নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"জীবনের কিছু অসাধারন মুহুর্ত/ক্ষনিকের ডায়েরী-০৬"

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

(আলহামদুলিল্লাহ্‌ ২০১৬ এর শেষের দিকে শুরু করা ক্ষনিকের ডায়েরী আজ ৬ষ্ঠ পর্বে উপনীত হয়েছে। আপনাদের সহযোগীতা থাকলে আরও বেশ কয়েক পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে ইন-শা-আল্লাহ)
.
একসময় প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকতে খুব ভাল লাগত। কখনও এমন হয়েছে যে আমি ফযরের সালাতের পর বারান্দায় সবুজ ঘাসের দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে বসে আছি আর মা চা দিয়ে গেছে। খেয়াল হওয়ার পর চা খেতে গিয়ে দেখি পুরো চা ঠান্ডা। এটা ছিল খুব ছোটবেলার কথা। এরপর আস্তে আস্তে বড় হলাম।
.
এরপর যখন একটু বড় হলাম। কোর'আন পড়া শিখলাম তখন ভাল লাগত আমার চেয়ে ছোট বাচ্চাদের কোর'আন পড়া দেখতে। এরকমও হয়েছে বাচ্চাদের কোর'আন পড়া শুনে কিছুক্ষণের জন্য থ হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছি। এরকম ঘটনা একবার ঘটেছিল তখম ফাইভ কি সিক্সে পড়ি। মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করতাম সাইকেলে। একবার খুব সকালেই সাইকেল নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম। একটা মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকগুলো বাচ্চার চিৎকার করে কোর'আন পড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। কোর'আনের আয়াত কানে প্রবেশের পর কি হল বুঝতে পারি নি। ব্রেকে হাত দিয়ে থমকে দাঁড়ালাম আর মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতে লাগলাম তিলাওয়াত। রক্তে কেমন একটা স্রোত বয়ে গেল তখন।
.

.
আরেকটা দৃশ্য দেখলাম কিছুদিন আগে। টিউসনি থেকে ফিরছি আসরের কিছু পরে। দেখলাম এক ঝাঁক পিচ্চি পিচ্চি ছেলে রাস্তা পার হচ্ছে। প্রত্যেকের গলায় লাল কাপড়ে মোড়ানো কোর'আন ঝুলানো আর হাতে রেহাল। ঠিক তখনই আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকটা পিচ্চির রাস্তা পার হওয়া দেখলাম। প্রত্যেকটা পিচ্চি রাস্তা পার হওয়ার পর আমি ঐ স্থান ত্যাগ করলাম।
.
জানি না কেন এই দৃশ্যগুলো খুবই ভাল লাগে। পাঁচ সাত বছরের একটা পিচ্চি মেয়ে রেহালের উপর রাখা বিশাল সাইজের একটা কোর'আন ঝুকেঁ ঝুকেঁ পড়ছে এরচেয়ে দামী এরচেয়ে পবিত্র দৃশ্য বোধহয় আমি দ্বিতীয়টি পাব না। কি মধুর তাদের কন্ঠ! কতটা মায়া, দরদ এই কন্ঠে!
.
আল্লাহকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞাস করতে ইচ্ছা করে হে! আল্লাহ কিভাবে কালো কালির কিছু লেখার ভিতর এত মায়া থাকতে পারে? কিভাবে একটা কিতাব একটা মানুষকে থমকে দিতে পারে? কিভাবে কতগুলো লেখা পড়ে মানুষের চোখে পানি আসতে পারে।?
মন উত্তর দিয়ে দেয় হে আল্লাহ! আপনি মহান, আপনার প্রদত্ত কোর'আনুল কারীম মহান।
.
ক্ষনিকের ডায়েরী
পর্ব -৬

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: যখনি কোরআন তেলাওয়াত শুনি, বিশেষ করে সুন্দর ভরাট গলায়, ভেতরটা যে কেমন করে এটা ঠিক বলে বোঝানোর মত নয়। মনে এই যে দুনিয়ার পেছনে ছুটছি আবিরাম। এমন একটা ভাব যেন আমি সহসা মরবো না। সব তুচ্ছ লাগে যখন কোরআন তেলাওয়াত শুনি।
একটা ঘটনা বলি, একবার সায়েন্স ল্যাবের সিগনালে বাসে বসে আছি। শুক্রবার, জুমার নামাজের মুসল্লিতে শাহবাগ-এলিফ্যান্ট রোড পুরো ভরা। মোবাইলের হেডফোনে মনে হয় তেলাওয়াত শুনছিলাম সেটা বন্ধ করেছি মাইকে ইমামের তেলাওয়াত শুনে। এর পর
সব মুসল্লি যখন একসাথে রুকুতে গেলেন কেন যেন সেই সময় আমার চোখে পানি চলে আসছিল। মনে হচ্ছিল কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছি সব-ই তো তুচ্ছ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.