![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্নকারী- (তয় নবীজিতো কইছে উনার সাহাবীরে যে সূর্য অস্ত যাওনের পরে আল্লার সিংহাসনের নিচে যাইয়া আল্লারে ডাকে। তা জনাব বাংলাদেশে যখন রাইত নামে আম্রিকাতে যে সূর্যটা দেখা যায় ঐটা কি ইয়াহুদী খেরেষ্টানগো ঈশৃ অগো লাইগা সাপ্লাই দেয় ??)
জবাব-
Sahi Bukhari: Volume 4, Book 54, Number 421:
Narrated Abu Dhar: He said, the Prophet (sw) asked me at the time of sunset, "Do you know where the sun goes (i.e. travels)?" I replied, "Allah and His Prophet know better." He said, "It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: "And the sun runs its fixed course for a term (decreed). That is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing." (36.38)
বাংলা অনুবাদ- হাদিছটি আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাবার কালে হুজুর (সাঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি জান সূর্য কোথায় গমন করে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, এটা যেতে যেতে আরশের নিচে পৌঁছে সিজদাহ করে (অর্থাৎ নিজেকে অবনত বা নিচু করে দেয়) এবং পূনরায় উদিত হওয়ার (অর্থাৎ উঠবার জন্য) অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। এবং অচিরেই (এমন এক সময় আসবে) যখন সে প্রায় সেজদা নত হবে কিন্তু তা গৃহীত হবে না এবং নিজস্ব পথে যাত্রা করার অনুমতি চাইবে; কিন্তু আর অনুমতি মিলবে না, (বরং) তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, সেই পথেই ফিরে যেতে - যে পথে সে এসেছে। এবং তখন সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে। এটাই হলো আল্লাহতায়ালার এই বাণীর মর্ম: এবং সূর্যটা ছুটে চলেছে তার জন্য নির্ধারিত গন্তব্যের অভিমুখে; এটা হচ্ছে মহপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (আল্লাহতায়ালা) কতৃক (নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা) ঘোষিত এবং আইনের মর্যাদাসম্পন্ন আদেশ। (৩৬:৩৮)
এ হাদিছটির বর্ণনা থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে আমরা গতানুগতিকভাবে সূর্যের উদয় ও অস্ত যেভাবে অবলোকন করি, এখানে তা বোঝান হয়নি। কারণ আমরা জানি যে, নিজ অক্ষের উপর পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির কারণেই মূলত আমরা সূর্যকে উদয় হতে ও অস্ত যেতে দেখছি। পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর এই ঘূর্ণন গতি যদি না থাকত তাহলে সূর্যের উদয় ও অস্তের প্রশ্ন আসত না। ফলে সূর্যটা এ পৃথিবীর একপিঠকে যেমন সর্বক্ষণ আলোকিত করে রাখত, তেমনি অপরদিকে বিরাজ করত স্থায়ী অন্ধকার।
এই হাদিছটিতে সরাসরি সূর্যের কথা উল্লেখ কোরে এটির গতিপথ সম্পর্কে ইংগিত দেয়া হয়েছে। আজ আমরা বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে,
[The Apex of the Sun's Way, or the solar apex, is the direction that the Sun travels through space in the Milky Way. The general direction of the Sun's galactic motion is towards the star Vega near the constellation of Hercules, at an angle of roughly 60 sky degrees to the direction of the Galactic Center. The Sun's orbit around the Galaxy is expected to be roughly elliptical with the addition of perturbations due to the galactic spiral arms and non-uniform mass distributions. In addition the Sun oscillates up and down relative to the galactic plane approximately 2.7 times per orbit. This is very similar to how a simple harmonic oscillator works with no drag force (dampening) term.]
সূর্য, পৃথিবী, চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহগুলো আপন আপন কক্ষপথে মোটামুটি বৃত্তাকারে পরিভ্রমণ করছে। সূর্য কেন্দ্রীক এই সৌরমন্ডলের পৃথিবী, চন্দ্র, ও অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ সহ সূর্যটা এই ছায়াপথ বা ( Milky Way galaxy ) গ্যালাক্সির কেন্দ্রকে ঘিরে আবর্তন করছে। এই কেন্দ্রের চারিদিকে একবার ঘুরে আসতে আপন কক্ষপথে ঘন্টায় প্রায় ৪,০০০০০ মাইল গতিবেগে ধাবমান সূর্যের সময় লাগে প্রায় ২২.৫ - ২৫ কোটি বছর। প্রায় ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকার কক্ষপথের পরিধি বরাবর সূর্যের চলার পথটি কিন্তু উঁচু-নিচু বা ঢেউ-খেলানো এবং এই ঢেউ-খেলানো পথে ছায়াপথের কেন্দ্রের দিকে মোটামুটি ৬০ স্কাই ডিগ্রি কোনে সূর্যটা ছুঁটে চলেছে তার জন্য নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট গন্তব্যের (কন্সটেলেশন অব হারকিউলাস এর নিকটবর্তী ভেগা নামক নক্ষত্রের) দিকে।
আল-কোরআন, ৩৬ নং সূরা ইয়াসীন এর ৩৮ নং আয়াতে ইংগিত দেয়া হয়েছে-
(৩৬:৩৮) অর্থ- এবং সূর্যটা ছুটে চলেছে তার জন্য নির্ধারিত গন্তব্যের অভিমুখে; এটা হচ্ছে মহপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (আল্লাহতায়ালা) কতৃক (নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা) ঘোষিত এবং আইনের মর্যাদাসম্পন্ন আদেশ;
(Al-Quran : 36.38)"And the sun runs to its place of destination which is specified for it. That is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing."
উদাহরন স্বরূপ একটি গাড়িকে যদি ঢেউ-খেলানো পথে চলতে দেয়া হয় তাহলে গাড়িটি ঢেউ-খেলানো পথের সর্বোচ্চ প্রান্তে পৌছানোর সাথে সাথে সেটার সম্মুখভাগ অর্থাৎ মাথাটি নিচের দিকে নেমে যাবে এবং তা (অস্তগামী অর্থাৎ নিম্নগামী অবস্থায়) নিচের দিকে চলতে থাকবে। এভাবে আবার যখন সেটি ঢেউ-খেলানো পথের সর্বনিম্ন প্রান্তে পৌছবে তখন সেটার সম্মুখভাগ বা মাথাটি উপরের দিকে উঠে যাবে এবং তা উপরের দিকে (উদিত অর্থাৎ উর্ধ্বগামী অবস্থায়) চলতে শুরু করবে। এভাবে গাড়িটি সম্মুখপানে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবে। তবে গাড়ির ড্রাইভার যদি কখনো সর্বনিম্ন স্থানে গিয়ে ব্রেক চাপে বা ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয় তাহলে গাড়িটি কিন্তু সেটার মাথা নিচের দিকে নামিয়ে (অস্তগামী অর্থাৎ নিম্নগামী ভংগিতে) পড়ে থাকবে।
যেহেতু স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালার আরশ অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় সকল নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহগুলো তাদের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে। সুতরাং প্রতিটি কক্ষপথই মহান স্রষ্টার আরশের আওতাধীন। সূর্যের ক্ষেত্রেও তাই। সূর্যটা যখন তার কক্ষপথে আল্লাহর নির্ধারিত উঁচু-নিচু বা ঢেউ- খেলানো পথের সর্বনিম্ন স্থানে পৌছে যায়, তখন এই অবস্থাকে আরশের নিচে অর্থাৎ আল্লাহর বেঁধে দেয়া নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থান Solar Apex বরাবর মাথা-নত করা বা অস্তগামী হওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে সম্মুখভাগ বা মাথাটি Solar Apex বরাবর উপরের দিকে উঠিয়ে (উদিত অর্থাৎ উর্ধ্বগামী অবস্থায়) চলবার অনুমতি আছে বলেই বর্তমানে সূর্যটা গতানুগতিক উঁচু-নিচু পথে ছুঁটে চলেছে। কিন্তু মহান স্রষ্টা যখন সূর্যের এই ঢেউ-খেলানো পথকে পরিবর্তন করতে চাইবেন তখন (সেই নির্দিষ্ট সময়ে- কেয়ামতের পূর্বক্ষণে) আল্লাহতায়ালার আদেশে এই পথের সর্বনিম্ন স্থান থেকে সূর্যটাকে আর উপরের দিকে উঠবার অনুমতি দেয়া হবে না। ফলে সূর্যটা আল্লাহর আরশের নিচে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্তৃক নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থানে গিয়ে অবনত মস্তকে বা অস্তগামী অবস্থাতেই থাকবে। পূণরায় নির্ধারিত পথে উদিত হতে অর্থাৎ Solar Apex বরাবর সম্মুখভাগ বা মাথা উঠিয়ে চলবার অনুমতি পাবে না। বরং আল্লাহতায়ালার আদেশে সূর্যটা যে পথে এসেছিল সে পথেই ফিরে যেতে অর্থাৎ পশ্চাদগমন করতে বাধ্য হবে। সুতরাং এ থেকে এই ইংগিত পাওয়া যায় যে, মহান স্রষ্টার আদেশে সে সময় সৌরজগতের গতানুগতিক পদ্ধতিতে একটা বিরাট পরিবর্তন সাধিত হবে। এর ফলে সেই সময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্যের উদিত হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। আসল জ্ঞান তো সর্বজ্ঞ মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার নিকটে।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
মনুমনু বলেছেন: আপনি এত কষ্ট করেছেন দেখে ভাল লাগলো।
তবে কি, যার জন্য জবাব দিলেন সে বুঝবে কিনা সন্দেহ।
ফাকে দিয়ে আপনার প্রতি .............. যাক। ভালো থাকেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: কাউকে তো জোর করে বাঝানো সম্ভব নয়। আমি শুধু সত্যটাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। এতে আমার প্রতি কারও যদি ঘৃনা............? যাক ভালো থাকেন। শুব নববর্ষ
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
পথিক!!!!!!! বলেছেন: সূর্যের প্রতিটি অবস্থানই তো পৃথিবীর কোন না কোন স্থান হতে উদয় বা অস্ত দ্বারা ব্যাখ্যায়িত...
এখন যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে সটা যেহেতু সূর্যের নিজস্ব গতিপথ ..পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে যেটা সম্পর্কিত নয় সরাসরি...তাই বুঝতে সহজ হলো
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: "এর ফলে সেই সময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্যের উদিত হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।"
ঠিকই বলেছেন, আপনার পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার সম্ভাবনার চেয়ে সূর্য পশ্চিমদিকে ওঠার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেশি।
""They will ask thee of Dhu'l-Qarneyn [Zul-Qarnain]. Say: I shall recite unto you a remembrance of him. Lo! We made him strong in the land and gave him unto every thing a road. And he followed a road Till, when he reached the setting-place of the sun, he found it setting in a muddy spring, and found a people thereabout. We said: O Dhu'l-Qarneyn! Either punish or show them kindness."
Sura 18:83-86"
সূর্য কাদায় অস্ত যেতে পারে, পশ্চিমদিকে ওঠা আর এমন কী?
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: "এর ফলে সেই সময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্যের উদিত হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।"
ঠিকই বলেছেন, আপনার পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার সম্ভাবনার চেয়ে সূর্য পশ্চিমদিকে ওঠার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেশি।
""They will ask thee of Dhu'l-Qarneyn [Zul-Qarnain]. Say: I shall recite unto you a remembrance of him. Lo! We made him strong in the land and gave him unto every thing a road. And he followed a road Till, when he reached the setting-place of the sun, he found it setting in a muddy spring, and found a people thereabout. We said: O Dhu'l-Qarneyn! Either punish or show them kindness."
Sura 18:83-86"
সূর্য কাদায় অস্ত যেতে পারে, পশ্চিমদিকে ওঠা আর এমন কী?
লেখক বলেছেন : প্রকৃত অর্থে (১৮:৮৩- ৮৬) নং আয়াতের অনুবাদ হওয়া উচিত এরূপ-
Surah Number 18: Al-Kahf (The Cave)
(18:83) And they ask you about Zulqarnain, say, you; 'I recite to you an account of him'.
(18:84) Undoubtedly, We gave him a control in the earth and bestowed him a means of everything.
(18:85) Then he followed a way.
(18:86) Until, when he reached the place of sun setting, he found it setting in a (Sea) spring of murky water: Near it he found a People: We said: "O Zul-qarnain! (thou hast authority,) either to punish them, or to treat them with kindness."
حَمِئَةٍ (Hamiat)- Black mud- কালচে কর্দম, Murky water -তমিস্রনিবিঢ় জলধি বা ঘন কাল জলরাশি।
عَيْنٍ (A'ini)- গর্ত বা নিম্নভূমি
(গর্ত বা নিম্নভূমিতে এত বিপুল পরিমাণ পানি ছিল যে তা ঘন কাল রূপ ধারণ করেছিল। আর পানির এ রূপ সাধারণত সেইসব বড় বড় নদী বা গভীর সমূদ্রে দেখতে পাওয়া যায়, যার তীরে দাঁড়ালে এপার থেকে ওপার দৃষ্টিসীমার মধ্যে আসেনা। ফলে সূর্য অস্তগমনের সময় মনে হয় যেন তা ঘন কাল পানির ভিতরে ঢুকে বা ডুবে যাচ্ছে।)
Click This Link
থেকে সংগৃহিত Sunset at Inani Sea Beach, Cox's Bazaar, Bangladesh
উপরের লিংকটির সূর্যাস্তের এই ছবিটি আমার মন কেরেছে। আশাকরি আপনাদেরও মনে দাগ কাটবে।
১৮:৮৬ নং আয়াতে-(The place of sun setting) সূর্য অস্তগমনের স্থান বলতে যেখান থেকে সূর্য অস্তগমনের মনোরম দৃশ্য সুন্দরভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় সেই স্থানকেই বোঝানো হয়েছে। যেমন- আমাদের দেশে ইনানি-বিচ সেরূপ একটি স্থান, যেখানে সূর্য অস্তগমনের এরূপ মনোরম দৃশ্য প্রাণভরে অবলোকন করা যায়। {he found it setting in a (Sea) spring of murky water} মনে হচ্ছে সূর্যটা যেন সাগরের ঘন কাল পানিতে অস্তগমন করছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায়। যারা এ দৃশ্য একবার প্রত্যক্ষ করেছে তারা নিশ্চয় আল্লাহতায়ালার এই বাণীটিকে স্বাভাবিক ও সুন্দর দৃষ্টিকোন থেকেই বর্ণনা করবে। তবে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ না থাকায় অজ্ঞতা বশত অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য দিলে বা অনুবাদ করে থাকলে আলাদা কথা।
সুতরাং এখন নিশ্চয় পরিষ্কার হয়েছে যে, ১৮:৮৬ নং আয়াতে সূর্য কদায় নয় বরং ঘন কাল জলরাশির মধ্যে অস্তগমনের চিত্রই ব্যক্ত করা হয়েছে। আর আমি এটি যেমন বিশ্বাস করি তেমনি একদিন মহান আল্লাহর আদেশে সূর্য যে পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে তা আরও প্রবলভাবে বিশ্বাস করি।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
সু্মিত বলেছেন:
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৬
ফালতু মিয়া বলেছেন: যার জন্য জবাব দিলেন সে বুঝবে কিনা সন্দেহ। সন্দেহ নয় বাস্তবে তারা বুঝবে না। আল্লাহ কতগুলো মানুষকে কখনই সুবুদ্ধি দিবেন না। কারণ পবিত্র কোরআনে তাদের অন্তর সীল মোহর মেরে দেয়া হয়েছে বলে বলা হয়েছে।
উপরোক্ত মন্তব্য যে করতে পারে তাকে বিশ্বাসী বলে কি আপনার মনে হয়?
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, বিশ্বাসী তো কাউকে জোর করে বানানো সম্ভব নয়। আমাদের কাজ শুধু সত্যটাকে তুলে ধরা।
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১২
নাজিম উদদীন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আপনার পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার সম্ভাবনার চেয়ে সূর্য পশ্চিমদিকে ওঠার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেশি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: সালাম ও নব বর্ষের শুবেচ্ছা রইল
Click This Link
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১৮
নাজিম উদদীন বলেছেন: "এটা যেতে যেতে আরশের নিচে পৌঁছে সিজদাহ করে এবং পূনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। এবং অচিরেই যখন সে প্রায় সেজদা নত হবে কিন্তু তা গৃহীত হবে না এবং নিজস্ব পথে যাত্রা করার অনুমতি চাইবে; কিন্তু আর অনুমতি মিলবে না, (বরং) তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, সেই পথেই ফিরে যেতে - যে পথে সে এসেছে। এবং তখন সে পশ্চিম দিকে উদিত হবে। "
এরকম মজার একটা হাদীস দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। একটা ব্যাপার ক্লীয়ার করে নেই, যে এই হাদীস অস্বীকার করবে বা মানবে না সে মুসলমান না, কারণ মুসলমান হতে হলে কোরাণ হাদীসে যা আছে এর সবটুকু মানতে হবে।
যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন বা সামান্য কান্ডজ্ঞান আছে তারা এটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? নাকি সুর তুলে বলবেন এটা হয়ত জাল হাদীস?
শালার বিজ্ঞান যখন মহাকাশের দিকে ছুটে চলছে, তখন আমরা বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজছি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৩০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নব বর্ষের শুভেচ্ছা ও সালাম রইল
Click This Link
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৩২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: সূর্য নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো মিশরের প্রভাব নাজিম ভাই। সাইটগিস্ট দেখছেন না? হোরাস?
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নব বর্ষের শুভেচ্ছা ও সালাম রইল
Click This Link
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: সূর্যটা যখন তার কক্ষপথে আল্লাহর নির্ধারিত উঁচু-নিচু বা ঢেউ- খেলানো পথের সর্বনিম্ন স্থানে পৌছে যায়, তখন এই অবস্থাকে আরশের নিচে অর্থাৎ আল্লাহর বেঁধে দেয়া নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থান Solar Apex বরাবর মাথা-নত করা বা অস্তগামী হওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
আরশ তাহলে সোলার এপেক্স!!!!!!। বাহ। আপনি তো ভাই খুবই ইনোভেটিভ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার বুঝতে একটু ভুল হচ্ছে। আরশকে আমি সোলার এপেক্স বলিনি-
বরং আমি বলেছি- আরশের নিচে অর্থাৎ আল্লাহর বেঁধে দেয়া নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থান Solar Apex বরাবর মাথা-নত করা বা অস্তগামী হওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে
এবার আরও ভাল করে দেখুন-
যেহেতু স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালার আরশ অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় সকল নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহগুলো তাদের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে। সুতরাং প্রতিটি কক্ষ-পথই মহান স্রষ্টার আরশের আওতাধীন। সূর্যের ক্ষেত্রেও তাই। সূর্যটা যখন তার কক্ষপথে আল্লাহর নির্ধারিত উঁচু-নিচু বা ঢেউ- খেলানো পথের সর্বনিম্ন স্থানে পৌছে যায়, তখন এই অবস্থাকে আরশের নিচে অর্থাৎ আল্লাহর বেঁধে দেয়া নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থানে Solar Apex বরাবর মাথা-নত করা বা অস্তগামী হওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে সম্মুখভাগ বা মাথাটি Solar Apex বরাবর উপরের দিকে উঠিয়ে (উদিত অর্থাৎ ঊর্ধ্বগামী অবস্থায়) চলবার অনুমতি আছে বলেই বর্তমানে সূর্যটা গতানুগতিক উঁচু-নিচু পথে ছুঁটে চলেছে। আর এ কারনেই সৌরজগৎ সহ সূর্যটা (Our Solar System) নির্দিষ্ট সময় অন্তর ক্রমান্বয়ে ছায়াপথ বা Milky Way Galaxy এর গ্যালাক্টিক প্ল্যানের উপরে উঠছে আবার নিচে নামছে। যেহেতু সৌরজগৎ সহ সূর্যটা ছায়া পথের কেন্দ্রকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ থেকে ২২ বার প্রদক্ষিণ করে ফেলেছে। সুতরাং সৌরজগৎ সহ সূর্যটা (Our Solar System) এ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ বার মাথা নত করে (সিজদারত অবস্থায়) Milky Way Galaxy এর গ্যালাক্টিক প্ল্যানের নিচে নেমেছে এবং মাথা উঁচিয়ে (সিজদা থেকে উঠে) গ্যালাক্টিক প্ল্যানের উপরে উঠেছে বলে ধরে নেয়া যায়।
কিন্তু মহান স্রষ্টা যখন সূর্যের এই ঢেউ-খেলানো পথকে পরিবর্তন করতে চাইবেন তখন (সেই নির্দিষ্ট সময়ে- কেয়ামতের পূর্বক্ষণে) আল্লাহতায়ালার আদেশে এই পথের সর্বনিম্ন স্থান থেকে সূর্যটাকে আর উপরের দিকে উঠবার অনুমতি দেয়া হবে না। ফলে সূর্যটা আল্লাহর আরশের নিচে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কর্তৃক নির্ধারিত পথের সর্বনিম্ন স্থানে গিয়ে অবনত মস্তকে বা অস্তগামী অবস্থাতেই থাকবে। পূণরায় নির্ধারিত পথে উদিত হতে অর্থাৎ Solar Apex বরাবর সম্মুখভাগ বা মাথা উঠিয়ে চলবার অনুমতি পাবে না। বরং আল্লাহতায়ালার আদেশে সূর্যটা যে পথে এসেছিল সে পথেই ফিরে যেতে অর্থাৎ পশ্চাদগমন করতে বাধ্য হবে। সুতরাং এ থেকে এই ইংগিত পাওয়া যায় যে, মহান স্রষ্টার আদেশে সে সময় সৌরজগতের গতানুগতিক পদ্ধতিতে একটা বিরাট পরিবর্তন সাধিত হবে। এর ফলে সেই সময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্যের উদিত হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। আসল জ্ঞান তো সর্বজ্ঞ মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার নিকটে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: সোলার এপেক্স সম্পর্কে এখানে মোটামুটি বোঝার জন্য ডিটেইলস্ আলোচনা করেছি। ইচ্ছে হলে দেখে নিতে পারেন-
১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: আমার মনে হয় লেখকের এখন “কোরানের বিজ্ঞাণ সম্মত অনুবাদ ” লেখা উচিত.......
০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: “কোরানের বিজ্ঞাণ সম্মত অনুবাদ ”- বলাটা ঠিক না
বরং বলা উচিত- "আল-কোরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কিত আয়াতের বিজ্ঞানমনস্ক ব্যাখ্যা"
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০১
সাউন্ডবক্স বলেছেন: ভাই, আপনে কি এখনও আগের মতই ছাগল ই আছেন নাকি মানুষ হইছেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনি আমাকে নিয়ে যতই হাসি তামাশা করেন না কেন- মহান স্রষ্টা আমাকে মানুষ হিসেবে জন্ম নেবার সুযোগ দিয়েছেন এবং সে কারণে আমি সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং শুকরিয়া আদায় করি।
আমি যেন একজন বিশ্বাসী হিসেবে মরতে পারি- সর্বদা সেই কামনা করি।
আপনি ভাল আছেন তো?
মহান আল্লাহতায়ালা যেন আপনাকে হেদায়েত করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩২
দুরের পাখি বলেছেন: খিক খিক খিক ।