![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন এক ছেলে।রাজনীতি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। তবে রাজাকার দেখলে থুথু মারতে ইচ্ছে করে।
”আমি এইভাবে মরতে চাই নি।আমার মৃত্যু এই ভাবে হতে পারে না।আমি জেলে বসে কতবার যে বিচারক কে গালি দিয়েছি।আমার কেন মৃত্যুদন্ড হলো না।আমাকে কেন ফাঁসিতে জুলানো হলো না।জেলে আমার দুঃসহ জীবনের চেয়ে আমার মৃত্যুদন্ডই ভালো ছিল।প্রতি রাতে তারা আসতো আমার কাছে।তারা হাঁসতো।কেই বা কাঁদতো।কেউ বা আমাকে প্রশ্ন করতো-আমি তোর কী ক্ষতি করেছিলাম? একবার এক বুড়োকে দেখলাম আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাঁসছে।প্রথমে চিনতে পারি নি।পরক্ষনেই চিনতে পারলাম।এই তো কাঞ্চিরা মোহন।আরে এই শালারেই তো জবাই করলাম ৭১ সালে।শালা এইখানে কী করে? প্রায় সে আমার কাছে আসতো।আমাকে জবাই করতো।এতো যন্ত্রনা!না আমাকে জবাই করো না বলে কত আকুতি জানাতাম।সে কী অট্টহাসি দিত।তার অট্টহাঁসির সাথে সাথে আরো কতজন আসতো।আরে এদেরকে তো আমি চিনি।এদেরকে আমি জবাই করে মেরে ফেলেছিলাম ৭১ সালে।তাহলে এখন কেন এরা আসছে।বার বার এই রকম স্বপ্ন দেখতাম।সারা রাত আর ঘুমাতে পারতাম।এখন আমার মৃত্যু হলো।সবাই জানে স্বাভাবিক মৃত্যু।কিন্তু আমি জানি,আমি জানি আমার এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।আমার পাপ প্রতিনিয়ত আমাকে একবার নয়,হাজারবার করে মারতো।মানুষ মরলে মানুষের সহানুভূতি পায়,কিন্তু আমি এত ঘৃণা পাচ্ছি কেন? সবাই আমার দিকে ঘৃণার চোখে তাকাচ্ছে কেন?তাহলে কী আমি মরে শান্তি পাবো না?তাহলে কী মৃত্যুর পরেও আমার মুক্তি নেই? আরে এরা কারা আসছে? এদের সবাইকে তো আমি চিনি।আরে! এদের বুকে বুলেটের ক্ষত এত জীবন্ত কেন? এরা সবাই আমার দিকে এগিয়ে আসছে।আমি নিশ্চিত ওরা আমাকে মারার জন্য আসছে।ওরা প্রতিশোধ নিতে আসতে।”
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
বিকারগ্রস্থ আগন্তুক বলেছেন: ছোট কিন্তু ধারালো। ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
নিজাম বলেছেন: এই যন্ত্রণা পরকালেও হবে।