নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকালকার যুগের কিছু কিছু মানুষকে দেখলে আমি অবাক হয়ে যায়। কখনও আনন্দে চোখে পানি চলে আসে কখনও লজ্জায় মাথাটা নিচু হয়ে যায়। দুটি ঘটনা বললেই বুঝতে পারবেন:-
.
ঘটনা ১:- শ্রীমঙ্গল রেল স্টেসনে দাঁড়িয়ে পাউরুটি আর কলা খাচ্ছি। হাতে পলিথিনের ব্যাগে আরেকটা পাউরুটি আছে। হঠাৎ ১০-১২ বছরের এক বালক আমার কাছে এসে হাত পাতল। ছেলেটির পোশাক বলতে গায়ে একটা শার্ট ছিল যার উপরে ময়লার আলাদা একটা প্রলেপ বুঝা যাচ্ছিল,পকেট ছিড়ে ডান পাশে ঝুলে আছে আর যে পরিমান ছিদ্র ছিল যে গুনে শেষ করা যাবে না। আর চেহারা দেখেই বুঝতে পারলাম অনেকদিন পেট পুরে কিছু খায় নি। ছেলেটিকে দেখে খুব মায়া লাগল, তাই ব্যাগের পাইরুটিটা তাকে দিয়ে দিলাম। পাউরুটি দেওয়া মাত্রই সে দৌড়ে রেললাইনের ওপারে চলে গেল। কৌতুহল সামলাতে না পেরে আমি সেদিকে তাকিয়ে থাকলাম আর বাকরুদ্ধ হয়ে পৃথিবীর সুন্দরতম একটি দৃশ্য দেখতে লাগলাম। দেখলাম ছেলেটি তার পুরো পাউরুটিটা নিজ হাতে তার মত দেখতে অন্য একটা পিচ্চি ছেলেকে খাওয়াচ্ছে।
যারা বলেন পৃথিবী থেকে ভালবাসা উঠে গেছে তাদের জন্য ভালবাসার এটা একটা চরম উদাহরন।
.
ঘটনা ২:- লাল শাক কিনতে গেছি বাজারে। শাকের আঁটি নিয়ে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ বসে আছেন। ১৫ টাকা এক আঁটি, ১০ টাকায় নেয়া যায় নাকি সেই চিন্তা করছি। ভাবতে ভাবতেই আরেক লোক রিক্সা করে আসল। লোকটার আঙুলে স্বর্ণের আংটি,গলায়ও স্বর্ণের একটা চেন আর খুব সম্ভবত দামি কোন সিগারেট টানছেন।
রিক্সা থেকেই শাকের দাম জিজ্ঞাস করলেন। দাম ১৫ টাকা আঁটি শুনার সাথে সাথে হাকডাক দেয়া শুরু করলেন। শুধু তাই না বাবার বয়সী বৃদ্ধ লোকটার সাথে তুইতুকারি করা শুরু করলেন। এই তোরা কি শুরু করছিস? এক আঁটি শাক ১৫ টাকা হয় কিভাবে? বাজার কি তোরা বাপের সম্পত্তি বানাইছিস? যেমন খুশী তেমন দাম নিবি? এইভাবে আরও অসংখ্য কথ্য অকথ্য ভাষায়। ১৫ টাকা দিয়ে এক আঁটি শাক কিনতে আমার মনে হয় না, সেই ব্যাক্তির খুব বেশী অসুবিধা হবে।
.
এখানের ব্যাক্তিটির সাথে আপনি উপরের ১০-১২ বছরের বালকের তুলনা করুন। দেখতে পারবেন ভালবাসার চরম উদাহরন ও অশ্রদ্ধার,অবজ্ঞার চরম উদাহরন।
আসলে আমরা বোধহয় "গরীবকে আরও গরীব কর, ধনীকে আরও ধনী কর" এই বাক্যকে জীবনের আদর্শ হিসাবে নিয়েছি।
তাইতো যেখানে গরীবরা একটু সহানুভূতি পাবার অধিকার রাখে সেখানে আজ গরীবরাই সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আসলেই!!! কিন্তু আফসোস চোখ থাকতেও আমাদের চিন্তা শক্তিকে আমরা অন্ধ করে রাখি।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: সহমত।
আসলে আপনার মত অত গভীরে কয়জন চিন্তা করে।
আমাদের অত সময় কোথায়।
অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এগুলো আসলে অহরহ ঘটে চলেছে আমাদের আশেপাশে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সবাই সমান হোক এটাই টাই
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অর্থের সুষ্ঠু বন্টনই পারে সমতা ফিরিয়ে আনতে। আর এর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হল সমাজে যাকাত ব্যবস্থার প্রচলন করা।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১
ইমরান আশফাক বলেছেন: হুমম।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আসলেই....
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
মাহিরাহি বলেছেন: অর্থ বৈষম্য কমানোর উদ্যোগটা আসা উচিত রাষ্ট্রের কাছ থেকে।
তার আগে রাজনীতি এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করতে হবে!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এই ধারনা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। এর থেকে বেরিয়ে আসা সত্যিই কষ্টকর। বিকল্প হিসাবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে স্থান দেওয়া হলেও সফলতা আশা করা যায়।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এ ব্যপারগুলো আসলেই ভাবায়...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একটু চোখ কান খোলা রাখলেই এই রকম ভাবনার অনেক উপাদান আমাদের আশেপাশে দেখতে পাবেন।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১
পথহারা মানব বলেছেন: সহমত..কিন্তু নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। রাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নিল এটার জন্য অপেক্ষা না করে আমি আমার আশেপাশের দু:খী মানুষগুলোর জন্য কি করতে পারি এটা নিয়েই বেশী ভাবা উচিৎ।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রথমত, বাচ্চা ছেলের মনে মায়াটাই বেশি থাকবে। কারণ, পরিপক্কতা আসেনি। কষ্টে থাকে ঠিকই - কিন্তু দুনিয়ার কাঠিন্যতা এখনও বুঝতে পারেনি। তাই সে আরেকজনের থেকে খাবার চেয়ে নিয়ে দিয়ে দিতে পেরেছে অন্যকাউকে।
দ্বিতীয়ত, ঐ ধনী ব্যক্তি আসলে ছোট মনের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারবেন হয়তো, সে হুট করে ধনী হয়েছে। তাই তার শরীরের বহিরাবরণে টাকার ঝলকানী। কিন্তু, মনের ভেতরে ধনীত্ব এখনও আসেনি, সেটাই প্রকাশ পায় তার ব্যবহারে। উপরের দিক দিয়ে যতই ধনী হোক, ভিতরে ভিতরে এখনও ছোট মানসিকতাই। তারও পরিপক্কতা আসেনি।
বাচ্চা ছেলেটির পরিপক্কতা আসার পর তার মানসিকতা এমন থাকলে সে আসলেই অনন্য এক মানুষ হবে। কিন্তু, পৃথিবীর কাঠিন্যতা তাকে একটা সময় দ্বিতীয় লোকটির মতই করে দিবে।
হয়তো এটাই সিস্টেম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় না রেল স্টেসনে বসবাস করা কোন বালকের দুনিয়ার কাঠিন্য দেখতে এখনও বাকী থাকার কথা। পরিপক্কতার কথা বললে আমরা পূর্ণ বয়স্ক মানুষ হয়তোবা এখনও ঐ বালকটির চেয়ে অপরিপক্ব যে কিনা দুই তিন দিনের ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও তার চেয়ে ক্ষুধার্ত কাউকে নিজের খাবারটি তুলে দিয়েছে।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
গোফরান চ.বি বলেছেন: গরীবকে আরও গরীব কর, ধনীকে আরও ধনী কর।
ডক্টর ইউনুছ এর মাইক্রো ক্রেডিট সিস্টেম উইল ওয়ার্ক । ধনীরা যাকাত টা একজন গরীব অসহায় কে দিবে । সে ব্যবসা করবে। চুরি করবেনা, টাকা গুলো খেয়ে ফেলবে না , পরিশ্রম করবে, সরকারকে সহযোগিতা করব, আল্লাহর সাহায্য চাইবে। আল্লাহ বরকত দিবে। সরকার কে কর দিবে। সরকার তা আবার জনগণ কে দিবে, কেউ কাউকে ঠকাবে না , দেশ কে ভালবাসবে ।
আসলে সম্পূর্ণ ব্যপার টি মানসিকতার উপর।
ইফ ইউ ট্রাই ইউ ক্যান বি রিচ অনলি ফ্রম আ " টি স্টল" ..।।
একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এটি আমার অভিমত।
সুদ বিহীন লোন নিয়ে অথবা নিঃস্বার্থ ভাবে দান করে আমরা " গরীবকে ধনী করো, ধনীকে অন্যকে ধ্বনি বানাতে অনুপ্রাণিত কর। " এই প্রথা আমরা চালু করতে পারি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সুদ ব্যবস্থার ফলাফলই এটা যে "গরীবকে আরও গরীব কর, ধনীকে আরও ধনী কর"। আর এই বৈষম্য দূরীকরনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হল সমাজে যাকাত ব্যবস্থা চালু করা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কানা-মামার ভাবনা শক্তি