নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তারাবীহ!! বড় প্রশ্ন তিলাওয়াত নয় কি?"

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

(কারও অন্তরে আঘাত লাগলে মুসলিম ভাই হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন আশা করি। ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দিবেন ইন-শা-আল্লাহ)
.
খুব করে চেষ্টা করেছিলাম হাফেজ ইমামের তারাবীহতে উচ্চারিত শব্দগুলো শুনতে। অন্তত ৫০% অর্থতো আল্লাহ চাইলে বুঝতে পারতাম! কিন্তু খুব কষ্ট লাগল টানা চারদিন চেষ্টা করেও সূরা ফাতেহার পর দুই একটা শব্দ ছাড়া তিলাওয়াতকৃত একটি শব্দও বুঝতে পারলাম না। প্রথম তিনদিন দুই তলায় ছিলাম, ভেবেছিলাম হয়তো মাইকে তিলাওয়াত শুনছি তাই হয়তো বুঝতে পারছি না কিন্তু গতকাল নিচ তলায় থেকে সলাত আদায় করলাম তাও তিলাওয়াতের গতির কারনে শব্দগুলো বুঝতে পারলাম না। আজকে শুধু ফরজটা পড়ে চলে এসেছি তারাবীহ বাসার ছাদে পড়লাম।
.
ইউটিউবে নাসির আল ক্বাতামির ইমামতিতে সলাতের একটা ভিডিও দেখেছিলাম। সেখানে প্রথম কাতারে দাঁড়ানো এক যুবককে দেখলাম তিলাওয়াত শুনে কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়েছে। এমনকি ভিডিওর ফ্রেমে যতজনকে দেখা যাচ্ছিল প্রত্যেকে কাঁদতে শুরু করেছে তিলাওয়াত শুনে। নাসির আল ক্বাতামি তিলাওয়াত করছিলেন,
"And those who disbelieved will be driven to Hell in groups until, when they reach it, its gates are opened and its keepers will say, "Did there not come to you messengers from yourselves, reciting to you the verses of your Lord and warning you of the meeting of this Day of yours?" They will say, "Yes, but the word of punishment has come into effect upon the disbelievers."
Al-Quran 39:71
.
আমিও তাদের কান্না দেখে আর তিলাওয়াতকৃত আয়াতটির অনুবাদ দেখে নিরবে চোখের পানি ফেললাম। কোর'আনতো এমনই হৃদয়স্পর্শী। এর মাধুর্যতায় মুগ্ধ হয়ে আপনাকে কাঁদতে হবে, এর জাহান্নামের বর্ণনা শুনে আপনাকে ভয়ে কাঁদতে হবে। এর তিলাওয়াত শুনে ইমামসহ সকল মুসল্লিকে কাঁদতে হবে। তাই নয় কি?
.
এই রমাদানে খুব ইচ্ছা ছিল আমার দেশের এরকম একজন ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করার। এরকম এক ইমামের পিছনে সলাত আদায়ের সৌভাগ্যও হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ। তিনি আমাদের চট্টগ্রামের বন্দরটিলায় অবস্থিত দারুসসালাম মসজিদের ইমাম। এক মাগরিবের সলাতে তার তিলাওয়াত শুনে মনে মনে বলেছিলাম আল্লাহ আপনার কোর'আন এত অপূর্ব! এত শ্রুতিমধুর! মনে হয় আজীবন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনতেই থাকি।
সম্মানিত হাফেজগণের কাছে আমার একটা বিষয় জানার ইচ্ছা ছিল। আপনি ইমামের আসনে দাঁড়িয়ে তিলাওয়াত করে পুরো রমাদান মাসে কোর'আন একবার খতম দিয়ে ফেললেন কিন্তু মুসল্লি একটা বর্ণও বুঝল না। এতে কি মুসল্লিগন আপনার হওয়া খতমের সওয়াব পাবে? সত্যি কথা বলতে আমিও না ১৭-১৮ বছরের ঐ যুবক ছেলেটার মত তিলাওয়াত শুনে কাঁদতে চাই। যেভাবে মিশরি আল আফাসী, আব্দুর রহমান আস সুদাইস, আব্দুর রহমান আল ওয়াসির তিলাওয়াত ইউটউবে শুনে প্রায়ই কাঁদি।
.
বিঃদ্রঃ এটা ৪র্থ রোযা শেষে রাতের একটি লিখা। আলহামদুলিল্লাহ ৫ম রোযার তারাবীহ থেকে ২৩ রোযা পর্যন্ত নারায়নগঞ্জে সৌদির এক ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করার তৌফিক আল্লাহ তা'আলা দিয়েছেন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সৌদির ইমামের তেলাওয়াত কেমন?

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অপূর্ব, এবং খুব ধীরস্থিরভাবে নামায পড়ান। দুই রাকা'আত নামায পড়াতে প্রায় ১২-১৫ মিনিট সময় নেন।

২| ১২ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আমি আমপাবলিক! তবে এসব বিষয়ে জানতে আগ্রহী ছিলাম, বিধায় এসব নিয়ে আমার ধারণা মোটামুটি পরিষ্কার! (কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে/জানতে চাইলে আমি ইমাম ও মুফতি সাহেবদের প্রশ্ন করতাম/করি)

আপনার অভিযোগ/আইডিয়াটা আমলে নেয়ার মত, তবে বেশীরভাগ হাফেজ সাহেবদের তেলাওয়াত শুদ্ধ, চাই আমরা সেটা বুঝতে পারি বা না পারি! আরেকটি কথা, অধিকাংশ মুসল্লি যেটার পক্ষে সেভাবে নামায পড়তে হবে!


@"ইমামসহ সকল মুসল্লিকে কাঁদতে হবে। তাই নয় কি?"
-- এটা অনেক উপরের স্তর, তবে কাঁদাটা বাদ্ধতামূলক নয়! মাসআলামত নামায হলেই হবে!

@"আজকে শুধু ফরজটা পড়ে চলে এসেছি তারাবীহ বাসার ছাদে পড়লাম।"
-- শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি যে আমাদের অধিকাংশ(আমারও) লোকের(৮০-৯০%) তেলাওয়াত(মাখরাজ, মদ...) শুদ্ধ নয়! তাই জামাতে নামায পড়াই সবচেয়ে ভালো!

সময় করে একদিন মিরপুরের বায়তুল ফালাহ্ মসজিদে নামায পড়বেন! দারুন তেলাওয়াত!

আপনাদের দোয়াপ্রার্থী.....

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: হাফেজ সাহেবদের তিলাওয়াত শুদ্ধ সেটা আলহামদুলিল্লাহ আমি জানি। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল কোর'আন খতমের যে সওয়াবের কথা বলা হয় সেটা কি শুধুমাত্র হাফেজ সাহেব পাচ্ছেন নাকি আমরা আম মুসল্লিরাও পাচ্ছি? যেখানে আমরা একটা বর্নও বুঝতে পারছি না। এখানে কোয়ালিটিকে কি সম্পুর্ণ উপেক্ষা করে শুধুমাত্র কোয়ানটিটির উপর গুরুত্ব করা হচ্ছে না? অথচ মহানবী সাঃ এর নামায ছিল কোয়ালিটি পূর্ণ।
.
কাঁদতে হবে এটা বাদ্ধতামুলক নয় সেটা আমিও জানি। কিন্তু আমি চাই তিলাওয়াতের মাধুর্যতা আমার হৃদয় স্পর্শ করুক। এবং পরের রোযাগুলোতে আলহামদুলিল্লাহ একমনে সম্পুর্ণ তিলাওয়াত শুনেছি সৌদির ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"(কারও অন্তরে আঘাত লাগলে মুসলিম ভাই হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন আশা করি। ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দিবেন ইন-শা-আল্লাহ)"
-- এসব বিষয়ে প্রশ্ন করার ও জানার অধিকার আপনার আছে! তবে এসব প্রশ্ন ব্লগে না করে, কোন আলেমকে করবেন! তাদের কাছে সঠিক জবাব পাবেন! (তারা খুব আন্তরিক)


বি. দ্রঃ ব্লগে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ(!!) আছে। তাদের এড়িয়ে চলবেন!

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ উত্তম পরামর্শের জন্য। তবে আমি ভয় পাই দলাদলির ফতোয়াতে। কোন এক মাযহাব বলবে ২০ রাকাত পড়তে হবে এবং মাসের ভিতরে কোর'আন খতম করতেই হবে। এখানে বুঝা গেল না গেল কোন ব্যাপার না। আরেক মাযহাব বলবে কয় রাকা'আত পড়বেন সেটা বিষয় নয় কিন্তু অত্যন্ত ধীরে সুস্থ্যে পড়তে হবে।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভালো।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

চোরাবালি- বলেছেন: তারাবির রাকাত নিয়ে দ্বিমত আছে যা নিয়ে প্রায়শই মাতামাতি লাফালাফি। কিন্তু কোরাণ সুন্দর সুষ্পষ্ট করে পড়তে হবে সে বিষয়ে কোন দ্বিমত নাই কিন্তু এদেশের ৯৯%মসজিদে সেটি হয় না। দুঃখ আমারও লাগে যেটি নিয়ে দ্বিমত নাই সেটি প্রতিষ্ঠায় আমরা কেও এগিয়ে আসি না যেটি নিয়ে দু'পক্ষই মত আছে সেটি নিয়ে কাটাকাটিতে ব্যস্ত।

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: কোয়ালিটিকে সম্পুর্ণ উপেক্ষা করে আমরা ছুটছি কোয়ানটিটির পিছনে।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: وَإِذَا قُرِىءَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।
সূরা অারাফঃ অায়াত-২০৪

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: হাফেজ সাহেবদেরকে বলতে গেলে তেড়ে আসে। তারা বলে দীর্ঘক্ষণ ধরে তিলাওয়াত করলে মুসল্লি থাকবে না। এবং কোর'আন খতম শেষ হবে না।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০০

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: বাংলাদেশে এমন অনেক যায়গা আছে যেখানে খুব সুন্দর ধীর তেলোয়াতে এমনকি বিনিময় ছাড়া তারাবী পড়ানো হয়।

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। এখন অনেক জায়গায় ধীর তিলাওয়াতে নামায পড়ানো হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.