নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--দোস্ত তোরে একটা কথা বলি। ঐ রাস্তা দিয়ে যাইস না।
--কেন? কি হয়েছে গেলে?
-- ঐ রাস্তায় ছিনতাইকারী থাকে। প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
--আমি স্বাধীন মানুষ। আমি যেই রাস্তা দিয়ে ইচ্ছা সেই রাস্তায় যাব। কাউকে ভয় পাই নাকি আমি?
--কিন্তু তোর কাছেতো অনেক টাকা পয়সা আছে।
--তাতে কি? আমি ভয় পাই নাকি কাউকে। খারাপ মানুষের ভয়ে কেন আমি আমার ব্যাক্তিস্বাধীনতা বিসর্জন দিব? আমি কি কাপুরুষ নাকি?
।
সুপুরুষ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন এবং যথারিতী ছিনতাইকারীর কবলে।
--ওই যা আছে বের করে দে। নাইলে দিলাম ছুরি হান্দাইয়া।
--কেন তোমাকে দিব? এটা আমার সম্পত্তি। তোমাকে কেন দিব?
--না দিলে কিন্তু দিলাম।
--এই রাস্তায় আসা কি আমার ভুল হয়েছে? (মনে মনে)। না আমি তোমাকে আমার সম্পত্তি দিবনা।
-- দিবিনা মানে এই দিলাম দিলাম।
--নেন ভাই নেন, সব টাকা নিয়ে নেন। আর কখনও এই রাস্তায় আসবনা।
--আপনি সুপুরষ না? আপনি স্বাধীনচেতা পুরুষ। আপনি কেন আপনার স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে রাস্তা পাল্টাবেন? ছিহ! ছিহ! ওরা আপনাকে পশ্চাৎপদতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি এই রাস্তা দিয়েই আসবেন। নাহলেতো আপনি সমাজ বর্তমান পৃথিবী থেকে পিছিয়ে পড়বেন।
--তাইতো আমি কেন ছিনতাইকারীর ভয়ে আমার স্বাধীনতা বিসর্জন দিব? আমি এই রাস্তা দিয়েই যাব, প্রতিদিনই যাব। কেউ আমাকে ঘরে আটকে রাখতে পারবেনা।
...
পরেরদিনও একই ঘটনা। যথারীতি একই ফলাফল।
কন্টেন্টঃ- Tamu Mamu
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর ছিনতাইকারীদের যারা প্রশ্রয় দেয় তারাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ছিনতাইকারী, তাই এদের প্রশ্রয় না দিয়ে ধরে পিঠায়া পুলিশে দিতে হবে। আমাদের এলাকায় এমন একটি গলি ছিল রাত ১০ বাজলেই প্রতদিন ছিনতাই হতো। কিন্তু দুই চার জন ছিন্তাই কারীর জন্য পুরো এলাকার জনগন ঘরে বসে থাকতে পারে না, তাদের কাজ করে খেতে হয়, ব্যবসা বানিজ্য, অফিস আদালতে যেতে হয়। দুই চারজন ছিন্তাইকারীর ভয়ে ঘরে বসে থাকলে তো জীবন চলবে না। তাই আমরা এলাকাবসী মিলে ফাঁদ পেতে ছিনতাইকারীদের পুরো চক্রকে ধরে আচ্ছা মত পিঠানি দিসলাম, ওদের বসকে কঠাল গাছে ঝুলিয়ে সেই লেভেলের ধোলাই দেওয়া হইছিল আর কয়েকটারে বস্তায় ভরে গণহারে পিটানি দেওয়া হয়েছিল, পরে পুলিশে খবর দিয়ে সবকাটার থানায় চালান দেওয়া হয়েছিল। এখন আর ওই রাস্তায় কোন ছিনতাই হয় না সাধারণ জনগণ রাত ২/৩ টার দিকেও টাকা পয়সা নিয়ে ওই গলি দিয়ে আসা যাওয়া করে।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছিনতাইকারীরদের উৎপাত এতটাই বেরেছিল যে, আমাদের এলাকায় নতুন কোন ভাড়াটিয়া আসতো না, অনেক পুরোনো ভাড়াটিয়ারও বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, অনেক দোকানদাররা তাদের দোকান গুটিয়ে চলে গিয়েছিল। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়েছিল যে ওই এলাকা বসবাসের অযোগ্য এবং জনশূন্য এলাকা হয়ে গিয়েছিল প্রায়।
পরে এলাকাবাসী মিলে ছিনতাইকারী ও তাদের এজেন্টেদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং তাদের নির্মূল করে। আসলে কাজ না থাকলে যা হয় আরকি মাথায় সবসময় ছিনতাইয়ের কথা ঘুরঘুর করে। তবে এসব ছিনতাইকারী পিটানি খেয়ে, জেল হাজত খেটে এখন সব ভালো হয়ে গেছে. এখন এরা কাজ করে খায় নিজেদের জন্য টাকা পায়সা নিজেরাই উপর্জন করে, এখন আর তারা অন্যের টাকা পয়সার দিকে ভুলেও নজড় দেয় না। আর এসব সম্ভব হয়েছিল জেলখানার পূনর্বাসন কেন্দ্রে এদের কর্মমূখী শিক্ষা এবং নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। আসলে ছিন্তাইকারী রোধে সঠিক শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই।
ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭
নতুন বলেছেন: যারা এই ছিন্তাইকারীর গল্পগুলি বলে, তারা ছিন্তাইকারীর বিরুদ্ধে কিছু করার ব্যবস্থা নেয় না কেন?
ছিন্তাইকারীরা অন্যায় করছে তাদের প্রতিরোধের চেস্টা না করে শুধুই বন্ধুকে ঐ রাস্তায় যেতে মানা করা পুরো দায়ীত্ব পালন হয় না।
ছিন্তাইকারীর যদি না থাকে তবে সবাই স্বাধীন ভাবে চলেচল করতে পারবে।
ছিন্তাইকারীর বিরুদ্ধে সবাই সচ্চার হলে সমাজ/আইন ব্যবস্থা নেবে এবং আপনাকে/আমাকে রাস্তা পাল্টাতে হবেনা।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলোতে চোর ছিনতাইকারী বেশি থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশের প্রতিটি রাস্তায় ছিনতাইকারীদের উৎপাত।