নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অনুগল্প"

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

এক সময় আমিও গল্প লিখতাম........!!!!!
.
"মধুর অপেক্ষা"
.
ডাক্তার রফিকউদ্দিনের মেজাজ সকাল থেকেই চড়ে আছে। একে তো সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেছে।তার উপর সকালের নাস্তায় তার স্ত্রী নাতাশা এক গ্লাস দুধ দিয়েছে। এই মেয়েটাকে বিয়ের এক বছরের মাথায়ও বুঝানো গেল না যে দুধ তার দু চোখের বিষ। অনেক বকাঝকা করেছে আজ সে নাতাশাকে।এতটাই বকেছে যে নাতাশা রাগে,কষ্টে কোন শব্দই করতে পারে নি।পুরোটা সময় থ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।তারউপরে হুজুরের পড়ে দেওয়া দুধ এটা স্বামীর পেটে মাঝে মাঝে অম্বলের সমস্যা দুর করার জন্য নাতাশা এটা এনেছে। এসব না শুনেই বেরিয়ে গেল রফিকউদ্দিন।
যেদিন কপালে ফাড়া থাকে সেদিনটা ফাড়ার উপর দিয়েই কাটে।
এদিকে ড্রাইভারেরও নাকি আজ জ্বর। নবাবজাদা আজকে আসতে পাড়বে না।এখন রফিকউদ্দিনকে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
.
দিনটা খারাপ ভাবে শুরু হলে যা হয় আরকি। হাসপাতালেও রোগী নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হল রফিক উদ্দিনকে। দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে রাতে বাড়ি ফিরলেন ডাক্তার রফিক। আজ অবশ্য একটু দেরী হয়ে গেছে। দরজা নক করার সাথে সাথে কালামের মা দরজা খুলে দিল। যদিও রফিক সাহেব প্রতিদিনের মত আশা করেছিলেন খোলা দরজার অপর প্রান্তে নাতাশার মুখটা দেখতে পাবেন।
ঘরে ঢুকে সব জায়গায় স্ত্রীকে খুঁজলেন কিন্তু কোথাও পেলেন না। পাশের ফ্ল্যাটে গেছে মনে করে বাথরুমের দিকে হাটা দিলেন। ঘরে ফিরেই রফিক সাহেবের কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোসল করা অভ্যাস।বাথরুমের দরজায় টেপ দিয়ে লাগানো কাগজের টুকরায় রফিক সাহেবের দৃষ্টি আটকে গেল। সেখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা আমি বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছি আমার সাথে কোনরুপ যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না।
আরেকটা কাগজে লেখা কালামের মাকে বলে দিয়েছি তুমি আসার সাথে সাথেই যেন কুসুম কুসুম গরম পানি, তোয়ালে, তোমার ট্রাউজার বাথরুমে রেখে আসে। তাড়াতাড়ি গোসল করে নিবে।
রফিক সাহেবের মনটা হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে গেল। সকালে নাতাশার মুখে কিছু না শুনেই এরকম বকাবকি করা ঠিক হয় নি।
প্রচন্ড খিদাও লেগেছে তাই ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলেন। ডাইনিং টেবিলে তার প্রিয় খাবার টমেটো দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল আর মলা মাছের চচ্চড়ি রেডি করা আছে।
খাওয়ার সময় হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়া তার একটা অভ্যাস। ফ্রিজ খুলে খাবার পানি বের করতে যাবেন তখন দেখলেন ফ্রিজের দরজায় কাগজের টুকরায় লেখা ফ্রিজ থেকে বোতল বের করেই পানি খাওয়া শুরু করবে না কিছুক্ষন বাইরে রেখে তারপর খাবে।
.
কিছু না খেয়েই রফিক সাহেব খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে পড়লেন। এখনই তাকে যেতে হবে কারন তিনি জানেন। এই খাবার তার গলা দিয়ে নামবে না। এমনকি তার স্ত্রী নাতাশাও আজ সারারাত কিছু খাবে না।
.
নাতাশা বাপের বাড়িতে এসে মনমরা হয়ে বসে আছে সকাল থেকে আর রাত হওয়ার অপেক্ষা করছে। ঠিক সন্ধ্যা হওয়ার কিছু আগে রান্না শুরু করেছে টমেটো দিয়ে টেংরা মাছের ছোল আর মলা মাছের চচ্চড়ি। কারন নাতাশা জানে পাগলটা তাকে ছাড়া সব কিছু করতে পারলেও তাকে না খাইয়ে নিজে খেতে পারে না।ডাইনিং টেবিলে বসে আছে আর মাকে বলছে আর পাঁচ মিনিট পড়েই দরজা খুলে দিও।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সম্পর্ক এমন হলে মাঝেমধ্যে রাগারাগি করায় যায়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: রাগারাগি বা মৃদু খুঁনটুসি ছাড়া সম্পর্ক লবণ ছাড়া তরকারির মত, মনে হয়।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৩

ওমেরা বলেছেন: মধুর অপেক্ষা মধুর মতই লাগল।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এ ধরনের সম্পর্কগুলো দেখতেও ভালো লাগে।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাহঃ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহা বেশ বেশ ---

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.