নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারনের মাঝেও অতিসাধারণ

মার্ক টোয়েন

মনের অনুভূতি প্রকাশ করে যাই বিক্ষিপ্ত কিছু শব্দমালায়।

মার্ক টোয়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইসাইড-অপমৃত্যু

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪১



আজ চারদিকে সবাই ব্যথিত। এইরকম একজন হাস্যজ্জ্বল সফল ব্যক্তির আত্নহত্যা সবাইকে মর্মাহত করেছে।আমরা সমাজে যাদের অনুকরণ করি সফলতার মাপ কাঠি মনে করি এমন অনেক গুনি ব্যক্তির অপমৃত্যু সবাইকে নাড়া দেয়। সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অপ্রাপ্তি, অবহেলা, দারিদ্র্য, না পাওয়া এই সকল কারনে মানুষ আত্নহত্যা করে।কিন্তু সেই কারণের বাইরে গিয়ে এমন সকল সফল মানুষদের তো আত্নহত্যা সত্যি সমাজকে একটি মেসেজ দেয়।

বিভিন্ন ব্যক্তির অবস্থান বিভিন্ন হলেও মোটা দাগে এই আত্নহত্যার কারণ সমূহ নির্নয় করা গেছে।ডিপ্রেশন,মাদক,সম্পর্ক ভাঙ্গন জনিত কারনে,সামাজিক অবমূল্যায়ন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি কারনে সাধারণত মানুষ আত্নহত্যা করে থাকে।এবং কারণ গুলো এমন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত যে একই ব্যক্তির মাঝে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একের অধিক কারণ পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি মানুষ আত্নহত্যা করে মৃত্যু বরণ করে।এবং যত মানুষ আত্নহত্যা করে থাকে তাদের মধ্যে মহিলাদের চেয় পুরুষের সংখ্যাই বেশি। এবং যত লোক আত্নহত্যা করে থাকে তাদের মধ্যে ৮২ শতাংশ মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করে।

বর্তমান এই যান্ত্রিক সমাজে সকলেই কম বেশি সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হই এবং এই সব সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পরি।লাগাতার সমস্যা মানুষ কে ভীষণ ভাবে অবসাদ গ্রস্থ করে ফেলে এবং এক সময় মানুষকে আত্নহত্যা করার চিন্তাকে তরান্বিত করে।

গ্রামের মানুষের তুলনায় শহরে মানুষের জীবন যাত্রা বেশি যান্ত্রিক এবং পরস্পর সৌহার্দ্য সম্প্রতি তুলনামূলক কম।এই জন্য শহরের মানুষ বেশি অবসাদ গ্রস্থ হয় এবং গ্রামের তুলনায় শহরে আত্নহত্যার হার বেশি।

পৃথিবীতে প্রায় মানুষ জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রায় ডিপ্রশনে ভোগে।এবং মেজর ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ৪ শতাংশ মানুষ আত্নহত্যার মাধ্যমে মৃত্যু বরণ করে।

আমাদের কাছে এই পৃথিবী কত সুন্দর মনে মনে হয়।হাসপাতালে গেলে দেখা যায় মানুষের কিছু সময় বাচার আকুতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো লিখেই গেছেন

"মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।"

কিন্তু ডিপ্রেশন গ্রস্থ মানুষের শত প্রাচুর্যের মাঝেও বেচে থাকার কারণ খুজে পায় না। শত প্রাপ্তির মাঝে অপ্রাপ্তি তার জীবনে বড় হয়ে যায়।

মৃত্যু কোনো সমাধান নয় এবং কোনো সমস্যা জীবনের চেয় বড় নয়। কোনো সমস্যা সমাধানের অযোগ্য নয়।এই জন্য প্রিয় জনের সাথে কথা বলুন,আপনজনকে সময় দিন।আপনার একটু সময়, সহানুভূতি, বাচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ।

অপমৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। সুস্থ্য সুন্দর পৃথিবীতে সবাই বেচে থাকুক আপন মহিমায়।ভাল থাকুক সবার আপন জন।

#letstalk

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কারো আত্মহত্যা নিয়ে এত অবাক হবেন না। আপনি তার জীবন যাপন করেন না। (সংগ্রহ)

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২০

মার্ক টোয়েন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।

২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝলাম না ব্লগটা কি ভারতের হয়ে গেলো নাকি? প্রতিদিন কত অভিনেতা অভিনেত্রী একটিভিস্ট মারা যায়। কিন্তু দিনের মধ্যে এতগুলো পোস্ট!

তাও না হয় বুঝতাম তার অভিনীত ছবি গুলো কোনো উন্নতমানের..... সবই বদখত

এরকম কাহিনীর মানে কি!! ব্লগার নুরু সাহেবের কপি পেস্ট দেখি সব!!

অর্থহীন এসব লেখা

৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আত্মহত্যা ভালো সমাধান নয়। এতে ভীরু কাপুরুষতা প্রকাশ পায়

৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২০

বিজন রয় বলেছেন: মর্মহত ও দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.