![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশ্চর্য এমন কিছু দৈব ঘটবে মানুষ শংকিত হবে ।
পাপাচার বৃদ্ধি পাবে , পৃথিবীর বক্ষ থেকে ধন সম্পদ রত্নাদি বেরিয়ে
আসবে এবং লোভ চাঙ্গা হবে তা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু করবে । বস্তুত দুনিয়াবি মোহে ঈমানকে বিকিয়ে পরস্পর ধ্বংসের
দিকে লিপ্ত হবে ।
মেশকাত ও বায়হকি
৪০ জন আলেম মিলে আর ৪০ জন আলেম কে পারস্পারিক তর্কে হারাবে , নারিরা সমাজে প্রাধান্য পাবে সব ক্ষেত্রে । যিনা ব্যাভিচার
বৃদ্ধি পাবে , মুলত আল্লাহুকে ভুলে গোমরাহির দিকে ছুটবে ।
জানিও সেই সময় টুকু অতিত জাহেল বা অন্ধকার যুগের চাইতেও
নিকৃষ্ট , ঐ সময় ইমানদারের সংখ্যা হবে খুব কম ।
এহুদি নাছারাদের বক্ষ হইতে দাজ্জালের জন্ম হইবে ।
এবং আচানক ক্ষমতার অধিকারি হইবে । পৃথিবীর বহুলাংশ মানুষ তার অনুসারি হইবে । বস্তুত এক হাতে চন্ত্র আর অন্য হাতে সূর্য উদিত হইবে এবং তার আকৃতি হইবে এক চক্ষু বিশিষ্ট
মুলত তার দিকে যারা অগ্রসর হইবে তারাই জাহান্নামি ।
তার অত্যাচার যুলুমে তামাম দুনিয়ায় বিশ্রিংখলা ও হত্তা কাণ্ড ঘটবে । এত লাছ পচবে বাতাস বিষাক্ত হয়ে পশু পাখি নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে । আল্লাহর নির্দেশিত মহা মানব ইমাম মেহেদির
আগমন হবে , তিনি এদন পাহাড়ে অবস্থান নিবে ঐ সময় তার
সংবাদ শুনে পাহাড় বা বরফের চাইয়ের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যদি যেতে হয় তার হাত ধরবে । নিশ্চয় তিনি আল্লাহর প্রতিনিধি
তার ছুরত হবে গৌড় বর্ণ ইউছুফ আ এর মত সুন্দর , সাথে থাকবে মুসা আ,এর লাটি , ইশা আ, এর কেশ আদম আ,এর নমুনা এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর আদর্শ । পাহাড়ে উদয় হয়ে
এমন এক তাজাল্লা চাওয়া দিবে সাথে সাথে দুনিয়াবি বিজ্ঞানিকের মারনাস্র সব ধংশ হয়ে যাবে । মক্কার কানায়ে কাবার
পশ্চাদ দেশ হতে ইশা আ, চতুর্থ আকাশ থেকে নেমে আসবে
এবং বহুসংখ্যক মুসলিম নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে ।
ইমাম মেহেদির আদেশে ইশা আ দাজ্জাল কে ধরে এক আছাড়ে
পাথরের মধ্য ফেলে ধংশ করে দেবে । তামাম দুনিয়ার যারা থাকবে সবাই ইমাম মেহেদি ও ইশা আ এর নিকট তওবা করে নিবে । ইশা আ ৪০ বছর রাজত্ত করবে এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন
করবে । নবীজীর রওজা মোবারকের পার্শে তাকে দাফন করা হবে । ইমাম মেহেদি আ এর কি হবে তা হাদিস শরিফে স্পষ্ট উল্লেখ নাই । আমাকে প্রকৃত তাৎপর্য জানতে শিহা সিত্তাহ ও কোরআন শরিফের তরজমা এবং বিশিষ্ট অলিদের কিতাব ঘাঁটতে হল । লেখক
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৭
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ধন্যবাদ ও একমত
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৭
সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: সুত্র কি? কি ঘাটলেন দেখান। লিংক যোগ করুন
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৭
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: মেশকাত শরিফের বাংলা অনুবাদ ২য় খণ্ড দেখুন লিংক ও উত্তর মিলবে ।
আর উকিল সাব রা তাদের মুহুরিদের সাজেশান দেন / জেনে রাখা
ভাল কবি সাহিত্যিকগন আত্তাধিক চিন্তা চেতনায় অনেক উন্নত ।
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
মহসিন আহমেদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। রাছুল(স) গায়েব জানতেন কি?!
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসুদ রান৮২ আপনি ইহুদী নাছারাদের নিয়ে বলছেন আবার তার নবীদের মত হয়ে ইমাম মেহেদির আবির্ভাব হবে বলছেন মাথা ঠিক আছে। আপনারাইতো বলে থাকেন আগের নবী রাসুল ও আগের ধর্ম সব বাতিল। তাহলে আগের নবী রাসুল আবার থাকে কি করে! আবার তাদের চেহারা অমোক ও তমোক নিয়ে ইমাম মেহেদি আসবে বলছেন।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৫
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: নবীজী আল্লাহ প্রদত্ত জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে সব জানতেন । তিনি হায়াতুন্নবি । গায়েব না জানলে ভবিষ্যৎ এ কি ঘটবে সেটা
হতনা ।
সেলিম অবশ্যই টিক আছি , তবে প্রশ্ন টা যথার্থ হজরত মোহাম্মদ সা শেষ নবি তার পরে আর কোণ নবী আসার কথাও নয় । ইশা আ কোন ঘটনা ক্রমে আল্লাহর নিকট দরখাস্ত
করেছিল হে আল্লাহ আমাকে নবী না বানিয়ে যদি শেষ নবীর উম্মত বানাইতেন বড় ভাগ্যবান হইতাম ।
আল্লাহ ইশা আ এর প্রাথনা কবুল করেছিল এজন্য তাকে আল্লাহ পাক সরাসরি আসমানে ঊটিয়ে নিয়েছিলেন / এবং উম্মত হিসাবে আসবেন । আর ইমাম মেহেদিও উম্মত গভির সত্য ।
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসুদ রান৮২ ঈসা (আঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মত হওয়অর প্রর্থনা করেছিলেন যে, বলছেন সেই প্রমাণ আপনার কাছে আছে? কেন একটা মিথ্যা কথা বলছেন। ঈসা (আঃ) আবারো নবী হিসাবেই পৃথিবীতে আসবে এটা কোরআনের কথা। আর আপনি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে শেষ নবী বলছেন এটা কোরআন থেকে দেখাতে পারবেন? পারলে রেফারেন্স দিবেন; তবে হ্যা কোরআন ভালো করে পড়েন কারন, কোরআনের ভুল অর্থ করেছে মানুষ যুগেযুগে।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: সেলিম বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মুহাদ্দেস তাদের নিকট
যাচাই করে পরে আমার নিকট এস । কোরআনের অর্থ বর্তমানে
শত শত নির্ভুল ভাষায় অনুদিত ।
কোরআনের অর্থ বুঝতে কোরআন তরজমা তবসিরে কবির , জালালায়ন পড়ুন । যে ধরনের প্রস্ন হল মুসলমানদের মধ্য একজন ছোট্ট বাচ্ছাও মোহাম্মাদ সা যে শেষ নবী ভাল ধারনা রাখে ।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪০
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: মুসলমানদের ঈমান কে মজবুত করার জন্য প্রধান হাতিয়ার
কলমা পড়া ও বেশি বেশি তওবা পড়া / কলমার মধ্য মহান আল্লাহ পাক এবং নবী সা এর শান ও ঈমান ইসলামের গুড় রহস্য
বিদ্যমান একটু নিরবে বুঝুন
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসুদ রান৮২ আপনি বলেছেনঃ সেলিম বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মুহাদ্দেস তাদের নিকট যাচাই করে পরে আমার নিকট এস ।
আপনার উপরের উক্তি পড়ে বুজলাম আপনি বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মুহাদ্দেসদের গুরু, শিক্ষক। যাহোক আমার প্রশ্নের উত্ত কিন্তু আপনি দেন নাই। আমি আপনাকে বলেছিলাম ঈসা (আঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মত হওয়অর প্রর্থনা করেছিলেন যে, বলছেন সেই প্রমাণ আপনার কাছে আছে? কেন একটা মিথ্যা কথা বলছেন। ঈসা (আঃ) আবারো নবী হিসাবেই পৃথিবীতে আসবে এটা কোরআনের কথা। আর আপনি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে শেষ নবী বলছেন এটা কোরআন থেকে দেখাতে পারবেন? পারলে রেফারেন্স দিবেন। আপনি জানলে অবশ্যই রেফারেন্স দিবেন আর না জানলে কেবল শোনা কথা বলবেন না প্লিজ।
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১১
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: সুরা বনি ইসরাইল ৫২ থেকে ৫৮ আয়াত
পাট করুন । আয়াতের শানে নুযুল মানে প্রকৃত ঘটনার তাৎপর্য
জানুন হাদিস সংকলন মেস কাত শরিফে ।
আর না বুঝে উল্টা পাল্টা মন্তব্য করবেন না প্লিজ
আমি ইনশাল্লা শিউর যে একটি কোরআনের আয়াত্তের সার কথা উদ্ধার করতে বহু কিতাব ঘাটতে হয় যাতে নির্ভুল বিশ্লেষণ
জানা যায় । ধন্যবাদ
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫১
সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: মেস কাত শরীফ টা কি ভাইডি?এটা কি বুখারী বা মুসলিম থেকেও বেশি গ্রহনযোগ্য?
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসুদ রান৮২ আমার বড় অবাক লাগছে হয় আপনি বুজতে পারছেন না; নয়তো আমি বুজতে পারছি না।
১। আমি আপনাকে বলছি ঈসা (আঃ) যে প্রর্থনা করলেন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উত্তম হবার জন্য এটা কোরআনের কোন আয়াতে আছে?
২। মুহাম্মাদ (সাঃ) কে শেষ নবী বলছেন এটা হাদীসও বলছে তা জানি। কিন্তু কোরআন এর কোরআয়াতে তাঁকে শেষ নবী বলছে এটা জানাবেন। উত্তর না দিয়ে উল্টা পাল্টা বলবেন না প্লিজ।
সুরা বনি ইসরাইল ৫২ থেকে ৫৮ আয়াত পড়লাম কিন্তু কই, আপনি এই আয়অত দিয়ে কি বোজাতে চায়ছেন? আপনার উত্তরের অপেক্ষয়। প্লিজ রাগ করবেন না। কেবল এটা একটা জানার ব্যাপার।
১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৮
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: সেলিম সব ঘটনা কোরআনে স্পষ্ট নয় শুধু সুত্র বুঝতে হলে
হাদিস সংকলন পড়তে হবে ।তেমনি বুখারি অ মুসলিম শরিফের
মত মেশকাত শরিফ একটি বিশিষ্ট হাদিস সংকলন । পরবর্তী
লেখায় বিস্তারিত উল্লেখ করব ভাল , ধন্যবাদ ।
১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি তাহলে হার মানলেন? এবার আমার কাছে জানতে চান আমি ইনশাল্লাহ্ আপনাকে জানাতে পারবো যা নিয়ে আপনি বিতর্ক করছেন।
১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: জানা থাকলে লিংক উল্লেখ্য হার মানছিনা এজন্য কিতাবের
আশ্রয় নেইনি অনেকদিন আগে পড়েছিলাম ঘটনা সত্য কিন্তু
কিতাব খুজে আয়াত বের করা ও লিঙ্ক যোগ করা অনেক সময়ের
ব্যপার । লিংক যোগ করলে সত্য উদঘাটন হবে অবশ্যই এবং অনেকের ভুল ভ্রান্তি ভাঙ্গবে ।
১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১। সূরা হাজ্জ্ব ২২:৮ আয়াতঃ وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
অর্থঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ সমন্ধে বিতন্ডা করে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে দলিল, না আছে কোন দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ।
মাসুদ রান৮২ আপনার রেফারেন্স দিলে তার দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ থাকতে হবে।
২। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
মুহাম্মাদ (সাঃ) কে আলেমরা শেষ নবী বলে থাকে কোরআনের সূরা আহযাব এর ৪৪ আয়অত দিয়ে। সেখানে কি লেখা আছে চলুন দেখিঃ
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে।
আর আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন ইহা উহাদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। এই কোরআন জ্ঞানীদের জন্য, এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, এই কোরআন চিন্তশীলদের জন্য। এই কথাগুলি কোরআনের। কোরআন সকলে'ই বুঝেবে এটা ঠিক নয়।নাজিবুললাহ্।আপনি বলেছেনঃ ৩৩:৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী।
যেমন বলছেঃ মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এইযে শেষ নবী বলা হয়েছে। এই শেষ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। মাসুদ রান৮২ আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ(শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এই আয়াতেও দেখলেন খাতাম মানে কি? আসলে খাতাম আরবী শব্দ যার মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। খাতাম মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন খাতাম মানে কেবল এক জায়গায়'ই আছে শেষ আর কোথাও খাতাম মানে শেষ নয়; এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে খাতাম মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিবে? আমি ইচ্ছা করলে আপনাকে আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিন্তু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন ও আমাকে জানান। কোরআনের আর কোথাও খাতাম মানে শেষ লিখা আছে কিনা? না, আর কোথাও খাতাম মানে শেষ নাই। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই করে নেয়অ হয়েছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্যা কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী। হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)। কি বুঝলেন। আপনি বুঝবেন না, ঠিক আছ। না বুঝলে এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় খাতাম মানে শেষ এই অর্থটা দেখাবেন প্লিজ।
আপনি হাদীস পড়তে বলেছেনঃ
কোরআন রাসুলকে অনুসরন করতে বলেছে তার অর্থ এই নয় যে, হাদীস কে অনুসরন করতে বলেছে। সেই সময় কোথায় ছিলো রাসুলের হাদীস? রাসুলের সময় এমনকি রাসুলে মৃত্যুর পরেও কোন খলিফ হাদীস লিপিবদ্ধ করান নাই। প্রয়োজন ছিলো না। এমন কি রাসুলের নিষিদ্ধ ছিলো হাদীস রচনা। চলুন হাদীস দেখি।
(ক) হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
(খ) আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
(ক) রাসুল কে আকড়ে ধরতে বললো 'কোরআন' তাকে ছাড়া আশ্রয় পাবে না। আপনি কোরআন ছাড়া আশ্রয় পাবেন?
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(খ) এই খানে, আল্লাহ রাসুল কে বলছে সে তাঁকে কবিতা শিক্ষা দেয় নাই। রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দিলে সে কি হত নিশ্চয় কবি হত, কিংবা কবিতা রচানা করতো কাব্য রচনা করতো। অথচ তাঁকে আল্লাহ্ বলছে স্পষ্ট উপদেশের কথা, তা হচ্ছে কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
(গ) এই সূরাতে আল্লাহ্ বলছে কোরআনের পূর্বে রাসুল কোন কিতাব পাঠ করেননি। এবং তার ডান হাত দিয়ে কোন কিতাব লিখেনী, যদি সে কিতাব লিখতো তাহলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করতো। এই আয়াতে কি বোঝা যায় না যে, রাসুল হাদীস লিখলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত! এই কথাই আল্ল্হ্ বলেছে? এই কারনে রাসুল এমনকি তার খলিপারাও হাদীস লিকে নাই।
কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না তা জানতে হবে; তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন কিবলে চলুন দেখি
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
উপরের এই আয়াতে কি বুঝলেন? যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে। এরা কারা যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের কি বলে চলুন দেখি।
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৬। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ্ হাদীস দিয়ে ফয়সালা করতে বলেন নাই। বলেছে সকল কিছু কোরআন দিয়ে ফয়সালা করতে। টিভি চ্যালেন গুলিতে আজ আর কোরআন দিয়ে ফয়সালা হয় না, হয় হাদীস দিয়ে।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
৭। সূরা বাকারা ২:১১৩ আয়াতঃ
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।
আপনি কি সূরা বাকারার এই আয়াত অনুযায়ী মূর্খ নন? রেগে গেছেন নাকি? রাগ করেন না। সত্যকে মেনে নেওয়া পরাজিত হবার কিছু নাই।
ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বললে অনেক বলতে হয়।
৮। সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
আল্লাহ সুরা মায়েদার ৬৮ নম্বার আয়াতে বলছে আমরা কোন পথেই নাই যতক্ষন না তাওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআনের আলো মানুষের মাঝে পৌছালাম। কি এটা আমার কথা নয় এটা কোরআনের কথা। কি রাগ করছেন? আরও আছে নিচে নামেন।
৯। সূরা মায়েদা ৫:৪৬-৪৭ আয়াতঃ
وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াত আরও ক্লিয়ার করলো যে, আগের কিতাব বাতেল হয় নাই। বরং বহাল আছে বলেই সেই কিতাবধারীদের ইঞ্জিলের অনুযায়ী ফয়সালা করতে বলেছেন।
১০। সূরা ইউনুস ১০:৯৪ আয়াতঃ
فَإِن كُنتَ فِي شَكٍّ مِّمَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَؤُونَ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكَ لَقَدْ جَاءكَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অর্থঃ সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।
পরিশেষে আর একটি কথা বলি। আল্লাহ্ কোরআনে যাদের কে অনুসরণ করতে বলেছে তাদের কে বাতিল বলা গুনাহর কাজ। চলুন কোরআন দেখিঃ
১১। সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
এই যে কোরআন সূরা বাকারহ্ ১৩৬ আয়াতে বলছে বলুন আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। এখানে কিন্তু কেবল "আমি" শব্দটি ব্যবহার করে নাই। করেছে "আমরা"। আবার বলছে আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী। এখানেও "আমি" শব্দটি ব্যবহার করে নাই। করেছে "আমরা"। তাহলে সেই আমরা কি পূর্বের সেইসব নবী রাসুলদের আনুগত্যকারি? অনুসরণ করি? করি না। এখন ভাবুন আমরা আসলে কোন পথে আছি।
আল্লাহ আপনাকে আমাকেসহ সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুক ---আমেন
১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫১
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: সেলিম তুমি অবশ্যই নন মুসলিম আমার ধারনা
খাতাম অর্থ শেষ / শীল মোহর অর্থ শেষ / ব্যক্ষা দিয়েছ
নবী সা সম্পর্কে যে কোরআনে অর্থের পার্থক্য আছে
আল্লাহ পাক বলেন জালিকা ল কিতাবুলারয়াই বাফি হুদাল্লিল মুত্তাকিন
অর্থ এই কিতাব যার মধ্য তিল পরিমাণ সুভা সন্দেহ নাই এবং মুত্তাকিন যারা আল্লাহকে সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করে তাদের জন্য
পথ প্রদর্শক সুরা বাকারা
আমার প্রশ্ন যেখানে আল্লাহু পাক মোহাম্মাদ সা কে শেষ নবী
হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন সেটা না মানলে আল্লাহ কে অস্বীকার
ও মিথ্যাবাদি বানানো র অপরাধে মুশ্রেক না নাস্তিক হতে হবে
আর হাদিস বিষয়ে মন্তব্য যথার্থ এখানে বুঝতে হবে নবী সা এর
নিকট কোরআনের আয়াত আল্লাহর প্রধান ফেরেস্তা জিব্রাইলের
মাধ্যমে নাজিল হত । কতক সাহাবা নবী সা এর পবিত্র মুখ নিশ্রিত বানী লিখে রাখতেন চামড়া কাপড় গাছের বাকল প্রভৃতির মাধ্যমে এবং কতক সাহাবা কোরআন লিপিবদ্ধ করতেন / এতে হাদিস ও কোরআনের আয়াত অনেকেই বের
লাগিয়ে দিতেন এজন্য বিশুদ্ধ কোরআনের আয়াত যেন বের না লাগে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিলেন , পরবর্তীতে সেটা তুলে নেন ।
এবং কোরআনের পাশাপাশি বিশুদ্ধ হাদিসও সংগ্রহ হতে থাকে ।
টিকা কোরআনের আয়াত আমরা যেমন বুঝতে অসুবিধা হলে
ভাল যে জানে তার নিকট যাই তেমনি কোরআন বুঝতে সাহাবা গন নবীজীকে বিভিন্ন আয়াতের মর্মার্থ জানতে চাইলে তিনি সহজে যে উত্তর দিতেন তাই হাদিস ।
নবীজীকে প্রস্ন করলে সরাসরি মনগড়া কোন উত্তর দিতেন না ,
বরং আল্লাহর ইঙ্গিতে সমাধান দিতেন এজন্য কোরআন যেমন
হাদিস ও তদ্রূপ ।
নবীজী কে সাহাবা কেরাম প্রস্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা
যদি কোরআনে কোণ বিষয়ের সমাধান না পাওয়া যায় কোথায়
খুজব
নবীজী উত্তর দিলেন আমার নিকট বা হাদিসে
হাদিস সংকলনে নবীজী যে শেষ নবী হাজারও প্রমান নিহিত রয়েছে । একটি কথা খুবই গুরুত্ত বুঝতে হবে জানার নাম ইমান
নয় মানার নামই ইমান । আরও জানুন
:-&
২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৩
সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: জানার নাম ইমান
নয় মানার নামই ইমান । আরও জানুন
হাহাহাহাহাহা।। হা হা প গে
ওহে ছাগু জানার জন্যই আজকের এই পৃথিবী তে এতদুর আসতে পেরেছ।বসে বসে ব্লগিং করতেছ।মানার জন্য হলে আমাকে বোঝাও হিন্দু ধর্মে কি সমস্যা?
তোমার মত মানোয়ার পেয়ে আমি ধন্য।
২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মাসুদ রান৮২ শীল মানে আপনি বলছেন শেষ এই কথা নিয়ে তর্ক না করে এই কোরআনে খাতাম কথাটা অনেক জায়গায় ব্যবহার হয়েছে সেখানে একবার দেখুনতো খাতাম মানে আর কোথাও শেষ শব্দ লিখা আছেকি? আর কোথাও লিখা নাই। কেন আর কোথাও লেখা নাই কেবলআহযাব এর শেষ লেখা হলো। খাতাম মানে শীল,মহর,অলংকৃত। শীল মানে সনাক্তকারী বা সত্যায়নকারী। কখনো শীল মানে শেষ নয় এটা ভুল তরজমা করা হয়েছে। আর হাদীসের কথা বলছেন আল্লাহ্ হাদীস সংরক্ষন করে এমন কোন কথা কোনআন জুড়ে দেখাতে পারবেন না। আল্লাহ কোরআনে বলছেঃ
আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)
হাদীস রচনাকে কোরআন কখনই সমর্থন করে না। চলুন একটু কোরআন থেকে জেনে নেয়।
কিছু লোক ছিলো যারা এইভাবে চিন্তা করতো,আমার কথা বা ধারনা যদি সত্য ও ভালো হয়,তবে সেই কথা বা ধারণা আরও বিস্তারিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা মিত্যা হাদীস বানানোর অসুবিধা কি? যেমনঃ
''আকীলি, মোহাম্মদ এবনে ছইদ হইতে রেওয়ায়েত করিয়াছেন বাক্যটি যদি সৎ হয়, তবে তজ্জন্য একটা সূত্র-পরম্পরা গড়িয়া লওয়াতে, অর্থাৎ মিত্যা করিয়া তাহাকে হাদীসে পরিণত করাতে কোন দোষ নাই।তিমমিজি বলেন, আবু মোকাতেল খোরাছানী লোকমান হাকিমের উপদেশ সম্বন্ধে আওন-এবনে-শাদ্দাদ হইতে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেন। ইহাতে তাঁহার ভ্রাতুস্পুত্র তাঁহাকে বলিলেন, আপনি আওন আমাকে বলিয়াছেন এরুপ কথা বলিবেন না। কারণ আওনের নিকট হইতে আপনি ঐ সকল হাদীস শ্রবণ করেন নাই। ভ্রাতুস্পুত্ত্রের কথা শ্রবণ করিয়া আবু মোকাতেল বলিলেন, ইহাতে দোষ কি বাবা? এই কথাগুলি তো খুবই ভালো।----চরকাশী-আমাদের গুরু ও 'মাফহুম' রচয়ীতা আব আব্বাহ্ যাহা বলিয়াছেন, তাহা আরও বিস্ময়জনক। তাঁহারা বলেন,কিয়াছবাদী ফেকাওয়ালাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, কিয়াছের দ্বারা কোন কথা প্রমাণিত হইয়া গেলে, সেই কথাকে হাদীসে পরিণত করার জন্য, হজরতের নামে অর্থাৎ হজরত বলিয়াছেন বা করিয়াছেন এইরুপ বলিয়া একটা মিথ্যা সনদ গড়িয়া লওয়া জায়েজ।
---(মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা ৯১-৯২)
উপরের উদ্ধৃতি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অনেক লোকের ধারণা অনুযায়ী, কোন ভালো বা যুক্তিসংগত বিষয় মানব সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করতে গেরে সেই বিষয় সম্পর্কে মিথ্যা সনদসহ জাল হাদীস করার কোন অসুবিধা নেই বরং জায়েজ।
লোকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাজার হাজার নয় বরং লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস তৈরী করিয়াছে। হাম্মাদ বিন যায়েদের বর্ণনামতে একমাত্র যানাদুকারাই চৌদ্দ হাজার জাল হাদীস রচনা করিয়াছিল। ইহাদের মধ্যে আব্দুল করিম অজ্জা নিজেই স্বীকার করিয়াছে যে, সে চার হাজার জাল হাদীস রচনা কারিয়াছিল। অনেক নির্ভরযোগ্য দরবেশ শ্রেণীর লোকও মানুষকে ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করিবার সৎ উদ্দেশ্য নিয়া ফাযায়েল মূলক হাদীস তৈরী করিয়াছিল। হাফেজ যয়নুদ্দীন ইরাকী লিখিয়াছেন- এই সমস্ত দরবেশের তৈরী হাদীসই সব চাইেতে বেশী ক্ষতিকর হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। কারণ সাধারন্যে তাহাদের লেবাছ, পোশাক ও চাল চলন দেখিয়া মনে করার উপায় ছিল না যে, এই সমস্ত লোকও ভূয়া হাদীস তৈরী করিতে পারে। সুতরাং সাধারণ লোক তাহাদের তৈরী হাদীস গুলিকেই সহীহ্ হাদীস বলিয়াই ধরিয়া লইয়াছিল।''-----(আবু হানিফা, পৃষ্ঠা ২১৮)
আপনাকে অনেক বলা যায় হাদীস সম্পর্কে কিন্তু লাভ কি বলে আপনাকে। আপনর হৃদয় ও চুক্ষুতে আল্লাহ্ শীল মোহর এটে দিয়েছেন। আপনারা চোখে ভালো কিছু দেখবেন না। কোরআনের সঠিক আয়োত দেখবেন না। আসুন দেখি হাদীস লিখতে কোরআন স্বীকৃতি দেয় নাকি।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
(ক) রাসুল কে আকড়ে ধরতে বললো 'কোরআন' তাকে ছাড়া আশ্রয় পাবে না। আপনি কোরআন ছাড়া আশ্রয় পাবেন?
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(খ) এই খানে, আল্লাহ রাসুল কে বলছে সে তাঁকে কবিতা শিক্ষা দেয় নাই। রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দিলে সে কি হত নিশ্চয় কবি হত, কিংবা কবিতা রচানা করতো কাব্য রচনা করতো। অথচ তাঁকে আল্লাহ্ বলছে স্পষ্ট উপদেশের কথা, তা হচ্ছে কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
(গ) এই সূরাতে আল্লাহ্ বলছে কোরআনের পূর্বে রাসুল কোন কিতাব পাঠ করেননি। এবং তার ডান হাত দিয়ে কোন কিতাব লিখেনী, যদি সে কিতাব লিখতো তাহলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করতো। এই আয়াতে কি বোঝা যায় না যে, রাসুল হাদীস লিখলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত! এই কথাই আল্ল্হ্ বলেছে? এই কারনে রাসুল এমনকি তার খলিপারাও হাদীস লিকে নাই।
কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না তা জানতে হবে; তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন কিবলে চলুন দেখি
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
উপরের এই আয়াতে কি বুঝলেন? যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে। এরা কারা যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের কি বলে চলুন দেখি।
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৬। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ্ হাদীস দিয়ে ফয়সালা করতে বলেন নাই। বলেছে সকল কিছু কোরআন দিয়ে ফয়সালা করতে। টিভি চ্যালেন গুলিতে আজ আর কোরআন দিয়ে ফয়সালা হয় না, হয় হাদীস দিয়ে।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
আসলে মানুষ তর্ক প্রিয় যেমন আপনি করছেন না জেনে। হাসীদ চরনা করাকে কোরআন ও হাদীস কেউ সমর্থন করে না। আসুন দোয়া করি যেন আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার জ্ঞান দান করেন---আমেন
২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
মাসুদ রান৮২ বলেছেন: সেলিম তুমি নিজেই বড় পণ্ডিত আরেক জনের যুক্তি মানবে কেন ।
তুমি যদি হাদিস অস্বীকার কর তাহলে কোরআন কেই অস্বীকার
করার মত হয়ে যায় ।
আল্লাহর বাণী কোরআন আর হাদিস আল্লাহ ও নবীজীর উভয়ের কথা বা বানী । যেমন মুসা আ আল্লাহর সাথে অদৃশ্য কথা বলতেন তা কোরআনে সংক্ষিপ্ত কিন্তু হাদিসে বিস্তারিত
বর্ণনা রয়েছে । তুমি সরাসরি হাদিস কে অস্বীকার করলে আল্লাহু এবং নবীজীর প্রতি বেয়াদবির কারনে কাফের মুশ্রেক
হতে কতক্ষন । এক্ষনি তার মহান দরবারে তওবা করুন ।
কোরআনের আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুনাল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিবকুমুল্লাহ ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম ।
যদি তোমরা আমি আল্লাহু কে লাভ করতে চাও আগে আমার হাবিব / মোহাম্মাদ সা এর অনুসরন কর , তার পথ নির্দেশ মান ।তবেই আমি তোমাদের ক্ষমা করব । শুধু কোরআনের বাংলা
অনুবাদ পড়ে আলেম হওয়া যায় না , বিস্তারিত জানতে হাদিস
পড়তেই হবে ।
২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩
Md Taufikul Islam বলেছেন: আমি যতটুকু জানি ঈমাম মাহাদী আবির্ভাবের সমময়: সারা পৃথিবী ইমানদার মুমিন ব্যক্তিদের জন্য বসবাসের অযোজ্ঞ হয়ে যাবে, শুধু সৌদি আরব ব্যাতিত। খুবই ভয়ঙ্কর নির্জাতন চলবে ইমানদার মুমিন ব্যক্তিদের উপর। বেশির ভাগ মুমিনগন সৌদি আরব চলে যাবে। তারা বলতে থাকবে রাসূল (স বলেছেন এই অবস্থায় ইমাম মাহাদীর আবির্ভাব ঘটবে, চলো আমরা ওনাকে তালাশ করতে থাকি। কোন একদিন মসজিদে নববীতে আসরের নামাজের জন্য সবাই ওযু করতে থাকবে এবং এক অপরিচিত ব্যক্তিকে ওযু করতে দেখবে। কোন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করবে উনি কে? উনিই কি ইমাম মাহাদী? তখন আসমান থেকে গায়েবি আওয়াজ আসবে ইনি ইমাম মাহাদী তোমরা তার হাতে বায়-আত গ্রহন কর। সবাই অনেক খুশি হবে,তার হাতে বায়-আত গ্রহন করবে এবং তাকে নেতা হিসবে মেনে নিবে ও তার ইমামতিতে সলাত আদাই করবে। কাফেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হবে। (বর্ননা শুধু মূল বিষয়টুকু সংক্ষেপে করছি) এবং কোন একদিন দামেস্কের মসজিদে পৌছাবে। একই ভাবে আসরের নামাজের জন্য সবাই ওযু করতে থাকবে এবং সেই সময় হযরত ঈসা (আ
দুই ফেরেসতার কাধে হাত দিয়ে মসজিদের পূর্ব পশের মিনারে এসে দাড়াবেন,ও ইসারায় নিচে নামার জন্য কিছু আনতে বলবেন। নিচে নেমে নামাজের প্রস্তুতি নিবেন।ইমাম মাহাদী বলবেন হে আল্লাহর রাসূল আপনি ইমামতি করুন।হযরত ঈসা (আ
বলবেন আল্লাহ এ দায়িত্য তোমাকেই দিয়েছেন আমি শুধু এসেছি দজ্জালকে হত্যা করতে। নামাজ শেষে ইমাম মাহাদী বলবেন হে আল্লাহর রাসূল এই কাফেলার নেতৃত্য গ্রহন করুন, হযরত ঈসা (আ
বলবেন আল্লাহ এ দায়িত্যও তোমাকেই দিয়েছেন আমি শুধু এসেছি দজ্জালকে হত্যা করতে। (ইমাম মাহাদী আকৃতি বা চেহারা সম্পর্কে পড়েছিলাম কিনা মনে নেই, তবে তিনি আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (স
এর বংশধর হবেন)। আমার নিজের ভাষায় লিখেছি ভূল হলে আল্লাহ যেনো আমাকে ক্ষমা করেন। দয়া করে হাদীস্ এর ব্যখ্যার সাথে মিলিয়ে দেখবেন ।
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৩
Md Taufikul Islam বলেছেন: আমার পোস্টটি দয়া করে ডিলেট করুন। আমি লিখেছি এক ভাবে কিন্তু পোস্ট করার পর হয় গেছে আর এক রকম। এখন ডিলেট করতে পরছিনা। Plz anybody help me. I want to delete my post.
২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৭
Md Taufikul Islam বলেছেন: বলেছেন: আমি যতটুকু জানি ঈমাম মাহাদী আবির্ভাবের সমময়: সারা পৃথিবী ইমানদার মুমিন ব্যক্তিদের জন্য বসবাসের অযোজ্ঞ হয়ে যাবে, শুধু সৌদি আরব ব্যাতিত। খুবই ভয়ঙ্কর নির্জাতন চলবে ইমানদার মুমিন ব্যক্তিদের উপর। বেশির ভাগ মুমিনগন সৌদি আরব চলে যাবে। তারা বলতে থাকবে রাসূল (স বলেছেন এই অবস্থায় ইমাম মাহাদীর আবির্ভাব ঘটবে, চলো আমরা ওনাকে তালাশ করতে থাকি। কোন একদিন মসজিদে নববীতে আসরের নামাজের জন্য সবাই ওযু করতে থাকবে এবং এক অপরিচিত ব্যক্তিকে ওযু করতে দেখবে। কোন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করবে উনি কে? উনিই কি ইমাম মাহাদী? তখন আসমান থেকে গায়েবি আওয়াজ আসবে ইনি ইমাম মাহাদী তোমরা তার হাতে বায়-আত গ্রহন কর। সবাই অনেক খুশি হবে,তার হাতে বায়-আত গ্রহন করবে এবং তাকে নেতা হিসবে মেনে নিবে ও তার ইমামতিতে সলাত আদাই করবে। কাফেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হবে। (বর্ননা শুধু মূল বিষয়টুকু সংক্ষেপে করছি) এবং কোন একদিন দামেস্কের মসজিদে পৌছাবে। একই ভাবে আসরের নামাজের জন্য সবাই ওযু করতে থাকবে এবং সেই সময় হযরত ঈসা (আ
দুই ফেরেসতার কাধে হাত দিয়ে মসজিদের পূর্ব পশের মিনারে এসে দাড়াবেন,ও ইসারায় নিচে নামার জন্য কিছু আনতে বলবেন। নিচে নেমে নামাজের প্রস্তুতি নিবেন।ইমাম মাহাদী বলবেন হে আল্লাহর রাসূল আপনি ইমামতি করুন।হযরত ঈসা (আ
বলবেন আল্লাহ এ দায়িত্য তোমাকেই দিয়েছেন আমি শুধু এসেছি দজ্জালকে হত্যা করতে। নামাজ শেষে ইমাম মাহাদী বলবেন হে আল্লাহর রাসূল এই কাফেলার নেতৃত্য গ্রহন করুন, হযরত ঈসা (আ
বলবেন আল্লাহ এ দায়িত্যও তোমাকেই দিয়েছেন আমি শুধু এসেছি দজ্জালকে হত্যা করতে। (ইমাম মাহাদী আকৃতি বা চেহারা সম্পর্কে পড়েছিলাম কিনা মনে নেই, তবে তিনি আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (স
এর বংশধর হবেন)। আমার নিজের ভাষায় লিখেছি ভূল হলে আল্লাহ যেনো আমাকে ক্ষমা করেন। দয়া করে হাদীস্ এর ব্যখ্যার সাথে মিলিয়ে দেখবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৫
এডভোকেট আশফাক বলেছেন: আরো গুছিয়ে সুন্দর লেখা উচিত ছিলো। সম্ভব হলে করুন।
ইসলামের প্রতিটি বিষয়ই মর্যাদার.....এ নিয়ে কথা বলতে গেলেও সৌন্দর্যের দিকে খেয়াল রাখা উচিত