নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরা কি সুপার হিউম্যান হওয়ার অধিকার রাখে না?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৫

Super Human বলে ডিসকভারি চ্যানেলে একটা প্রোগ্রাম দেখতাম। তখন অবাক হতাম আশ্চর্য কার্যক্ষমতা দিয়ে রেখেছে আল্লাহ কিছু কিছু মানুষকে। কেউ পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ দম আটকে রাখতে পারছে। কেউ নিজের মাংশ পেশীর জোরে তলোয়ার বাঁকা করে ফেলছে। কেউ সামান্য একটা সুঁই দিয়ে গ্লাস ছিদ্র করে ফেলছে। কেউ কেউ নিজের শরীরের উপর ট্রাকের ভর নিয়ে ফেলছে। সত্যিই অবাক করা মানুষের ক্ষমতা। আল্লাহ কত ক্ষমতাই না দিয়েছেন একজন মানুষকে। আরও আছে মেমোরি জিনিয়াস কিছু মানুষ। একজনকে দেখলাম পাইয়ের (π) মান পাঁচ হাজার ডিজিট পর্যন্ত মুখস্ত করে ফেলেছে। কারও ব্রেন আবার কাজ করে কম্পিউটারের চেয়ে দ্রুত গতিতে।

এই মিডিয়া বা প্রগতিশীল সমাজ শুধুমাত্র এই ধরনের জিনিয়াসদেরই খুঁজে বের করে। কিন্তু আমার পাশের বাড়ির রাহাত ভাইকে এরা দেখে না কারন রাহাত ভাই কোর'আন মুখস্ত করে ফেলেছে। কোর'আন মুখস্ত না করে যদি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী মুখস্ত করত তবে নিশ্চয়ই প্রগতিশীলদের চোখে পড়ত আর সুপার হিউম্যান তালিকায় ঠাঁই পেত। আমি আরও বেশী অবাক হয়ে যাই যখন শুনি ছেলেটা পুরো ত্রিশ পারা কোর'আন বুকের ভিতর ধারন করে। চলন্ত ইসলামের বানী বহনকারী এই হাফেজ হাফেজাগুলোর মেধা শক্তি বা মেমোরাইজিং পাওয়ার কত বেশী হলে কেউ ছয় মাস বা এক বছর বা দুই বছরে এত বড় একটা বই মুখস্ত করে ফেলছে। কিভাবে এত স্থানের এত সংখ্যক আয়াত মিল থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটা আয়াত আলাদা আলাদা করে মনে রাখছে। এক কোর'আন প্রতিযোগীতায় দেখছিলাম এক প্রতিযোগীকে বিচারক একটা আয়াত পড়ে শুনালেন এবং এই আয়াতগুলো কোর'আনের আর কোন কোন স্থানে আছে সেগুলো তিলাওয়াত করতে বললেন। কি সুন্দর করে প্রতিযোগীটি একই আয়াত কোর'আনের প্রত্যেকটা স্থান থেকে নির্ভুলভাবে তিলাওয়াত করতে লাগল। চিন্তা করে দেখেছেন আল্লাহর কত রহমত থাকলে তাঁর এক বান্দা তাঁরই বানী বুকে লালন করতে পারে। আল্লাহ তাঁর বানী কোর'আন নিজেই সংরক্ষন করবেন কথাটির প্রমাণ প্রয়োজন আছে কি? তাইতো একটা বর্ণ, একটা হরকত বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না হয়ে ১৪০০ বছর যাবৎ একই অবস্থায় অবিকৃতই আছে এই কোর'আন। অথচ এরা কখনও সুপার হিউম্যানের তালিকায় স্থান পাবে না।

আল্লাহর জন্য ভালবাসি পৃথিবীর আনাচে কানাচে টিকে থাকা প্রত্যেক হাফেজ এবং হাফেজা ভাই বোনদের। আমার একটা সুপ্ত বাসনা আছে সেটা হল আমার প্রথম সন্তান কন্যা হবে এবং হাফেজা হবে ইন-শা-আল্লাহ।

ছবিঃ- মিশরী আল আফাসীর আর রহমান গান থেকে ধারনকৃত

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে আপনার সন্তানকে 'লেকহেড গ্রামার স্কুলে' ভর্তি করবেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১০

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: দুঃখিত ভাই বুঝলাম না। এটা কি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম??

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৩

নতুন বলেছেন: একটা জিনিস হাফেজরা মুখস্ত করে রাখে কিন্তু তার অথ` তারা জানে না। এটা কি খুব দরকারী?

তারচেয়ে বুঝে পড়া কি বেশি দরকারী নয় কি?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এই পৃথিবীতে কোর'আনকে অবিকৃত রাখতে অবশ্যই দরকারী নয় কি?? আর অবশ্যই হিফজ করার সাথে সাথে বা পড়ে বুঝাটাও জরুরী।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪০

নতুন বলেছেন: আগের দিনে দরকার ছিলো... এখনকার দিনে কি আসলেই দরকার?

আর আমি যতদুর জানি হাফেজ যারা তারা অথ` সহ শেখে না। তারা শুধুই মুখস্ত করে।

আর আপনি কি আপনার সন্তানদের হাফেজ বানাবেন? যদি না বানান তবে কেন বানাবেন না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.