![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী হয়ে জন্ম নেয়াটা পাপ নাকি পূন্য তা আসলে কখনো বুঝে উঠতে পারিনি। যদিও আমি একজন শিক্ষিত নারী। তবে যতদিন বাবার তত্ত্বাবধানে আছি ততক্ষন রাজ কন্যার চেয়ে কোন অংশেই কম নই। বিয়ের পর মেয়েদের অন্য এক জীবন শুরু হয়ে যায়। আজ বলব সে জীবন আসলেই কি দাসত্ব নাকি স্বামীর সাথে কাধঁ মিলিয়ে চলা। লাল বেনারসি পরে যখন কোন ললনা বাবার বাড়ি ছাড়ে ,তখন থেকে সে তার বাবার নয়,সে তার স্বামীর শ্বশুর বাড়ির লোকদের্। একটা মেয়ে তার সর্বোচ্চ চেস্টা করে চলে সকলের মনে যায়গা করে নিতে।
কত টুকু সে পারল সে নিজেই জানে না। কিন্তু একজন দাসীর চেয়ে কম সে নয়। দিন ভর সংসারের কাজ,রাত হলে স্বামীর খাবার্। কিন্তু এই সবের মাঝে তো আরো অনেক কিছুই তার প্রাপ্য ছিল। একসময় সে তার সত্ত্বা কে ভুলে যায়। বলতে গেলে সেও যে মানুস ,তার এই সব ভাবা পাপ। দাসত্ব হলো এক মাত্র জীবন তার কাছে।
এক সময় সে বুঝে সে কি করতে চলেছে নিজের সাথে। কত বড় অন্যায় প্রতি মুহূর্তে তার সাথে হয়েছে। সে তো নিজেকে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে ভেবেছিল। সবার মনে যে তা ছিল না কেউই তা জানত না। সে যে বউ নয় দাসী হয়ে এসেছিল। এখন বলার কিছু নেই। নেই ফিরে পাওয়ার দিন। অশ্রুই আজ তার সঙ্গী। কাঁদুক সে মন ভরে কাঁদুক।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সব ক্ষেত্রে এই ধারণা সত্য নয়।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৪
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করুন।
নারী হয়ে জন্ম নেওয়া পাপ কেনো হবে?
আমি মনে করি এটা ভাগ্যের ব্যাপার!!
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের সব সমাজে দারিদ্রতা পরিবারের মা, বধু ও মেয়েকে বেশী অশান্তির শিকারে পরিণত করে।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৪
ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: দাস বা দাসী কথাটির অর্থ অনেক গভীরের। স্বামী বা শশুর শাশুরিকে মন থেকে ভালোবেসে যদি কেউ দাসত্ব বা দাসী গিরি করেন, আমি মনে করি তেমন দাসী প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ম হোক, মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি সেবা কে যদি কেউ দাস দাসী ভেবে নিজেকে ছোট মনে করে থাকেন কোন নারী, তবে তার স্বামীর অর্ধাঙ্গিনী হওয়ারও কোন যুক্তিগত কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয়না।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। আর স্বামী-স্ত্রী, বা অন্যান্য সবাই সবার আগে মানুষ। ভালো থাকুন কবি।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫২
মোঃ নুরউদ্দিন কবির বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা যে একেবারে ফেলে দেয়ার মত তা নয়। তবে আপনার চিন্তার খোরাক জোগানো, আপনাকে শান্তনা বা সাহস এবং সেই সাথে কিছু তথ্য দেয়াটা প্রয়োজন বলে মনে করি।
আমার মায়ের নাম আকলিমা জাহান। অনেক সাহসী আর স্মার্ট। মা আমার নিজের পরিবারে অনেক কষ্ট করেছে ছোটবেলা থেকে। মেট্রিক পাশ করেই বিয়ে হয়েছে তার। বাবা তখন অনার্স ফার্স্ট ইয়ার। মা ইন্টার পাশ করেই চাকরি নেয় এবং সেই বেতন দিয়েই একটা সময় বাবা ঢাবি থেকে মাস্টার্স শেষ করে। আব্বার চাকরির পরে দুজনের সম্মিলিত চেস্টায় শূন্য থেকে শুরু করা সংসার আজ অনেক বড়। আব্বা আর মায়ের মধ্যে আমি কখনো ঝগড়া হতে দেখি নাই। আব্বা কোন কাজ করার আগে মায়ের সাথে আলোচনা করে। মাও তাই। আব্বা মারা যাওয়ার পর মা সব গুছায়ে রেখছেন। আমি মায়ের সামনে কোনদিন বড় আওয়াজে কথা বলিনি। মা আমার সবথেকে ভাল বন্ধু। মাকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম আমার বউ ঘরে আসলে আপনার আর ওর মধ্যে ঝগড়া হবে সবাই যেমন বলে? মা বলে তারা মা নয়। এত কষ্ট করে সন্তান বড় করলাম কি তার সুখ নস্ট করার জন্য? আমার আরেক ভাইর বউ তো আমাদের বোনের মতই থাকে।
আসলে আমরা কিছু না দেখেই প্রেম করে ফেলি অথবা ভাল করে না জেনেই ছেলের টাকা আর চাকরি দেখেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই। পরে যা হবার তাই হয়। কোন ছেলে তার বউকে দাসী বানাবে তা তার পরিবার আর চরিত্রের উপর নির্ভর করে। সবাই একরকম নয়। সব মেয়দের জীবন কেঁদেই কাটে না। কেউ সমানে সমান হয়ে রাণী হয়ে বেচে থাকে। আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৬
মোঃ নুরউদ্দিন কবির বলেছেন: আপনার মা আপনাকে রান্না করে খাওয়ায়, পুরো পরিবারকেই খাওয়ায় কিন্তু তাহলে সে কি দাসী? না। পরিবারের সবাই পরিবারের অংশ। সবাই সবার কাজ গুলো ঠিক মত করে। আর রাতে যদি বউ স্বামীর খাবার হয়, তবে কি বউর কোন চাহিদাই থাকে না? তবে কেন স্ত্রীরা সংসার ছেঁড়ে কাজের লোকের সাথে চলে যায়। বিস্তারিত বললে অনেক কথা, একটা বড় লেখা হবে আমার এই বিষয় নিয়ে আশা করি। ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমম। সেরকম খারাপ আচরণ করলে সরে আসাই উচিত। তবে সে ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের সাপোর্টটা জরুরী।
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি এই মুহুর্তে ভাবছি, আমর মেয়ের কথা।।
মেয়েতো বলে যে এমন হলে সবছেড়ে আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে।। কিন্তু সমাজ আর আমিই বা কয়দিন আকড়ে রাখতে পারবো।।
ভাল লাগা একটি লেখা।।
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪১
মাহাবুবা মিম বলেছেন: আমি তো সমাজের সকল স্তরের মানুসের কথা বলছি না। কারন আমি আমার মা কে তো দাসী হিসেবে পাইনি। আমি সমাজের কিছু নিজাতিতাদের কথা বলছি। শ্বশুর শাশুরীর সেবা করা খুব বড় একটা কাজ। সব মেয়ের করা উচিত। কিন্তু দাসত্ব বলতে আমি সেই সেবা কে অবশ্যই বুঝাই নি। আমি শুরুতেই বলেছি আমি একজন শিক্ষিত। আমি লিখেছি শিক্ষিত সমাজে মুখোশ পরা কিছু কলুষিত মানুসদের নিয়ে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
লোনার বলেছেন: Sorry.....!