![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহুম্মা সাল্লা আলা সাইয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলেহি ওয়া আসহাবীহি ওয়া আজওয়াজিহি ওয়া আহলে বাইতিহি ওয়া বারেক ওয়া সাল্লাম ।
প্রশ্নঃ- মৃত ব্যক্তিগন কি জীবিত ব্যক্তিগনের দোয়া দুরুদ শুনতে পান?এবং যিয়ারতকারীকে চিনতে পারেন?কবরবাসী যে শুনতে পান তার দলীল কি ?
উত্তরঃ- অবশ্যই চিনতে পান এবং তাদের কথা বারতা ও দোয়া দুরূদও শুনতে পান ।এ কারনে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হাদীসে পাকে বলেছেন- প্রথমে কবরবাসীগণকে সম্বোধন করে সালাম করতে হবে ।পরে দোয়া দুরূদ পড়তে হবে ।রাসূলে করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই মদিনা শরীফের জান্নাতুল বাকীতে গমন করে প্রথমে ইন্তিকালপ্রাপ্ত সাহাবায়ে কিরামগণকে সম্বোধন করে সালাম দিতেন –পরে দোয়া করতেন ।তাদের সাথে কথা বারতাও বলতেন ।যদি তারা না বুঝতেন বা না শুনতেন –তাহলে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাদের সাথে ঐরূপ আচরন করতেন? কখনই নয় । কথা শুনেন না এবং বুঝেন না – এমন লোকদের সাথে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা বলার চিন্তা করাই বেদ্বীনি ও কুফরীর শামিল ।
কবরবাসী যে শুনতে পান তার দলীলঃ-
১. প্রথম দলীলঃ- ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া “কিতাবুল ক্বুবুর” গ্রন্থে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেনঃ-
عن عا ئشة رضی اللہ عنھا قالت قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلّم ما من رجل یزور قبر اخیہ و یجلس عندہ الا استانس بہ وردّ علیہ حتی یقوم-
-“হযরত আয়েশা সিদ্দীকা(রাঃ)বর্ণনা করেন- নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আপন মুসলমান ভাইয়ের কবর যিয়ারত করে তার কবরের পাশে বসলে কবরবাসী শান্তি লাভ করে তৃপ্ত হয় এবং তার সালামের জওয়াব দেয়-যে পরযন্ত না যিয়ারতকারী সেখানথেকে প্রস্থান করে” (কিতাবুল ক্বুবুর)
এতেই প্রমানিত হলো-প্র্ত্যেক কবরবাসী সালাম শুনেন ও তার জবাব দেন এবং যতক্ষন পরযন্ত যিয়ারতকারী সেখানে অবস্থান করেন-কবরবাসী তাদের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করে তৃ্প্ত হন ।
২. দ্বিতীয় দলীলঃ- কিতাবুল ক্বুবুর গ্রন্থে ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেনঃ-
عن ابی ھریرۃ رضی اللہ عنہ قال اذا مر ّالرّجل بقبر اخیہ ردّ علبہ السلام وعرفہ واذا مرّ بقبر لایعرفہ فسلّم علیہ ردّ علبہ السلام-
-“হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হাদীস বর্ণনা করেনঃ যখন কোন মুসলমান আপন পরিচিত কোন মুসলমান ভাইয়ের কবর যিয়ারত করে –তখন কবরবাসী তার সালামের জওয়াব দেয় এবং তাকে চিনতে পারে ।আর অপরিচিত লোকেরা যিয়ারত করে সালাম দিলে শুধু সালামের জওয়াব দেয়”
এতেই প্রমানিত হলো যে, কবরবাসী সালাম শুনেন ও জওয়াব দেন । যিয়ারতকারী পরিচিত হলে মৃত ব্যক্তি তাকে চিনে ।সুবহানাল্লাহ ! সাধারন কবরবাসীর যদি এই অবস্থা হয়-তাহলে আল্লাহর অলীগনের অবস্থা কি হবে?
[আল্লাহ তায়ালাই অধিক ভালো জানেন]
View this link
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২০
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বাধন । ভাল বলছেন ।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১.-- অমাল্লাম ইয়াহকুম বিমা আঞ্জালাল্লাহু ফা উলাইকা হুমুল কাফিরুন-ফাছিকুন-জালিমুন (৫: ৪৪-৪৭) = --যারা অহি/কোরান অনুযায়ী বিচার-মীমাংসা (বিধান) করে না তারাই সত্য অস্বীকারকারী, মিথ্যাবাদী এবং অত্যাচারী/সন্ত্রাসী।
২. কথা বলার ক্ষমতা থাকে জীবনের লাসের নয়; জীবন কবরে থাকে না।
৩. লাস জিবীতের কথা শুন্তে পেলে জিবীতরা আরো স্পষ্ঠভাবেই লাসের কথা শুন্তে পাবেই পাবে।
৪. ঘুমন্ত মানুষ যখন কথা শুন্তে পায় না/শ্রবণ শক্তি হারায় তখন লাসের শোনার ঈমান বর্বরতা/কাফেরী।
৫. বোখারীর উম্মত ব্যতীত ঐ সকল বোখারীর লেখায় রাছুলের উম্মতগণ বিশ্বাস করতে পারে না। কোরানে উহার পক্ষে সায়-সমর্থন নেই।
বিনীত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: বিনীত
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৫
মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যারা এসব বুঝতে চায় না। নবীর ( সঃ ) উপর দিয়া কথা বলে।
ধন্যবাদ।