নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মহাসুখের খোঁজে/ক্ষনিকের ডায়েরী-৫"

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

আবার ফিরে আসলাম অনেকদিন পর আমার নিয়মিত "ক্ষনিকের ডায়েরী" নিয়ে।
.
আমি ছেলেটা খুব চুপচাপ, অনেকটা মুখচোরা স্বভাবের। কথা খুব কম বলতেই পছন্দ করি পরিচিত কারও সাথে হোক কিংবা অপরিচিত। তবে এটা নিয়ে আমার কোন আফসোস নেই। আল্লাহ সবাইকে একরকম করে বানান না। আল্লাহ আমাকে যেভাবে তৈরি করেছেন তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। যাই হোক মুল কথায় আসি এবার একটা উইন্টার ভ্যাকেশন পেলাম প্রায় ১৫ দিনের। চট্টগ্রামে চলে আসলাম ছুটির পুরোটা সময় রেস্ট নিতে। চট্টগ্রামে এসে দুইটা মহাসুখের সন্ধান পেলাম। সেগুলোই শেয়ার করব আপনাদের সাথে......

মহাসুখ ১
আমি কখন বাসায় আসছি এটা আগে থেকে কাউকে জানায়নি। না জানিয়েই ক্যাম্পাস থেকে রওয়ানা দিয়েছি।
ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট তারপর হাসপাতাল গেট।
দেওয়ান হাট টু হাসপাতাল গেট দশ থেকে পনের মিনিটের পথ অথচ এটাই লেগে গেল প্রায় এক ঘন্টা।
শেষ পর্যন্ত বাসায় আসলাম। আসার সাথে সাথে আমার একদম ছোট বোন তামান্না ক্লাস ফাইভে পড়ে, মামুন ভাইয়া মামুন ভাইয়া বলতে বলতে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমিও তাকে জড়িয়ে ধরলাম। শুধু আমার ছোট বোন না আমার পিচ্চি দুই ভাগ্নি আর ভাগ্নাও আমার কোলে উঠে গেল। ভাগ্নাকে আগে কোলে না নিয়ে ভাগ্নিকে আগে নিয়েছি এই দেখে আমার দুই বছরে ভাগ্না নিহাল মুখ কালো করে ফেলল। শেষে দুইজনকে একসাথে কোলে নেওয়ার পর সব শান্তি। এই হল আমার মহাসুখ।আমার স্বর্গীয় সুখ।
পিচ্চি দুইটাকে আর বোনটাকে বুকের সাথে চেপে ধরে আলহামদুলিল্লাহ বললাম মনে মনে কয়েকবার।

মহাসুখ ২
চট্টগ্রামের আকমল আলী রোডের এক মাহফিলে গেছি। মাহফিল থেকে বাসায় এসে আব্বু আর আমি এশার জামা'আতে দাঁড়িয়েছি। আব্বুর ইমামতিতে নামায পড়ছি। এমন সময় পাশের রুম থেকে দুই বছরের ভাগ্না নিহাল দৌঁড়ে আসল। তখন আমরা প্রথম সেজদাহ তে আছি। আব্বু দেখি সেজদাহ থেকে আর উঠছে না। বুঝতে পারলাম আমার ভাগ্না নিহাল তার নানু ভাইয়ের পিঠে উঠে বসে আছে। নিহাল যখন আব্বুর পিঠের উপর থেকে নামল তখন আব্বু সেজদাহ থেকে মাথা উঠালেন। এরপরের সেজদাহতেও একই ঘটনা তবে এবার নিহাল উঠেছে আমার পিঠে। পিঠে উঠে জোরে জোরে আল্লা আব্বার! আল্লা আব্বার! বলে চিৎকার করছে।
কিছুক্ষণ পরে নিহাল আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের নামাযকে নকল করার চেষ্টা করছে। আব্বুর সাথে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সময় এই সৃষ্ট অনুভূতিগুলো আমার কাছে মহাসুখ। আমার স্বর্গীয় সুখ। নামায শেষে নিহালকে কোলে নিয়ে বেশ কয়েকবার মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বললাম।

আল্লাহ এভাবেঈ সম্পর্কগুলোর মাঝে জান্নাতের সুখ লুকিয়ে রাখেন। সম্পর্কগুলোর যথাযথ মর্যাদা দিতে পারলেই এই মহাসুখের সন্ধান পাওয়া যায়। যেটা লাখ লাখ কিংবা কোটি কোটি টাকায় পাওয়া যায় না। শিশুদেরকে এমন একটা পরিবেশে রাখুন যেখানে সে তার আব্বু, আম্মু আত্নীয় স্বজন সবাইকে নামায পড়া, কোর'আন পড়া দেখতে দেখতে বড় হবে। সে বড় হবে সম্পর্কগুলোর মধুর বন্ধন দেখতে দেখতে। ইন-শা-আল্লাহ উত্তম প্রতিদান পাবেন।
আল্লাহ আপনার কাছে একটাই চাওয়া আমি যেন আমার সন্তানকে এরকম একটা পরিবেশ দিতে পারি।

ক্ষনিকের ডায়েরী
পর্ব - ৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য। এভাবেই জানালাম মনের কথা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.