নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ফ্রেমে বন্দি হওয়া কিছু স্মৃতি রোমন্থন ..................."

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

মানুষকে নিজের ছবি দেখানোটা আমার কাছে কেমন অদ্ভুত লাগে । মনে হয় যেন মানুষকে জোর করে বুঝানো হচ্ছে যে এই ছবিটার মতই আমি খুব হাসিখুশি সুখী মানুষ। সত্য বড় অদ্ভুত। বুকে এক পাহাড় কষ্ট নিয়েও ছবিতে থাকতে হবে হাসিখুশি।
কি সাংঘাতিক ব্যাপার!! চিন্তা করা যায়? কালকে যে ছেলেটার মা মারা গেছে। পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলার সময় তাকে বলা হচ্ছে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকাতে। কিংবা যে ছেলেটার বাবা হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, কলেজের কোন পুরুষ্কার গ্রহনের সময় তাকে ক্যামেরার দিকে হাসিমুখ করে তাকাতে বলা হচ্ছে।
.
আমরা কাছের মানুষটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করি তাকে ছবির ফ্রেমে বন্দি করে। কখনও কি চিন্তা করা যায় মাত্র একটা কাগজের ছবির ভিতরে কত সুখ কত দু:খ লুকিয়ে থাকে? কতগুলো স্মৃতি এলবামের পাতার ক্ষয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মন থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়? স্মৃতি ম্লান হয়ে যায় ধীরে ধীরে কিন্তু তবুও স্মৃতিটাকে ধরে রাখার জন্য মাথার কাছে খুব বড় করে প্রিয় মানুষটার ছবি বাঁধিয়ে রাখা হয়। যাতে ছবিটা দেখে হলেও পুরাতন কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
.
ভাবা যায়!!! সদ্য বিয়ে করা ছেলেটার বউ হঠাৎ করে মারা গেল। তাদের মধ্যে হয়তোবা ক্ষনিকের কিছু স্মৃতি তৈরি হয়েছিল। স্মৃতিটা হয়তোবা মধুর কিংবা বেদনার। কিন্তু কি আশ্চর্য কথা! এই ছেলেটাই ক্ষনিকের এই স্মৃতি নিয়ে কাটিয়ে দিতে চায় সারাটা জীবন। এখন সে রুটিন করে দিনের দীর্ঘ একটা সময় ক্ষনিকের স্মৃতি ধারন করে রাখা ছবির দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়।
.
ক্ষনিকের স্মৃতি ধারন করে রাখা ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সে হারিয়ে যায় অতীত কোন মায়া জালে। মুখে ফুটে ওঠে হাসি কিংবা বেদনার ছাপ। আর বাস্তবে ফিরে আসার পর বুক চিড়ে বেরিয়ে আসা একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই শোনা যায় না।
ক্ষনিকের এই স্মৃতি তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখে একাকীত্বকে সঙ্গী করে।
.
কিন্তু কোন কি প্রয়োজন আছে প্রিয় মানুষের ছবি দিয়ে তার স্মৃতি জোর করে মনে করানোর? যে ছবি মানসপটে তীক্ষ্ণ ছুরির আঘাতে আঁকা হয়েছে সেই ছবি কি কখনও মুছে যাবার?? যে মানুষটা মনের গহীনে সর্বদা অবস্থান করছে সে মানুষটাকে ছবির ফ্রেমে বন্দি করার কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে?? সত্যি অদ্ভুত এই মানব জাতি। তারচেয়ে বেশী অদ্ভুত এই মানব চরিত্র।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: "Images are the mirror of old memories"

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকাটা আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করি না। প্রিয়জনের চলে যাওয়ার পরে তাকে এত বেশি স্মরণ করার কারণ দেখি না। তবে ভুলে যাওয়াটাও ঠিক নয়। নীরব নিভৃত সময়ে একা একা হয়তো এটা করা যায়। তবে প্রতিদিন নয়। মাঝে মাঝে!! :(

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমার প্রশ্ন ঠিক এখানে যদি মানুষটা এতই প্রিয় হবে তাহলে তাকে স্মরণ করার জন্য একটা ফ্রেমের কি যৌক্তিকতা??

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার প্রশ্ন ঠিক এখানে যদি মানুষটা এতই প্রিয় হবে তাহলে তাকে স্মরণ করার জন্য একটা ফ্রেমের কি যৌক্তিকতা??

আসলেই তো! :||

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬

আরজে আজিজুর বলেছেন: আসলেই প্রয়োজন নেই কোন ফ্রেমের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.