![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় গণমাধ্যম খুব একটা দেখা হয় না। কিন্তু শেষ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের জন্য দেখা হচ্ছে।প্রথমদিকে কলকাতার কিছু নিউজ অটো সাজেশন এ চলে আসতেছিলো। তাদের সংবাদের উপস্থাপনা, মান সবদিক থেকে এত নিন্ম মানের মনে হয়েছে, দেখার রুচিতে আসে নি। কোলকাতার দাদারা এসব কিভাবে হজম করে আল্লাহই ভাল জানেন।
আসলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের রিএকশন কি তা জানার জন্য ইন্ডিয়া টুডে, এনডি টিভি, দ্যা প্রিন্ট, দ্যা ওয়্যার সহ বেশ কিছু গণমাধ্যম ফলো করলাম। ইন্ডিয়ান বিভিন্ন কূটনীতিক, সমর বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ দেখে আমার মনে হয়েছে
১. তারা এখনো এই আন্দোলন কে ছাত্রদের আন্দোলন মানতে নারাজ।তাদের মতে এখানে জামাত বিএনপি এর হাত রয়েছে। আবার আইএসআই, সি আই এর হাত খুজে পাচ্ছে।
২. শেখ হাসিনার পতন তাদের কাছে হাঠাৎ করে ভূত দেখার মত আবস্থা।
৩. হাসিনার পতনে আওয়ামী লীগের চেয় ভারতের জ্বালা পোড়া বেশি মনে হচ্ছে।
যারা এখনো এই আন্দোলন কে ছাত্র জনতা তথা গণমানুষের আন্দোলন এখনো ভাবতে পারে না তারা আসলে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। বিএনপি জামাতের এই সক্ষমতা থাকলে তাদের এত জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয় না এত বছর। আমরা এতদিন জানতাম বাংলাদেশে র এর এজেন্ট দিয়ে ভরা। তাহলে কি বলতে হবে এটা র এর দুর্বলতা। একটা সরকার কে যখন বৈধ উপায়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর কোনো উপায় থেকে না তাকে ভিন্ন পন্থায় নেমে যেতে হবে এটাই সত্য কথা।এদেশের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন তা বুঝতে রকেট সাইন্টিস্ট হতে হয় না। ভারতের পেটের মধ্যে থেকে এরা যখন স্বাধীন তার মানে তাদের এত সহজভাবে নেয়া ঠিক না। শুধু হাসিনার মনোভাব দিয়ে সারা বাংলাদেশ বিচার করা বোকমি ছাড়া আর কিছু না।যে ভুল ভারত করেছে।তাদের সকল ডিম হাসিনার পকেটে রেখেছে। এখন হাসিনা ভাগছে, এবং তাদের সকল চালান গায়েব হয়ে গিয়েছে। আর চালান হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন অসংলগ্ন হয়ে যায় ভারতীয় গণমাধ্যম মাধ্যম অবস্থা সেই রকম যা ভারতের মনোভাব কে রিপ্রেজেন্ট করে।
আমার মনে হয় এটা র এর ইন্টেলিজেন্স ফেইলর। তাদের এ ফেইলর ঢাকার জন্য আইএসআই, সিআইএ এর নাম বলতেছে যদিও কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারে নি। যদিও ভারত হাসিনা সরকারকে আগাম বার্তা দিতে পারে নি তারা এখন সংখ্যালঘু দের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা ফলাও করে প্রচার করছে। আমি জানি না তারা জানে কিনা? এই সংখ্যা লঘুরা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক হাতিয়ার। মোটা দাগে ৩ কারনে বাংলাদেশে সং্খালঘুরা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এক, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য বিভিন্ন দল তাদের হামলা সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে।
দুই, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার কারনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা তাদের দ্বারা নিগৃহীত হওয়ার কারনে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
তিন, ব্যক্তিগত দেনা-পাওনা, হিসেব নিকাশের দ্বন্দ্বের কারনে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে ভারতীয় মিডিয়া ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক বিষয়কে টার্গেটেড কমিউনিটি এট্যাক হিসেবে সর্বদা প্রচার করছে।
আমার মনে হয় ভারত বাংলাদেশ কে মিস রিড করছে।পপুলার পাবলিক সেন্টিমেন্ট যদি না বুঝতে পারে তাহলে ভারতের ভবিষ্যৎ ই খারাপ আছে কারণ স্থিতিশীল বাংলাদেশ ছাড়া স্থিতিশীল ভারত অকল্পনীয়।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:২৩
নতুন বলেছেন: মিসরিড করেনাই।
এই আয়ামীলীগের ২ স্টেজের পরিকল্পনা।
তারা ড: ইউনুস প্রধান হবেন সেটা ভাবেনাই।
চেয়েছিলো শপথ নেবার আগে বড় সংকট সৃস্টিকরে সেনা ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
ড: ইউনুস প্রধান হওয়াতে মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ( উপায় নাই, উনাকে দুনিয়ার সবাই শুভেচ্ছা জানাবে, শুধুই একা মোদী বসে থাকতে পারেনা)
সরকার উচিত এখন আয়ামীলীগ/ বিএনপি/ জামাতের হাতে থাকা অবৈধ অস্রবাজদের গ্রেপ্তার করা। নতুবা এরা ঝামেলা বাড়াতেই চাইবে।
এখন ভিসা সেন্টারও খুলে যাবে, ব্যাবসায়ী আলোচনাও হবে।
শেখ হাসিনা অন্য দেশে চলে গেলে ভারত তারাতাড়ী ঠান্ডা হয়ে যাবে।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:৩৩
রাজীব বলেছেন: ভারত বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের চোখ দিয়েই দেখে। আমাদের পরাজিত শক্তি এখনো বুঝতে পারতেছে না যে তারা পরাজয়ের ব্যাখ্যা কিভাবে দিবে।
প্রথমে বলেছে জামায়াত শিবিরের সহযোগীতায় আন্দোলন হয়েছে, এটা জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ মৌলবাদী হয়ে যাচ্ছে।
আবার এখন বলছে একজন সূদখোরকে প্রধান উপদেষ্টা বানানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইসলাম হারিয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: শিক্ষা দিক্ষায় ওরা আমাদের থেকে অনেক পিছনে।আমাদের গার্মেটসগুলিই দেখেন।নিচু কাজগুলি করেন ভারতিওরা আর বড় কাজগুলি করে মাদ্রাসাথেকে পাশ করা ছাত্ররা।
আন্দোলন বিজয়ের দার প্রান্তে নিয়ে গেছে আর্মী।ছাত্র জনতার বিরাট ভূমিকা আছে।