নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
( "Is Hijab an insult or honour to women???" শিরোনামে আমার এক ভারতীয় ভাইয়ের ইংরেজিতে করা নোট আমি বাংলায় রুপান্তর করেছিলাম। সেই লেখায় এক সংশয়বাদী Srinivas Das ভাইয়ের মন্তব্য এবং আমার কিছু পাল্টা মন্তব্য ছিল , যা আজ অনেকদিন পর মনে পড়ল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। )
Srinivas Das ভাই এর মন্তব্য
রেপ হওয়ার জন্য যদি মেয়েদের ছোট পোশাককে বা হিজাব না পরাকে দায়ী করেন, তবে ডেঙ্গু বা মালেরিয়ার জন্য দায়ী মশারী, মশা মোটেই নয় । নিজেকে বদলান, অজুহাত নয় !
আমার রিপ্লাই
জৈবিক আকাঙ্খা জাগ্রত হয় সেক্স হরমোন নির্গমনের মধ্য দিয়ে, পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরোন হরমোন আর নারীর ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন। টেস্টোস্টেরোন হরমোন পুরুষের যৌনতা, ডোমিনেন্স, এগ্রেসিভনেস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার মনে হতেই পারে এতে নারীর পোষাকের কি দোষ, তারা যেমন ইচ্ছা পোশাক পরিধান করতেই পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা কিন্তু উল্টো কথা বলে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের শুধুমাত্র স্বাভাবিক উপস্থিতি ছেলেদের টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা ৭.৮% বাড়িয়ে দেয় এমনকি মেয়েটি দেখতে কদাকার হলেও। নারীর মাত্র ৫ মিনিটের উপস্থিতি পুরুষের লালায় টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। 'Men with elevated testosterone levels show more affiliative behaviours during interactions with women' শিরোনামে আরেকটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, ফিমেল ইন্টারএকশনের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বেড়ে গেলে ছেলেদের বিহেভিওরাল পরিবর্তন আসে। কথায় মুগ্ধতা, চিত্তাকর্ষক আচরণ, নিজেকে মেলে ধরা, একান্তে কাছে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা ইত্যাদি দিকগুলো বেশি ফুটে উঠে। গবেষণাটিতে দেখানো হয়েছে ইন্ট্রাসেক্সচুয়াল কম্পিটিশনে ছেলেদের টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ার ফলে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ আগের থেকে বেশী বৃদ্ধি পায়।
জ্বি এই বিজ্ঞানঈ কিন্তু ছেলেদের সেক্স হরমোন বৃদ্ধির জন্য মেয়েকে দায়ী করছে। শুধুমাত্র একটা মেয়ের স্বাভাবিক উপস্থিতিই কিন্তু একটা ছেলেকে এতটা এগ্রেসিভ করে তুলছে। তাহলে চিন্তা করুন মেয়েটা যদি উন্মুক্ত পোশাক পড়ে তাহলে ছেলেটার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কি পরিমান বৃদ্ধি পাবে?
আমাদের ইসলাম কিন্তু বিজ্ঞানের মত নারীকে দোষারোপ করছে না। বরং নারীকে পোশাক দিয়ে সম্মানিত করেছে। আর নারীর শালীনতা ঠিক থাকার পরও যদি কোন পুরুষ তাকে অসম্মানিত করে তবে পুরুষের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দেখুন আমাদের ইসলাম ছেলেদের এই টেস্টোস্টেরন আর মেয়েদের এই ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নিয়ন্ত্রনের জন্য কি সুন্দর সমাধান দিয়েছে। সমস্যায় পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে কোর'আন।
"Say to the believing men that they should lower their gaze and guard their modesty: that will make for greater purity for them: And Allah is well acquainted with all that they do. "
"And say to the believing women that they should lower their gaze and guard their modesty; that they should not display their beauty and ornaments except what (must ordinarily) appear thereof; that they should draw their veils over their bosoms and not display their beauty (part)"
---The Quran-24:30-31(part)
দেখেছেন আয়াতে প্রথমেই পুরুষকে তার দৃষ্টিকে অবনত করতে বলা হয়েছে। কারন আল্লাহ জানেন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। একইসাথে নারীকেও তার দৃষ্টি অবনত করতে বলা হয়েছে এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে ছেলের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই কি তাকে মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? দেখেছেন এই প্রশ্নটায় চিন্তা করা হচ্ছে সমস্যায় পড়ার পর সমাধান কিভাবে হবে সেটা নিয়ে অথচ এই সমস্যায় যাতে কেউ না পড়ে তার ব্যবস্থা আল্লাহ কোর'আনে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। প্রত্যেকটা পুরুষ যদি নিজের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং প্রত্যেকটা নারী যদি তার সৌন্দর্য প্রদর্শন থেকে বিরত থাকে তবেতো সেখানে কোন উত্তেজনা সৃষ্টিকর পরিস্থিতিই সৃষ্টি হবে না কি বলেন??
Srinivas Das ভাইয়ের রিপ্লাই
শ্রদ্ধেয় Mamun Rejwan, আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহন করুন । আপনি সত্যিই অভূতপূর্ব এক বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়েছেন ( আমি বিজ্ঞানের ছাত্র) । এর পূর্বে কেউ আমার সোজা কথার সোজা উত্তর দেয়নি, শুধু ঘুরিয়ে আমাকেই প্রশ্ন করে গেছে । কেউ আবার আমার আমার করে আমাতে আটকে আছে । আপনাকে জানিয়ে রাখা ভালো যে আমি আংশিক নাস্তিক আবার আংশিক আস্তিক অর্থাৎ আমার ঈশ্বর বিশ্বাস একটু ভিন্ন প্রকৃতির । আসলে আমি মনে করি হিন্দু এবং ইসলাম ধর্মের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের উপর কিছু সঙ্কার ( ঘোমটা, হিজাব) চাপিয়ে দিয়েছে তা একবিংশ শতাব্দীতে গ্রহণযোগ্য তা আছে বলে মনে করি না । পূর্বে ধর্মীয় শাসন ছিল আইনের শাসন তেমন ছিল না কিন্তু এখন আইনের শাসন আছে । আপনি বলতেই পারেন এখন ধর্ষণ বেশিই হচ্ছে ! আমি বলবো না কারণ পূর্বে সংবাদ মাধ্যম ছিল না, তখন ও ধর্ষণ হতো এবং বেশিই হতো, মানুষ সে ভাবে জানতে পারতো না । আর যে সব কুলাঙ্গার নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারে না তারা নিজের মায়ের বক্ষদেশ কল্পনা করলেও তাঁদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । যাইহোক , আমার কিছু প্রশ্ন আছে ? তথাকথিত ধর্ম সংক্রান্ত । আমার বিশ্বাস আপনি আমাকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন । অনুমতি দিলে আমি অগ্রসর হতে পারি । ভালো থাকুন ।
আমার রিপ্লাই
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। আমিও একজন বিজ্ঞানের ছাত্র এবং অবশ্যই বিশ্বাসী। তবে আমার একটা ধারনা আছে কেউ যদি সত্য গ্রহনের নিমিত্তে সত্য অনুসন্ধানে নামে সে অবশ্যই সঠিক সত্যের সন্ধান পাবে। আর কেউ যদি কোন একটা ব্যবস্থার ভূল খুঁজে বের করার জন্য সত্য অনুসন্ধানে নামে সে কখনও শুদ্ধ সত্যটা গ্রহন করতে পারবে না। এবার আসি হিজাব প্রথা নিয়ে আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে। হিন্দু ধর্মে নারীদের শালীনতা রক্ষার্থে কি বলা হয়েছে এ ব্যাপারে আমি একেবারেই অজ্ঞ। ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে আপনার মতামতটা ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পর্দা প্রথা নারীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাকে শুধু একটা উদাহরণ দিতে পারি এ ব্যাপারে। "Yvonne Ridley নামটা শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই। Yvonne Ridley নামের এই মহিলাটি অত্যন্ত ক্ষমতাশীল ব্রিটিশ নাগরিক । যিনি খুব প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য সানডে টাইমস, দ্য অবজারভার, দ্য ডেইলি মিররসহ আরও বেশ কয়েকটি নামকরা পত্রিকা সিনিয়র সাংবাদিক এবং সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন ২০০৪ সালে এই একবিংশ শতাব্দীতেই ৪৫ বছর বয়সে।## ইসলাম গ্রহনের পরেরদিন থেকে নিয়মিত রাত দুইটা তিনটা বাজে জিমের বারে মিনি স্কার্ট পড়ে আনন্দ ফুর্তি করা রিডলিকে আর কখনও বোরকা ছাড়া বাইরে দেখা যায় নি। ##" । এখন প্রশ্ন থাকবে মিনি স্কার্ট পরে, সম্পূর্ণ ব্যাক্তি স্বাধীনতা উপভোগ করা এই মহিলা ইসলামের হিজাবে কি এমন পেলেন যে, নিম্নোক্ত উক্তিটি করে বসলেন... " ওয়াল স্ট্রিটের একজন সফল ব্যবসায়ী ঠিক যেমন স্যুটের বাইরে শুধু গেঞ্জি পরে অফিসে যেতে পারেন না ঠিক তেমনি বোরকাও মুসলমান নারীদের আলাদা পরিচয় বহন করে।" ----Yvonne Ridley । আর আরেকটা বিষয় যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন পূর্বে ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল কিন্তু এখন আইনীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত। হয়তোবা কোর'আন সম্পর্কে আপনার ধারনা ভুল হওয়ার দরুন আপনি এই কথাটি বলেছেন। কোর'আন শুধুমাত্র একটি ধর্মগ্রন্থ নয়। এটি মানব জাতির জীবন ব্যবস্থা, এখানে মানব জাতি বলতে এ পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে এবং যত মানুষ আসবে সকলের কথা বলা হয়েছে। কোর'আনে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয় আলোকপাত করা হয়নি বরং আইনী ব্যবস্থা, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছু নিয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনি জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই কোর'আনের আইন অনুসরন করে চলতে পারেন। যাকাত ব্যবস্থা অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আরও একটি উদাহরন দেই। "Harvard Law School", আইন নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ববিখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের ফ্যাকাল্টি লাইব্রেরীর প্রবেশ ফটকে ন্যায় বিচারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকাশ হিসেবে কুর'আনের একটি আয়াহ লাগায়। সূরা নিসা অধ্যায়:৪ আয়াত:১৩৫। আয়াহ'টি হল:- "O ye who believe! stand out firmly for justice, as witnesses to Allah, even as against yourselves, or your parents, or your kin, and whether it be (against) rich or poor: for Allah can best protect both. Follow not the lusts (of your hearts), lest ye swerve, and if ye distort (justice) or decline to do justice, verily Allah is well-acquainted with all that ye do." । আমি চেষ্টা করব আপনার উত্তর দেওয়ার। তবে আমি যে, দিতে পারব সব উত্তর বিষয়টা এরকম না কারন আমিও ছাত্র। তবে চেষ্টা করব নিজে না পারলেও অন্য কারও থেকে জেনে হলেও।
এখানেই শেষ নয় । আরও আছে , থাকবে , চলবে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহমুলক মন্তব্যের জন্য। দো'আ করবেন যেন চালিয়ে যেতে পারি।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৩
পলাশবাবা বলেছেন: হু বুঝা যাইতেছে দাস সাহেব নামে দাস হইলেও তিনি আসলে মুক্তমনা।
আমি দেখেছি মুক্তমনারা সাধারণত 'আমি মনে করি' ও "আমার ধারনা' দ্বারা চালিত। যা প্রায় মূল ব্যাখা থেকে কয়েক শত আলোকবর্ষ দূরে।
নামে মুক্তমনা হইলেও কার্যত মুক্তমন নিয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা শুনতে এরা অক্ষ্ ম ।
মুক্তমনা দাসকে কে বলবে, মায়ের বক্ষ কল্পনা করে স্টেস্টোস্ট্রনের মাত্রা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারন ঐ ধর্মীও অনুশাসন, যা হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের মাথায় সেটে গেছে। বোকা** টাকে কে বলবে দুনিয়ার তাবত আইনের ভিত্তি হল ধর্ম।
যাই হোক মুক্তমনা দাস সেই চিরাচরিত পথেই, চিরাচরিত স্টাইলেই আগাচ্ছে,।। সহজেই অনুমান করা যায় প্রথমেই মারা খেয়ে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে। মিলিয়ে নেয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি মুসলিম, নারিদের হিজাব প্রথাকে শ্রদ্ধা করি। ধর্মীয় অনুশাশন মেনে কোন নারী যদি নিজের ইচ্ছায় হিজাব ধারন করে তাকে অবস্যই শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু এই বিতর্কে আমি দাস সাহেবের সাথে একমত। ধর্ষনের জন্য দায়ী নিম্ন মানসিকতা এবং আইনের শাষন না থাকা। কোন অবস্থাতেই নারীর পোশাক নয়।
উন্নত দেশে আসুন, দেখুন সেখানে নারীরা কিভাবে স্বল্প পোশাক পড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে এবং দেখুন যে সেখানকার পুরুষেরা নারীর প্রতি কেমন আচরন করছে। লেখক যেই বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিয়েছে সব ব্যখ্যা উবে যাবে উন্নত দেশে এলে।কারন নারিদের দিকে নোংরা চোখে তাকালেও ,জেলে যেতে হবে।আমাদের পুরুষদের নারিদের প্রতি শ্রদ্ধা নাই, সর্বপরি আইনের প্রয়োগ নাই। এইটাই মুল কারন নারীর নিরাপত্তা না থাকার।
২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: নারীর পোশাক ও অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটি। আর উন্নত দেশে ধর্ষনের রেকর্ড হয়তো আপনার জানা নেই। একটু ইনফরমেশন সংগ্রহ করুন আশা করি বুঝতে পারবেন।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: নিজের বিকার ঢাকতে যারা কথায় কথায় ধর্ম টেনে আনে, তাদের যন্ত্র কেটে দিলেই ধর্ষন কমে যাবে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: বিজ্ঞান বলছে নারীকে আপনার সামনে উন্মুক্ত করা হলে আপনার উত্তেজনা তৈরী হবেই । সেটাকে ঢাকার পথ দেখিয়েছে ইসলাম, দৃষ্টিকে নিচু করা এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করার মাধ্যমে। সেই সাথে নারীরা যাতে কিছু পশুর মাধ্যমে এই বিকারের স্বীকার না হয় তাই তাদেরকেও বলা হয়েছে সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে। এরপরেও বিকারগ্রস্থদের মৃত্যুদন্ডেরও বিধান রাখা হয়েছে কিন্তু , ইসলামের বিধানতো আবার বর্বর।
আর আপনি হয়তো জানেন না এক গবেষনার কথা। ইউএসএতে নতুন যৌবনে পদার্পন করা কতগুলো ছেলে আর মেয়েকে একটা সাদা কাগজে তাদের একটা করে ইচ্ছার কথা লিখতে বলা হয়েছিল যেখানে থাকবে না কোন ধর্মীয় বাধা, সামাজিক বাধা, রাষ্ট্রীয় বাধা, অর্থনৈতিক বাধা। অধিকাংশ ছেলেই কি উত্তর লিখেছিল জানেন তারা ৯৯% লিখেছিল নারী সঙ্গ চায়। আর মেয়েদের উত্তর ছিল ভিন্ন ভিন্ন। কেউ কেউ লিখেছিল সে মায়ের সাথে সময় কাটাতে চায়, কেউ কেউ লিখেছিল সে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগাতে চায়, কেউ কেউ নিজের প্রসাধনীর চাহিদার কথা লিখেছিল, আর গুটিকয়েক লিখেছিল তারা তাদের ভালবাসার মানুষের সাথে গল্প করতে চায়, আবার কেউ কেউ তার সীদ্ধান্তই জানাতে পারে নি। অর্থাৎ ব্যাপারটা কিন্তু এটাই আপনি প্রকৃতি কিংবা সৃষ্টিকর্তা যাই বলেন না কেন, পুরুষদেরকে তৈরী করা হয়েছে একটু বেশী নারীর প্রতি আকাঙ্খা দিয়ে।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: প্রিয় তে নিলাম। সময় করে পরে পড়বো।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পড়ে আপনার সুচিন্তিত অভিমত জ্ঞাপন করবেন বলে আশা করছি।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
ক্স বলেছেন: নারীদের উপর জোর করে হিজাব চাপিয়ে দেয়া তো অবশ্যই নারীর প্রতি একটা ইন্সাল্ট। এই ব্যাপারে আমি দাসবাবুর সাথে পুরোপুরি একমত। যারা চুল দেখাতে চায়, তাদেরকে দেখাতে দেয়া উচিত। কোরআনে মুমিন নারীদেরকে পর্দা করতে বলা হয়েছে, মুমিন পুরুষদেরকে পর্দা করাতে বলা হয়নি। যার জেনে বুঝে আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করবে, তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে - তবে তা কোনভাবেই ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে নয়।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪৬
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: স্বাধীনতার মাপকাঠি আমাকে একটু জানাবেন। নারীদের উপর হিজাব বাধ্য করাকে যদি তাদের স্বাধীনতা খর্ব করা হয় তবে পুরুষদের দৃষ্টিকে নিচু করতে বাধ্য করা কেন আপনার কাছে স্বাধীনতা খর্ব করা মনে হচ্ছে না আমি ঠিক বুঝলাম না। নাকি আপনিও ঠিক আর সবার মত " নিজের পক্ষে গেলে ঠিক আছে নিজের বিপক্ষে গেলে এটা ভুল" টাইপের।
এটা বুঝতে হবে এটা একটা ব্যালেন্সিং প্রক্রিয়া।
যাই হোক নারীদের পর্দা করতে নির্দেশ দেওয়া মানে কিন্তু এটা নয় যে, পুরুষদের পর্দা করতে হবে না। বরং আল্লাহ পুরুষদের আগে পর্দা করতে বলেছেন। তারমানে এও নয় যে, শুধু পুরুষরা পর্দা করবে আর নারীরা তাদের সৌন্দর্য্য বাহিরে প্রকাশ করবে। দুইজনকেই পর্দা করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এরপরও কুলাঙ্গার থাকবেই তাদের জন্যও কিন্তু ইসলাম শাস্তির কথা বলছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইসলামি শাস্তি নাকি বর্বরোচিত শাস্তি। তাই আমার চুপ থাকায় শ্রেয়। যদিও হত্যাযোগ্য অপরাধে মার্সি কিলিং ব্যাপারটা শুধুমাত্র ইসলামই সঠিকভাবে পরিপূর্ণ করেছে। উপরে বর্নিত দুইটি আয়্তের চেয়ে সহজ সমাধান বোধহয় আর হতে পারে না।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: ধর্ষনের জন্য বেস কয়েকটা ফ্যাক্টর আছে তার মধ্য স্বল্প পোষাক একটি ফ্যাক্টর কিন্তু এটাকে একমাত্র ফ্যাক্টর বলে দাবি করে আসছে ,মওলানা মৌলিবী মার্কা লোক জন । ধর্ষন করার কারন সমুহ নিয়ে যত সব রিসার্চ হয়েছে, সেখান পোষাক আষাকে কোন দিন একমাত্র কারন হিসাবে উল্লেখ করা হয় নি ।
আপনার লিখায় উঠে এসেছে মেয়েদের সামনে দেখলে বা ভাবলে ছেলেদের যৌন উত্তেজন বাই ডিফ্লট জাগ্রত হয় এবং সেটা মেয়েদের ও হয় । সত্য কথা বলতে কি ছেলেদের মধ্য যে ইচ্ছা শক্তি আছে তা দিয়ে সে কিন্তু তার যৌন তাড়না নিয়ণ্ত্রন করতে পারে । পুরুষ মাত্রই ধর্ষক , যৌন তাড়না নিয়ণ্ত্রনে অক্ষম -- এমনটা ভাবা অবান্তর ।
সমাজে কিছু লোক বিভিন্ন কারনে দু:বৃত্ত হয়ে উঠে। এমন কথা কি বলা ঠিক, টাকা পয়সা আ্য় করা উঠিৎ নহে , বাড়ী গাড়ী বানান উঠিৎ নহে কারন সেটা ডাকাতদের আকর্ষন করে , দোষ আপনার কেন আপনি টাকা উপার্জন করেছেন , ডাকাতদের নহে ।
পকেটে টাকা নিয়ে বের হয়োনা , মেয়েরা স্বর্ণ্য অলংকার পরো না কারন ছিনতাই এর কারন হতে পরে । তার মানি ছিনতাই কারির কোন দোষ নাই সব দোষ আমাদের ।
এক শ্রেণী মানুষ পোষাক দায়ি প্রমাণ করার জন্য বোরকা নিকাব কালচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ।
আমাদের দেশের কোন সাধারন বা ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯ % মেয়েরা মার্জিত শাড়ি , সেলোয়ার কামিজ পড়ে , উচ্চ বিত্তের সোসাইটিতে মেয়েরা কিছুটা খোলামেলা থাকে এবং সেটা দিয়ে গোটা জাতীকে বিচার করা যায় না ।
আমাদের দেশে যে ক্য়টা মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে তারা কেউ স্বল্প পোষাক ধারি বা বিকিনি পরিহিতা ছিল না । একজন হাইজাকার যেমন তালে থাকে মওকা মত জায়গায় কাউকে পেলে হাইজাক করার , একজন চাদাবাজ যেমন মক্কেল খুজে , সেই ভাবে একজন ধর্ষক মওকা খুজে জায়গা মত মেয়েদের পাওয়ার । বাংলাদেশর মত বেসির ভাগ দেশে ধর্ষন হয় কিডন্যাপিং এর মাধ্যমে এবং আরেকটা হয় বাড়ীর ভিতরে কাজের মেয়েদের উপর অথবা বাড়ীর ভিতর চাচাতো মামাতো ফুফাতো বোনদের উপর পরিবারের লোকজন দ্বারা ।
এই ধর্ষক শ্রেণীর যারা টার্গেট হয় তাদের মধ্য পাচ বৎসরের মেয়ে থেকে শুরু করে বোরকা হিজাব পড়া মেয়ে সহ মার্জিত শাড়ী সেলোয়ার কামিজ পড়া মেয়ে ও থাকে ( আমাদের দেশের কোন মেয়ে বিকিনি জাতিয় পোষাক পড়ে না ) ।
দেশের সব মানুষ যেমন ডাকাত হয় না , হাইজাকার হয় না , চোর , দু:নীতি বাজ হয় না, ঠিক তেমনি সবাই ধর্ষক হয় না । পুরুষ মাত্র লুইচা , ধর্ষক , যৌন তাড়না নিয়ন্ত্রণ হিন প্রাণী বলে যারা বিশ্বাষ করে শুধু তারাই নারীর পোষাককে একমাত্র কারন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় । পুরুষ মানুষ হিসাবে নিজেকে কখনও লুইচ্চা , ধজ্জ ভঙ্গ, ধর্ষক জাতিয় প্রাণী ভাবতে পারি না ।
একজন পুরুষ শুধু মাত্র ধর্ষক হয়ে উঠে পোষাকের কারনে নহে -- এর পিছনে বহু বিধ কারন আছে । যারা ধর্ষন করে অভস্ত্য তারা শুধু খুজে মওকা মত নারী , তার পোষাক তাদের কোন বিবেচ্য বিষয় নহে ।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৯
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পোশাক একমাত্র ফ্যাক্টর দাবী করা ঠিক নয়, এই ব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত। তবে অস্বীকার করাও যাবে না, এই কথাটা মাথায় রাখা জরুরী।
সমাধান এত সহজ থাকতে আপনি উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনের চিন্তায় যাচ্ছেন কেন? পুরুষরা যদি সর্বপ্রথম তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে তবে তো উত্তেজনা সৃষ্টির কোন রাস্তায় থাকছে না। তবে এই দৃষ্টি নিচু করে রাখা ততক্ষনই সম্ভব যতক্ষন তার ভিতরে এই ভয়টা থাকবে যে, এর জন্য তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এবং আরও একটা বিষয় আপনি নিশ্চয় এটাও আশা করতে পারেন না যে, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী উপাদান আপনি কোন পুরুষের সামনে রাখবেন আর সে উত্তেজিত হবে না।
টাকা উপার্জন করছেন বিপুল পরিমানে এটা যেমন আপনার দোষ না, তেমনি যখন আপনি কোন সাবধানতা ছাড়া বিপুল টাকা পয়সা নিয়ে সবাইকে জানিয়ে এবং দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন যে, আমার কাছে এই দেখ কত টাকা , তখন যদি আপনার উপর ডাকাতি হয় তখন পুরো দায়ভারটা ডাকাতকে দিবেন এটাও ঠিক না। কারন আপনি নিজেই জানেন যে, সমাজে কিছু কুলাঙ্গার থাকবেই । আর সেই কুলাঙ্গার থেকে সাবধান থাকাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
এটাই সমাধান নয় কি যে, ছেলেটাও তার দৃষ্টিকে সংযত করল সাথে মেয়েটাও তার খোলামেলা সৌন্দর্যকে আড়াল করল।
আর আপনি ঠিকই বলেছেন কুলাঙ্গারতো থাকবেই। তবে এই কুলাঙ্গার কিন্তু আমরাই তৈরী করছি পর্ন সাইটের সহজলভ্যতা, বিয়েকে কঠিন করে ফেলা, আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলোর মাধ্যমে।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
পলাশবাবা বলেছেন: ক্স বলেছেন: " মুমিন পুরুষদেরকে পর্দা করাতে বলা হয়নি।"
কোরআন তো ভিন্ন কথা বলতেছে (২৪ঃ৩০)
(30. Tell the believing men to lower their gaze, and protect their private parts. That is purer for them. Verily, Allah is All-Aware of what they do.)
আপনেও দেখি সেই "আমি দেখেছি মুক্তমনারা সাধারণত 'আমি মনে করি' ও "আমার ধারনা' দ্বারা চালিত।" এর আরেক উদাহরন। আপনেও দেখি বাস্তব থেকে হাজার কোটি আলোক বর্ষ দূরে আছেন।
ক্স কে প্রশ্ন আপনার মেয়ে যদি আত্নহত্যা করতে চায় তাহলে আপনে কি আটকাবেন না আত্নহত্যা করতে দিবেন। নারী হিসাবে তার নিজের জীবন রাখবে কি রাখবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা তো তার আছে। আপনি তাকে আটকালে অর্থাৎ আপনার সিদ্ধান্ত চাপায় দিলে সেটা তার নারীত্বে ইন্সাল্ট। কি বলেন ?
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
পলাশবাবা বলেছেন: এ আর ১৫ ভাই
ধরেন আপনে অনেক টাকার মালিক, বিশাল বাড়ি -গাড়ি সবই আছে । কিন্তু ঘর বাড়ি সব খোলা। সিকিউরিটি গার্ড নাই। সব খুলেই অফিস চলে আসেন। গাড়ির ড্রাইভার নাই । নিজেই ড্রাইভ করেন। গাড়ি নিলিবিলি জায়গায় পার্ক করেন যেখানে সিকিউরিটি নাই। জেনেশুনেই কাজটা করেন। এখন আপনার বাসায় ডাকাতি হলে বা আপানর গাড়ি চুরি হলে দোষটা কার ? চোরের না ডাকাতের ? নাকি আপনার বিবেচনার? আপনার অসাবধানতার ?
অনেক মানুষ দেখেছি মানিব্যাগ পকেটে আছে কিন্তু মানিব্যাগে টাকা রাখে না। বুক পকেটে রাখে। অতি সাবধানীরা আবার শার্টে ভিতরের পকেটে রাখে। ঈডাকে সাবধানতা বলে।
মেয়েরা দেখি আজকাল বিয়ে বাড়িতে আলাদা ভাবে সোনার গহনা নিয়ে। সেন্টারে গিয়ে পরে। আর যা পরে আসে তা হয় ইমিটেশন। ঈডাকে সাবধানতা বলে।
কিন্তু তারপরও তো ছিনতাই হয়। তখন সান্তনা থাকে অন্তত আপনার অসাবধানতার কারনে এই দূর্ঘটনা হয় নাই।
মেয়েদের হিজাব করতে বলা হয় শুধুই সাবধানতার জন্য। দূর্ঘটনা হিতেই পারে।
তখন সান্তনা থাকে অন্তত আপনার বা আমার মেয়ের অসাবধানতার কারনে এই দূর্ঘটনা হয় নাই।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
এ আর ১৫ বলেছেন: পলাশবাবা বলেছেন: এ আর ১৫ ভাই
ধরেন আপনে অনেক টাকার মালিক, বিশাল বাড়ি -গাড়ি সবই আছে । কিন্তু ঘর বাড়ি সব খোলা। সিকিউরিটি গার্ড নাই। সব খুলেই অফিস চলে আসেন। গাড়ির ড্রাইভার নাই । নিজেই ড্রাইভ করেন। গাড়ি নিলিবিলি জায়গায় পার্ক করেন যেখানে সিকিউরিটি নাই। জেনেশুনেই কাজটা করেন। এখন আপনার বাসায় ডাকাতি হলে বা আপানর গাড়ি চুরি হলে দোষটা কার ? চোরের না ডাকাতের ? নাকি আপনার বিবেচনার? আপনার অসাবধানতার ?
আমি সিকুরিটি সহ বলেছি । আমার বাড়ী গাড়ী টাকা কড়ি সিকুরিটি সহ সব কিছু থাকলেও কি ডাকাতরা সুযোগ খুজেনা ডাকাতি করার বা চোররা সুযোগ খুজে না চুরি করার ----- সেই কারনে দোষটা কি আমার , না চোর ডাকাতের ।
আমাদের দেশের উচ্চ বিত্তের নগণ্য কিছু ছাড়া সব মেয়ে মার্জিত শাড়ী সেলোয়ার কামিজ পড়ে ---- ( এগুলো বিকিনি জাতিয় পোষাক নহে ) .... তার মানি আমাদের দেশের মেয়েরা নিজের দেহের সিকুরিটির জন্য শালিন পোষাক পড়ে ,,,,,,, সুতরাং ধর্ষনের একমাত্র কারন পোষাক নহে , আমাদের দেশের মহিলারা শালিন পোষাকে ও ধর্ষিতা হয় ।
পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে তৃতিয় বিশ্বের মুসলিম অমুসলিম দেশে ধর্ষন অনেক বেশি হয় । যদি এ সমস্ত দেশের ধর্ষিতা মহিলারা থানায় রিপোর্ট না করে তাহোলে ধর্ষনের অফিসিয়াল নাম্বার কেন বাড়বে । তারা থানায় রিপোর্ট করে না তাই কেস কম । এবার পশ্চিমা বিশ্বে যেটা হয়, সেক্স সে দেশে কোন ব্যপার নহে , সব মহিলা পুরুষ পছন্দ হলেই সেক্স করতে পারে , এতে মেয়েদের সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয় না আমাদের দেশের মত , তাই তারা যদি ধর্ষনের শিকার হয় , নি:দ্বিধায় পুলিশ কেস করে এবং এই কাজ আমাদের মত দেশের মেয়েরা কোন দিন করবে না বা অভিভাবকরা করতে দিবে না । আমাদের দেশের মেয়েরা এ ভাবে কেস করতে গেলে ধর্ষকের বদলে নিজের জীবন হয়ে উঠবে দু:বিসহ । আমাদের মত দেশের মেয়েরা কেন পুলিশ কেস করে না তার সামাজিক কারন নিশ্চয় আপনার অজানা নহে ।
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন না মানার কারনে ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে বিষয়টা এক কথায় বলে ফেলার বিষয় নয়। অনেকেই ভুলে যায় জৈবিক চাহিদাও মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভূক্ত। খাদ্য,বস্ত্রের মতো একটিও ১টি মৌলিক চাহিদা। প্রতিটি ধর্মে জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য বৈধ পদ্ধতি বিবৃত থাকালেও আমাদের সমাজের প্রচলিত অনেক রিতিনীতি এখনো প্রতিকুল অবস্থায় রয়েছে।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন যদি মানা হয়। বিয়েকে যদি সহজ করা হয় এবং ধর্ষকের শাস্তি যদি ইসলামি আইন অনুযায়ী সুনিশ্চিত করা যায় তবে ধর্ষনের ঘটনা কমে যেতে বাধ্য।
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
এ আর ১৫ বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন যদি মানা হয়। বিয়েকে যদি সহজ করা হয় এবং ধর্ষকের শাস্তি যদি ইসলামি আইন অনুযায়ী সুনিশ্চিত করা যায় তবে ধর্ষনের ঘটনা কমে যেতে বাধ্য।
ইসলামের শরিয়া আইন অনুযায়ি ধর্ষন প্রমাণ করার শর্ত গুলি কি জানাবেন দয়া করে ? প্রমাণ করা গেলে শাস্তি ভয়াবহ কিন্তু কি করে সহজে ধর্ষণ প্রমাণ করা যায় এবং তার শর্ত গুলো কি কি জানালে খুব খুশি হব ..
টাকা উপার্জন করছেন বিপুল পরিমানে এটা যেমন আপনার দোষ না, তেমনি যখন আপনি কোন সাবধানতা ছাড়া বিপুল টাকা পয়সা নিয়ে সবাইকে জানিয়ে এবং দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন যে, আমার কাছে এই দেখ কত টাকা , তখন যদি আপনার উপর ডাকাতি হয় তখন পুরো দায়ভারটা ডাকাতকে দিবেন এটাও ঠিক না। কারন আপনি নিজেই জানেন যে, সমাজে কিছু কুলাঙ্গার থাকবেই । আর সেই কুলাঙ্গার থেকে সাবধান থাকাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আমার ১০ নং কমেন্টে পলাশ বাবাকে এর উত্তর আমি দিয়েছি । আমি এও দাবি করছি বাংলাদেশের উচ্চ বিত্তের নগন্য কিছু নারী ছাড়া কেউ অশালিন পোষাক পড়ে না এবং যে পোষাক পড়ে সেটা আমাদের কালচারে শালিন পোষাক হিসেবে বহুকাল থেকে বিবেচিত । ধন্যবাদ
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: https://islamqa.info/en/72338 দেখলে হয়তো উপকৃত হতে পারেন। এছাড়াও আমি জানানোর চেষ্টা করব ইন-শা-আল্লাহ।
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
ক্স বলেছেন: পলাশবাবা এবং লেখক দুজনেই আমার লেখাকে ভুল বুঝলেন। আমি বলেছি, পুরুষকে পর্দা করাতে বলা হয়নি। এর মানে হল পুরুষকে বলা হয়নি যে তোমরা নারীদেরকে পর্দা করাও, আপনারা বুঝেছেন নিজেরা কর।
মেয়ের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে।
কোন মানুষেরই জীবনের মালিক সে নিজে নয়। তাই তার বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়া তার ইচ্ছেধীন হতে পারেনা। আমি কোন না কোনভাবে আমার মেয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই সে মারা গেলে আমার ক্ষতি হবে। তাই আমার নিজের স্বার্থেই আমি চাইব তাকে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখতে।
কিন্তু সে যদি পর্দা না করতে চায়, তবে তাকে প্রথমে বোঝাব পর্দা না করলে রস্তাঘাটে স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে সে কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে, তারপর বোঝাব আল্লাহ্র আদেশ না মানলে তার শাস্তি কি। তারপরেও যদি সে না মানে আমি তাকে জোর করে পর্দা করাতে পারব না, কিন্তু এটুকু পারি যে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে, যাতে সে নিজেই পর্দা করতে উতসাহী হয়। জোর করে কোন আইন চাপিয়ে আমি তার ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করার পক্ষপাতি নই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , আসলেই ভুঝতে ভুল হয়েছিল । আমিও আপনার সাথে একমত যে, কোন কিছু কাউকে চাপিয়ে দিয়ে আদায় করে নেওয়া যায় না।
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই সাহেব আমি কিছুই বুঝলাম না , শরিয়া আইনে ধর্ষন প্রমাণ করতে ৪ জন মুসলমান এডাল্ট পুরুষের চক্ষুস সাক্ষী লাগে । এখন কোন ধর্ষক কি ৪ জন সাক্ষী রেখে ধর্ষন করে ? যদি ৪ জন সেটা দেখে তাহোলে তারা কেন সেটা বাধা দিলনা এবং যদি না দেয় তাহোলে তারা ধর্ষনের সহযোগি হয়ে যাবে । সুতরাং কি ভাবে ধর্ষন প্রমাণ হবে এবং প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী পাওয়া যাবে । এখানে ধর্ষন প্রমাণ করাটাই তো কঠিন , খুব কঠিন শাস্তিতো ধর্ষককে দেওয়া যাবে না যদি প্রমাণ করা না যায় ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৩
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: “ওয়াইল ইবনে হুজর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ(ﷺ)এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রাসুলুল্লাহ(ﷺ) তাকে কোনরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষণকারীকে হদ্দের শাস্তি দেন।” [1]
অনুরূপ মাতান (মূল অর্থ) এর বেশ কয়েকটি হাদিস সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থগুলোতে দেখা যায়।
লায়স (র) নাফি‘(র)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সফিয়্যাহ বিনত আবু ‘উবায়দ তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনিমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসীর সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার(ধর্ষণ) করে। তাতে তার কুমারীত্ব মুছে যায়।
‘উমার (রা) উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে তাকে কশাঘাত করলেন না। [2]
জোরপূর্বক ব্যভিচারকে ধর্ষণ বলা হয়। ধর্ষণও এক প্রকারের ব্যভিচার। ইসলামী ফিকহ শাস্ত্রে ধর্ষণকারীর শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। আর তা হচ্ছে—অবিবাহিত ধর্ষকের জন্য কশাঘাত (বেত্রাঘাত) এবং বিবাহিত ধর্ষকের জন্য ‘রজম’ (পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড)। [3]
ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী আবশ্যক। তা না হলে অনেক সময় নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পেতে পারেন। তবে যদি সাক্ষী না পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ টেস্টের প্রমাণের দ্বারা ধর্ষককে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। [4]
এখানে অনেকেই একটি প্রশ্ন করে যে-- অববাহিত ধর্ষকের শাস্তি কি লঘু হয়ে গেল? আসলে পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম দেশেই ইসলামী দণ্ডবিধি কার্যকর নেই, ইসলামী শাস্তির প্রয়োগ দেখে মানুষ অভ্যস্ত নয়, এ কারণেই এই প্রশ্ন। অবিবাহিত ধর্ষককে ১০০টি বেত্রাঘাত এর শাস্তি পেতে হয়। এই শাস্তি হয় প্রকাশ্যে। বেত্রাঘাত মোটেও সহজ কোন জিনিস না। এতগুলো চাবুকের আঘাত টানা হজম করা ভয়াবহ কঠিন ও কষ্টের ব্যাপার। যে এই শাস্তির শিকার হয় কেবল সে-ই এটি উপলব্ধি করতে পারে। তা ছাড়া এই শাস্তি হয় প্রকাশ্যে। হাজার হাজার লোকের সামনে এর শিকার হওয়া মানসিকভাবেও অপমানজনক। এই শাস্তি যাকে দেয়া হয় সে শারিরীক ও মানসিক উভয়ভাবেই শাস্তি লাভ করে। কাজেই এটি মোটেও সহজ বা লঘু কোন শাস্তি নয়। [5]
যেহেতু এই শাস্তিগুলো প্রকাশ্যে দেয়া হয় (রজম ও বেত্রাঘাত) সমাজে এর একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া হয়। মানুষ প্রকাশ্যে এই শাস্তি প্রত্যক্ষ করে একটা বার্তা পায় যেঃ এই অপরাধ করলে এভাবেই প্রকাশ্যে ভয়াবহ শাস্তি পেতে হবে। শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তো সাজা পাচ্ছেই, তার নাম-পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে ফলে এটি তার পরিবারের জন্যও অপমানজনক একটি ব্যাপার। ইসলামী শরিয়তের এই হদ(শাস্তি) বাস্তবায়ন হলে সমাজ থেকে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের মত অপরাধগুলো নির্মুল হয়ে যেতে বাধ্য।
ইসলামী ফিকহ শাত্র অনুযায়ী যে নারীকে ধর্ষণ করা হয় তিনি মোটেও দোষী হবেন না এবং তাকে কোন প্রকারের শাস্তি দেয়া হবে না। একজন নারীকে যদি কেউ ধর্ষণ করতে যায়, তাহলে তার পূর্ণ অধিকার আছে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করার। এই আত্মরক্ষা তার জন্য ফরয। এমনকি এ জন্য যদি কোন নারী ধর্ষণে উদ্যত ব্যক্তিকে হত্যাও করেন, তাহলেও এ জন্য তিনি দোষী গণ্য হবেন না।
ইমাম ইবনুল কুদামা হাম্বলী(র) এর “আল মুগনী” গ্রন্থে এসেছে-- "যে নারীকে কোন পুরুষ ভোগ করতে উদ্যত হয়েছে ইমাম আহমাদ(র) এমন নারীর ব্যাপারে বলেনঃ
"আত্মরক্ষা করতে গিয়ে সে নারী যদি তাকে মেরে ফেলে... ইমাম আহমাদ(র) বলেনঃ যদি সে নারী জানতে পারেন যে, এ ব্যক্তি তাকে উপভোগ করতে চাচ্ছে এবং আত্মরক্ষার্থে তিনি তাকে মেরে ফেলেন তাহলে সে নারীর উপর কোন দায় আসবে না। ..." [আল মুগনী ৮/৩৩১] [6]
তথ্যসূত্রঃ
[1] সুনান ইবন মাজাহ, পরিচ্ছদ ১৪/৩০ {বল প্রয়োগে যাকে কিছু করতে বাধ্য করা হয়} হাদিস নং ২৫৯৮
[2] সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ৮৯ {বল প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করা (كتاب الإكراه)} হাদিস নং ৬৯৪৯
[3] Ruling on the crime of rape – islamQA (Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)
https://islamqa.info/en/72338
[4] ▪ “What is the difference between the ruling on rape and the ruling on fornication or adultery? Can rape be proven by modern methods?” – islamqa(Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)
https://islamqa.info/en/158282
▪ “Can we consider DNA test in case of adultary, in case of fornication(Rape) or instead of 4 witness ?” [Dr. Zakir Naik]
https://www.youtube.com/watch?v=1iqQrj4SFXU
[5] "Description of flogging for an unmarriezd person who commits zina" – islamqa(Shaykh Muhammad Saalih al-Munajjid)
https://islamqa.info/en/13233
[6] "ধর্ষকের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করা কি ওয়াজিব?" – islamqa (শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ)
https://islamqa.info/bn/4017
১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
এ আর ১৫ বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান তথ্যের জন্য । আমি কিছু বিষয়ে আমার এখনো খটকা কাটেনি বলে হাইলাইট করছি ---
ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী আবশ্যক। তা না হলে অনেক সময় নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পেতে পারেন।
আমার মনে হয় কোথাও কোন ভুল , ব্যভিচার প্রমাণের জন্য ৪ জন সাক্ষী আবশ্যক যাতে নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন ব্যভিচারের শাস্তি না পায় । এটা ধর্ষকের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রয়োগ করলে তো ধর্ষকের রেহাই পাওয়ার পথ খোলা থাকে , কারন ৪ জন সাক্ষী রেখে কেউ ধর্ষন করে না । তাহোলে শরিয়া আইনে ধর্ষনের ক্ষেত্রে কেন ৪ জন সাক্ষী বাধ্যতা মুলক করা হলো ? ৪ সাক্ষী না থাকলে ধর্ষিতা কোন ন্যায় বিচার পাবে না । কোরানে ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য চার জন পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষির কথা বলা হয়েছে -- সুরা নিসা-র ১৫ নম্বর আয়াত : − “ব্যাভিচারিণী নারীদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষকে সাক্ষী হিসাবে তলব কর।” --
ভাই আমার মনে হচ্ছে কিছু খটকা আছে ।
তবে যদি সাক্ষী না পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ টেস্টের প্রমাণের দ্বারা ধর্ষককে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। [4]
ভাই এই আইনটা হাজার বৎসরের পুরোন , ডিএনএ টেস্টের কথা এখানে আসবে কেন , তখন তো ডিএনএ টেস্ট ছিলনা । মোওদুদী সহ অনেক পন্ডিত মনে করেন কোরানের আয়াতের মত শরিয়া আইনের কোন দাড়ী কমা ও পরিবর্তন করা যাবে না বা কিছু সংযোজন করা যাবে না । বৎসর ১০ আগে পাকিস্থানের একজন বিচারক ধর্ষন প্রমাণ করার জন্য ৪ জন সাক্ষীর শর্তকে বদল করার প্রস্তাব দিয়ে ছিল এবং সে কারনে মৌলবাদিদের হাতে তার মৃর্তু হয়েছিল । ডিএনএ টেস্ট এখন এসেছে মাত্র ৫০ বৎসর আগে, তাহোলে তার আগে যখন কোন ধর্ষিতা নারী ৪ জন সাক্ষী আনতে পারতো না তখন কি ভাবে সে ন্যায় বিচার পেত ?
আমি খুবই কনফিউজ এই ব্যপারে ।
‘রজম’ (পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড)। [3
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না , ব্যভিচার প্রমাণ হলে মৃর্তু দন্ড আছে কিনা --- সুরা নিসা, আয়াত ১৬ : “তোমাদের মধ্য হইতে যেই দুইজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাহাদের হইতে হাত গুটাইয়া নাও।”
এই আয়াতে পাথর মেরে হত্যা করার কোন নির্দেশ তো নেই ভাই , যদি তাদের কে মেরে ফেলা হয় ,তখন কি তাদের লাশ তোওবা করবে ?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৯
আমার বিদ্রোহ বলেছেন: ভাল লিখছেন। চালিয়ে যান।