নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের পরন্ত বেলায় এসে, তাকেই মনে পড়ছে যাকে নিজ হাতে হত্যা করেছি বা যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। ওকে যদি হত্যা না করতাম সারা জীবন ওকে ঘৃনাই করতে হতো। এখন ওকে মেরে ফেলাতে আরো বেশি ভালোবাসতে পারি। ওর মৃত্য আমাকে ওর খুব কাছে নিয়ে গেছে যেন।
একঝাক প্রেমিক জুগলের সাথে জীবনের গল্পই করছিলাম। ওরা কৌতুহলী হলো ভালোবাসলেন, হত্যা করলেন বলছেন কোন অনুশোচনা নেই? এত পাষান আপনি? আমি বললাম, আমি পাষান নই আমি মেঘনাকে খুব ভালোবাসি।
ওরা বললো তাহলে, ওকে হত্যা করছেন কেন?
আমিঃ ওকে হত্যা না করলে সারাজীবন ঘৃনাই করতে হতো, তাই মেরে দিয়েছি।
বা পাশে বসা চোখে চশমা পড়া ছেলেটা চোখ গোচ করে বললো কি করে মারলেন? খাবারে বিষ দিয়ে।
আমিঃ না, ওকে মেরেছি খুব সুন্দর ভাবে। গল্পটা শুনলে তোমাদেরও ভালো লাগবে, বলবো।
এক তরুণীঃ হত্যার গল্প শুনতে চাইনা, তারপর প্রেমিকাকে? মনটাই খারাপ লাগছে, এক হত্যা কারীর সাথে এখনো বসে আছি।
আমিঃ ও আমার স্ত্রীও ছিল।
এক ছেলে এক উঠে চলে গেল।
বাকি দু জুগলো বললো বলেন আপনার জীবনের গল্প।
মেঘনার সাথে প্রেমের বিয়ে ছিল। পারিবারিক ভাবেও সম্মতি ছিল। বিয়ে হলো আমাদের। মেঘনা পড়াশুনার জন্য দেশের বাইরে যাবার জন্য ট্রাই করছিল, আমি ওকে বলছিলাম দেশেই কিছু করে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারি। টাকা হলে তো ভিবিন্ন দেশে ভ্রমন করতে পারি। মেঘনা বললো আমার জীবনের স্বপ্ন, তাছারা যদি পড়াশুনা দু' বছর শেষ করে কানাডায় সেটেল হতে পারবো। ওকে সব সময়ই বিশ্বাস করতাম। ওকে চলে যাবার সময় দিন খুব কষ্ট হচ্ছিলো। সবশেষে ও গেল, আমিও ieltsট্রাই করলাম যদি দ্রুত যাওয়া যায়? হলো না আমার। ও গেল, যাবার পর কথা হলো যত দ্রুত আমাকে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রতিদিন এ নিয়ে আলোচনা হতো। মাস ছ'য়েক এমনি এমনি চলে গেল, মেঘনা বললো একা ভালো লাগে না, না আসলেই ভালো হতো। সাত মাসের মাথায় আমাদের যোগাযোগ কমে এলো ও বললো পড়াশুনার চাপ যাচ্ছে। এক বছরের মাথায় ওর সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, university তে খুজ নিও পেলাম না। এদিকে আমি প্রায় পাগলের মত, কারো সাথে ওর যোগাযোগ নেই। ওর মা,বোন প্রচুর কান্না কাটি করছে ওর। আর লিহালি ভাবে ওখানে যেতে পারছি না, অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলাম চোরাই পথে যাব। যত রিস্কই হোক না কেন, দালালদের সাথে কন্টাক করে রওনা দিলাম, জীবনে এত কষ্ট করিনি আগে, বন জঙ্গলের পর মাইলের পর মাইল, ড্রামের ভেতর ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। প্রায় দু'মাস লাগলো খেয়ে নাদেয়ে পৌচ্ছালাম। পৌচ্ছাইয়া দালালদের কুঠরিতে খেয়ে দেয়ে সুস্থ হয়ে নিলাম দেন ওর univeesity খোজ নিলাম, ওর বাসার ঠিকানা নিলাম। মনে নানা রঙ একে ওর ঠিকানায় হাজির হলাম, কলিংবেল বাজলো খুব শিহরিত লাগছিলো এসেই ও আমাকে জরিয়ে ধরবে। দরজা খুললো, ও খোললো, খু্লেই বললো কি চাই? ভাবলাম হঠ্ত আমাকে চিনতে পারেনি হয়তো। আমি বললাম,আমি মানুষ। ও চিত্কার চেচামেচি শুরু করলো কেন ডিস্ট্র্বাব করছেন, ভেতর থেেকে এক পুরুষ আসলো কি হয়েছে! আমি থ হয়ে গেলাম। এক রকম তাড়িয়ে দিল ও।এরপর নানা ভাবে ট্রাই করলাম যোহাযোগ করার জন্য। যতটুকু জেনেছি ও একজন বেড পাটনার যোগার করেছে ওর ক্লাসমেট। ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম,ওর ক্লাস শেষে দেখা হলো ও এড়িয়ে যেতে ছিলা। পথ আকড়ে বললাম কথা বলতেই হবে তোমাকে, কিভাবে কষ্ট করে আসলাম, সবাই টেনশন করছে বল্াম ওকে কিন্তু সহাভূতি কিছু ছিলো না। পর কোন উত্তর না দিয়েই ও চ্ে গেল। এরপর আর কথাই বলে না। একমাস আসপাস ঘুরে কোন পাত্তাই পাচ্ছিলাম না। একদিন ওর হাত ধরে বললাম কথা তোমাকে বলতেই হবে। ও বললো, ওকে এটাই লাষ্ট বল আরকোনদিন যোগাযোগ করবেনা। পর নীরব এক জলাশয়ে পাশে গেলাম। মেঘনাই বললো, তোমাকে আর ভালোবাসি না আমি। ভু্লে যাও আমাকে। আমার সাথে যোগাযোগ করবে না। আমার কেউ নেই। আমি অন্যজনকে love করি, জীবনের পছন্দ,স্বাদ বুঝতে পারি এখন।আমি কি করবো মেঘনা?মেঘনা বললো আমি কি জানি? তোমার জীবন? অনেক আকুতি,মিনতি করার পর ওর মন গললো না।
আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। যাষ্ট তোমাকে এাবারের জন্য চুমু খেতে চাই।তারপর বিধায়।ও রাজি হলো, প্রায় পাচমিনিট ওকে চুমু খেলাম পর চুলের মুঠি ও মুখ ধরে পড়ন্ত বিকেলে জলাশয়ে চুবিয়ে মারলাম। ওর দেহটা ভাসিয়ে দিলাম। ওকে মারার পর খুব কাদলাম। শুধু মনে মনে বললাম, আমার প্রেমটাকে মারিনি ওর ভেতর জমে থাকা লোভটাকে মেরেছি এর জন্য আমার অনুশোচনা নেই। ওর সাথে রঙিন মুহুর্ত নিয়ে এখনো বেচে আছি। এই হলো জীবনের গল g্প।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কালস্রোতে বদলায় মানুষের রুচি-অভিরুচি!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
চুলের মুঠি ধরে চুমু টূমু কি কি যেন লিখেছেন।