নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"যারা নিজেদেরকে প্রচন্ড মানবতাবাদী মনে করেন তাদের কাছে আবেদন"

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩২

প্রকৃত মানবতাবাদী মানুষদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন।
--আপনি কি আপনার পাশের বস্তিতে থাকা মেয়েটার মাথায় কখনও হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাস করেছেন সে সকালে কি খেয়েছে?
--আপনি যে স্টেসন থেকে প্রতিদিন ট্রেন ধরেন সে স্টেসনের পাঁচ বছর বয়সী ছেঁড়া হাফ প্যান্ট পড়া ছেলেটাকে কি কখনও জিজ্ঞাস করেছেন সে কোথায় থাকে?
--আপনার সিগনালে আটকে থাকা গাড়িতে ফুল বিক্রি করতে আসা পিচ্চি মেয়েটিকে কি কখনও জিজ্ঞাস করেছেন সে স্কুলে যায় কিনা?
--আপনার হাত ধরে ভিক্ষা চাওয়া পঙ্গু ছেলেটাকে কি কখনও জিজ্ঞাস করেছেন যে সে ডাক্তার দেখিয়েছে কিনা?
.
আপনার উত্তর হ্যা কি না তাতে আমার কোন আগ্রহ নেই। কারন দিনশেষে মানবতার বুলি আওড়ানো আপনারাই কোন পথবাসী শিশু আপনার হাতে থাকা পাউরুটির এক টুকরা চাইলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দূর করবেন। কিন্তু সবাই আমার বা আপনার মত না।
কেউ কেউ আছেন যারা নিজের ভাগের খাবারটুকু ঐ বঞ্চিত শিশুদের জন্য তুলে রাখে। নিজের ভালবাসাটুকু ভালবাসার কাঙাল পথবাসী বাচ্চাদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়।
.
এরকম একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই আজকের এই লেখার অবতারণা। লোক না বলে ছেলেটির নাম বলি পারভেজ খান। পিতৃ হারা এই ছেলেটি একশতের অধিক শিশুর পিতার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে "শিশুর জন্য আমরা" সংগঠনকে নিয়ে। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন নিয়ে এক সময় প্রচুর অর্থাভাবে পড়েছিলেন পারভেজ ভাই। ঠিক তখনই এই পারভেজ ভাইয়ের লেখা একটা মেসেজ কোন এক ফেসবুক সেলিব্রেটির কাছে........
"ভাই কেউ আমার বাবুদের ভরন পোষনের জন্য অর্থ যোগান দিতে পারবে? যদি এই অর্থের বিনিময়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটার মালিক হতে চান তবে তাকে মালিকানা দিয়ে দিব। আমার কোন পদ লাগবে না, আমি বিনা পারিশ্রমিকে শুধুমাত্র আমার বাবুগুলোর জন্য কাজ করে যাব। এরকম কেউ কি আছে??
এই ম্যাসেজ খুব নাড়া দিল আমাকে এবং আমার মত আরও কিছু প্রকৃত মানবতাবাদী মানুষকে। খরচের ভার পুরোটা তুলে নিলেন এরকম প্রায় ৫০-৬০ জন ডোনার। এখন যে কার্যক্রম গুলো চলছে তা পারভেজ ভাইয়ের ভাষায় উল্লেখ করি.....

"সংগঠনকে বুঝতে চাইলে পড়ুন,পর্ব-১
আমরা সংগঠনের শিশুদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সেবাকে অনেক বেশি কার্যকরী করতে শিশুদের প্রধান ২ ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। ভাগ দুটো হলো দরিদ্র এবং পথবাসী শিশু। দরিদ্র বলতে আমরা এমন শিশুদের বুঝাই যারা ঘরে থাকে, অভিভাবক ( মা/ বাবা/ অন্যকেউ) শ্রমজীবী যাদের কোন নির্দিষ্ট পেশা নেই। পথবাসী শিশু বলতে আমরা পরিবার বহির্ভূতভাবে বেচে থাকা শিশুদের বুঝিয়ে থাকি। এই পর্বে দরিদ্র শিশুদের নিয়ে আমাদের কার্যক্রম উপস্থাপন করছি। আপনারা পরামর্শ প্রদান করবেন।

আপনারা অবগত আছেন আমরা ১০০ শিশু নিয়ে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা সংগঠনকে প্রতিটা শিশুর কাছে পরিবারের মতো করে উপস্থাপন করছি। আমরা শিশুদের আদর করছি, শাষণ করছি। একটা পরিবার ঠিক যেমন তার সাধ্য অনুযায়ী ভরণ পোষণ করে ঠিক তেমনি আমরা পরিবারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিশুদের সেবা দিচ্ছি। যে সব শিশুর পরিবার নেই তাদের ভিন্ন পদ্ধতিতে সেবা দিচ্ছি আমরা। পরিবার আছে এমন শিশুদের প্রত্যেকেই অতি দরিদ্র। তারা শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার চেয়ে খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাটাই করে থাকে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এটাও নূন্যতম ভাবে করা পরিবারের জন্য প্রায় অসম্ভব। তারা কাজের খোজে সকালে বের হয় রাতে আসে, মাঝের সময়টাতে শিশুরা ছন্নছাড়া অবস্থায় ঘুরাঘুরি করে। সংগঠন ঠিক এখান থেকেই কাজটা শুরু করে। আমরা শিশুদের স্কুলে যেতে উদ্ভুদ্ধ করি। তারপর স্কুলে ভর্তি করি। এখন তারা নিয়মিত স্কুলে যায় কিনা, হোমওয়ার্ক করে স্কুলে যায় কিনা তা এটা খেয়াল রাখি আমরা। এ কাজটা সূচারুরুপে করতে আমরা স্কুলের শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে থাকি। আমরা নিয়মিত স্কুলে যেয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে থাকি। সমস্যা ফাইন্ড আউট করে শিক্ষকদের সাথে সমন্বিত ভাবে কাজ করি। বাসায় বসে স্কুলের হোমওয়ার্ক যেনো ঠিক মতো করে নিয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সকালে এবং সন্ধ্যায় বস্তিতে গিয়ে ইন্ডিভিজুয়ালী প্রত্যেক শিশুকে পর্যবেক্ষণ এবং উদ্ভুদ্ধ করে থাকি। এখানে আমরা সমন্বয় করি অভিভাবকের সাথে। শিশুদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে থাকি। চাহিদা বলতে কিন্তু চাওয়ার সাথে সাথেই আমরা সব দিয়ে দিচ্ছিনা বরং পূর্বে শিশুকে সরবরাহ করা উপকরণ রিপোর্ট দেখে এবং পূর্বে সরবরাহকৃত উপকরণের ব্যবহার দেখে নতুন উপকরণ সরবরাহ করে থাকি। আমরা অভিভাবকের সাথে কথা বলি, শিশুদের উদ্ভুদ্ধ করি যেনো অপচয় না হয়। আমরা এতোটা পরিমানে সরবরাহ করিনা যাতে একটা শিশু কোন কিছু পাওয়াকে সহজ মনে করে।

আমরা শিশুদের নূন্যতম ভাবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ সরবরাহ করে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা কেবল তাদের স্বাস্থ্য সম্মত চলাচলে অভ্যস্থ করতে কাজ করছি। তাদের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করছিনা। সকালে ও রাতে দাতব্রাশ, টয়লেটে যাবার সময় জুতা পায়ে যাওয়া, বের হয়ে হাত ধোয়া, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, মাথায় সেম্পু ব্যাবহার করা, নিয়মিত গোসল করা, পরিপাটি থাকা এসব করছি। তারা অসুস্থ হলে পরিবারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি নিয়মিত শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন আয়োজনের আর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত চেকাপ করানো। দেখুন এখানেও আমরা পারিবারিক আবহ তৈরির চেষ্টা করছি।

আমরা শিশুদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে তাদের সাথে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহ উৎযাপন করে থাকি। শিশুদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে, তাদের মাঝে স্বপ্নকে জাগিয়ে তুলতে, নৈতিক জ্ঞানে বলিয়ান করতে প্রতি সপ্তাহে আমরা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকি।
- ধন্যবাদ"
.
এবং ২য় পর্ব
সংগঠনকে বুঝতে চাইলে পড়ুন, পর্ব- ২

আমরা সংগঠনের শিশুদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সেবাকে অনেক বেশি কার্যকরী করতে শিশুদের প্রধান ২ ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। ভাগ দুটো হলো দরিদ্র এবং পথবাসী শিশু। দরিদ্র বলতে আমরা এমন শিশুদের বুঝাই যারা ঘরে থাকে, অভিভাবক ( মা/ বাবা/ অন্যকেউ) শ্রমজীবী যাদের কোন নির্দিষ্ট পেশা নেই। পথবাসী শিশু বলতে আমরা পরিবার বহির্ভূতভাবে বেচে থাকা শিশুদের বুঝিয়ে থাকি। এই পর্বে পথবাসী শিশুদের নিয়ে আমাদের কার্যক্রম উপস্থাপন করছি। আপনারা পরামর্শ প্রদান করুন।

আমরা পথকে পথশিশু মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের ইচ্ছা শিশুদের পরিবারে ফেরত পাঠানো। এ লক্ষ্যে কাজ করতে আমরা পথশিশুদেরও দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। যাদের অভিভাবক আছে এবং যাদের অভিভাবক নেই।
....
কার্যক্রম বিস্তারিতঃ

সকল পথবাসী শিশুর ক্ষেত্রেঃ
.
১। আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত এলাকায় নিয়মিত অবস্থানরত শিশুদের তালিকা তৈরি।
২। এলাকায় নতুন শিশুর উপস্থিতি, অবস্থানকাল পর্যবেক্ষণ, তালিকায় যুক্তকরণ।
৩। নিয়মিত তাদের খুজ খবর নেয়া, তাদের সাথে সময় অতিবাহিত করা।
৪। ঐ এলাকায় সংগঠন পরিচালিত স্কুলিং কার্যক্রমে শিশুদের উপস্থিত হতে উদ্ভুদ্ধ করা।
৫। স্কুলিং এ উপস্থিত হওয়া শিশুদের প্রণোদনা প্রদান।
৬। শিশুদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ।
.
পরিবার/ অভিভাবক আছে এমন শিশু ক্ষেত্রেঃ
.
৭। তথ্য সংগ্রহের পর পরিবার/ অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ।
৮। পরিবারের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ।
৯। শিশুর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণে অভিভাবককে উদ্ভুদ্ধকরণ।
১০। অভিভাবক সম্মত হলে শিশুকে পরিবারে ফেরত পাঠানো।
১১। পরিবারকে সহযোগীতা প্রদান।
১২। পরিবারকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা।
১৩। শিশুকে পথবাসী শিশু থেকে দরিদ্র সুবিধাভোগী হিসেবে নিবন্ধণ করা।
১৪। দরিদ্র সুবিধাভোগী শিশুর জন্য সংগঠন নির্ধারিত যাবতীয় সেবা প্রদান।
.
পরিবার/ অভিভাবক নেই এমন শিশুর ক্ষেত্রেঃ
.
১৫। তথ্য সংগ্রহের পর অভিভাবক পর্যায়ের কাউকে খুজে বের করা।
১৬। অভিভাবকের লিখিত সম্মতি এবং শিশুটি যে এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছে সে এলাকার স্থানীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শিশুকে সরকার অনুমোদিত শিশু পূর্নবাসন কেন্দ্রে প্রেরণ।
১৭। পরবর্তীতে শিশুর যাবতীয় বিষয় সংগঠন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে এবং পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় সাধন করবে।
.
পূর্ণবাসন কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছুক নয় এমন শিশুর ক্ষেত্রেঃ
১৮। সংগঠন এমন একটি পাঠ্যসূচি প্রনয়ন করবে যাতে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে শিশু বেসিক শিক্ষা অর্জন করতে পারে। সেই সাথে শিশুকে কারিগরী শিক্ষা প্রদান করা হবে।
১৯। শিশু তার শিশুকাল অতিক্রমের পর এবং কাজে দক্ষ হয়ে উঠার পরে সংগঠন তার কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেবে।

সবার অবগতির জন্য বলছি, আমরা বর্তমানে কেবল ৬ নং পর্যন্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছি। ৭ ও ৮ নং নিয়ে কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। ১৬, ১৮ ও ১৯ নং নিয়ে আরো বিস্তারিত পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। আরো কিছু পয়েন্ট যুক্ত হবে। আমরা অভিজ্ঞ না। আমরা চেষ্টা করছি। কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। সঠিক ওয়েটা খুজে বের করতে পড়াশুনা করছি, বুঝার চেষ্টা করছি কোন পদ্ধতিটা বেশি কার্যকরী হবে। অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করছি। আমি তো এটা চাই যেনো সেবাটা বিফলে না যায়।

পরিশেষে এটাই বলতে চাই কি করতে পারছি না পারছি এটা বড় কথা না। খুব শান্তিতে রাতে ঘুমাতে যাই যখন দেখি আমার এক টাকায় একটা চকলেট পেয়ে বাচ্চাগুলো আনন্দে উদ্বেলিত হয়। ভরসা করে বসে থাকে কালকে ভাল কিছু খেতে পারবে শিক্ষার অধিকার পাবে। বুঝতেই পারছেন সংগঠনটা নতুন তাই সবার কাছে সাহায্যপ্রার্থী। যোগাযোগ করতে পারেন যেকোন পরামর্শ বা সহযোগীতার জন্য :-
"শিশুর জন্য আমরা"
-পারভেজ খান
অফিসঃ ডি- ৫৬/৭ মোড়ল ভিলা ( ৫ম তলা), মধ্যছায়াবিথী, গাজীপুর সদর - ১৭০০, গাজীপুর।
- 01799642434

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

খুবই ভালো প্রচেস্টা; লেখার শুরুটা ভালো নয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: শুরুটা তাদের গায়ে লাগার জন্য যারা মুখে মানবতার বুলি কপচানোকেই নিজের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করে। আর তাদের কাছেই জিনিসটা খারাপ লাগবে যাদের উপরের প্রত্যেকটা উত্তর হবে "না" বোধক। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনি "না বোধক" দলের অন্তর্গত নন।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
শুরুর দিকের প্রশ্নের উত্তরঃ

বস্তির মেয়ের মাথায় হাত বুলানো ছাড়া বাকি সবই মাঝে মাঝে করা হয়। মাঝে মাঝে করা হয় না। নির্দিষ্ট কোন উত্তর মনে হয় না কেউই দিতে পারবে। অবশ্য ভাব নেওয়ার জন্য দিলে আলাদা কথা।

আপনাদের উদ্যোগ ভাল। এরকম আরো কয়েকটা সংস্থা আছে। ওগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন - সাহায্য বা বিশ্বাস অর্জনের জন্য। মানুষ এমনে টাকা অপচয় করলেও - এইসব সাহায্যের ক্ষেত্রে খতিয়ে না দেখে করে না।

আমারও একটা পরিকল্পনা আছে অবশ্য। সফল হলে সেটা প্রকাশ করব। তার আগে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা নিচে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি সাহায্য করতে আগ্রহী হয় তবে অবশ্যই নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। এটা আমি দায়িত্ব বলে মনে করি। আর আপনাকেও ধন্যবাদ অসহায় বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

রাশেদ রাহাত বলেছেন: শুরুটাতে ভালোই ঝাটাপেটা করেছেন। এনজয়এবল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ঝাঁটাপেটায়ও যদি কারও বোধ জাগ্রত হয়, তবে ক্ষতি কি??

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

মাজুবিবি বলেছেন: ওয়াউ!! ঠিক এমন একটি লেখা আশা করিছলাম। আমার শশুরবাড়ি পিরোজপুর জেলার কোন এক থানায় অবস্থিত। আলোর পাশে অন্ধকার। এটা শতভাগ খাঁটি প্রমানিত এখানে। আমার শশুরের ছেলে মেয়েরা সবাই ই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু এই ঘরের পাশের ঘরে শিক্ষার আলো পৌছায়নি। আমি ওই বাড়িতে গিয়ে অবাক হয়েছি। ওখানকার ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় না। কেউ গেলেও তৃতীয়- ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলে যায় না এবং অবিভাবকদের এ নিয়ে কোন ভাবনা নাই। সকাল বেলা ৭-৮ বছরের বাচ্চারা চাড়া খেলতে (মাটির পাতিলা ভেংগে টুকরা গুলো ত্রিভুজ আকৃতির করে সামনের দিকে থ্র করে এক প্রকার খেলা) লেগে যায়। আমার মাথা আউলাইয়া যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এরা কোথায় পড়ে আছে। মাথায় ঘুর পাক খাইতেচ্ছে কী করে আমি এদের এখান থেকে তুলে আনতে পারি। আমার স্বামীর সাথে এব্যাপারে আলোচনা করেছি। কোন পরিকল্পনায় আগাতে পারি? দয়াকরে আমাকে িকছু নির্দেশনা দিন। যেহেতু আপনি কিছুটা আগাইয়া আছেন। বিশেষ করে মা-দের কীভাবে মটিভেট করতে পারি? এবং বাচ্চাদের কীভাবে উৎসাহিত করতে পারি? যাতে ওরা নিয়মিত স্কুলে যায়। এটাকে কোন সামাজিক কাজ বলে আমার মনে হয় না। এটা স্রেফ আমার দায়িত্ব। তাই কোন আর্থিক সাহায্য নয় শুধু সঠিক নির্দেশনা চাচ্ছি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পরামর্শ বলতে গেলে এখানে প্রথমে অনেকগুলো জিনিস পরিষ্কার হতে হবে। প্রথমত আপনি কি আপনার শ্বশুর বাড়িতে সার্বক্ষণিক ভাবে অবস্থান করেন? ঐ এলাকায় স্কুল কি খুব কাছাকাছি অবস্থিত? আর যে পরিবারের কথা বলছেন তারা কি দরিদ্র? উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যা হয় তবে আমার মতে আপনাকে প্রথম যে কাজ করতে হবে তা হল সেই অভিভাবকদের শিক্ষার সুফল বোঝাতে হবে,মায়ের শিক্ষার অভাবে সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিনতি হতে পারে এটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে হবে। এই কাজটায় প্রধান। এরপরে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে খুব কাছের কোন স্কুলে ভর্তি করাবেন, সরকারি বা বিনা খরচে পড়ানো যায় এরকম স্কুলে। এরপরে শুরু হবে আপনার কাউন্সিলিং বাচ্চাদের লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত করা, তাদের লেখাপড়ার নিয়মিত খোঁজ নেওয়া, তাদের লেখাপড়ার সাফল্য তাদের অভিভাবকদের কাছে বর্ননা করা, আর অবশ্যই তাদের অভিভাবকদের সর্বদা উৎসাহ দিতে হবে যেন লেখাপড়া বন্ধ না করে দেয়।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

মাজুবিবি বলেছেন: আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ না। আমি ঢাকায় থাকি এবং সরকারী চাকুরী করি। আমার অবাদ সময়ের সীমাবদ্ধতা আছে। বাকীগুলাে হ্যাঁ। আমি আগামী ২৭-১০-১৬ তারিখ বাড়িতে যাচ্ছি ইনসাল্লাহ! এই মিশন নিয়ে।
আমার পরিকল্পনা- যারা স্কুলে ভর্তি আছে তারা যাতে আগামী বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে, সে ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাথে আলাপ আলোচনা করা। যারা ৫ম শ্রেনীতে অর্তীন্ন হোয়ার কথা তাদের অবস্থা বেশী দুর্বল হলে প্রমোশন না দিয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে রেখে দেওয়। স্কুলগামী মাদের ডেকে এক জায়গা করে তাদের বুঝান যে তার সন্তান তারই সম্পদ।

আগামী জানুয়ারী থেকে ইনসাল্লাহ নতুন করে আপনাদের পরামর্শ নিয়ে কার্যক্রম গ্রহন করব। এতে যারা ৫ম ও ৮ম শ্রেনীতে যাবে জন্য আলাদা করে কচিং এর ব্যাবস্থা লাগলে তাও করব।

ও আপনার এই মহৎ উদ্দোগের জন্য ধনবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম মহৎ উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। কিছু মানুষ এগিয়ে আসলেই প্রত্যেকটা এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.