![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
'জারজ' শব্দটি গালমন্দের খাতা থেকে মুছে দিন- প্লিজ
বিয়ে হলো পুরুষ এবং নারীর মাঝে আত্মিক ও শারীরিক সু-নিবিড় সম্পর্ক গঠনের একটি সামাজিক বন্ধন। বংশরক্ষা করাও এই বন্ধনের বাস্তব এবং মূখ্য উদ্দেশ্য। মূলত বর ও কনের পারস্পরিক সম্মতি ও সামাজিক স্বীকৃতি এবং কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই বন্ধন বৈধতা পায়।
প্রায় সবগুলো ধর্মেই স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের প্রবণতা রয়েছে। এমনকি যারা মুশরিক তাদেরকেও শিরক করার পাশাপাশি এক স্রষ্টায় বিশ্বাস করতে দেখা যায়। যে যার ধর্মের বিধান অনুসারে সংসার জীবনে প্রবেশের এই সুদৃঢ় বন্ধন রচনা করে থাকেন। তাই প্রত্যেক ধর্মের রীতি-নীতি অনুসারে এই সম্পর্ক সৃষ্টি হলে অর্থাৎ বিয়ে হলে তা সেই ধর্মমতে শুদ্ধ রূপে গণ্য করা হয়।
নাস্তিকদের মধ্যেও তাদের সমাজের রীতি-নিতি অনুসারে বিয়ে হয়। পারস্পরিক সমঝোতা ও অঙ্গীকারের উপরেই মূলত এই সম্পর্কের ভীত রচিত হয়। যেহেতু তারা স্রষ্টা তথা ধর্মে বিশ্বাসী নন, তাই তাদের ক্ষেত্রে সামাজিক স্বীকৃতি ও শর্ত পূরণই বিয়ের বৈধতা প্রদান করে।
ইসলাম ধর্মের মৌল নীতি অনুসারে মুসলিম মাত্রই সকল বৈধ কাজে-কর্মে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করতে হয়। তাই ইসলামের অনুসারী মাত্রই বিবাহিত সংসার জীবন শুরুর ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ এবং রাসূলের (সাঃ) নাম স্মরণ করা বাধ্যতামূলক।
ইসলামের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআনে ইমানদার নর/নারীকে অবিশ্বাসী ও মুশরিকদের বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:২২১) অর্থ- আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাই ইসলামের অনুসারী কোন মুসলিমের জন্য এরূপ বিবাহ করা হারাম। তথাপি সামাজিক প্রথা ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে এ ধরনের বিয়ে হয়ে গেলে তা সামাজিকভাবে বৈধতা পাবে ঠিকই। কিন্তু আল-কোরআনে এই বিধান নাযিলের পর থেকে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারনে কোন মুসলিম নর/নারী এই ধরনের বিয়ে করলে তা মারাত্মক গোনাহের কাজ হবে। আল- কোরআনের বিধান অনুসারে যেহেতু এই বিয়ে অবৈধ, তাই সামজিক বৈধতা ও রাষ্ট্রিয় নিশ্চয়তা পেলেও জ্ঞাতসারে ও স্বইচ্ছায় এই বিয়ে করার কারনে সেই মুসলিম নর/নারীকে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের পরকালে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে। ইসলামি রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত হলে বিচারক আল-কোরআন বিরোধী কর্মে লিপ্ত হওয়ার কারনে তাদেরকে শাস্তি দেবারও অধিকার রাখেন। এক্ষেত্রে কার কতটুকু সাজা হবে তা অবস্থা যাচাই করে বিচারকই নির্ধারণ করবেন। বিচারক চাইলে তাদেরকে (পুরুষ/নারীকে) ইসলাম কুবুলের জন্য সময়ও বেধে দিতে পারেন। আর যদি তারা (পুরুষ/নারীকে) স্বজ্ঞানে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার ঘোষণা দেন, তাহলে তখন থেকে তারা (পুরুষ/নারী) ইসলামি সমাজের একজন হিসেবে প্রাপ্য সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন এবং তাদের বিচারের ভার পরকালে আল্লাহতায়ালার হাতে ন্যস্ত করতে হবে।
বর্তমানে আস্তিক ও নাস্তিক উভয়ের ক্ষেত্রেই বিবাহ বন্ধন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি-বিধানকে রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত আইন দ্বারা আরও সুনিশ্চিতভাবে কার্যকর ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক-
বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারনে যে শিশু জন্ম নেয়, সমাজে তাদের জারজ অর্থাৎ অবৈধ সন্তান বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই জারজ শিশুদের অবজ্ঞা করা ঠিক কি?
আল-কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা আত-তাগাবুন (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৬৪:০২) অর্থ- তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেন, অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ অবিশ্বাসী এবং কেউ কেউ বিশ্বাসী হয়। তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি শিশুকেই মহান আল্লাহতায়ালা নিষ্পাপ রূপেই সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে বোধ ও কর্মফল অনুসারে কেউ কেউ বিশ্বাসী, আবার কেউ কেউ অবিশ্বাসী হয়ে যায়। তাই সেই সদ্য প্রসূত শিশুটিও জন্মগতভাবে অবশ্যই নিষ্পাপ। সমাজে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হলেও এবং গালি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও মূলত 'জারজ সন্তান' একটি সামজিক পরিচয় মাত্র। এখানে শিশুটিকে অবৈধ বলা হলেও প্রকৃত অর্থে তাকে অবৈধ ভেবে অবজ্ঞা করা মোটেই যৌক্তিক নয়। বস্তুত যে পক্রিয়ায় শিশুটির জন্ম হয়েছে, প্রত্যেক মানব সন্তানই সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই জন্মগ্রহণ করে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূলত পুরুষ ও নারীর অবৈধ কর্মটিই জন্ম-প্রক্রিয়ার ভিত্তি রচনার সাথে সম্পৃক্ত। আর যে যেমন কর্ম করবে, তার ফলের জন্য তো তাকেই দায়ি করার প্রশ্ন আসে। কাজেই সমাজে কোন শিশুর পরিচয়কে 'জারজ সন্তান' হিসেবে দেয়া হলেও সৃষ্টিগতভাবে সে নিষ্পাপ হওয়ায় তার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের কোন অবকাশ নেই।
সূরা লোকমান (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৩১:৩৩) অর্থ- হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে।
মানুষকে তার নিজ কর্মের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং এটাই যুক্তিসংগত। পরকালেও তাই করা হবে। এমনকি আপন পুত্রকে পিতার কারনে এবং পিতাকে পুত্রের কারনে দোষী সাব্যস্ত করা হবে না। বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ কর্ম ব্যভিচার/ধর্ষনের ফল স্বরূপ জন্ম নেয়ায় সমাজে কোন শিশুকে 'জারজ সন্তান' বলা হলেও এই অবৈধ কর্মের ব্যাপারে তার কোনই হাত নেই। সে অন্যসব শিশুদের মতই নিষ্পাপ। ব্যভিচারের সাথে জড়িত সেই পুরুষ ও নারী উভয়েই দায়ি হবে। কিন্তু ধর্ষন প্রমাণিত হলে নারী নির্দোষ এবং পুরুষটি দোষী সাব্যস্ত হবে।
সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:২৫৭) অর্থ- যারা বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা অবিশ্বাস করে, বিভ্রান্তকারীরা তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।
সূরা আল হুজরাত (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৪৯:১৩) অর্থ- হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরের সাথে পরিচিতি হতে পার। নিশ্চয় সে-ই আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী বা প্রিয়, যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
বিশ্বাসীদের অভিভাবক তো স্বয়ং মহান স্রষ্টা আল্লাহ। জন্ম পরিচয় নয় বরং যিনি যত আল্লাহভীরু তিনি ততটাই আল্লাহর নিকটতম হন। কাজেই সেই শিশুটি বড় হয়ে যদি বিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত হন, তাহলে আল্লাহতায়ালাই তার সবচেয়ে বড় অভিভাবক। সমাজে যে যাই বলুক অবশ্যই তাকে বিশ্বাসীদের একজন হিসেবে মেনে নিতে হবে। ইসলামি সমাজে এই পরিচয়টাই তার জন্য যথেষ্ট এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা তিনি অন্যসব জনসাধারনের মতই ভোগ করার অধিকার রাখেন। প্রতিটি রাষ্টীয় ব্যবস্থায় এরূপ নীতিমালাই গ্রহণ করা উচিত।
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৩৩:০৫) অর্থ- তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই এবং বন্ধু-বান্ধব হিসেবে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
বীরাঙ্গনা ও বঙ্গ-সন্তানদের ন্যায্য অধিকার প্রসংগে-
আসল পরিচয় লুকিয়ে একজনের পুত্রকে অন্য করো পুত্র হিসেবে চালিয়ে দেয়া ঠিক নয়। কারন এতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। নেহায়েত কারো পিতৃ-পরিচয় জানা না থাকলে তাকে সম্বোধন করার পন্থাও আল্লাহতায়ালা জানিয়ে দিয়েছেন। তাদেরকে কোন রূপ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার তো প্রশ্নই আসে না, বরং দ্বীনি ভাই এবং বন্ধু-বান্ধব হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশই দেয়া হয়েছে। জারজ শিশুরা যেহেতু নিষ্পাপ, তাই কোন মন্দ স্বভাবের মানুষকে সমাজে 'জারজ' (Bastard) বলে গালি দেবার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও তা মোটেই ঠিক নয়।
পরিচয়হীন এরূপ কোন শিশু অবশ্যই এতিম হিসেবে গণ্য। আর যারা এতিমের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন ও লালন-পালান করার দায়িত্ব নেবেন, মহান আল্লাহতায়ালাও তাদের প্রতি সন্তষ্ট হবেন। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় এরূপ এতিম শিশুদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপরেই বর্তায়। সমাজে ব্যভিচার ও ধর্ষনের মত কু-কর্ম প্রসার ঘটুক তা মোটেই কাম্য হতে পারে না। বিশেষ করে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় ব্যভিচার ও ধর্ষন রোধে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে যারা জড়িত তাদেরকে তো শাস্তি ভোগ করতেই হবে এবং সেই সাথে শিশুটির লালন-পালনের দায় ও ব্যয়ভারও তাদের উপরে ন্যস্ত হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের দেশের নারীরা কুচক্রী পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষরদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও ধর্ষিতা হয়েছেন। সেইসব নিরপরাধ বীরাঙ্গনাদের গর্ভে যারা জন্ম নিয়েছেন তারা আমাদেরই ভাই, বোন ও বন্ধু-বান্ধব। তারা এই বাংলার গর্ব "বঙ্গ-সন্তান"। আপন ভেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো জনগণ এবং সরকার- সবারই দায়িত্ব। অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সমুচিত শাস্তি প্রদানের জন্য যেমন ব্যাবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি বীরাঙ্গনা ও বঙ্গ-সন্তানদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে অবশ্যই বিচার চাওয়ার ব্যপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
............................................
অসহনশীলদের আমি ভীষণ অপছন্দ করি-
("দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল"- তাই আমার ব্লগ থেকে দুষ্ট গরুদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে আমি বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ করি না।)
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪১
কখঅআ বলেছেন: অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সমুচিত শাস্তি প্রদানের জন্য যেমন ব্যাবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি বীরাঙ্গনা ও বঙ্গ-সন্তানদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে অবশ্যই বিচার চাওয়ার ব্যপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সহমত
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৪
নযােকট বলেছেন: +++
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
অক্টোপাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪
নিশাচর নাইম বলেছেন: আসলেই "জারজ" শব্দটি মুছে ফেলতে হবে।অনেক ভাল লাগল লেখাটা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ-
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩১
রাসেল মাহদুদ বলেছেন: কাউকে যে কোন গালি দেয়াই অন্যায়, কিন্তু কখনো গালি না দিয়ে উপায় থাকে না। (যেমন রাজাকার!)
কিন্তু আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত। অন্তত শেষ প্যারা পরার পর।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: অন্তরে অনেক ব্যথা নিয়েও পারতপক্ষে আমি গাল-মন্দ করা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে কেউ মন্দ কর্ম করে থাকলে তার বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি আমি মনে-প্রাণে কামনা করি। সে যেই হোক না কেন।
'রাজাকার'- গালিটি মূলত ৭১ এ আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি বাংলদেশের সাথে যারা গাদ্দরি করেছিল তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই দেয়া হয়ে থাকে।
ভবিষ্যতেও যখনই যারা এরূপ অপকর্ম করবে, গালিটি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। তাই সবারই সাবধান হওয়া উচিত।
সহমতের জন্য ধন্যবাদ-
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: চমৎকার লেখা
তবে শুধু ৭১ কেন? বর্তমানে পতিতলয়গুলোতে যেসকল শিশুর জন্ম হচ্ছে তাদের ব্যাপারেও কিছু বলা উচিত ছিল। এইসব শিশুদের মধ্যে মেয়েরা কোথাও আশ্রয় না পেয়ে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়। এই চক্র ভাঙ্গা প্রয়োজন অন্যথায় বংশক্রমিক ভাবে পতিতাবৃত্তির প্রবনতা বাড়তেই থাকবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ-
তবে শুধু ৭১ কেন? বর্তমানে পতিতলয়গুলোতে যেসকল শিশুর জন্ম হচ্ছে তাদের ব্যাপারেও কিছু বলা উচিত ছিল।
এই বিষয় নিয়ে তো অনেক আগেই বলেছি ভাই-
যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি নয়, বরং এই অমানবিক বন্দীদশা থেকে মুক্তির পদক্ষেপ নিন-
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩০
ডেভিড বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে সকলের ভাবা উচিত। সহমত জানালাম শেষ প্যারার বক্তব্যে