নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ছদ্মবেশী বাবা"

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৬

<
ছেলেটা মানে সুমন খুব ভয়ে আছে। আজকে
মাঠে খেলতে গিয়ে মেম্বারের বাসার গ্লাস ভেঙে
ফেলেছে। এখন নিজের ভাগ্যকে গালমন্দ
করছে। ইস! আর একটু আস্তে মারলে তো বলটা জানালার
গ্লাসে লাগত না। সুমন কোনমতে মাঠ থেকে
দৌড়ে এসে খুব ভয়ে ভয়ে বাসায় প্রবেশ করল।
ঘরে ঢুকার সাথে সাথেই মায়ের হাতে ধরা।
চেহারা দেখেই মা বুঝে ফেলেছেন ঝামেলা
একটা হয়েছে।
<
দুপুরে বাবা ঘেমে নেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ঘরে
ঢুকলেন। ঢুকেই....
--কই গেলা সুমনের মা। তোমার ছেলে কি
করছে
শুনছ??
--কি করছে?
--মেম্বারের বাসার গ্লাস ভাঙছে। তোমার
আশকারা পেয়ে পেয়ে ছেলেটা গোল্লায়
গেল।
--খারাপ কিছু হইলেই ছেলে আমার। আর ছেলে
ভাল কিছু করলে কখনও তো বল না??
--তুমি বকবক বন্ধ কর। লাঠিটা দেও ওর খেলা
জনমের মত ছুটাব আজকে।
বাবা লাঠি হাতে সুমনকে মারার জন্য ছুটে
গেলেন পাশের রুমে।
<
ঠিক এক ঘন্টা আগের চিত্র।
সুমনের বাবা ক্লান্ত শরীরে অফিস শেষে
বাসায় ফিরছেন। হঠাৎ মেম্বারের ডাক...
--শুনেছেন আপনার বেয়াদব ছেলে কি করেছে?
--কি করেছে?
--বল মেরে আমার বাসার গ্লাস ভেঙে ফেলেছে।
বেয়াদব ছেলে একটা।
--সাথে সাথে বাবার মেজাজ চরমে উঠে গেল।
বললেন এখানে বেয়াদবির কি দেখলেন? বাচ্চা
ছেলে খেলতে গেছে দুর্ঘটনা হতেই
পারে। তাই বলে এটা বেয়াদবি হয়ে গেল??
<
একই বাবার দুইটা রুপ এখানে দেখা যাচ্ছে। একটা
রুপ ছেলেকে একটা কাজে দোষারোপ
করছে আরেকটা রুপ ঠিক একই কাজে ছেলেকে
সমর্থন করছে। প্রথম রুপটা প্রত্যেক ছেলে তার
জীবনে একাধিকবার দেখেছে। এবং এই রুপের কারনে
বাবাকে সব সময় গালমন্দ করে এসেছে। আমার
বাবা এমন কেন? খালি মারে , খেলতে দেয় না।
একটু ভাল হলেও তো পারত।
<
কিন্তু বেশীরভাগ ছেলেই বাবার দ্বিতীয় রুপটা
দেখে নি। বাইরের কোন মানুষ ছেলেকে
বেয়াদব বলায় তার বাবার যে কোন অংশটা ফেঁটে যায়
ছেলেটা বুঝে না। ছেলেটে বুঝে না বাবার
বুকের বা পাশটা মুচড়ে উঠেছে যখন তাকে কেউ
বেয়াদব বলেছে। বাবা যখন চলে যাবে তখন যাতে
তাকে কেও দ্বিতীয়বার বেয়াদব বলতে না পারে এই
জন্যই বাবারা প্রথম রুপটা ছেলেদেরকে সবসময়
দেখান। নিষ্ঠুর একটা রুপ।
<
মাথার উপর নিরাপত্তার ছাতা বলা হয় এই
বাবাকেই। যেই ছাতা সন্তানরা সারা জীবন
খুঁজে বেড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে। কিন্তু
নিজে বাবা না হওয়া পর্যন্ত এই ছাতা দেখতে পায় না।
সত্যি আমি আপনি ছাতার নিচে থেকে কখনও
ছাতার গুরুত্ব বুঝতে পারব না। ছাতা মাথার উপর
থেকে সরে গেলেই বুঝতে পারব কি
হারালাম????

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

অরন্য সামির বলেছেন: thnx for the post

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: Welcome

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.