![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক এবং ফ্রিল্যান্স লেখক। আমার উভয় চোখ ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন। তাই ছোট কাল থেকেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তাই পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দেশের ১২ টি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকে লেখালিখি করি। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যের উপর অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছি। বর্তমানে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। ইতোপূর্বে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। দেশের ১৩টি দৈনিকে প্রতিবন্ধিতা, নারী ও শিশু এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ৩০০ প্রবন্ধ, ফিচার এবং মতামত প্রকাশিত হয়েছে।যোগাযোগের ঠিকানা:আজমাল হোসেন মামুনসহকারী শিক্ষক, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাইনবাবগঞ্জ। মোবাইল নং-০১৭০৪২৪৪০৮৯
আমার বয়স যখন ১৮ বছর তখন স্থানীয় দৈনিক নবাব পত্রিকায় ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতাম।
বাবা-মা উভয়ে গালি দিতো। তবুও সাংবাদিকতা নেশা ছাড়তে পারি নি। তারপরে স্থানীয় সাপ্তাহিক সোনামসজিদ নামে একটি পত্রিকায় উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করি ২০ বছর বয়সে। আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতাম বলে আমার সুনাম তাড়াতাড়ি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো। একদিন এক বাটপার লোক এসে বলে যে, পিঠালী তলায় এক সওকতারার বাড়িতে দেহব্যবসা হয়। সেটা ভাঙ্গতে হবে। আপনি রিপোর্ট লিখে সংবাদপত্রে প্রকাশ করবে। আমি বললাম টাকা লাগবেনা। আমাকে ওখানে নিয়ে যান। সে নিয়ে গেলো। রমরমা ব্যবসা দেখে আমি আশ্চর্য হলাম।
সাপ্তাহিক সোনামসজিদ পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলো। কিন্তু থানা পুলিশের টনক নড়লো না। মনটা খারাপ হলো। মজি নামের আরেক বাটপার বললো। ওই বাড়িতে থানা পুলিশ এবং এসআই নিয়মিত গিয়ে যৌন তৃপ্তি মিটিয়ে আসে। মাঝে মধ্যে চাদা দেয় পুলিশকে। আপনার মতো ছোট-খাট সাংবাদিকের রিপোর্টে কিছুই হবে না। আপনাকে তারা চিনতে পারলে আপনার বাবার নাম ভূলিয়ে দিবে মেরে। আমি রাগে অগ্নিশর্মা হলাম। চিন্তা করতে লাগলাম। আমার মতো ছোট-খাট সৎ সাংবাদিককে বাটপারেও হেলা করে। ঠিক আছে। দেখি কি করা যায়।
পেপার কাটিংটার সাথে একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার লিখে থানা প্রেসক্লাবের সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে তৎকালীন স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, জেলা পুলিশ সুপার এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পাঠালাম।
দুইদিন পরে শুনি ওই দেহব্যবসায়ীদের আড্ডা ভেঙ্গে দিয়েছে থানা পুলিশ। ২ পুরুষ খদ্দের এবং সর্দারনী সওকতআরা এবং ২ জন সুন্দরী দেহব্যবসায়ী নারীকে দিন-দুপুরে গ্রেফতার করেছে। থানা গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলাম। ১৫দিন পরে শুনি জামিনে ওরা ছাড়া পেয়েছে। একদিন দৈনিক দিনকালের এক সংবাদদাতা আমাকে ওখানে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলো। তারা আমাকে বললো। আমরাতো চুরি করি না। কারো ক্ষতি করি না। আপনি কেন আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখেন। আমার বাড়িতে যৌনকমীরা না আসলে এ এলাকায় মহিলারা স্কুল-কলেজে একা যেতে ভয় পেতো। আমি আর কিছু বলিনি। কারণ, ওই বাড়ির দেহব্যবসায়ী সর্দারনীর এক ছেলে বহুমুখী প্রতিবন্ধী রয়েছে। অন্যদিকে লেখলে মানুষ আমাকে মারার টার্গেট করবে এই ভেবে। তারপরে আমিও এলাকা ছাড়লাম। বছরে মাত্র দু'বার ২ ঈদের সময় বাড়িতে যায়। খোজ খবর রাখতে পারি না। কিন্তু আমি ইচ্ছে করলে ওদের কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারতাম। কিন্তু আমি খারাপ কাজকে ঘৃণা করি বলে ওদের আশে পাশে আর যায় নি। গল্পটি আজ এক মানবাধিকার কর্মী এবং এক ধর্মগুরুর কাছে কথায় কথায় বললাম। মানবাধিকার কর্মী বলেন, কাজটি ঠিক করেন নি। ধর্মগুরু বললো শওয়াবের কাজ করেছেন। আপনারা পাঠক বা ব্লগার কি মনে করেন?
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫০
আশক বলেছেন: Click This Link
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
জাহাজী পোলা বলেছেন: এক দিকে দেখলে ঠিক আছে , কিন্তু যারা সমাজের উপর ওয়ালা কিনবা আমলা তারাই ওদের লালন করেন টাকা অবং মুফতে মনোরঞ্জনের জন্য-
আপনি হয়ত একটা ভাঙ্গলেন আর ওরা আবার ১৫ দিন পরেই ছাড়া পেয়ে গেল- কাজের কাজ কিন্তু কিছুই হয়নি
ওরা আবার শুরু করবে... এ ব্যাপারে সামাজিক সচেনতার প্রয়োজন আছে
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০২
ম.শরীফ বলেছেন: আপনি তো প্রতিবাদ করতে পেরেছেন । আমি প্রতিবাদও করতে পারছিনা। দিনে দিনে চোখের সামনে একটি পরিবার পতিতাবৃত্তির বৃত্ত বৃদ্ধি করে চলেছে। যার মাধ্যমে খবর পেলাম সে বলল তুমি যে প্রতিবাদ করবা প্রমান পাবা কোথায়? তোমার পক্ষে কেহ আসবে না। আর সমাজে যারা বিচার কার্য করে তারা সকলেই ঐ পরিবারের নিয়মিত খদ্দর। প্রতিবাদ করলে শেষে তোমাকেই চরিত্রহীন বানিয়ে দিবে। তাছাড়া তোমার নিকটজনও ওখানে যায়। আমি অনেকটা ভয় পেলাম শুধু একাকিত্তের কারনে অন্য কোন কারনে নয়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৭
অাজমাল েহােসন মামুন বলেছেন: বেশি কথা বললে তাঁরা আপনাকে অপরাধী বানিয়ে দিতে পারে। তাঁরা বলবে যে, আপনি তাদের দেহ ভোগ করার জন্য কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। তাই প্রতিবাদ করতে গেলে বুঝে-শুনে যেতে হবে। এখনতো অনেক মানবাধিকার সংগঠন এবং নারী সংগঠনগুলো এটাকে বৈধ ব্যবসা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ফলে এইডস এর বিস্তার ঘটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২০
বালক বন্ধু বলেছেন: যে কোন দৃষ্টিকোন থেকেই দেহ ব্যবসা অমানবিক। এটি নারীদের জন্য এক চড়ম লজ্জাজনক কাজ। তাদের উপর অনেকটা অত্যাচাড় করার মতই।
আইনত বৈধ করে দেলেই এই কাজ বৈধ হয়ে যায় না। এলাকায় যাতে মহিলারা ঠিক ভাবে স্কুল কলেজে চলাফেরা করতে পারে এর জন্য একটা দেহ ব্যবসা শুরু করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। য
যেসকল মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ব্যবসাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে খুব জানতে ইচ্ছে করে যদি কখনো তাদের কোন আপনজন কোন উপায় না দেখে দেহ ব্যবসায় নামতে চায় তাহলে তারা তা কিভাবে যাস্টিফাই করবে?
অবশ্য শুধু তাদের খারাপ বলেই ক্ষ্যন্ত হলে খারাপ কাজ করা হবে। আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজ এই সকল নারীকে অনেকটা বাধ্য করে এই কাজগুলোতে জাড়িয়ে পড়তে। যারা এই কাজ করে তাদের আমরা খারাপ বলি কিন্তু যারা তাদের ভোগ করেছে তাদের আমরা খারাপ বলতে পারছি না। বা বলছিনা। সমাজের সুশিল হিসিবেই তারা বহাল তবিয়তে রয়ে যাচ্ছে।
তবে সত্যি কথা কি আমাদের সমাজে অনেক মেয়েই বিবাহিত জীবনে দেহব্যবসার সাথে জড়িত নারীদের চাইতে বেশি যৌন নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। আমাদের সমাজের পুরুসের মানষিকতা যতদিন না পরিবর্তন হচ্ছে কোন আইন করেই নারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবেনা।
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২২
বালক বন্ধু বলেছেন: ওহ! আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি।
এমন একটি চড়ম সাহসের কাজ এত ছোট বয়সে করেছেন বলে আপনাকে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৪
মা-নবি০৩ বলেছেন: পতিতা বৃত্তি সমাজের আদিম তম ৩ টা পেশার একটা ।
সুতরাং শুদু মাত্র একটা এলাকা থেকে এভাবে উচেছদ কোন সমাধান নয়
ঢাকায় ইংলিশ রোড তুরে দেয়া হয়েছিল । কিন্তু এখন শহরের প্রতিটা মোড়ে রাত ৯ টার পর দাঢ়ান । আবাসিক হোটেল যে কোন এলাকার সামনে দাঢ়ান
কি লাভ হল একটা জায়গা থেকে তুরে যদি সবার হাতের কাছে পৌছে দেয়া হয়
সুতরাং পতিতা বৃত্তি বন্ধ করতে চাইলে আরো গভীর পদক্ষেপ নিতে হবে
৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০২
অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: ওগোর খদ্দেরগুলা মাইনাস দিয়া যাচ্ছে!!!!!
আর হা,আপনার সাহসীকতার জন্য সাধুবাদ না জানিয়ে পারছিনা...
+++
৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
খুজছি বলেছেন: [[[অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: ওগোর খদ্দেরগুলা মাইনাস দিয়া যাচ্ছে!!!!!
আর হা,আপনার সাহসীকতার জন্য সাধুবাদ না জানিয়ে পারছিনা...
+++]]]
(+ সহযোগে ) সহমত।
১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৫
রুয়াসা বলেছেন: আরে ভাই সেইরাম সোয়াবের কাজ করেছেন।আপনার প্রবেশ ছাড়া বেহেশতের দ্বার খুলবেনা। আগুনে পুরায়া মারতে পারলে আরো বেশি সোয়াব হইত।ধর্মগুরুর কতাই ঠিক, ওর পা ধুইয়া পানি খাওনের কাম আসিল।
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৬
স্বপ্নচারী পথিক বলেছেন: ভাই, আপনার মত নিজের এত প্রশংসা করতে দেখি নাই কাউকে সামুতে । চালায়া যান, এভাবে নিজের প্রশংসা করতে থাকলে আপনার নোবেল ঠেকায় কে ! তবে নিজের ঢোল একটু সাবধানে পিটান, ফেটে যেতে পারে
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
শ।মসীর বলেছেন: আমরা কিছু মনে করলেও কি না করলেও, সমাজ কি আর বদলাবে তাতে.............। কিছু মনে করাকরি বাদ দিয়েছি অনেক আগে, রাস্টায় হাঁটার সময় সামনে তাকিয়ে থাকলেও আসলে কিছু দেখিনা....