নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"এরকম মানুষের সাথে কি আমরা পরিচিত???"

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মানবতা এটা আবার কি?বুঝা যাচ্ছে মানবিয় কোন অনুভুতি।কিন্তু এটা কাদের জন্য?এটা কি এক শ্রেনীর মানুষের জন্য নাকি সর্বস্তরের মানুষের জন্য?দুইটা ঘটনা শেয়ার করি........
.
ঘটনা:-১
ডাক্তার শানজিদা আক্তার পাঁচ বছর হল ডাক্তার হয়েছেন। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এক সংগ্রামী মেয়ে। এই মাত্র হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরছেন।বাড়ি এসে ঘরের দরজা নক করলেন। সাথে সাথে চিৎকার শুরু হয়ে গেল আম্মু এসেছে আম্মু এসেছে।মুচকি হাসি দিয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন। ঘরে প্রবেশে করা মাত্রই ১১ টা বাচ্চা শিশুর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল কে কার আগে মায়ের কোলে উঠতে পারে। শানজিদা দুই হাতে, ঘাড়ে, মাথায় পিঠে যেভাবে যে কয়জনকে পারলেন তুলে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।একটা বাচ্চা এখনও হাঁটতে শিখে নি তাই দোলনায় বসেই মা কাছে আসার অপেক্ষা করছে।
.
এই ১২ টা শিশুর মা বাবা সবই এই শানজিদা।যদিও শানজিদা এখনও অবিবাহিত।এই শিশু গুলোর কারও কারও মা হয়তোবা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে আবার কাউকে কাউকে তার বাবা মা জন্মের পরে রাস্তায় ফেলে গেছে।কিন্তু সবার আশ্রয় হয়েছে শানজিদার ছোট্ট এই ঘরে।এরা শানজিদা নিজে যে হাসপাতালে কাজ করেন সেখানের কিছু শিশু, কিছু ছিল রাস্তার টোকাই। এখানে আর কিছু পাক না পাক বাচ্চাগুলো অফুরন্ত আদর ভালবাসা পাচ্ছে তাদের মায়ের কাছ থেকে এই বা কম কিসের?
.
ঘটনা:-২
সাহেদ সিরাজগঞ্জ জেলার কোন এক প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে।বাবাকে কৃষি কাজে সহায়তার পাশাপাশি নিজের লেখাপড়া ভালই চালিয়ে নিচ্ছিল। এমনকি এস এস সিতেও অসাধারন ফলাফল করল। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল এইচ এস সি তে। তার বাবার পক্ষে ইন্টারে লেখাপড়ার খরচ বহন করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।সাহেদ লেখাপড়া করবে না বলে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলল। ঠিক তখনই সে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন নামক এক সংস্থার খবর পেল।যারা দু:স্থ অসহায় কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে থাকে।সে তাদের সাথে যোগাযোগ করল এবং আজকে সাহেদ একটা সনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
.
ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন এরকম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে।তারা ইন্টারে অধ্যায়নরত বা যারা অর্থের অভাবে কলেজে পড়তে অক্ষম তাদেরকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে,বই খাতার খরচ বহন করে এবং সবশেষে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দেয়।আর এই পুরোটা সময় তারা এই সকল শিক্ষার্থীদের বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষা দান করে থাকে।সম্পুর্ন নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতায়।
.
উপরের দুইটা কাজকে আপনি কিভাবে সঙায়িত করবেন?এটা কি মানবতার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরন নয়?এটা কি "মানুষ মানুষের জন্য" কথাটিকে সমর্থন করে না??
আমার কাছে এটাই মানবতা।যে অভ্যাস অন্য মানুষের উপকারে লাগে সেই অভ্যাসই তো মানবতা। এরকম অভ্যাসের অধিকারী আমরা কয়জনই বা হতে পেরেছি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৩

সুমন কর বলেছেন: এটাই মানবতা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ঠিক তাই......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.