নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহাদি হাসান

মাহাদি হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ পোড়াতে কি ইতিহাসের রেফারেন্স দরকার?

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫২

কি বাঙালি কি বিহারি মানুষ পোড়াতে ইতিহাসের রেফারেন্সের দরকার হয় না। শাহবাগে মানুষকে জীবন্ত পুঁড়িয়ে মারতে লাগে না কোন বাক্য ব্যয়, গান পাউডার হলেই তো হয়। পাঁচতারা হোটেলের সামনে বিশেষ মুহুর্তে মানুষ পুঁড়িয়ে মারা ইতিহাস কি আমরা অর্জন করিনি? করেছি তো। বাঙালি বীরপুঙ্গদেরকে সাবাস জানানোর ভাষা নেই!

তাজরীনে মানুষ পুঁড়িয়ে কি নজির স্থাপন করিনি আমরা, হ্যাঁ করেছি। আদি পাপের দায় দেবার তো দরকার হয় না। রাষ্ট্রকে মানুষ পুঁড়িয়ে মারার মেশিন যখন বানিয়েছি তখন ইতিহাসে মানুষের আদিপাপ খোঁজার চেষ্ঠাটা ভাড়ামি ছাড়া কিছু না।



পোঁড়ালে কে কি করবে আমাদের। আইনের কি করার আছে চেয়ে দেখা ছাড়া। আমাদের মত বীরপুঙ্গদের সহিংস মিছিল থামাবার কার আছে সাহস। এখানে যুক্তি খোঁজার মত বোকামি করা কি দরকার, দেখানো প্রয়োজন আমরা কত সাহসী। দেশপ্রেম কত বেশী আমাদের!আমরাই সাচ্চা দেশপ্রেমিক। ছিটকিনি লাগিয়ে আদিপাপের প্রায়শ্চিত করতে হবে নাম অজানা আদিপাপের পাপীদেরকে।



আমাদের দেশপ্রেমের নজিরগুলোকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে সারা পৃথিবীতে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা দেশপ্রেম। শহুরে দরদীদের দেশপ্রেম। ঠিক যেমন দেশপ্রেম আমরা নিজ স্বদেশী সীমান্তে নিহত পরিবারগুলোকে দেখাই। পত্রিকার পাতায় শিরোনামের যে উত্তেজনা আমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা এড়িয়ে যাবার মাঝেই তো স্বদেশীর প্রতি আমার দেশপ্রেমের প্রকাশ। এই শহুরে দেশপ্রেমের বিজয়টা আবারো প্রমান করতেই তো হবে আরো অনেক লাশ ফেলে। কি বা আসে যায় স্বদেশী আর বিদেশি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

-এভারগ্রীন নাহিদ- বলেছেন: বিহারীদের কে মানুষের কাতারে ফেলতে পারি না আমি।
কোনো পাকিস্থানি কখন ও মানুষ হতে পারে না।
শকুনের মৃত্যুতে কাদার কিছু নাই

২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৮

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: কি বা আসে যায় স্বদেশী আর বিদেশি! [/sb

বাহ :|

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

অেসন বলেছেন: দূষ্কৃতিকারীদের দূ্ষ্কর্মের সাথে দেশপ্রেমের কি সম্পর্ক ? দেশপ্রেমের
সংঙ্গাটা পরিষ্কার ভাবে বুঝুন এবং জানুন।বাংগালীরা যদি উগ্র
জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হতো ৪৩ বছর যাবত বিহারীরা নিজেদেরকে পাকিস্তানী মনে করেও বাংলাদেশে থাকতে পারতো না।

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

মাহাদি হাসান বলেছেন: বিহারিদের কথা বাদ দেন বলেন পাহাড়িরা কেন মহান জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিল? জাতীয়তাবাদকে মহান ভাবার কিছু নাই, পৃথিবীতে অনেক নষ্টের মূল এই জাতীয়তাবাদগুলো। এর অর্থনৈতিক প্রোগ্রামকে অনেকে সাপোর্ট করেন হয়ত, তবে বৃহৎ পুঁজি তাকে গোগ্রাসে গিলে ফেলে। শেষমেষ যা থাকে তাহল ফাঁকা বুলি।
দুষ্কৃতিকারির দুষ্কর্মকে যখন ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয় দেশপ্রেম হিসেবে তখন তার প্রতিবাদ করাই তো দেশপ্রেম তাই না।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

অেসন বলেছেন: বিহারীদের পুড়িয়ে মারাকে দেশপ্রেম কে বলে ? উগ্র জাতীয়তাবাদের
সমর্থন আমি করি না। পাহাড়ীরা আর বিহারী এক না। পাহাড়ীরা এদেশের
লোক। তারা নিজেদের পাকিস্থানী ভাবে না।

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

মাহাদি হাসান বলেছেন: পাহাড়িরা নিজেদের বাঙালি মনে করে না। নিজেদেরকে তারা ভিন্ন জাতিসত্তা হিসেবে দাবী করে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাদেরকে যখন স্বীকৃতি দেওয়া হল না তখন তারা নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নিল। মানবেন্দ্র লারমার বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে মুল্যায়ন যখন দাঁড় করাচ্ছেন তখন তিনি নিজ জাতিসত্ত্বার পক্ষেই অবস্থান করছেন। তাদের এই ভুখন্ডে থাকবার অধিকারকে কোনভাবেই আমরা খারিজ করতে পারি না। ঠিক একইভাবে বিহারিদেরকে সাথে সাথে ভিন্ন জাতিসত্ত্বার কাউকেই জেনোফোবিয়ার শিকার যাতে না হন সেদিকে প্রতিটি নাগরিকের সচেতন থাকা উচিত।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:১১

উপপাদ্য বলেছেন: মানুষ পুড়াতে হলে হিংস্র হতে হয়। জানোয়ারের চেয়েও বেশী হিংস্র হতে হয়। সেইরকম হিংস্রতা যাদের আছে তারাই মানুষ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। পুড়িয়ে ফেলতে পারে নিমিষেই।

সেরকম হিংস্রতা বাংলাদেশে কেবল মাত্র একটি হিংস্র রাজনৈতিক দলের মাঝেই আছে। আর সেই দলের নাম আওয়ামীলীগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.