নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করেন। এবং সেইসাথে নিয়মিত :-
১. প্রেম নামক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে বা সরাসরি সময় ব্যায় করেন।
২. নিয়মিত ধুমপান বা গঞ্জিকা সেবন না করলে আপনার রাত অতিবাহিত হয় না। তাই ভাতের চেয়ে বেশী ধুমপান করেন।
৩. সুযোগ পেলে কোন ইভেন্টের কিছু টাকা মেরে খেয়ে ফেলেন যদিও জানেন এই টাকার অধিকার আপনার নেই।
৪. জানেন সৎ পথে থেকে কমিশন অফিসে গিয়ে কাজটা করিয়ে নিতে গেলে প্রচুর সময় লাগবে তাই মামাকে অতিরিক্ত একশ টাকা দিয়ে কাজটি খুব দ্রুত করিয়ে নেন।
৫. পিতা মাতার সাথে দুর্ব্যবহার করা নিষিদ্ধ জেনেও বন্ধুদের সামনে নিজের স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য মায়ের সাথে একটু খারাপ ব্যবহার করেন।
।
তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনার সলাত আল্লাহর নিকট কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু যেখানে আল্লাহ বলেছেন
"সলাত প্রতিষ্ঠা কর। নিশ্চয়ই সলাত (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখে।" [১]
এখন চিন্তা করুন যে সলাত আপনাকে খারাপ কাজ হতে বিরত রাখতে পারছে না সেই সলাত কতটুকু আল্লাহ কবুল করবেন? সলাত আদায় করার সাথে সাথে যদি খারাপ কাজগুলোও নিয়মিত চালিয়ে যান তবে আল্লাহর উপরোক্ত কথাটিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়ে যায়, তাই নয় কি?
।
এবার এক মুসলিমা বোনের কথা বলব যিনি খ্রিষ্ট ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সেই বোনের ভাষাতেই লেখি "কোর'আন এবং বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট, নিউ টেস্টামেন্ট ভালোমত যাচাই বাছাই করে ইসলামের প্রতি আকর্ষন অনুভব করা শুরু করলাম। ফেসবুকে কয়েকজন আপুর কাছ থেকে টুকটাক সলাত আদায়ের নিয়মাবলী শিখলাম। কিন্তু আম্মুও খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী হওয়াই বাসায় সলাত পড়ার সুযোগ পেতাম না। তাও লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়ার ভান করে বসে বসে সলাত আদায় করা শুরু করলাম।জীবনে প্রথম যেদিন সলাত আদায় করেছিলাম সেদিন প্রথম সিজদাহতে যাওয়ার পর আমার সবকিছু অন্য রকম হয়ে গেল। এক প্রশান্তি ভর করল আমার উপর। সিজদাহ থেকে মাথা উঠাতে ইচ্ছা করছিল না। সিজদাহরত অবস্থায় কাঁদতে লাগলাম। আল্লাহ তোমার সাথে সাক্ষাতে এত শান্তি লাগে? " (বক্তব্য এদিক ওদিক হতে পারে। অনেক আগের ঘটনা হওয়ায়)
.
আমরা কি সলাতে এমন শান্তি পাই? আমাদের কি মনে হয় যে," ইস! ইমাম হুজুর তিলাওয়াতটা আরেকটু লম্বা করলে কত ভালই না লাগত। "
কিংবা ইস! সিজদাহটা আরেকটু লম্বা হলে কত ভালই না হোত।
কখনও কি এরকম মনে হয় যে, "আমিতো সলাত পড়ি আমি কিভাবে এই অন্যায়টা করতে পারি?"
এরকম অনুভুতি তৈরী হলে বুঝতে হবে আল্লাহ আমার আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন। আর নয়তো আমার সলাত শুধুমাত্র রুকু, সিজদাহতেই সীমাবদ্ধ।
আল্লাহ আমাদের সবার ঈবাদত কবুল করুন। আমিন।
.
বি:দ্র:-দুঃখিত লেখাগুলো মধ্যম পুরুষে হওয়ায়। এরমধ্যে উত্তম পুরুষও অন্তর্ভুক্ত ।
[১] সূরা আনকাবুতঃ ৪৫
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: উত্তম যদি অধমের মত বেহুশ থাকে তাহলে আর কি করার আছে ভাই??
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২২
শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রথমত, আমরা হালাল রুজি করছি কি, হালাল খাবার না খেলে ইবাদতে মন বসবে না, কবুল হবে না।
দ্বিতীয়ত, আমাদের আকিদা ঠিক না থাকলে ইবাদতে কিছু হবে না, আমি নামায পড়লাম আর নেতা হিসাবে মেনে নিলাম নাস্তিককে, তাহলে কিভাবে আমাদের ইবাদতে মন বসবে।
আর গান্জাখোর নামায পড়বে!!! হাসাইলেন ভাই।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমি এই জন্য "বা" বলেছি অর্থাৎ হলেও হলেও হতে পারে। আমিতো প্রায় সব গাঞ্জাখোরকে দেখেছি অন্তত জুমা'আর সলাত আদায় করতে।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
কুকরা বলেছেন: তারপরেও নামাজ পড়ুক
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: হুম তাতো অবশ্যই , প্রথমত পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করুক তারপরে নাহয় কবুলের আশা। তবে আমার টার্গেট তারা যারা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত সলাত আদায় করা সত্ত্বেও খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উত্তমের জন্য অধমের লেখা?