![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহুম্মা সাল্লা আলা সাইয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলেহি ওয়া আসহাবীহি ওয়া আজওয়াজিহি ওয়া আহলে বাইতিহি ওয়া বারেক ওয়া সাল্লাম ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রসংসা আল্লাহর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন । আর সালাত ও সালাম জানাই সেই মহান স্বত্বাকে যাকে দুই-জাহানের রহমত স্বরুপ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন এবং করেছেন তাকে প্রসংসিত ।
আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হচ্ছে মুসলমানদের কিবলা কাবা শরিফ প্রসংঙ্গে ।
প্রথমত আপনাদের কাছে জানতে চাই , নামাজে আমরা যে সেজদা খানা দেই উহা কি কাবা শরীফ কে দেই ?
কাবা শরীফ কে "বাইতুল্লাহ " বা আল্লাহর ঘর বলা হয় । তার মানে কি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এখানে থাকেন ?
ইসলামের সেই প্রথম সময় থেকে আল্লাহর নির্দেশে মুসলমান গন মসজিদুল আক্সার কে কিবলাহ মেনে মু-তঅয়াজ্জুহ হয়ে নামাজ আদায় করতো ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইহাই নির্দেশ ছিল কিন্তূ হযরত মুহাম্মদ (সা.) মন সব সময় প্রিয় মাতৃভুমিতে মক্কার কাবার জন্য মন কাঁদতো । রাহমাতুল্লিল আলামিন নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) কাবা শরীফের জন্য এতো ভালবাসা ছিল যে তিনি মসজিদে আক্সার দিকে ফিরে তো নামাজ পড়তেন কিন্তূ তার মন সব সময় মক্কায় পড়ে রইতো সেই কাবার দিকে !
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুহাম্মাদ (সা.) সেই কষ্ট আর সজ্য করতে না পেড়ে তিনি কোন এক নামাজ অবস্থায় হুজুর (সা.) কে নির্দেশ করলেন , হে কালো কামলিওয়ালা ও আমার বন্ধু আজ এখন থেকে আপনি যে দিকে মু-তাওয়াজ্জায়হ হয়ে নামাজ পড়তে চান আপনি সেই দিক ফিরে নামাজ পড়তে পারেন । হে আমার প্রিয় মেহবূব আপনে মন যে জায়গায় ফিরে নামাজ আদায় করতে চায় সে জায়গাই আমর পছন্দ ।আপনি আপনার কিবলা আপনার পছন্দ করে নিন । হুজুর রাহমাতুল্লিল আলামিন সেই কেবলাতাইন মসজিদে নামাজ রত অবস্থায় মক্কায় অবস্থিত কাবা শরিফের দিকে মু-তাওয়াজ্জুহ হয়ে গেলেন এবং সেই থেকে আজ অবধি এই কাবা শরীফের দিকে মু-তাওয়াজ্জুহ হয়ে মুসলমান গন নামাজ পড়ে আসছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত পড়ে যাবে ... সুবহানাল্লাহ ।
তার মানে কি ? এই ঘটনা থেকে কি বুঝা যায় । কাবা শরীফ হচ্ছে হুজুর মুহাম্মাদ (সা.) ভালবাসা ! এই কাবা শরীফ হচ্ছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) দয়া ! তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) যদি বাংলাদেশের দিকে মু-তাওয়াজ্জুহ হয়ে নামাজ পড়তে চাইতেন তাহলে দুনিয়ার মুসলমান গন এইদিকে ফিরেই মু-তাওয়াজ্জুহ হইয়ে নামাজ আদায় করতে হত । দয়াময় প্রভুর দয়ালু রাসুল দয়া করেছিলেন কাবা শরিফের প্রতি তাই কাবা আজ মুসলমানদের কিবলাহ তাই আমরা মুসলমান গন এই কাবার দিকে ফিরে মানে মুতাওজ্জাহা ইলা জিহাতিল কাবাতেস শারিফাতে আল্লাহু আকবার পড়ে নামাজ শুরু করি । সুবহানাল্লাহে ওয়াবি হামদেহি সুবহানাল্লাহিল আজিম ।
আমরা মুসলমান গন এক আল্লাহকে সিজদা করি ।আমরা মুসলমান গন কাবা কে সিজদা করি না আমরা কাবা শরীফের দিকে ফিরে মহান আল্লাহ কে সিজদা করি এই বিষয় টি আমি অনেক কে ভুল করতে শুনেছি কাবা শরিফ আমাদের মুসলমানদের জন্য অতান্ত্য সম্মানিত আমাদের কিবলাহ এটা কিন্তূ কিবলার দিকে ফিরে আমরা এক আল্লাহকেই সেজদা করি কাবা কে নয় এই বিষয়টি বুঝে নেওয়া খুব জরুরি । কাবা কে সম্মান করি ভালবাসি । কারন হযরত মুহাম্মদ (সা.) একে ভালবাসতে তাই । আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় মাহবুবের পছন্দকে এতো মুল্যায়ন করেছেন যে সে কাবার দিকে এক বার দেখলে ১০০০০০ সওয়াব হয় । সুবহানাল্লাহ !আমরা মুসলমান রা এক আল্লাহ কে সিজদা করি । এখানে চিন্তাশীলদের জন্য আনেক গভির কিছু বিষয় বুঝবার বা চিন্তা করবার আছে ?
আল্লাহ এক , তাঁর কোন শরিক নেই । তিনি সমস্ত আসমান ও জমিনে যত প্রানি আছে তাদের একমাত্র প্রতিপালন কারি ।তিনি বিচারের দিনের মালিক আমাদের প্রিয়তম আল্লাহ ।
তিনি বলেছেন ......."মানুষ আমার রহস্য আর আমি মানুষের রহস্য ''।
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন:
পৃথিবী গোল কাবা শরিফের দিকে ফিরে নামাজ পড়া একে বারেই সম্ভব নয় । থলে পুর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন এগুলো কি ? আপনি যদি আজকে ঢাকা থেকে জেদ্দা যেতে চান প্লেন কে উড়োজাহায কে কোন দিকে যাইতে বলবেন ? নিশ্চই পশ্চিম দিকে এটা ভৌগলিক বিষয় মুলত আমরা মু-তাওয়াজ্জুহ হচ্ছি মু-তাওয়াজ্জুহ মানে মনোযোগের গভির একটা অবস্থানের কথা বলা হয়েছে ।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৩
আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: ভাই পৃথিবী তো গোল একটা গোলক। কাবার দিকে মুখ করা কি সম্ভব? একটু বুঝার চেষ্টা করেন। পৃথিবী সমতল হলে না হয় একটা কথা ছিল।
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪২
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: পৃথিবী গোল কাবা শরিফের দিকে ফিরে নামাজ পড়া একে বারেই সম্ভব নয় যদি মক্কা শরীফ বা এর আসে পাষে এলাকা ব্যাতিত।
এখানে মুলোত আমরা মু-তাওয়াজ্জুহ হচ্ছি মু-তাওয়াজ্জুহ মানে মনোযোগের গভির একটা অবস্থানের কথা বলা হয়েছে ।
তাওয়াজ্জুহ মানে মনোযোগ । মু-তাওয়াজ্জুহ ইলা জিহাতিল কাবা অর্থাৎ আমি কাবা শরীফের প্রতি মনোযোগি হচ্ছি ।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪৯
আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: ও বুঝছি। তাহলে কেবলার কোন দরকার নাই। মনোযোগটাই আসল।
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:০১
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: মনোযোগ টা কোন দিকে দিবেন ? কেবলার দিকে ।সুমন আমি জানি পৃথিবী গোলক আমি এ ও জানি পুর্ব পস্চিম উত্তর দক্ষিন বলে চার দিক আছে । আমরা ঢাকা থেকে মক্কা শরীফ যাবেন আপনাকে পশ্চিম দিকেই প্লেন চালাতে হবে !
বুঝতে পারছেন নিশ্চই ভৌগলিক অবস্থান নির্দেশ করনে ।
এখানে আসলে অন্য একটা জরূরি বিষয় আপনাদের মনোযোগ আশা করছিলাম ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১২
মেলবোর্ন বলেছেন: এ বিষয়ে আমার পোস্ট আর একটা মন্তব্য:
কাবার দিকে পা দিয়া ঘুমানোর বিষয়. একটা পোস্ট ছিলো তার উত্তর
Click This Link
আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: আগে বলেন, কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া বা পা দেয়া কীভাবে সম্ভব? পৃথিবী গোলাকার। যেদিকেই মুখ বা পা দেন, তা স্পর্শক বরাবর মহাকাশের দিকে যাবে। জবাব দিন|মুছে ফেলুন |
লেখক বলেছেন: জনাব আলবার্ট_আইনস্টাইন আপনার কথায় যুক্তি আছে। আপনার কোন পোস্ট এ এটা নিয়া লিখছিলেন পরছিলাম নাম মনে নাই, কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া বা পা দেয়া কীভাবে সম্ভব? আমরা কাবার দিকে মুখ করি সেটা ফিল করার চেসটা করি যে সবাই একই দিকে ফিরে একই আললাহর সান্নিধ্য পাবার চেসটা করি। কাবা বহু কাল ধরে পবিত্র স্থান। যেখানে কাবার দিক জানা নাই সেখানে ও ত নামাজ পরা যায় তাই বলে তো নামাজ বন্ধ থাকেনা। আর আমার পোস্টের শেষে স্টোরি টা বুজলে এইরকম প্রশ্ন অবান্তর। তবে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ, প্রশ্ন করলে আলোচোনা হয় উওর আসে। ভালো থাবেন।