![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবছিলাম তোর কথা ভেবে আর বেহুদা কষ্ট পাবোনা।
কিন্ত সেই ভাবনাটা তুই স্থায়ী হতে দিলিনা।
তুই নাকি আগের থেকে অনেক রুগা হয়ে গেছিস, মুখটা বুজি কেমন পাংশু হয়ে গেছে।
শুনেছি তোরে দুর থেকে দেখলে চেনা যায় না।
মাত্র দুইটা সন্তানের জননি হয়ে তোর এই অবস্থা?
আচ্ছা তোর কি মনে আছে আমাদের ফিউচার প্লানের কথা?
এই বাচ্ছা নিয়েও তো আমরা প্লান করতাম।
বলতাম "আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে বাচ্ছা নেবো"।
একবার চিন্তা করে দেখেছিস, আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলে তোর কী অবস্থা হতো।
মাত্র দুইটা বাচ্ছা নিয়ে হাঁপিয়ে গেলি?
হুম, তোকে হারাবার পর থেকে আমার বেহায়াপনা সিমানা ছাড়িয়ে গেছে। এখন আমি আনলিমিটেড বেহায়ামি করতে পারি।
তুই চলে যাওয়ার পর থেকে বেয়াদপির মাত্রাও বেড়েছে।
জানিস, এই বেয়াদপির কারণে আমি সর্বত্র অবাঞ্চিত।
আমার আচরণের কারণে সবাই আমাকে খারাপ ভাবে।
তাতে আমার কষ্ট হয়, তা এক আধটি কষ্ট তো হবেই! যতই খারাপ হইনা কেনো অনুভব করার মতো মানুষের একটা অন্তর আমারও আছে। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্ত আরো দশজনের মতো কষ্ট পাইনা।
তোর চলে যাওয়ার পর আমার সকল নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গ দিয়েছিলো এই কষ্টরা।
জানিস, ছোট বেলায় পড়াশোনার কারণে মা বাবার ভালোবাসা খুব একটা পাইনি, (অনাদৃতও হইনি বটে)। হোস্টেলে সকাল বেলা সকলে নাস্তা করতো একটি ছেলে ছাড়া। আর সেটা ছিলাম আমি। রাতে সবার মশারি থাকলেও আমার ছিলোনা। ঈদের আনন্দে সবাই নুতন জামা কিনলেও আমি এক কাপড় দিয়ে ছয় থেকে আটটা ঈদ করেছি।
ছোট রেখে একদিন বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আব্বার অবসর নেওয়ার আঠারো দিন পূর্বে মৃত্যু হয়েছিলো। এই আঠারো দিনের গ্যাপটা কেউ পূরণ করলোনা। বাবার কলিগ উল্টো আরো সরকার থেকে দেয়া ভিবিন্ন সুযোগ হজম করে নিলো।
আমার মাও কচি বয়সে রাঢ়ী হয়ে গেলেন।
আর তুইও আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলি।
কিন্ত এমন সকল মুহূর্তে কষ্টরা আমাকে ছেড়ে যায়নি। ওরা সব সময় পাশে থেকেছে।
ওদের বিদায় দিতে চেয়েছিলাম। কিন্ত তোর একটা খবরই ওদের আমার থেকে যেতে দিলো না।
জানিস! অতটা বছর পরেও তোর খারাপ কিছু শুনলে বুকটা কেমন ছ্যাঁৎ করে ওঠে।
তুই ভালো থাক প্রিয়ে!
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০
Mashkura বলেছেন: Dhonnobad priyo.
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: ভালো থাকুক প্রিয়ে।