নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চিন্তা করে দেখুন, আপনার মস্তিষ্ক একটা নাড়া অনুভব করবে। "

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৭

একটু চিন্তা করে দেখেছেন কি?
মনে করুন আপনি আর পাশের বাসার কামরুল সাহেব রাতে গল্প করতে করতে যে যার ঘরে প্রবেশ করলেন। ভোর রাতে কান্নাকাটির শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আপনার। কান্নার শব্দ আসছে কামরুল সাহেবের বাসা থেকে। খবর নিয়ে দেখলেন কালকে আপনার সাথে হাসিমুখে কথা বলা কামরুল সাহেব চিরদিনের মত কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে...কিংবা মনে করুন আপনি আর আপনার বন্ধু রাস্তা পার হবেন। আপনার বন্ধু একটু আগেই রাস্তা পার হওয়া শুরু করল আপনি ঠিক তার দুই হাত পিছনে থেকে রাস্তা পার হচ্ছেন। আচমকা একটা ট্রাক এসে আপনার বন্ধুকে থেঁতলে দিয়ে চলে গেল। সাথে সাথেই আপনার বন্ধু নির্জীব। আর আপনি পুরো ঘটনাটা দেখলেন মাত্র দুই হাত দুরুত্বে দাঁড়িয়ে। আপনার অনুভুতিটা কেমন হবে.....জীবন আর মৃত্যুর মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় কারও অনুভুতি কি কখনও উপলব্ধি করেছেন? ধরুন যে মেয়েটা প্রতারিত হয়ে এক শিশি বিষ ঢকঢক করে নিচের গলায় ঢেলে দিয়েছে, বিষটা তার গলা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাকস্থলীর দিকে অগ্রসর হতে থাকে তখন তার অনুভুতি কেমন হয় একটু কি চিন্তা করে দেখেছেন? তখন তার চোখে মুখে কি বেঁচে থাকার জন্য তীব্র আকুতি ফুটে ওঠে না?নাকি তখন তার কোন অনুভুতিই কাজ করে না? ........অথবা আপনি নিজে বাড়িতে প্রচন্ড রাগারাগি করে গলায় ফাঁস দেওয়ার চিন্তা করলেন। ফ্যানে রশিটা বেঁধে ঝুলেও পড়লেন যথারীতি। রশিটা ধীরে ধীরে আপনার কন্ঠনালীতে চেপে বসছে। অক্সিজেনের অভাবে আপনার শরীর নীল হতে আরম্ভ করেছে। তখন কি আপনি চাইবেন না রশিটা গলা থেকে খুলে ফেলে দিতে? নাকি নিথর হয়ে শেষ নি:শ্বাস ফেলার জন্য অপেক্ষা করবেন?..........আমরা মৃত্যু দেখি আমাদের এক হাত কাছ থেকে। আমাদের পাশে বসে থাকা মানুষটাকে নিথর হয়ে যেতে দেখি মুহুর্তের মাঝে।
এই মৃত্যুগুলোর কারন কি আমাদের জানা?এই মৃত্যুগুলো এক একটা সিগনাল আপনাকেও চলে যেতে হবে এটি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সিগনাল। আপনার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই মৃত্যুগুলো আপনাকে এই সংকেত দেয় যে দিনশেষে আপনি ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য ছাড়া বেশী কিছু নন......

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫১

পাগলা বস বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়ে গেল, চরম সত্য :(

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সত্যটা উপলব্ধি করার জন্য।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৭

জাকেল বলেছেন: এইসব চিন্তা করে ফকিরি জীবন নিতে হবে নাকি? যত্তোসব। দুনিয়া মানেই ফাও, মিথ্যা। যত পারেন লুটেন, খান ফুর্তি করেন। খালি আইনের খপ্পরে না পড়লেই হইলো।

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: যতই লুটেন আর চেটে পুটে মজা নেন না কেন হৃৎপিন্ডের গতি থামবেই আজ হোক দুইদিন পরে হোক।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

বিপরীত বাক বলেছেন:
দুনিয়া টা মস্ত বড়
খাও দাও ফূর্তি কর
অাগামিকাল বাচবে কিনা
বলতে পার।


যারা অাপনার মত দুনিয়া টাকে দুদিনের বলে না, তাদের যতগুলোকে কাছে থেকে দেখেছি , সবকটাই দুনিয়াবি ব্যাপার স্যাপার নিয়ে খামচা খামচি কাড়াকাড়ি চাটাপুটি তে অতুলনীয় দেখেছি।
অাবার অন্যকে সবক শেখাতে সিদ্ধহস্ত।
শালার বাঙাল।

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: কাকে খামচা খামচি করতে দেখেছেন বা কাকে দুনিয়ার মায়ায় সিদ্ধ হস্ত হতে দেখেছেন এটা বলা মুল্যহীন। আপনার আশেপাশের মানুষগুলোকে দিয়ে আপনি সবাইকে বিচার করতে পারেন না। ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: যতই খাওয়া দাওয়া আর ফুর্তি করেন না কেন মৃত্যু অনিবার্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.