নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসে যাব না যাব না করেও কি মনে করে শেষ মুহূর্তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যান্ত্রিক মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে কিছু থাকাটা একটা অপরাধের পর্যায়ে পরে। নিজেকে মাঝে মাঝে রোবটের চেয়ে একটু বেশী রোবটিয় মনে হয়। আমার ইচ্ছাগুলো বসের কড়া নিয়ম কানুনে আবদ্ধ। আমার গন্ডিটা খুবই ক্ষুদ্র করে ফেলেছে বস নামক এই মানুষটা । আসলে কি তাই? নাকি আমি আমার মনোশক্তির গোলাম হতে পারি নি? টাকার গোলাম হয়ে কি মনোশক্তির গোলাম হওয়া যায়? নাকি আমার অবচেতন মন মনোশক্তিকে অতিক্রম করে ইচ্ছাটাকে বসের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আমার বিবেকটা টাইটেনিয়ামের হয়ে গেছে হয়তো তাই প্রশ্নটা মাথায় আসছে না। টাকা আমার মস্তিষ্ক , মন, ইচ্ছা সব কিছুকে টাইটেনিয়ামের পুরু ধাতুতে রুপান্তরিত করে দিয়েছে। ভালোবাসার গন্ধ এখন আমার কাছে সেকেলে লাগে। টাইটানিয়ামের শরীরে ভালোবাসা, আবেগ থাকতে নেই, এটা পাপ, মহাপাপ।
.
নিজেকে ভালোবাসা নামক পাপ থেকে মুক্ত করতে মরিয়া আমি। তাই নিজেকে টাইটেনিয়াম ধাতুতে বদলে ফেলেছি। যাচ্ছি গুটিগুটি পায়ে অফিসে,মনকে পেছনে ফেলে, টাকার পিছনে। যোজন যোজন মাইল দূরে ফেলে এসেছি সস্তা কিছু আবেগ। সকাল থেকে দশ বার জনের একটা দল মামার টং এ বসে ঘন্টার পর ঘন্টাগুলো এখন প্রতি মিনিটে ১ ডলার ২ ডলারে বদলে গেছে। বিকালের নরম আলোতে বসে প্রিয়জনের সাথে কাটানো দুই মিনিটের চুক্তি এখন বাইয়ারের সাথে ডিলের চুক্তি থেকে পিছিয়ে। সেকেল চুক্তি পিছনে ফেলে যে নতুন ডলারের চুক্তিকে সফল করতেই হবে। বসে আছি বাইয়ারের মুখোমুখি। ত্যালতেলে ভাব ধরে রাখতে হবে মুখে এটাও টাইটানিয়ামের এই শরীরে প্রোগ্রাম করা আছে আগে থেকেই। ভদ্রতার ত্যাল চটচটে ভাব মুখে ধরে রেখে নিজের ভিতরের শক্তি যাকে আমরা সম্মান বলি তা বিকিয়ে দিতে হবে নয়তো বসের মিলিয়ন ডলারের চুক্তি বরবাদ। সাথে টাকার কাছে বিকিয়ে দেওয়া এই বিবেকটাও যে পুনরায় টাকায় কেনা বিবেকের মুখোমুখি পড়বে!!
.
অফিস থেকে বের হয়েছি আজকের মত সম্মান বিক্রি করা শেষ। কালকে আবার হয়তোবা ঘুম থেকে উঠে মন এক মুহূর্তের জন্য চাইবে সেই সবুজ ঘাস, পাঁচ টাকার সরবতের চেয়ে মিষ্টি চা, বিকালের সেই মিষ্টি রোদের সেকেলে চুক্তি । আবার টাইটানিয়ামের কবাট পড়িয়ে দিতে হবে মনের উপর। আবার সেই ডলার ,সেই ম্যাকি ত্যলত্যালে হাসি। সেই ইচ্ছা, অনিচ্ছার অঙ্কুরোদ্গম হওয়ার প্রচেষ্টা। আবার টাইটানিয়ামের কবাট। একটা গর্তে ঢুকছি প্রতিনিয়ত, আর গর্ত থেকে একবার উঁকি মেরে আকাশ দেখার খুব ইচ্ছা হচ্ছে আর সেই মুহূর্তে আবার গর্তে ঢুকছি। চলছে…………………………………………… চলবে।
বিঃদ্রঃ- মনোশক্তি নামক কোন শব্দ আছে নাকি আমার জানা নেই হঠাৎ মনে আসল তাই লিখলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ুম আমরা দিন দিন যন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সবারই একই অবস্থা।