবো না, এক বছর স্বপ্নহীন জেগে
বাহান্ন তীর্থের মতো তোমার ও-শরীর ভ্রমণে
পুণ্যবান হবো।

বাসের জানালার পাশে তোমার সহাস্য মুখ, ‘আজ যাই,
                                   বাড়িতে আসবেন!’

রৌদ্রের চিৎকারে সব শব্দ ডুবে গেল।
‘একটু দাঁড়াও’, কিংবা ‘চলো লাইব্রেরির মাঠে’, বুকের ভিতরে
কেউ এই কথা বলেছিল, আমি মনে পড়া চোখে
সহসা হাতঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠেছি, রাস্তা, বাস, ট্রাম, রিকশা, লোকজন
ডিগবাজির মতো পার হয়ে, যেন ওরাং উটাং, চার হাত-পায়ে ছুটে
পৌঁছে গেছি আফিসের লিফ্‌টের দরজায়।

বাস স্টপে তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ।।

না পাঠানো চিঠি

মা,
তুমি কেমন আছ?আমার পোষা বেড়াল খুনচু সে কেমন আছে?সে রাত্তিরে কার পাশে শোয়?দুপুরে যেন আলি সাহেবদের বাগানে না যায়।মা, ঝিঙে মাচায় ফুল এসেছে?তুলিকে আমার ডুরে শাড়িটা পর়তে বোলো।আঁচলের ফেঁসোটা যেন সেলাই করে নেয়।তুলিকে কত মেরেছি! আর কোনদিন মারবো না।আমি ভালো আছি। আমার জন্য চিন্তা কোরো নামা, তোমাদের ঘরের চালে নতুন খর দিয়েছো?এবারে বৃষ্টি হয়েছে খুবতরফদার বাবুদের পুকুরটা কি ভেসে গেছে?কালু-ভুলুরা মাছ পেয়েছে কিছু?একবার মেঘের ডাক শুনে কৈ মাছ উঠে এসেছিল ডাঙায়আমি আম গাছ তলায় দুটো কৈ মাছ ধরেছিলামতোমার মনে আছে, মা?মনে আছে আলি সাহেবের বাগানের সেই নারকোল?চুরি করে আনিনি,মাটিতে পড়েছিল, কেউ দেখেনিনারকোল বড়ার সে স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে।আলি সাহেবের ভাই মিজান আমাকে খুব আদর করতো।বাবা একদিন দেখতে পেয়ে চেলা কাঠ দিয়ে পিটিয়েছিলআমাকে। আমার কি দোষ,কেউ আদর করলে আমি না বলতে পারি?আমার পিঠে এখনো সে দাগ আছে।আলি সাহেবদের বাগানে আর কোনদিন যাইনি।আমি আর কোনো বাগানেই যাই নাসেই দাগটায় হাত বুলিয়ে বাবার কথা মনে পড়ে।বাবার জন্য আমার খুব কষ্ট হয়আমি ভালো আছি, খুব ভালো আছিবাবা যেনো আমার জন্য একটুও না ভাবে।তুলি কি এখনো ভুতের ভয় পায়, মা?তুলি আর আমি পুকুর ধারে কলা বউ দেখেছিলামসেই থেকে তুলির ফিটের ব্যারাম শুরু হলোদাদা সেই কলা গাছটা কেটে ফেললোআমি কিন্তু ভয় পাই নি, তুলি কে কত ক্ষেপিয়েছিআমার আবার মাঝরাত্রে সেই কলা বউ দেখতে ইচ্ছে করে।হ্যাঁ, ভালো কথা, দাদা কোনো কাজ পেয়েছে?নকুলবাবু যে বলেছিল, বহরমপুরে নিয়ে যাবেদাদাকে বোলো আমি ওর উপরে রাগ করিনিরাগ পুষে রাখলে মানুষের বড় কষ্টআমার শরীরে আর রাগ নেই,আমি আর এক ফোঁটাও কাঁদি নামা, আমি রোজ দোকানের খাবার খাইহোটেল থেকে দু'বেলা আমার খাবার এনে দেয়মাংস মুখে দিই আর তুলির কথা,কালু-ভুলুর কথা মনে পড়েতোমাদের গ্রামে পটল পাওয়া যায় নাআমি আলু পটলের তরকারি খাই,পটল ভাজাও খাইহোটেলে কিন্তু কখনো শাক রান্না হয় নাপুকুর পাড় থেকে তুলি আর আমি তুলে আনতাম কলমি শাককী ভালো, কী ভালো, বিনা পয়সায়কোনোদিন আর কলমি শাক আমার ভাগ্যে জুটবে না|জোর হাওয়া দিলে তাল গাছের পাতা শরশর করেঠিক বৃষ্টির মত শব্দ হয়।এই ভাদ্দর মাসে তাল পাকে ডিব ডিব করে তাল পড়ে।বাড়ির তাল গাছ দুটো আছে তো?কালু তালের বড়া বড় ভালবাসে, একদিন বানিয়ে দিওতেলের খুব দাম জানি,তবু একদিন দিওআমাকে বিক্রি করে দিয়ে ছ' হাজার টাকা পেয়েছিলেতা দিয়ে একটা গরু কেনা হয়েছে তো?সেই গরুটা ভালো দুধ দেয়?আমার মতন মেয়ের চেয়ে গরুও অনেক ভালোগরুর দুধ বিক্রি করে সংসারের সুসার হয়গরুর বাছুর হয়, তাতেও কত আনন্দ হয়বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলে কত জ্বালাদু'বেলা ভাত দাও রে, শাড়ি দাও রে,বিয়ের জোগাড় করো রেহাবলু, মিজান, শ্রীধর দের থাবা থেকে মেয়েকে বাঁচাও রে।আমি কি বুঝি না? সব বুঝিকেন আমায় বিক্রি করে দিলে তাও তো বুঝিসে জন্যই তো আমার কোনো রাগ নেই, অভিমান নেই।আমি তো ভালোই আছি, খেয়ে পরে আছি।তোমরা ওই টাকায় বাড়ি ঘর সারিয়ে নিও ঠিকঠাক।কালু-ভুলুকে ইস্কুলে পাঠিওতুলিকে ব্রজেন ডাক্তারের ওষুধ খাইয়ো।তুমি একটা শাড়ি কিনো, বাবার জন্য একটা ধুতিদাদার একটা ঘড়ির সখ, তা কি ও টাকায় কুলোবে?আমি কিছু টাকা জমিয়েছি, সোনার দুল গড়িয়েছি।একদিন কি হলো জানো মা?আকাশে খুব মেঘ জমে ছিল,দিনের বেলায় ঘুরঘুট্টি অন্ধকার।মনটা হঠাৎ কেমন কেমন করে উঠলো|দুপুরবেলা চুপি চুপি বের়িয়ে ট্রেনে চেপে বসলামস্টেশনে নেমে দেখি একটা মাত্র সাইকেল রিক্শাখুব ইচ্ছে হলো,একবার বাড়িটা দেখে আসি।রথতলার মোড়ে আসতেই কারা যেন চেঁচিয়ে উঠলো-কে যায়? কে যায়?দেখি যে হাবুল-শ্রীধরদের সঙ্গে তাস খেলছে দাদাআমাকে বললো, হারামজাদী, কেন ফিরে এসেছিস?আমি ভয় পেয়ে বললাম,ফিরে আসিনি গো, থাকতেও আসিনিএকবার শুধু দেখতে এসেছিহাবুল বলল, এটা একটা বেবুশ্যে মাগীকী করে জানলো বলো তো,তা কি আমার গায়ে লেখা আছে?আর একটা ছেলে, চিনি না,বললো, ছি ছি ছি, গাঁয়ের বদনামহাবুল রিকশাওয়ালা কে চোখ রাঙিয়ে বললো, ফিরে যাআমি বললাম, দাদা, আমি মায়ের জন্য ক’টা টাকা এনেছিআর তুলির জন্য...দাদা টেনে একটা চড় কষালো আমার গালেআমাকে বিক্রির টাকা হকের টাকাআর আমার রোজগারের টাকা নোংরা টাকাদাদা সেই পাপের টাকা ছোঁবে না, ছিনিয়ে নিল শ্রীধরআমাকে ওরা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল।আমি তবু দাদার ওপর রাগ করিনিদাদা তো ঠিকই করেছে,আমি তো আর দাদার বোন নই,তোমার মেয়ে নই, তুলির দিদি নইআমার টাকা নিলে তোমাদের সংসারের অকল্যাণ হবেনা, না আমি চাই তোমরা সবাই ভালো থাকোগরুটা ভালো থাকুক, তালগাছ দুটো ভালো থাকুকপুকুরে মাছ হোক, ক্ষেতে ধান হোক,ঝিঙে মাচায় ফুল ফুটুকআর কোনোদিন ঐ গ্রাম অপবিত্র করতে যাবো নাআমি খাট-বিছানায় শুই, নীল রঙের মশারি,দোরগোড়ায় পাপোশ আছে, দেওয়ালে মা দুর্গার ছবিআলমারি ভর্তি কাচের গেলাশবনবন করে পাখা ঘোরে। সাবান মেখে রোজ চান করিএখানকার কুকুরগুলো সারা রাত ঘেউ ঘেউ করেতাহলেই বুঝছো, কেমন আরামে আছি আমি?আমি আর তোমার মেয়ে নই, তবু তুমি আমার মাতোমার আরও ছেলেমেয়ে আছে,আমি আর মা পাবো কোথায়?সেইজন্যই তোমাকে চিঠি লিখছি, মাতোমার কাছে একটা খুব অনুরোধ আছেতুলিকে একটু যত্ন করো, ও বেচারি বড় দুর্বলযতই অভাব হোক, তবু তুলিকে তোমরা...তোমার পায়ে পড়ি মা, তুমি বাবাকে বুঝিয়ে বলো,তুলিকেও যেন আমার মতন আরামের জীবনে না পাঠায়যেমন করে হোক, তুলির একটা বিয়ে দিওওর একটা নিজস্ব ঘর সংসার, একজন নিজের মানুষ।আর যদি কোনোরকমই ওর বিয়ে দিতে না পারো?ওকে বলো গলায় দড়ি দিয়ে মরতেমরলে ও বেঁচে যাবে!না,না,না,এ কী অলক্ষুণে কথা বলছি আমিতুলি বেঁচে থাকুক,আর সবাই বেঁচে থাকুকতুলির বিয়ে যদি না হয় হোকহে ভগবান,গরিবের বাড়ির মেয়ে কি বিয়ে না হলে বাঁচতে পারে না?বিয়ে না হলেই তাকে গ্রামের সবাই ঠোকরাবে?দু'পায়ে জোর হলে তুলি কোথাও চলে যাকমাঠ পেরিয়ে, জলা পেরিয়ে,জঙ্গল পেরিয়েআরও দূরে,আরও দূরে,যেদিকে দু'চোখ যায়এমন জায়গা নিশ্চয়ই কোথাও আছে,কোথাও না কোথাও আছেযেখানে মানুষরা সবাই মানুষের মতনআঁচড়ে দেয় না,কামড়ে দেয় না,গায়ে ছ্যাঁকা দেয় না,লাথি মারে নাযেখানে একটা মেয়ে,শুধু মেয়ে নয়,মানুষের মত বাঁচতে পারেমা,তুমি আমার মা,আমি হারিয়ে গেছিতুলিকে তুমি...তুলি যেন...আমার মতন না হয়!



সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য কিছু পংক্তি/উক্তি:

“অন্ধকার শশ্বানে ভীরু ভয় পায়
সাধক সেখানে সিদ্ধি লাভ করে।”

“আত্মগোপন করতে গিয়ে কিছুদিন পর অনেকে আত্মপরিচয়টাই ভুলে যায়।”
“কৃতজ্ঞতা একটা বিষম বোঝা। অনেকেই সারাজীবন এ বোঝা বহনে অক্ষম। তাই এই বোঝা ঝেড়ে ফেলে উপকারী ব্যক্তির শত্রুতা করে তারা স্বস্তি বোধ করে।”

“আমাকে বিক্রির টাকা হক্কের টাকা
আর আমার রোজগারের টাকা নোংরা টাকা।”

“ঘটনার চেয়ে রটনার রূপ অনেক বেশী বিচিত্র এবং গতিবেগও প্রচন্ড।”

“সাহিত্য একটা তীব্র নেশা, রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, যাকে একবার এই নেশা ধরে, তার আর অন্য কোনো গতি থাকে না। আবার এ কথাও হয়তো ঠিক, অনেক লেখুই এক এক সময় এই নেশা থেকে মুক্তি পেতে চায়!”

“স্তব্ধ আঁধারে কিছুই যায় না দেখা
হে আকাশ তবু ঊষার হৃদয় জ্বালো
কোথায় গেল সে দৃষ্টি-পাগল একা
খুঁজতে সে কোন আঁধার পারের আলো।”

“ইচ্ছে করে দুপুর রোদে ব্লাক আউটের হুকুম দেবার
ইচ্ছে করে বিবৃতি দিই ভাঁওতা মেলে জনসেবার
ইচ্ছে করে ভাঁওতাবাজ নেতার মুখে চুনকালি দিই।”

“আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।”

“বাঙালিরা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে, ধর্ম সংস্কারের ব্যাপারে কেউ কিছু বললেই গেল গেল রব তোলে, কিন্তু এই বাঙ্গালিরাই ব্যক্তি জীবনে ধর্মের প্রায় কোন নির্দেশই মানে না। ”

“বিশ্বাসে-শ্রদ্ধায়-ভক্তিতে কেউ যখন নিমগ্ন থাকে তখন তাকে দেখতে বড় ভালো লাগে। চোখ বুজে কেউ ধ্যান করছে,এই দৃশ্যটা দেখলে আমার এখনও শ্রদ্ধা হয়, সে যারই ধ্যান করুক না কেন।”

“মানুষই মানুষকে বাঁচায়, মানুষই মানুষকে মারে। মানুষই হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, আবার মানুষই এই বিভেদের রেখা মুছে ফেলতেও পারে।”

“নারীদের ডিকশনারিতে সন্তুষ্টি বলে কোনো শব্দ নেই।”

“দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টি নীলপদ্ম!”

“কারোর আসার কথা ছিল না
কেউ আসেনি
তবু কেন মন খারাপ হয়।” –

“আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় না
মৃত্যু হয় না-
কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না
শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম।”

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ:

১। পূর্ব-পশ্চিম (১৯৯৬), পাতা সংখ্যাঃ ৫৬৩ টি
এই উপন্যাসটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল । উপন্যাসটিতে বিভাজনপূর্ব পূর্ব বাংলার একটি পরিবার, ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময়কার পরিস্থিতি, দেশত্যাগ, উদ্বাস্তুদের জীবন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা, পশ্চিমবঙ্গের নক্সাল আন্দোলন, এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্থান পেয়েছে।
পিডিপি ভার্সন / ডাউনলোড: পূর্ব-পশ্চিম
অনলাইন ভার্সন / ডাউনলোড: পূর্ব-পশ্চিম

২। সেই সময় (১৯৯৭), ১ম পর্ব পাতা সংখ্যাঃ ৭০৯
সেই সময়” একটি জনপ্রিয় গবেষণাধর্মী উপন্যাস। এর কালপর্ব ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ অবধি বিস্তৃত। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জমিদারপুত্র নবীনকুমার। তার জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এই উপন্যাসের পরিধি। নবীনকুমার চরিত্রটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচনা করেছিলেন ঐতিহাসিক চরিত্র কালীপ্রসন্ন সিংহের অবলম্বনে। নবীনকুমার চরিত্রটি সম্পর্কে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমার কাহিনীর পটভূমিকা ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ। এবং এই কাহিনীর মূল নায়কের নাম সময়।

৩। প্রথম আলো (১৯৯৬), ১ম পর্ব পাতা সংখ্যাঃ ৪১৯, ২য় পর্ব, (১৯৯৭) পাতা সংখ্যাঃ ৭০৩,
দীর্ঘ এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধের পটভূমিকায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আর এক বিখ্যাত উপন্যাস সেই সময়-এ যে কাল-পর্বের কথা আছে ঠিক তার পরের কাল-পরিধি এই উপন্যাসের উপজীব্য। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে জাতি হিসাবে বাঙালির আত্মসচেতনতা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া এ ঐতিহাসিক উপন্যাসের কেন্দ্রিয় সুর।
পিডিপি ভার্সন / ডাউনলোড: প্রথম আলো-১
পিডিপি ভার্সন / ডাউনলোড: প্রথম আলো -২
------------------------------------------
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, সাহিত্য পত্রিকা

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: আমার খুব খুব খুব প্রিয় কবি ও সাহিত্যিক।
শুভসকাল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

এমজেডএফ বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৪

বলেছেন: তবুও কেন মন খারাপ? সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে এটাই নিয়ম।।।।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখালেখির একনিষ্ঠা ভক্ত,,

সুশীলের কবিতা কত বার যে পড়া হয়েছে।।।।

আহ।।। কবিতার কি মুগ্ধ করা আহবান।।।


কবিকে বিনম্র শ্রদ্ধা।।।

আপানার জন্য রইলো শুভকামনা।।।


০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

এমজেডএফ বলেছেন:
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে. জীবন্ত হৃদয়-মাঝে যদি স্থান পাই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার দিনগুলো ভালো কাটুক ...

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: একজন গ্রেট সাহত্যিক।
আমাদের হুমায়ূন আহমেদ পর্যন্ত উনার ভক্ত। উনার লেখা পড়েই হুমায়ূণ আহমেদ ছোট গল্প লিখতে শুরু করেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

এমজেডএফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য নতুন প্রজন্মের হুমায়ুন আহমেদকে ধন্যবাদ। :)
অগ্রজ কবিদের লেখা ও অনুপ্রেরণায় প্রভাবিত হয়ে তরুণ প্রজন্ম থেকে নতুন নতুন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও হুমায়ূন আহমেদ উঠে আসুক—এই প্রত্যাশা।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

শায়মা বলেছেন: তার কবিতা এবং গল্পে দুই ই সমানে সমান!

আর নীরাকে কি ভোলা যায়???

অথবা বরুণা......

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

এমজেডএফ বলেছেন:
"তার কবিতা এবং গল্পে দুই ই সমানে সমান!" আপনার সাথে একমত। বাংলা সাহিত্যে কবিতা এবং গল্পের জন্য রবীন্দ্রনাথের পর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এম জেড এফ ভাই,

কি করে এমন সুন্দর পোস্ট চোখের আড়ালে গেল বুঝতে পারছিনা। পরিশ্রমী পোস্ট; যেমন তেমন করে কমেন্ট করা যাবে না। আধুনিককালের একজন শক্তিশালী সাহসী উপন্যাসিক বটে। সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমেন্টে আবার আসছি।
আপাতত ভাল লাগা রেখে গেলাম।++

শুভকামনা জানবেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

এমজেডএফ বলেছেন:
এত কষ্ঠ করে এত দূরে এসে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আধুনিককালের একজন শক্তিশালী সাহসী উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার একজন প্রিয় সাহিত্যিক। বিশেষ করে আজকালকার তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যই এই পোস্ট।
শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার পোস্ট। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার খুব প্রিয় লেখক। তবে উনার কবিতা আমাকে তেমন টানেনি। উপন্যাসের প্রতি গভীর ভালোলাগা আছে। উত্তর আধুনিক কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম সেরা তিনি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:২৬

এমজেডএফ বলেছেন: ধন্যবাদ, কাওসার ভাই।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার নতুন পোষ্ট নতুন লেখা কবে আসবে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১২

এমজেডএফ বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই, স্মরণ করার জন্য হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ।
বেশ কিছুদিন একটু ঝামেলায় ছিলাম। একটি লেখায় হাত দিয়েছি, দুই-এক দিনের মধ্যে পোস্ট করবো। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.