![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন সভ্যতা, পুরাণ, সংখ্যাতত্ত্ব, শব্দের ইতিহাস ভালো লাগা একজন মানুষ
চন্দ্রালোকিত তুষারাবৃত গহন রাত। প্রচণ্ড গতিতে ধাবমান বলগা হরিণের রথটি হঠাৎই থেমে পড়ে বাড়ির চালে। চিমনির ভেতর দিয়ে অসম্ভব ক্ষীপ্রতায় ঘরে প্রবেশ করে বৃদ্ধ লোকটি—ছোটখাট স্থূলকায় দেহ, শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখে শিশুর মতো অনাবিল উচ্ছলতা। রক্তিম লোমশ আলখেল্লা পড়নে তার, শুভ্র আস্তিন ও ঝুল তাতে, মোজাসদৃশ টুপি ঝুলছে মাথার পেছনে, কোমরে প্রশস্ত কটিবন্ধ।
নিঃসন্দেহে দৃষ্টিভ্রম হচ্ছে আমার! তথাপি নিছক কৌতূহলেই ডাকি তাকে, ছিন্ন হয় এ বিভ্রম যদি, "এই যে, শুনুন।"
"আমি সান্তা, সান্তা ক্লজ," আমাকে আরও বিস্মিত করে পেছন ফিরতে ফিরতে স্পষ্ট কণ্ঠে বলে উঠে বুড়ো। হাসিতে উদ্ভাসিত মুখ তার, চমকায়নি একটুও। "বড়দিনের উপহার নিয়ে এসেছি তোমার পুত্র-কন্যাদের জন্য। আরও একশ কোটি শিশুর বাড়িতে যেতে হবে আমাকে, আজ রাতের মধ্যেই।"
"আপনি আসলে আমার দৃষ্টিবিভ্রমের ফল," হাত নেড়ে তাকে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করি আমি।
"না," দৃঢ়ভাবে বলে সে, নিজের অস্তিত্বের ব্যাপারে আশ্বস্ত করার ঐকান্তিক প্রয়াস যেন। "সুস্পষ্ট দৃষ্টি তোমার, সম্ভবতঃ চিন্তাভাবনাও।"
"সেক্ষেত্রে আপনার পুরো ব্যাপারটিই অবৈজ্ঞানিক, স্রেফ ধাপ্পাবাজি। হয়তো আপনি তস্কর এক।" উষ্ণ হয়ে বলি আমি।
"কেন বলছ এ কথা!" চেহারা বিষণ্ণ হয় তার।
"পাটিগণিতের সহজ হিসেবে," তাচ্ছিল্যভরে বলি আমি। "সমগ্র পৃথিবীতে বাস করে প্রায় ৭১০ কোটি মানুষ। এদের মধ্যে আনুমানিক ২৭% শিশু হলে, শিশুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯২ কোটি। আপনি যদি কেবল বড়দিন উদযাপনকারী এবং শান্ত শিশুদের চকলেট ও খেলনা উপহার দেন এবং দুষ্ট শিশুদের কয়লা প্রদানে বিরত থাকেন, তবুও...।"
"সকল শিশুকেই উপহার দেই আমি, দুষ্ট-মিষ্ট সবাইকে সমান ভাবে," অদ্ভুত শান্ত স্বর এবার বুড়োর।
"সেক্ষেত্রে আপনার বিষয়টি, ব্যাকরণবিধিতে বাহুল্য হলেও, বলতেই হচ্ছে, অধিকতর অসম্ভব। কারণ প্রতি দুটি পরিবারে সাত জন করে শিশু থাকলে, আপনাকে মোট ৫৫ কোটি বাড়ি পরিদর্শন করতে হবে, এক রাতের মাত্র ১০ ঘন্টায়, যেহেতু সুবোধ শিশুরা ঘুমোতে যায় রাত ৮টার দিকে, জেগে উঠে তারা সকাল ৬টায়।"
"শিশুদের জন্য উপহার ভ্রমণ আমি শুরু করি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা দ্বীপ থেকে, সমগ্র পৃথিবী প্রদক্ষিণ শেষে সমাপ্ত করি তা সামোয়াতে। কখনও অভিযান আমার শুরু হয় বেরিং প্রণালির চুকচে প্রান্ত থেকে, সমাপ্ত হয় অন্যপ্রান্তে, আলাস্কায়।"
"এত করেও আপনি সময় পাবেন বড় জোর ৩৪ ঘন্টার মতো," বুড়োর ভূগোল জ্ঞান খানিকটে চমকে দিলেও চেহারা নির্বিকার আমার।
"সান্তার আস্তিনের ভাঁজে এখনও লুকিয়ে আছে চমক কতক, রয়েছে কৌশল কতিপয়; সেগুলোকে অবজ্ঞা করো না, হে। তোমার কাছে যখন সময় বয়ে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা, আমার কাছে তা আঁখির পলকমাত্র, সেকেণ্ডেরও কিয়দংশ।" সহাস্যে ঘোষণা করে বুড়ো।
দৃষ্টিবিভ্রমের সঙ্গেসঙ্গে পাগলা বুড়ো বোধহয় এবার চিন্তারও বিভ্রাট ঘটিয়ে ছাড়বে আমার, ভাবলাম আমি।
"বিশ্বাস হচ্ছে না তোমার বুঝতে পারছি। গল্প শোন তাহলে।
সে অনেক অনেক কাল আগের কথা—বৈবস্বত মনুর প্রথম মহাযুগের সত্যযুগের মধ্যাহ্ন তখন। পৃথিবীতে ছিল সসগরা সদ্বীপা সাম্রাজ্য এক, আনর্ত নাম তার, রাজধানী তার কুশস্থলি। তথায় সম্রাট ছিলেন পুণ্যাত্মা রৈবত; তার ছিল একটিমাত্র কন্যা—রেবতী, বহু গুণে গুণান্বিতা, অনিন্দ্য অসামান্য রূপসী এক।
কন্যার বয়সকালে উদ্বিগ্ন হলেন মার্তণ্ডপ্রতাপ সম্রাট, মর্ত্যলোকে তো নেই সুযোগ্য পাত্র তার। অনেক চিন্তাভাবনা করে অবশেষে একদিন সরাসরি ব্রহ্মলোকেই গমন করলেন রৈবত, কন্যার হাত ধরে, উপদেশ কামনা করবেন স্বয়ং ব্রহ্মার, কে হতে পারে উপযুক্ত বর আত্মজার।
দেব যজ্ঞ বেদ গিরি সিন্ধু তটিনী-বেষ্টিত ব্রহ্মা তখন ব্যস্ত ছিলেন গন্ধর্বদের সঙ্গীতসূধায়। সঙ্গীত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন রৈবত, তারপর গভীর শ্রদ্ধায় উপস্থাপন করেন প্রার্থনা।
'হা হা হা,' প্রচণ্ড হাসিতে ফেটে পড়েন ব্রহ্মা। 'হে সম্রাট, মর্ত্যলোকে এরই মধ্যে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে বৈবস্বত মনুর সপ্তবিংশতি মহাযুগ। গত হয়েছে তোমার যুগের রাজপুত্রগণ, গত হয়েছে পুত্র প্রপৌত্র তাদের, এমনকি তস্য তস্য পুত্রগণ, শতসহস্র বর্ষ পূর্বে।'
বিষম খেলেন পিতা-পুত্রী, এ কীরূপে সম্ভব! ব্রহ্মলোকে দুয়েকটি সঙ্গীতই তো মাত্র শ্রবণ করেছে তারা।
'দ্বাপর যুগের শেষে পৃথিবীতে এখন আগমন ঘটেছে বসুদেব কৃষ্ণের। পুনর্বার গমন কর পৃথিবীতে তোমরা, কৃষ্ণভ্রাতা বলরামই হবে তোমার কন্যার সুযোগ্য পাণিগ্রহীতা।' আশ্বস্ত করেন ব্রহ্মা।
"সুতরাং বুঝতেই পারছ, মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কালের গতিও বিভিন্ন," রহস্যময় হাসিতে এবার বলে সান্তা। "তোমাকে আমি আরও বর্ণনা করতে পারি হোনি হাম-আগেলের ঘটনা, এক ঘুমে যার কেটে গিয়েছিল সত্তর বছর, অথবা গুহাবাসিদের কথা, যাদের সঙ্গে ছিল একটি কুকুর, কিংবা উরাশিমা তারোর উপাখ্যান, সমুদ্রগর্ভের এক নগরীর কিয়ৎ দিবসে কেটে গিয়েছিল যার তিনশত বছর। আসলে বড়দিনের পূর্ব রজনীতে ৫৫ কোটি বাড়ি পরিদর্শন করা মোটেও কষ্টসাধ্য নয় আমার জন্য।"
"আপনি যদি দার্শনিকতা বাদ দিয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করতেন সময় কীভাবে আপনার জন্য ধীরে চলে, কৃতার্থ হতাম," বুড়োকে অবৈজ্ঞানিক কূপমণ্ডূক বলে অবজ্ঞা করার লোভ সংবরণ করতে খানিকটা কষ্টই হয় আমার, তবে কণ্ঠে ঢেলে দেই শ্লেষ। "আপনার জানা উচিত, দর্শনের মৃত্যু ঘটেছে।"
"মৃত্যুবরণ করেছে দর্শন!" অবাক হলো যেন বুড়ো। "কবে কখন, কে বলল এ কথা?"
"স্টিফেন হকিং বলেছেন।"
"হা হা হা, তাই বলো," প্রচণ্ড হাসির তোড়ে কেঁপে উঠল বুড়োর শরীর। "দর্শনের আলোচনায় করুণ ব্যর্থতা এবং স্ববিরোধিতার এক নাম হকিং। এমনকি তাঁর তথাকথিত বিজ্ঞান সব বিজ্ঞানও নয়। বিজ্ঞান লেখক হিসেবে অসাধারণ সফল তিনি, এক্ষেত্রে একেবারে প্রথম সারিতেই রাখব তাঁকে, যদিও বিজ্ঞানী হিসেবে, নির্মোহভাবে অকাট্য অবদানের ভিত্তিতে বললে, তাঁর প্রকৃত অবস্থান প্রথম সারির অনেক অনেক পেছনে। তবে এ আমাদের আলোচ্য বিষয় নয় এখন। আমার বক্তব্য হচ্ছে, একজন পদার্থবিদ বলবেন, 'দর্শন মৃত', আর একজন দার্শনিক বলবেন, 'তরুণ প্রজন্মের পদার্থবিদগণ, এই যে ফাইনম্যান শোয়িঙারগণ, হতে পারে তারা মেধাবী অনেক, হতে পারে অধিকতর বুদ্ধিদীপ্ত তারা পূর্বসূরীদের চেয়ে, বোর আইনস্টাইন শ্রোয়েডিঙার বোল্টজম্যান ম্যাক-প্রমুখের চেয়ে। কিন্তু এরা হচ্ছে অসভ্য পশু, এদের নেই কোনো দার্শনিক গভীরতা...'—বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের এরূপ দ্বন্দ্বসংঘাত মানবজীবনের সুবিশাল প্রেরণার অর্থহীন দায়িত্বহীন অপচয়মাত্র।
যা হোক, ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে। আধুনিক বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতার যুগে সময়কে ধীর কিংবা রাবারের ফিতার মতো প্রসারিত করে ফেলা কোনো ব্যাপারই নয়। কৌশলটি হলো, প্রচণ্ড বেগে ভ্রমণ করি আমি, আলোর কাছাকাছি বেগে, আর তাতে তোমাদের তুলনায় সময় ধীর হয়ে যায় আমার জন্য। যত বেশি বেগ, সময় তত ধীর। এই যে তোমার সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেও উদ্বিগ্ন হচ্ছি না, তার কারণ এখান থেকে প্রস্থানের পর গতিবেগ আগের তুলনায় খানিকটা বাড়িয়ে নিব আমি। বাস্তবিকই বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা আমার।"
"স্পষ্ট করুন বক্তব্য আপনার। ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থীগণের মতো আচরণ করবেন না, যারা গণিত কিংবা বিজ্ঞানের কোনো একটি বিষয় সুষ্ঠুভাবে প্রমাণ করতে না পেরে পরীক্ষার খাতায় লিখে আসে—অনুরূপভাবে প্রমাণিত হয় যে..., ইত্যকার বাক্য।"
"তোমার এরূপ 'অনুরূপ' প্রমাণের আশ্রয় মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনও নিয়েছিলেন ক্ষেত্রবিশেষে, এবং মানুষমাত্রেই ভুল হতে পারে যেহেতু, এতদসংক্রান্ত বিশেষণটি ভাগাভাগি করতে আপত্তি নেই আমার," আমার দিকে চোখ মটকে বলে বুড়ো। "তবে এতে প্রমাণিত হয় না যে ভুল থেকে উত্তরণ ঘটে না মানুষের, কিংবা আমার যুক্তি ও বক্তব্য আমি নিজেই স্পষ্ট উপলব্ধি বা ব্যাখ্যা করতে পারি না।"
"আচ্ছা, বলতে থাকুন তাহলে, কেবলমাত্র বিজ্ঞানের নিরিখে।"
"সারা দুনিয়ার প্রায় সকল মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ক্লাসে সময় প্রসারণের অকাট্য যুক্তি হিসেবে পড়ানো হয়, এমন একটি সুবিখ্যাত মানসপরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট চিত্রণের সাহায্যেই বিশদ ব্যাখ্যা করছি। নোবেল জয়ী অনেক বিজ্ঞানীও যে যুক্তি প্রদান কিংবা গ্রহণ করেছেন।"
বিজ্ঞানীদের কথায় সতর্কতা অথচ গভীর ঔৎসুক্য, সমীহে ভরে উঠে আমার মন।
"মনে কর, আমার গতিশীল বলগা হরিণের যানে বসে সময় মাপছি আমি, সান্তা, তুমি মাপছ তোমার ঘরের বৈঠকখানায় স্থির বসে। এরকম যান কল্পনা করতে তোমার কষ্ট হলে, ধরে নাও একটি ট্রেনের কামরায় মাপছি আমি। প্লাটফর্মে স্থির দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছ তুমি, আমার মতো সময় মাপার চেষ্টা করছ তুমিও।"
"মৃগদল অপেক্ষা রেলগাড়িই উত্তম।" বুড়োকে মৃদু খোঁচা দেই।
"এখন প্রথম চিন্তা, সময় মাপতে কী ধরণের ঘড়ি ব্যবহার করব আমরা? আসলে যেকোনো ধরণের ঘড়িই ব্যবহার করতে পারি, আগেকার দিনের চাবি দেয়া ঘড়ি, বর্তমানের ডিজিটাল ঘড়ি, এমনকি মোবাইল ফোনও। কারণ আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব অনুসারে, পদার্থবিদ্যার যে নিয়ম অনুসারে ঘড়িগুলো কাজ করে, সে নিয়মগুলো আমার জন্য যেরূপ, তোমার জন্যও সেরূপ। কাজেই কোন ঘড়ি আমরা ব্যবহার করছি, সেটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।
তবে, হ্যাঁ, ব্যবহারিক দিক থেকে একটি সমস্যা আছে: যেকোনো বস্তুর যান্ত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তা আবার বিভিন্ন বস্তুতে বিভিন্ন মাত্রায় থাকতে পারে, কাজেই খুব সূক্ষ্ম ঘড়ি না হলে দুজনের পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয় করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সুতরাং এমন একটি ঘড়ি আমরা কল্পনা করি যা সহজ ও যৌক্তিক এবং যাতে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটির অবকাশ নেই। এটি হচ্ছে আলোক ঘড়ি, যাতে আছে দুটি আয়না—একটি ট্রেনের মেঝেতে, অন্যটি ট্রেনের ছাদে, আর আছে একটি আলোক রশ্মি। রশ্মিটি নিচের আয়না থেকে প্রতিফলিত হয়ে সোজা উপরের আয়নায় আপতিত হচ্ছে, সেখান থেকে প্রতিফলিত হয়ে আবার নিচের আয়নায় আপতিত হচ্ছে। তুমি কি আমার সঙ্গে আছ?"
"হ্যাঁ, আয়না থেকে আয়নায় ক্রমাগত একই আলোর আপতন–প্রতিফলন চলছে। এমনকি ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীগণও বিষয়টি জানে, তাদের বিজ্ঞান গ্রন্থে আলোর ঘটনায় তার ব্যাখ্যা রয়েছে।" কিছুটা উষ্মাভরে বলি আমি।
"রাগ করো না। আমার ব্যাপারে যেহেতু কোনো খটকা রাখতে চাই না তোমার মনে, কাজেই আলোচনায় ভাষার ব্যবহার যথাসম্ভব সরল রাখতে চাই আমি, যাতে সহজে হৃদয়ঙ্গম হয় ব্যাপারটি। কারণ আমার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ঘটনাবলীর বর্ণনা যখন দুর্বোধ্য পারিভাষিক শব্দ ও জটিল গাণিতিক বৈজ্ঞানিক হিসেবনিকেশের আড়ালে চলে যায়, তখন প্রকৃত বিষয়ের অনুধাবন বিভ্রান্ত হতে পারে।
"তা অবশ্য মন্দ বলেননি," স্বীকার করতেই হয়, বুড়োর কথায় যুক্তি আছে বটে।
"আলোর গতি যেহেতু ধ্রুব, প্রতি সেকেন্ডে ঠিক ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ মিটার, এবং আয়না দুটোর দূরত্বও যেহেতু নির্দিষ্ট, কাজেই এক আয়না থেকে আরেক আয়নায় যেতে প্রতিবার আলোর, সহজ করে বললে, আলোর একটি ফোটন কণিকার, একই সময় লাগবে। যেমন, আয়না দুটোর দূরত্ব ৫ মিটার হলে, প্রতিবার ফোটনের সময় লাগবে ৫/(২৯৯,৭৯২,৪৫৮) বা ১.৬৭×১০^-৮ সেকেন্ড (প্রায়), অর্থাৎ ১৬.৭ ন্যানো সেকেন্ড (প্রায়)।
আমাদের পরীক্ষাটিতে সময়কে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে এবং 'প্রায়' জাতীয় শব্দকে পরিহার করতে, সেকেন্ড কিংবা ন্যানোসেকেন্ড এককে সময় মাপব না আমরা। বরং এক আয়না থেকে আরেক আয়নায় যেতে ফোটনের যে সময় লাগে তার নাম দেই আমরা আলো ঘড়ির এক টিক। পুরনো দিনের পিতামহ ঘড়ি নামের দোলন ঘড়িগুলো এভাবে টিক টিক পদ্ধতিতেই কাজ করত। ঘড়িগুলো দুবার টিক করলে আমরা বলতাম এক সেকেন্ড সময় অতিবাহিত হয়েছে। কাজেই সে ঘড়ি অনুযায়ী, কোন মানুষের ভাত খেতে ৫ মিনিট লাগে বলা যে কথা, ..."
"তার ভাত খেতে সময় লাগে পিতামহ ঘড়ির ৬০০ টিক, একই কথা," মৃদু হাস্যে দ্রুত জবাব দেই আমি। "অর্থাৎ, সময় বুঝাতে একক হিসেবে সেকেন্ড, মিনিট এসব শব্দ ব্যবহার করতেই হবে আমাদের, এমন নয় বিষয়টি।"
"যথার্থ," শিশুসুলভ হাসিতে সায় দেয় সান্তা।
"এখন আমার আলো ঘড়িতে ১ টিকের সময়কে t প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হলে,
t = এক টিকে আলো কর্তৃক অতিক্রান্ত দূরত্ব/আলোর বেগ
⇒t = h/c ... ... ... (1),
তাই না?"
"হ্যাঁ," একমত পোষণ করি আমি।
"কিন্তু প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আমার আলো ঘড়িতে ফোটনের ক্রমাগত আপতন-প্রতিফলনের গতিপথটিকে তুমি কেমন দেখবে? যেহেতু তোমার সাপেক্ষে ট্রেনের গতিবেগ ডানদিকে v, তুমি দেখবে সান্তা, আয়না, ফোটন সবই v বেগে ডানদিকে সরে যাচ্ছে। আলোর ফোটনটা যখন নিচের আয়না থেকে যাত্রা শুরু করে কিছুক্ষণ পর উপরের আয়নায় প্রথম টিক দিল, সে সময়টুকুতে আয়না দুটো তাদের আদি অবস্থান থেকে কিছু দূরত্ব ডানে সরে গেছে (তোমার সাপেক্ষে)। সরে যাওয়া এ দূরত্বটুকু, মনে কর, l। সুতরাং তুমি দেখবে ফোটনটি খাড়া উপরে না গিয়ে কোনাকুনি পথে উপরের আয়নায় টিক দিচ্ছে (যদিও আমি দেখব, ফোটনটি খাড়া উপরেই টিক দিচ্ছে)।"
এখন তোমার কাছে ১ টিকের সময় t′ হলে,
t′ = দূরত্ব/বেগ
⇒t′ = d/c ... ... ... (2)
লক্ষ্য করবে, আমার দৃষ্টিতে ফোটনটি ১ টিকে h দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে, কিন্তু তোমার দৃষ্টিতে উক্ত ফোটন ঐ ১ টিকে d দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের দ্বিতীয় সূত্রানুযায়ী, আমাদের দুজনের কাছেই আলোর গতি একই হতে হবে, যা আমাদের সূত্রে c দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
এখন পিথাগোরাসের সূত্রমতে,
d^2 = l^2 + h^2 ... ... ... (3)
l হচ্ছে তোমার দৃষ্টিতে ফোটনের এক টিক সময়কালে (অর্থাৎ তোমার t′ সময়ে) ট্রেন ও ট্রেনের ভেতরের যাবতীয় জিনিস v বেগে যতটুকু ডানে সরে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা লিখতে পারি,
l = vt′ ... ... ... (4)
আর (2) নং সমীকরণ থেকে পাই,
d = ct′
এবার (3) নং সমীকরণকে বিস্তৃত করে পাই,
এবার সান্তা বলল, একই ঘটনায় আমার পরিমাপকৃত সময় ছিল,
⇒t = h/c
সুতরাং তোমার পরিমাপকৃত সময়,
যেখানে γ=1/√(1-v^2/c^2)। γকে বিজ্ঞানীগণ বলেন লরেন্টজ ফ্যাক্টর।
v যত বাড়তে থাকবে, γ-এর মানও তত বড় হতে থাকবে। ফলশ্রুতিতে যে ঘটনা তোমার ক্ষেত্রে ঘটবে হয়তো এক বছরে, আমার ক্ষেত্রে তা ঘটতে পারে ১ মাস বা ১ দিন কিংবা এমনকি ১ মিনিটেও। বিশ্বাস না হলে গাণিতিক হিসেবটি পরীক্ষা করে দেখতে পার, v-এর বেশ বড় মান নিয়ে।"
"এ কী হলো!" বিস্ময়ে বলে উঠি আমি। "একই সঙ্গে পুরো ঘটনা ঘটতে দেখলাম দুজনে, একই ঘটনার সময় পারিমাপ করলাম আমরা, কিন্তু দুজনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন সময় লাগল! এ কি সত্যি, নাকি গাণিতিক কোনো ধাঁধাঁ, কোন বিভ্রম?"
"মূল ধারার পদার্থবিদগণ তো বলে থাকেন এ সত্য, কাল পরম কোনো বিষয় নয়। তারা এ-ও বলেন, একই সময়ে জন্মগ্রহণকারী দুজন যমজ বোনের একজন যদি পৃথিবীতে থাকে, আর অন্যজন যদি প্রচণ্ড বেগে মহাশূন্য ভ্রমণে বের হয়, এবং মহাশূন্যচারী বোনটি যদি তার ৫ কিংবা ১০ বছর পর পৃথিবীতে ফিরে আসে, সে দেখবে পৃথিবীর বোনটি থুত্থুরে বুড়ি হয়ে গেছে!"
বিস্ময়ের ঘোর পুরোপুরি কাটে না আমার।
"তবে গল্প আমাদের শেষ হয়নি এখনও," রহস্যময় ভঙ্গিতে সান্তা বলল। "কিন্তু উঠতে হচ্ছে এখন। বাকি উপহার বিতরণ শেষে ফিরে আসব শীঘ্রই, চলবে আমাদের বিজ্ঞান ও বিভ্রমের কথোপকথন।"
------------
প্রথম পর্ব
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: মন্তব্যে অনুভবে অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, ব্যস্ততায় লেখার সময় হয়ে উঠেনি বেশি এত দিন।
আশা করি, অবসরে পড়া পোস্ট আনন্দময় হবে আপনার।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২০
ভারসাম্য বলেছেন: অসাধারণ !!!
সান্তার কথা শুনে Home Alone - Lost in New York এর একদম শেষ দিককার একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ল।
মিথগুলোর উল্লেখ করে সময়ের আপেক্ষিকতার বর্ণনা সত্যিই অসাধারণ। বাকী ব্যাপারগুলো মোটামুটি জানাই ছিল। তাই উপভোগ্যতা বজায় রাখতে সমীকরণগুলো স্কিপ করে গেছি।
+++++++++
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: মূল্যায়ন অনুভব গৃহীত হলো শ্রদ্ধায়। Home Alone সিরিজটি বেশ সুন্দর।
আপেক্ষিকতা তত্ত্ব চমকপ্রদ, কিন্তু সমীকরণ ছাড়াও পর্যালোচনা করলে এটি উপভোগ্য হলেও অকাট্য মনে হয় না আজকাল।
ভালো কাটুক সময়।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৭
বোকামন বলেছেন: বিজ্ঞান ও বিভ্রমের কথোপকথনের সাথেই থাকবো .....
আপনাকে ধন্যবাদ
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২১
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। সঙ্গে থাকা পোস্টের শ্রমে অনেক অনেক প্রেরণাদায়ক।
ভালো থাকুন।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অনেকদিন পর পোষ্ট দিলেন! বিজ্ঞান দেখলেই মাথা আউলায়া যায়! আপনার পোষ্ট পড়তে ভালো লাগলো। আপনি অনেক সহজ করে লিখেছেন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। হ্যাঁ, অনেক দিন পর। আশা করি, ভালো আছেন আপনি।
এ পোস্টে বিজ্ঞান অবশ্য ষষ্ঠ শ্রেণীর পর্যায়ে, গণিত অষ্টম শ্রেণীর। কাজেই পোস্ট ক্লান্তিকর ঠেকবে না সম্মানিত পাঠকদের কাছে, এ-ই প্রত্যাশা।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০২
সবুজ সাথী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। আশা করি ভাল আছেন।
পুরা পোস্ট পড়তে পারিনি এখনও। আপনার পোস্ট সময় নিয়ে বুঝেশুনে না পড়লে তৃপ্তি হয়না।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: ভালো লাগল আপনাকে দেখে। সময় করে অবসরে পড়লেই হবে পোস্ট। আশা করি, আনন্দময়ই হবে পড়া।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪
সবুজ সাথী বলেছেন: পোস্টটা নির্বাচিত পাতায় দেখলাম না। মডুদের কাছে নির্বাচিত পাতায় নেওয়ার আবেদন রইল।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ। তবে পোস্ট আপনাদের ভালো লাগাই বড় কথা, পাঠকদের স্বতঃস্ফূর্ত গ্রহণই পোস্টকে দীর্ঘজীবি করে।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪
নস্টালজিক বলেছেন: পোস্ট পড়িনি! হাতে সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়বো আপনার!
আপনাকে হ্যালো জানাতে এলাম!
হ্যালো, ম্যাভেরিক! কেমন আছেন?
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
ম্যাভেরিক বলেছেন: ভালো লাগল আপনাকে দেখে, শ্রদ্ধায় গৃহীত হলো আপনার সম্ভাষণ। আমি ভালো আছি। আশা করি, আপনারও সময় কাটছে সুখে স্বস্তিতে।
অবসরে সময় করে পোস্ট পড়লেই হবে।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রায় এক বছর পরে পোস্ট দিলেন স্যার!!
আপনাকে ব্লগে মিস করি!
পোস্ট অবশ্যই প্রিয়তে ......
আর গনিত এবং পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: যদিও আপেক্ষিকতা চেষ্টা করে আটকে রাখতে, সময় আসলে প্রকৃতপক্ষে বৃদ্ধ এক যাযাবরই বটে!
পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় লেখার শ্রম সম্মানিত হলো। আর এ পোস্টের বিষয় কিন্তু কঠিন নয় তেমন। ষষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণীর গণিত, এর বেশি নয়।
ভালো থাকুন প্রিয়জনদের নিয়ে, সুখে স্বস্তিতে।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
কালো বিলাই বলেছেন: বেশ কঠিন ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। খুব কঠিন হবার কথা না কিন্তু, কারণ পোস্টের বিষয়বস্তু স্কুল পর্যায়েই সীমাবদ্ধ। দীর্ঘ পোস্ট অবশ্য অনেক সময় ক্লান্তিকর ঠেকে। অবসরে সময় করে আরেক বার পড়ে দেখুন না।
ভালো কাটুক সময় আপনার।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্ট সংক্রান্ত কথা পরে , তার আগে বলেন এতদিন কোথায় ছিলেন ?
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
ম্যাভেরিক বলেছেন: হা হা, তবে তাই হোক। আসলে কাজের ব্যস্ততায় লেখার সময় হয়ে উঠেনি, যদিও আপনাদের কথা মনে আছে, সঙ্গে আছি আপনাদের।
পোস্টে নিয়মিত থাকার চেষ্টা থাকবে। ভালো থাকুন সতত।
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
সবুজ সাথী বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, সঙ্গে থাকায়, প্রেরণায়। পরের পর্ব লিখে যাচ্ছি।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হাটস অফ! অনেক মজা পেয়েছি। দারুণ একটি বিশ্লেষণ করেছেন। স্টুডেন্ট লাইফে যদি ব্লগ থাকতো, আরও ভালো মার্কস পেতাম হয়ত।
অনেকদিন পর লিখলেন। আরও লেখা চাই, প্রিয় ব্লগার।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মূল্যায়ন লেখার শ্রমকে সম্মানিত করল। হ্যাঁ, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ব্লগের উপকার রয়েছে বটে। অন্ততঃ ব্লগ আমাদের অনেক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ক্লান্তিকর নয়।
আপনাদের মূল্যায়ন, প্রেরণা লেখার বড় প্রাপ্তি, গতিশীল করে লেখার প্রচেষ্টা।
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পুরা আর্থার ব্রেইজার উঠায় দিলেন দেখি।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: আর্থার বেইজার পড়া হয় নি, তবে সময় প্রসারণের সুবিখ্যাত এই ট্রেন Gedankenexperiment সুপ্রাচীন, আইনস্টাইনের সময় থেকেই প্রচলিত, এবং পোস্টেও উল্লেখ করেছি, সারা দুনিয়ার সব মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশসহ) পড়ানো হয়। একই যুক্তি, একই সমীকরণ, একই ছবি। আমার মূল বক্তব্য অবশ্য অন্য জায়গায়, তা আসবে পরের পর্বে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
ম্যাভেরিক বলেছেন: আর পুরা আর্থার ব্রেইজার, কথাটি ঠিক বুঝলাম না। ব্রেইজার কী সান্তা ক্লজ বা এ ধরণের কথোপকথনও এনেছেন তার লেখায়? ব্রেইজারের লেখাটির লিঙ্ক বা কোনো রেফারেন্স দিতে পারবেন?
১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার কথাটার অর্থ এই যে আর্থার ব্রেইজার যেভাবে একেবারে সিম্পল ভাষায় বুঝায় দিছেন আপনার ধরনটাও। এই জন্য যখনই কোনো সোজা লেখা দেখি কোনো জটিল বিষয়ে তখন পুরা থেরাজা অথবা পুরা আর্থার ব্রেইজার স্টাইল।
আর আমি আদিকালের ছাত্র, আমাদের সময় এই ট্রেন Gedankenexperiment পড়ানো হয়নি। কারন পরীক্ষা দু রাত পড়ে এটেন্ড করেছিলাম এবং মোটামোটি একটা গ্রেডও ছিলো। হইতে পারে বাংলাদেশী ইউনি, এইটার আবার স্ট্যান্ডার্ড!
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, উদাসী। থেরাজা অবশ্য পড়েছি, এবং একমত যে, বেশ সরল সাবলীল লেখা। এরকম সরলতা অবশ্য কোনো কোনো শিক্ষক পছন্দ করেন না, তাদের মতে, যত জটিল তত ভালো।
ট্রেন Gedankenexperiment আমরাও পাইনি, কারণ সে সময় কলেজে আপেক্ষিকতা বিষয়টি ছিল না। পরে ইলেক্ট্রনিক্স, আপেক্ষিকতা এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর আপনার ইউনি বা গ্রেড যা-ই হোক না, বিজ্ঞানের বিষয়ে আপনার লেখা ও মন্তব্যের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে।
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর আর্থার ব্রেইজার হইলো একটা পাঠ্যপুস্তক থেরাজা মেহতার মতোই।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
ম্যাভেরিক বলেছেন: ওকে। ভালো কাটুক সময়।
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সানজিদা হোসেন বলেছেন: তত্ত্বটা পড়া ছিল। তার সাথে গল্পের সমন্বয়টা দারুন লাগলো
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ। আমি তত্ত্বটিকে অবশ্য সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছি ইদানিং।
১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১
সোমহেপি বলেছেন: ++++++++++++++++
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ, কবি।
১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৮
কালোপরী বলেছেন:
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: হাসিতে ধন্যবাদ, কালোপরী।
১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
ডানামনি বলেছেন: আপেক্ষিকতা তত্ত টা পড়া হলেও অনেক প্যাঁচালো লাগে। আপনার গল্পের আকারে বোঝানো টা দারুন।
ইস এই পোস্ট যদি আরও আগে দিতেন, তাহলে স্টুডেন্ট থাকাকালেই বুঝে যেতাম। কারন আমাদের ওই চিরাচরিত জটিল ইংলিশ এই পড়তে ও বুঝতে হইছে।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে অনুভবে অনেক ধন্যবাদ।
বিজ্ঞানের জটিল বিষয় অন্য ভাষায় পঠনে মূল ভাব আস্বাদন কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয় বটে, তবে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এমনিতেই প্যাঁচালো লাগা স্বাভাবিক, এবং এক্ষেত্রে নোবেলজয়ী অনেক বিজ্ঞানীকেও আপনি আপনার সঙ্গে ঐকমত্যে পাবেন। গত একশ বছরেও এ প্যাঁচ শেষ হয়নি।
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপেক্ষিকতা আর লরেঞ্জ রূপান্তর পড়েছিলাম এইচএসসি তে। তাই ব্যাপারটা বুঝতে অসুবিধা হয় নি। গল্প আর বুজ্ঞানের চমৎকার সমন্বয়।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২২
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো লাগল দেখে। মন্তব্যে মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সময় এইচএসসিতে ছিল না আপেক্ষিকতা। বর্তমানে যা যুক্ত হয়েছে, তাতেও নানা ভুলভ্রান্তি রয়েছে। আসলে আপেক্ষিকতাকে দুনিয়ার সবকিছুতে, যেমন মানুষের বয়স, শারীরবৃত্ত, চিন্তা-চেতনা ইত্যাদিতে সমন্বিত করতে গিয়ে এতে নানা জঞ্জাল জন্মেছে। এ জঞ্জাল পরিষ্কার হওয়া বড় প্রয়োজন বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে।
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ,
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান।
আপনি মন্ত্র করেছিলেন। এবং জাদু।
আপনি কি ধ্যানী ভাই? একমাত্র ধ্যানীরাই, আমি আজ পর্যন্ত স্থির বিশ্বাস রাখি এবং এর বাস্তব প্রমাণ পেয়েই যাচ্ছি অজস্র সহস্র প্রতীক ও অক্ষরে, এভাবে মনোযোগ আকৃষ্ট করতে পারে তাদের লেখায়।
বলি, একমাত্র গভীর ধ্যানীরাই ধ্যানের একটা অংশ, সম্মোহনের একটা অংশ ছেড়ে আসতে পারেন তাঁদের লেখায়। তারপর হাজার হাজার বছর কেটে যায়, এবং তাদের আত্মার অংশটুকু, রুহের অংশটুকু অণূদিত হয়েও টিকে যায় তাদেরই লেখাগুলোতে।
প্রথমেই মনোযোগ অনেকটা কেড়ে নিলেন। তারপর পুরাণে গমন এবং সেই ভাষা ধারণ... গভীরতম প্রদেশ।
সবশেষে বিজ্ঞানটাকে যখন নিয়ে এলেন, বাধ্য হয়ে সব বোঝার মত মনোযোগ দিলাম।
আপনার লেখার অপেক্ষায়।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য, অনুভব লেখার প্রচেষ্টায় বিশাল সম্মাননা ও প্রেরণা, আশাবাদী করে লেখককে নিজের লেখার ক্ষমতায়। আপনার মূল্যায়ন, প্রেরণা সতত হোক লেখকদের সৃষ্টির উদ্দীপনা।
২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরবর্তী পর্ব আগামী বৎসরের কোন মাসে মুক্তি পাবে`? প্রোডাকশন হাউস কি কোনো মুক্তি ডেট দিছে?
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: আগামী বছর না, আগামী এপ্রিলেই।
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: সান্তা চাচুর টাইম t তো আমার টাইম t' এর চে কম হচ্ছে। এম্নে চললে তো সান্তা চাচুর এক রাইত হইতে হইতে আমার ক্রিস্মাস পার হয়ে যাবে, গিফট দেবে কে?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
ম্যাভেরিক বলেছেন: চিন্তার কারণ নেই, এক রাতেই হবে, সান্তার আস্তিনে রয়েছে আরও কৌশল নানা। এ বিশ্বকে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে ক্ষুদ্র করে ফেলবেন তিনি, এ কথা আছে জানা।
২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
কাজিম কামাল বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার পোস্ট পেলাম ভাই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক দিন। ব্যস্ততা আর কি।
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কাল অর্ধেক পড়ে রেখেছিলাম আজ শেষ করলাম। বরাবরের মতই পড়ে মুগ্ধ হলাম।
শুভ কামনা ম্যাভেরিক ভাই।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
ম্যাভেরিক বলেছেন: সময় করে পড়ায় ভালো লাগল, *কুনোব্যাঙ*। মন্তব্যে অনুভবে অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৫
জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন: এক টানে পড়লাম। খুব সুন্দর পোস্ট।
বইতে অযথাই কঠিন করে লেখা থাকে।
আমি অনেক দিন ধরে এই বিষয়টা নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করার চিন্তা করতেছি। এখনকার স্পিডি মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে ত অনেক দ্রুত কাজ করা যায়। এইটা দিয়ে কিছু করা যায় কিনা সেই চেস্টায় আছি। পোস্টে প্লাস।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। বইয়ের জটিলতার ক্ষেত্রে কেবল মনে পড়ে রবি ঠাকুরের কথা:
সহজ কথা যায় না বলা সহজে!
পরীক্ষণটি করে ফেলুন। ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ কাঠামোর সময়কে সিনক্রোনাইজ করাই মূল সমস্যা হতে পারে কেবল।
২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১
জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন:
যদিও আদতেও এই টাইপের কোন এক্সপেরিমেন্ট সম্ভব কিনা আমি জানিনা।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
ম্যাভেরিক বলেছেন: চিন্তা ও কল্পনা বাড়িয়ে দিন। প্রচেষ্টার ব্যর্থতারও রয়েছে বেশ গুরুত্ব, অর্থহীন নয় তা।
২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
আরমিন বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট! খুব ভালো লাগলো!
+ +
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে অনুভবে অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আনন্দময় হোক ভ্রমণ আপনার।
২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২২
হাছন রাধা করিম বলেছেন: সালাম ম্যাভেরিক ভাই। অনেক অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখতে পেলাম। ভাই নিয়মিত লিখবেন। আপনার মতো লেখকরাই সামুর প্রান।
আর লেখার বিষয়বস্তু ভালো রকম ধাতস্হ হয়নি তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: সালাম, ভাই। লেখার ব্যাপারে আপনার মন্তব্যে গভীর সম্মানিত বোধ করলাম।
বিষয়বস্তু একটু মনোযোগ দিলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, যেহেতু জটিল গাণিতিক সমীকরণ কিংবা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নেই পোস্টে। সময় কি আদৌ প্রসারিত হয়, আলোর গতির সঙ্গে সময় প্রসারণের ব্যাখ্যাটি কি বৈজ্ঞানিক, নাকি নিছক গাণিতিক?
ভালো কাটুক সময় আপনার।
৩০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪২
নুভান বলেছেন: "বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের এরূপ দ্বন্দ্বসংঘাত মানবজীবনের সুবিশাল প্রেরণার অর্থহীন দায়িত্বহীন অপচয়মাত্র" - অসাধারন বলেছেন ভাইয়া।
সন্ত ক্লজের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ হোক বা মহানবীর মিরাজের ভ্রমণ, এগুলোকে দর্শন দিয়ে অনুধাবন করা যেমন সম্ভব, বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাক্ষা করাও সম্ভব, আবার সম্ভব আলৌকিকতা বলে উড়িয়ে দেয়াও। যার যার যেটা ভালো লাগে সেটাই বেছে নিক, শুধু শুধু কেন তবে এত দ্বন্দ আর এত বিরোধ? অনেকদিন পর আরেকটি ভালো পোষ্ট পড়লাম সামুতে। দুঃখিত মূল পোষ্টের বাইরে কমেন্টের জন্য।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা, নুভান। ভালো লাগল দেখে। মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যদিও ধর্ম বা দর্শনের আলোকে সময় প্রসারণ কিংবা আপেক্ষিকতা ব্যাখ্যা করা মূল উদ্দেশ্য নয় পোস্টের, তবু একটি জিনিস বলা যায়, শাশ্বত সত্য ও মানব জীবনের অর্থ অনুসন্ধানে বিজ্ঞান অনন্য কিংবা অধিকতর সফল কোনো শাস্ত্র নয়। কেবলমাত্র পঞ্চ ইন্দ্রিয় ভিত্তিক বস্তু জগতই যদি শাশ্বত ও চূড়ান্ত সত্য হতো, তাহলে বিজ্ঞানের ভাষা তথা গণিতই সর্বপ্রথমে অলীক শাস্ত্র কিংবা জাদুবিদ্যা হিসেবে পরিগণিত হতো। যা হোক, আমার পোস্ট হচ্ছে, আইনস্টাইনের বিভ্রান্তির ফলে আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশে এমন কোনো উপাদান কি ঢুকেছে যা অযৌক্তিকভাবে নৈর্ব্যক্তিকতার বিরোধী। অর্থাৎ আপেক্ষিকতার ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা।
৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
রমিত বলেছেন: অনেক দিন পড়ে পোষ্ট দিলেন ম্যাভেরিক। কেমন আছেন? আপনার লেখার অভাব বোধ করেছি বেশ।
সুন্দর বর্ণনা করেছেন, আপেক্ষিক তত্ত্ব। আমি এই বিষয়ে একটি পোস্ট দেব দেব করে আর দিতেই পারলাম না। যাহোক আপনারটাই চমৎকার হয়েছে। এত ভালো আমি লিখতে পারতাম না।
"দর্শনের আলোচনায় করুণ ব্যর্থতা এবং স্ববিরোধিতার এক নাম হকিং। এমনকি তাঁর তথাকথিত বিজ্ঞান সব বিজ্ঞানও নয়। বিজ্ঞান লেখক হিসেবে অসাধারণ সফল তিনি, এক্ষেত্রে একেবারে প্রথম সারিতেই রাখব তাঁকে, যদিও বিজ্ঞানী হিসেবে, নির্মোহভাবে অকাট্য অবদানের ভিত্তিতে বললে, তাঁর প্রকৃত অবস্থান প্রথম সারির অনেক অনেক পেছনে।
উপরের প্যারাগ্রাফটি যথাযথ হয়েছে। এটা অনেককে বোঝাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
আপনাকে ধন্যবাদ ম্যাভেরিক।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
ম্যাভেরিক বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক দিন পর, রমিত ভাই। ভালো আছি, তবে ব্যস্ততায় লেখার গতি কম আজকাল। আশা করি, আপনার সময় কাটছে চমৎকার।
আপেক্ষিকতা নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলুন। ব্লগের লেখাকে খসড়া হিসেবে ধরে নিন; শেষ পর্যন্ত সুন্দর একটি বইও পেয়ে যেতে পারি আমরা।
প্রচার মাধ্যমের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে ভুল ধারণা জন্মে নিরন্তর। গভীর নিবেদিত প্রাণ, বিশাল অবদান রাখা অনেক বিজ্ঞানীর নামই হয়তো তেমন শুনবেন না আপনি, কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের গুণগান ও খবরে প্রতিনিয়ত মুখর থাকে মাধ্যমগুলো। এভাবে বিজ্ঞানেও জন্মেছে নানা রকম মিথ, যুগের পর যুগ; আপনি যে অনেককে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তা এই মিথের ফল। কেবলমাত্র সত্যানুসন্ধানী মানুষ, যারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং পর্যালোচনা করেন বিজ্ঞানীদের মূল গবেষণাপত্র ও তাঁদের গবেষণাকর্মের ব্যবহারিক অবদান, তাদের পক্ষেই মিথ ও বাস্তবতার পার্থক্যটি উপলব্ধি করা সম্ভব। বিজ্ঞানের মিথের ব্যাপারে প্রচার মাধ্যমকে অবশ্য তেমন দায়ী করি না আমি, কারণ তাদের রয়েছে নিরন্তর তাড়া, রয়েছে বিজ্ঞানকে সঠিক উপলব্ধি করার নানা সীমাবদ্ধতা। আর সত্যানুসন্ধান প্রত্যেক মানুষের একক ও ঐকান্তিক দায়বদ্ধতা।
ভালো থাকুন।
৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
রমিত বলেছেন: মিথগুলোর উল্লেখ ইন্টারেস্টিং। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই, এই এত এত আগে সময়ের আপেক্ষিকতা সম্পর্কে উনারা জানলেন বা বুঝলেন কি করে?
সত্যিই শেষ পর্যন্ত দর্শনেরই শরনাপন্ন হতে হবে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০২
ম্যাভেরিক বলেছেন: দর্শন, মিথ, রূপকথা আসলে মানবজীবনেরই শাশ্বত প্রেরণা, অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত মানবজীবনের সূচনালগ্ন থেকেই। সত্যি বলতে কী, জগতের স্বরূপ উন্মোচনে, জীবনের মৌলিক প্রশ্নে, প্রাচীন ব্যাবিলনীয় নক্ষত্রচারী, ভারতীয় যোগী, গ্রিক দার্শনিক, কিংবা আরব-পারস্যের সুফিদের চেয়ে আমরা বেশি অগ্রসর হতে পারিনি; আমাদের ধী শক্তি বা প্রজ্ঞা তাঁদের চেয়ে বেশি, এমনও নয় বিষয়টি। চাঁদের বুড়ির নিরন্তর সূতা কাটা, নিকোলা টেসলার মহাজাগতিক সঙ্কেত, এনরিকো ফার্মির চিড়িয়াখানা, সবকিছুতে আদতে একই মানবীয় প্রেরণা উদ্দীপ্ত করে যায় আমাদের। প্রাচীন মিথগুলো তাই বারবার ফিরে আসে।
৩৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
নুভান বলেছেন: চমৎকার হয় তাহলে ভাইয়া। আপেক্ষিকতার ইতিহাস নিয়ে অনেক আগে একটি বই পড়েছিলাম, তখন প্রথম বুঝতে পারি আপেক্ষিক তত্ত্বের জন্য আইনস্টাইনকে নিয়ে আমরা যে এত মাতামাতি করি, কিন্তু তার অন্তরালে লুকিয়ে আছে আরও অনেক বৈজ্ঞানিকের অক্লান্ত পরিশ্রম, যাদের নাম অনেকটাই আমাদের অজানা। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: হ্যাঁ, আপেক্ষিকতা তত্ত্বের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস, রয়েছে অনেক বিজ্ঞানীর বিশাল অবদান। এমনকি আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূল গবেষণাপত্রটি (১৯০৫) পর্যলোচনা করলেই দেখা যায়, তিনি মূলতঃ লার্মর, ফিটজেরাল্ড, লরেন্টজ, পয়েনকারের সমীকরণগুলোই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন, যদিও সমগ্র গবেষণাপত্রে একটি রেফারেন্সও প্রদান করেননি তিনি। দুঃখজনকভাবে বিষয়টি অনেকটা plagiarism-এর সমতুল্য। উক্ত পত্রে সূত্রগুলো তিনি সঠিকভাবে প্রতিপাদনও করতে পারেননি গণিতে দুর্বলতার জন্য। আর আপেক্ষিকতার ইতিহাসে আরেকটি দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, যা আপনি বললেন, সেসব বিজ্ঞানীদের নাম অনেকটাই অজানা।
৩৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
নিমচাঁদ বলেছেন: দার্শনিক গভীরতা দিয়ে আপেক্ষিতাবাদ বুঝার মতোন গভীর মননশীল মস্তিষ্ক আমার নেই, তবে সামুর কথা,গণিত আর বিজ্ঞানের যাদুগরকে অনেক দিন পরে দেখে উল্লসিত হয়েছি ।
হ্যালো ম্যাভেরিক, ভালো আছেন ?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনাকে দেখেও আনন্দিত হলাম, নিমচাঁদ ভাই। তবে পোস্টে কিন্তু দার্শনিক গভীরতা নেই তেমন। বরং ষষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণীর গণিতই প্রণিধানযোগ্য।
সতত আনন্দময় কাটুক জীবন আপনার। দর্শন গণিত বিজ্ঞানের চেয়ে সেটি বেশি দরকার।
৩৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নিমচাঁদ বলেছেন: *আপেক্ষিকতাবাদ
৩৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
ঠান্ডা বরফ বলেছেন: কথা,,গণিত আর বিজ্ঞানের যাদকরকে অনেক দিন পরে দেখে উল্লসিত হয়েছি ... (নিমচাঁদ)
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা, ঠান্ডা বরফ। আপনার মন্তব্যে নিমোকে পুনরায় খুঁজে পাওয়ার মতই আনন্দময় হিসেবে পেলাম।
ভালো কাটুক সময়।
৩৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
একটানে পড়ে শেষ করলাম।
চমৎকার বর্ণণা আর সহজ উদাহরণে... জটিলতা সলতায় নেমে এসেছে অনেকটা।
আচ্ছা, মিরাজের ঘটনাটাও কী এই তত্ত্বের সাথে যায়? বা এই তত্ত্বের মাধ্যমে যারা মিরাজ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তাদের জবাব দেয়া যায়? আমি পড়তে পড়তে মিরাজের কথা ভাবছিলাম।
আমাকে একটা বিষয় সবসময় ভাবায়! আমরা আলোর গতিকে বলি সবচেয়ে দ্রুত। বাট যদি কখনও আমারা 'মনে'র গতিকে পরিমাপ করতাম! আসলে মনের গতিকে কি পরিমাপ করা সম্ভব? যদি মনের গতির সমপরিমাণ গতি কখনও অর্জন করা সম্ভব হয় তাহলে কী ঘটতে পারে! এবিষয়ে একটু বলবেন কি?
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো লাগল খুব। মন্তব্যে মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ।
মিরাজের সঙ্গে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব যায় না। ধর্ম, দর্শন, কিংবা আধ্যাত্মিকতার পাশপাশি বিজ্ঞানের আলোচনায় কোনো সমস্যা নেই, এক ক্ষেত্র অন্য ক্ষেত্র থেকে প্রেরণা নিয়েছে, নিচ্ছে, নিতে পারে, কিন্তু আমাদের সতর্কভাবে মানবজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাটুকু মনে রাখতে হবে—একটি দিয়ে আরেকটি কখনো চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করা যাবে না, এমনকি কোনো একটি বিষয়ে পরম নৈর্ব্যক্তিকতার (absolute objectivity) মানদণ্ডও মানুষের আয়ত্তাধীন নয়। সুতরাং এ ধরণের জবাব সবসময় আপাতক (provisional) হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং কেবলমাত্র প্রেরণাময়, গঠনমূলক, পারস্পরিকভাবে সহনশীল বিতর্কে উদ্ধৃত করা যেতে পারে।
তবে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, বস্তুজগতের তত্ত্ব হিসেবে এ তত্ত্ব অন্তর্গতভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ। সুতরাং আমার পোস্টে দর্শন ও পুরাণের সঙ্গে এ তত্ত্বের আলোচনা আপাতক হিসেবেও সমন্বিত করা পোস্টের মূল উদ্দেশ্য নয়। পরবর্তী পর্বে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
আপনার শেষ অনুচ্ছেদটি পড়ে আমার শৈশবের একটি মজার ধাঁধার কথা মনে পড়ল। আমরা প্রতিবেশী শিশুরা পরস্পরকে প্রশ্ন করতাম, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গতি কোন জিনিসের।
আমাদের মধ্যে স্কুলে যাবার বিশেষ সৌভাগ্য থেকে যারা বঞ্চিত ছিল, যারা কাজ করত মাঠে নদীতে পিতার সঙ্গে, তারা বলত লঞ্চ, স্পীডবোট, বাস, উড়োজাহাজ . . .। যারা জগতের বেশি জ্ঞান রাখত, তারা বলত জেটপ্লেন। যারা সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখত, তারা বলত রকেট। আমাদের শৈশবে রকেটই ছিল সবচেয়ে দ্রুতিগতির। বিজ্ঞানীরা এখন বলেন, আলো।
কিন্তু সেই শৈশবেই আমাদের অশিক্ষিত পৌরাণিক দাদিমারা চূড়ান্ত জবাবটি দিতেন, বলতেন, চিন্তা বা কল্পনাই সবচেয়ে বেশি গতিশীল; এর সাহায্যে নিমেষেই আমরা চলে যেতে পারি চাঁদে। আমি দাদিমাদের মানসভ্রমণের চেয়ে অধিকতর গতিশীল কোনো জিনিসের সন্ধান পাইনি, মঙ্গল, বৃহস্পতি, ছায়াপথের কিনারা, দৃশ্যমান মহাবিশ্বের সুদূর প্রান্ত পরিভ্রমণে।
ভালো কাটুক সময় আপনার।
৩৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৬
বৃতি বলেছেন: খুব সুন্দর করে এক্সপ্লেইন করেছেন । পড়তে বেশ ভাল লাগলো । আপনাকে অনুসরণে নিলাম অন্য পর্বগুলো পড়ার জন্য ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে অনুভবে অনেক ধন্যবাদ। অনুসরণে নেয়া গভীর সম্মানিত করল লেখককে, আনন্দময় করল লেখার শ্রম।
আমার ব্লগে সতত আনন্দময় হোক ভ্রমণ আপনার।
৩৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৮
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: মাথা ঝাকুনি দিয়ে উঠল
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১২
ম্যাভেরিক বলেছেন: অতঃপর মাথা স্থির, আনন্দে পরিপূর্ণ হউক। ভালো কাটুক সময়।
৪০| ০১ লা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ , একজন যোগ্য ও ভদ্র মানুষকে পাওয়া গেলো এই বিষয়ে আলোচনা করে কিছু জেনে নেয়ার জন্য। আমার চিন্তায় কোন ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করে নেয়ার জন্য। এই বিষয়টা নিয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক জাজাকাল্লহ।
এখন তোমার কাছে ১ টিকের সময় t′ হলে,
t′ = দূরত্ব/বেগ
⇒t′ = d/c ... ... ... (2)
এখানে আলো d দূরত্ব কিভাবে c বেগে অতিক্রম করলো বলে ধরলেন। ট্রেনের ভিতরের ব্যাক্তির সাপেক্ষে আলোর বেগ শুধু একদিকে অর্থাৎ উপরের দিকে এবং c বেগে। আর ট্রেনের বাইরের স্থির ব্যাক্তির সাপেক্ষে আলোর বেগ দুই দিকে। একটি উপরের দিকে c বেগে আরেকটি ট্রেন যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে v বেগে। তো আপনি শুধু উপরের দিকের c বেগটাকেই সমীকরণে বসালেন আর পাশের দিকের v বেগটাকে উপেক্ষা করে গেলেন কেন? আমি যদি সমীকরণটিকে নীচের মত লিখি তাহলে কেন তা ভুল হবে?
⇒t′ = d/v
আমারটা ভুল হলে আপনারটাও ভুল হওয়ার কথা।
আসলে আমার কাছে কোনটাই ঠিক মনে হচ্ছেনা। কেননা আপনি বেগের যেই সূত্র লিখেছেন সেটা হলো একমুখী বেগের সূত্র। আর আলো এখানে যাচ্ছে দ্বিমুখী বেগে , তাও আবার ভিন্ন ভিন্ন মানের বেগ। আপনার দেয়া সমীকরণ ট্রেনের ভিতরের ব্যাক্তি ব্যবহার করতে পারে কিন্তু ট্রেনের বাইরের ব্যাক্তি ব্যবহার করতে পারে কি? আযান হয়ে গেলো, দেখি পরে আরো আলোচনা করতে পারি কিনা।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আলোর বেগ নিয়ে আপনার চিন্তা ও সংশয় যৌক্তিক। ইতোমধ্যেই আমি পোস্টটির ২য় পর্ব প্রকাশ করেছি। সেখানে মোটামুটি বিশদভাবেই আপনার প্রসঙ্গটি বর্ণনা করা হয়েছে, বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের আলোকে, যা ধারাবাহিকটির মূল আলোচ্য। পড়ে দেখুন, আশা করি ভালো লাগবে।
৪১| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০৭
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকে পোস্ট করতে দেখে অনেক অনেক ভাল লাগলো।
আশা করি ভাল আছেন।
স্বীকারোক্তি- এর আগে জীবনে কোনদিন এত মজা করে কোন ধরনেরই ইকুয়েশন পড়িনি, এবং কেন পড়লাম না ভেবে কিঞ্চিত দুঃখও পাইনি
এখন ২য় পর্ব পড়তে যাচ্ছি।
ভাল থাকবেন।
১১ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: আমি ভালো আছি, প্রজন্ম। খুব ভালো লাগল আপনাকে দেখে। আশা করি, আপনারও সময় কাটছে চমৎকার।
স্বীকারোক্তি গভীর সম্মানিত করল লেখার শ্রম। বিভিন্ন বিষয়ে আপনার পাঠ ও বিশ্লেষণ সতত আনন্দময় হোক।
৪২| ১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
এরিস বলেছেন: আরও অনেক বড় না হলে এই লেখা বুঝা সম্ভব না। আরও কিছু সময় নিয়ে পড়তে হবে, ভাবতেও হবে। তারপর মন্তব্য। ততক্ষণ সাথেই আছি।
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫০
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। সঙ্গে থাকায় অনেক ধন্যবাদ। ভাবনা আনন্দময় হোক।
আর ভালো কাটুক সময়।
৪৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
মূসা আলকাজেম বলেছেন: যদিও আপনি দ্বিতীয় পর্বে আপেক্ষিক তত্ত্বের উপর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন, তবে যেহেতু আপনি গণিতবিদ, তাই অনিচ্ছাকৃতভাবেই আলোচনা একটু জটিল হয়ে গিয়েছে বৈকি। তাই আমি অগণিতবিদ হিসাবে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে যেসব আপত্তি হতে পারে সেগুলো সহজ ভাষায় এখানেই কিছু বলি, তাতে করে আমার মত সাধারণ মানুষেরা হয়তো কিছুটা এই পর্ব থেকেই বুঝে নিতে পারবে; ফলে ২য় পর্ব বুঝা সহজ হবে। এছাড়া আপনি যেহেতু এই লেখাটা পরে আরো সহজ করে লেখবেন তখন আমারমত অগণিতবিদের আলোচনা কাজে লাগলেও লাগতে পারে, এই হিসাবে যে, সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা আপনি আমার আলোচনা থেকে বুঝে নিতে পারবেন।
লক্ষ্য করবে, আমার দৃষ্টিতে ফোটনটি ১ টিকে h দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে, কিন্তু তোমার দৃষ্টিতে উক্ত ফোটন ঐ ১ টিকে d দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের দ্বিতীয় সূত্রানুযায়ী, আমাদের দুজনের কাছেই আলোর গতি একই হতে হবে, যা আমাদের সূত্রে c দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই জায়গাটি খুব সংক্ষেপ হয়ে গিয়েছে , ফলে সাধারণ পাঠক এখান থেকেই খেই হারানো শুরু করবে। আর এই সংক্ষেপতার মাঝে দিয়ে এখানে ঢুকে গেছে অনেক গোঁজামিল।
প্রথম কথা হলো যেই দুই স্বীকার্যের উপর ভিত্তি করে আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন সেই দুই স্বীকার্যের প্রমাণ কোথায়? ঐ দুই ভিত্তিরই কোন প্রমাণ নেই আসলে। শুধুই মনের কল্পনা, কিন্তু নাম দেয়া হয়েছে বেশ রাশভারী "থট এক্সপেরিমেন্ট" বা "Gedankenexperiment" । যাক আপাতত তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে, ঐ স্বীকার্য দুটি ঠিক আছে।
এরপর কথা হলো আপনার এই প্যারাটিকে আরেকটু স্পষ্ট করে বললে , এভাবে বলা যেতে পারে মনে হয়ঃ একই সময়ে একই বেগে চলে যেকোন বস্তুর সমান দূরত্ব অতিক্রম করার কথা অথচ আলো এখানে একই সময়ে ও একই বেগে চলেও দুটি ভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করেছে অর্থাৎ ট্রেনের ভিতরের যাত্রীর দৃষ্টিতে h দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে, আর ট্রেনের বাহিরের স্থির লোকের দৃষ্টিতে d দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেলেছে।আর d দূরত্ব, h দূরত্ব থেকে বেশী সেটা আমরা চিত্রের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারছি। তো, এটা কি করে সম্ভব? আলো যদি ট্রেনের ভিতরের লোকের দৃষ্টিতে কম বেগে ছুটত আর বাহিরের লোকের দৃষ্টিতে বেশী বেগে ছুটত তাহলে না একটা কথা ছিলো। কিন্তু এখানে তো আলোর বেগ উভয়ের কাছে একই বলে ধরে নেয়া হয়েছে। তাহলে কি সমাধান? এই জায়গায় এসে মহা কাল্পিক আইনস্টাইন বললেন যে, আসলে ট্রেনের ভিতরের ব্যাক্তির সময় স্লো হয়ে গেছে,তাই তার দৃষ্টিতে আলো কম দূরত্ব অতিক্রম করেছে। কিন্তু এই "সময় স্লো হয়ে যাওয়া"কথাটাই একটা চরম ভোগাস কথা,যেমন নাকি উৎস ও পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে আলোর বেগ ধ্রুব একটা ভোগাস কথা ।আমরা যেই "সময়" হিসাব করি সেটার ক্ষেত্রে আসলে কোন দ্রুত হয়ে যাওয়া বা স্লো হয়ে যাওয়া এই কথাই খাটেনা। আপনাকে কেউ যদি বলে যে, ফ্যানটা স্লো; তাহলে এ কথাটা খাটে। কিন্তু যদি বলে যে, লাইটটি স্লো;তাহলে কি এটা কোন কথা হয়? আপনি তখন তাকে কি বলবেন? এটাইতো বলবেন যে, ভাই লাইট কি জিনিষ সেটা আগে জেনে আসো,নাকি?আর এই পয়েন্টেই এসে চালাকি করেছে আইনস্টাইন।সময়ের প্রকৃতি সম্পর্কে যেহেতু আমরা প্রায় সবাই অজ্ঞ তাই সময় সম্পর্কে আইনস্টাইন একটা ভোগাস কথা বলার পরেও আমরা আর বলতে পারিনি যে,ভাই আইনস্টাইন সময় কি জিনিষ সেটা আগে জেনে আসো, সময়ের সাথে ফাস্ট হয়ে যাওয়া বা স্লো হয়ে যাওয়ার কথা খাটেনা।এরপর আবার এই ভোগাস কথাটা বিজ্ঞানীদেরকে গিলানোর জন্য এটার উপর দেয়া হলো অংকের চাদর।কিন্তু ঐ অংকটিও আসলে কিছু হয়নি। সেটা আমি আমার আগের কমেন্টেই দেখিয়েছি।
গোজামিল দেয়া এখানেই শেষ নয়। খেয়াল করুন নীচের কথাটি
লক্ষ্য করবে, আমার দৃষ্টিতে ফোটনটি ১ টিকে h দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে, কিন্তু তোমার দৃষ্টিতে উক্ত ফোটন ঐ ১ টিকে d দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেলেছে।
এই কথাটি আসলে পুরাই গোঁজামিল। ট্রেনের ভিতরের ব্যাক্তির দৃষ্টিতে আলো h দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে উপরের দিকে। তেমনি ট্রেনের বাহিরের ব্যাক্তির সাপেক্ষেও আলো উপরের দিকে h দূরত্বই পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু ঐ যেমন আমি আগের কমেন্টে বলেছি যে, আলো এখানে দ্বিমুখী বেগে ধাবিত হচ্ছেঃ একটা হচ্ছে তার নিজস্ব বেগে উপরের দিকে , আরেকটি হচ্ছে ট্রেন যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে ট্রেনের গতিতে।কিন্তু এই দ্বিতীয় দিকের বেগটিকে ট্রেনের ভিতরের ব্যাক্তি উপলব্ধি করতে পারবেনা, কারণ সেও ঐ একই দিকে একই বেগে যাচ্ছে।পক্ষান্তরে ট্রেনের বাইরের ব্যাক্তি আলোর এই উভয় দিকের গতিই উপলব্ধি করতে পারবে এবং সে এই উভয় বেগের লব্ধি বেগে আলোকে d চিহ্নিত পথে d বেগে যেতে দেখবে। এবং এই d বেগটি অবশ্যই আলোর নিজস্ব c বেগের চেয়ে বেশী হবে, এটা ইন্টারের ছাত্ররাও সহজেই বুঝবে এবং সহজেই এর মান বের করতে পারবে।
কিন্তু আইনস্টাইন এই সহজ ব্যাখ্যার দিকে না গিয়ে সময়কে স্লো করার সেই প্যাঁচালো ও উদ্ভট ব্যাখ্যার দিকে কেন গেলেন? কারণ খুঁজতে গেলে অনেক পিছনে যেতে হবে। সেই সময় নেই। সংক্ষেপে শুধু এটুকু বলি যে, পৃথিবীকে ঘূর্ণায়মান ও চলমান দেখাতে গিয়ে প্রথমে আলোর বেগকে ধ্রুব কল্পনা করা হলো, এরপর আবার এই কল্পনাকে ঠিক রাখার জন্য আরো উদ্ভট জিনিষ কল্পনা করা হলো যে, কোন কিছুর বেগ বাড়লে সেটার সময়ের গতি স্লো হয়ে যায়। মাইকেলসন- মরলির এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে বুঝা গেলো যে পৃথিবী ঘুরছে না, কিন্তু সেদিকে না গিয়ে উনারা অনেক কষ্ট করে কল্পনা করলেন যে আলোর গতি আসলে ধ্রুব।
কথা হলো এতসব উদ্ভট জিনিষ কল্পনা করে পৃথিবীকে ঘূর্ণায়মান রাখলে বিজ্ঞানীদের কি লাভ?হ্যাঁ, প্রকৃত বিজ্ঞানীদের আসলে কোন লাভ নেই। কিন্তু নাস্তিক, নামে বিজ্ঞানীদের লাভ আছে। কেননা গ্যালিলিও ভুল প্রমানিত হলে তাদের হিসাব মতে এটা হবে ধর্মগ্রন্থের কাছে বিজ্ঞানের পরাজয়। আর এটা নাস্তিক বিজ্ঞানীরা কখনো সহ্য করতে পারবেনা। তাই বিজ্ঞানের নাম করে দরকার হলে শত গাঁজাখুরি কথাও মেনে নিতে তারা রাজি আছে কিন্তু পৃথিবী স্থির এটা তারা কেয়ামত পর্যন্তও মানতে রাজি না।
যাইহোক এই তত্ত্বে আরো গোঁজামিল আছে। দেখি আবার পরে সময় পেলে আসব। আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন।
০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি লিখেছেন, "এই জায়গাটি খুব সংক্ষেপ হয়ে গিয়েছে , ফলে সাধারণ পাঠক...।"
—সংক্ষিপ্ততার ব্যাপারে একমত। তবে এর কারণ, বিশেষ আপেক্ষিকতার স্বীকার্যদুটি নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে আলাদা অধ্যায়ে। প্রথম পর্বে পাঠককে বিজ্ঞান দ্বারা খানিকটে চমকে দেয়ার প্রয়াস, হয়তো তাতে কিছুটা ধাঁধারও সৃষ্টি, কিন্তু জট খুলবে ধীরে ধীরে, কারণ আমার লেখাটি বিস্তৃত হচ্ছে উল্টোদিক থেকে, ঘটনার পর কারণ অনুসন্ধানের দিকে।
আপনি লিখেছেন, "প্রথম কথা হলো যেই দুই স্বীকার্যের উপর ভিত্তি করে আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন সেই দুই স্বীকার্যের প্রমাণ কোথায়?"
— প্রথম স্বীকার্যের কোনো প্রমাণ নেই, বিষয়টি ঠিক নয়। দ্বিতীয় স্বীকার্যেরও রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস, যদিও যাবতীয় ধাঁধার মূলে এটিই। তবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিমাত্রই যেহেতু মূলতঃ আরোহ পদ্ধতি, সেহেতু এখানে কেবল প্রশ্ন হচ্ছে, এ তত্ত্বের সমর্থনসূচক ভিত্তি কতটুকু সবল।
আপনি লিখেছেন, "এরপর কথা হলো আপনার এই প্যারাটিকে আরেকটু স্পষ্ট করে বললে...
...আর এই পয়েন্টেই এসে চালাকি করেছে আইনস্টাইন...এরপর আবার এই ভোগাস কথাটা বিজ্ঞানীদেরকে গিলানোর জন্য এটার উপর দেয়া হলো অংকের চাদর।"
— আমার এ পোস্টগুলো একটি বইয়ের অংশ, যেখানে আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, মূল লেখাটি থাকবে সমীকরণবিহীন বর্ণনামূলক, আর সমীকরণের প্রতিপাদন থাকবে আলাদা, যেমন বক্স করে। সব ধরণের পাঠকের কথা আমার চিন্তায় রয়েছে, কিন্তু পুরো বই ব্লগে লেখা সম্ভব নয়।
— আইনস্টাইন চালাকি করেছেন কি না, আমরা জানি না, তবে তিনি ভুল করতে পারেন। তার কথাটি আপনার কাছে বোগাস মনে হলেও তিনি তা বিশ্বাস করতেন, বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশও করে। এখন আপনি যদি চান, আপনার যুক্তিও মানুষ শুনুক, যাচাই করুক, তাহলে বৈজ্ঞানিক আলোচনায় আপনাকে শব্দচয়নে নমনীয় ও সহনশীল হতে হবে। অনেক যৌক্তিক সুন্দর কথার আবেদন নিছক আবেগ ও প্রকাশভঙ্গির কারণে হারিয়ে যায়, এ বিষয়টি মনে রাখা উচিত আমাদের।
আপনি লিখেছেন, "কিন্তু আইনস্টাইন এই সহজ ব্যাখ্যার দিকে না গিয়ে সময়কে স্লো করার সেই প্যাঁচালো ও উদ্ভট ব্যাখ্যার দিকে কেন গেলেন?"
— সময় প্রসারণে শুধু আইনস্টাইন যাননি, এবং সত্যি বলতে কী আইনস্টাইন গিয়েছেন অনেক পরে। তার আগে বলে গেছেন, লার্মর, লরেন্টজ, পয়েনকারপ্রমুখ। সুতরাং কী বিষয় তাঁদের ধাবিত করেছিল এরূপ জটিল যুক্তিতে, ঐতিহাসিক আলোচনা ছাড়া এর মূল্যায়ন সম্ভব নয়।
আপনি লিখেছেন, "মাইকেলসন- মরলির এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে বুঝা গেলো যে পৃথিবী ঘুরছে না, কিন্তু সেদিকে না গিয়ে উনারা অনেক কষ্ট করে কল্পনা করলেন যে আলোর গতি আসলে ধ্রুব।"
— আমি এখন পর্যন্ত প্রমাণ পাইনি যে, মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষাগুলো পরম শূন্যে (absolute vacuum) সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং আলো চলাচলকারী কোনো মাধ্যমে (যেমন, বাতাস যাকে পৃথিবী টেনে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাবে) পরীক্ষাগুলো সংঘটিত হলে, কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে (যা পরম শূন্যতাহীন) সংঘটিত হলে এবং ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন কণা-প্রতিকণার সঙ্গে ফোটনের মিথষ্ক্রিয়া ঘটলে, মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষায় পৃথিবী ঘূর্ণায়মান নাকি স্থির তার কোনোটিই বোঝা যাবে না। তবে ঐতিহাসিকভাবে বললে, মাইকেলসন-মর্লির পরীক্ষা আলোকপরিবাহী ইথারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ঘূর্ণন শনাক্ত করতে পারেনি।
তাহলে পৃথিবী ঘূর্ণনের সপক্ষে কী প্রমাণ? মাইকেলসন-মর্লিরও প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে জেমস ব্র্যাডলি Stellar Aberration-এর মাধ্যমে এর সমর্থনসূচক প্রমাণ দিয়ে গিয়েছিলেন।
৪৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৪
আরজু পনি বলেছেন:
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম আমি ক্লাস এইটে পড়ি ! আর আপনি এক বুড়ো ! যার কাছ থেকে জ্ঞানগর্ভ গল্প শুনছি দারুণ সহজ উপস্থাপনে...পড়তে পড়তে...ভাবতে ভাবতে শেষের দিকে এসেতো আটকে গেলাম
আমাকে আবার আসতে হবে, এটাই পড়তে !
১৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। আটকে গেলেও সমস্যা নেই। পড়তে ভালো লাগাই বড় ব্যাপার।
৪৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২০
আলফা-কণা বলেছেন: Dinner koira ashi, tarpor porbo,,,, mone hocceh nice ekta article,
৪৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৮
আলফা-কণা বলেছেন: আমার টিচার নাম টা বোললাম নাা, ব্লগ এ অনেক ই চিনেন উনাকে, খুব চমত্কার ভাবে ,খুব সহজ ভাবে ঈকুঅসোন আর গল্প দিয়ে দিয়ে খুব মজা করে আমারদের কে মডার্ন physics পড়াতেন. আপনার লেখাটা ও অসাধারণ লাগলো, কিন্তু একটা দুক্ষ, আমরা আসলে আইনস্টাইন কে ই আপেক্ষিকতার সব ক্রেডিট দেয়ে দেয়, কিন্তু, Lorentz, গাল্লেলীয় এদের কে mone করে করি না, কারণ, আপেক্ষিকতার আলোচনা হলে, সবার আগে লোরেনজ, গালল্লীয় সহ আরো অনেকের নাম আসবে.... যাই হুক, দুনিয়াটা চলছে ই এরকম, গানের গীতিকার, সুরকার এর নাম না না জানলেও , গায়কের নাম আমরা thik ই jani. dhonnobad onek sundor poster jonno.
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
ম্যাভেরিক বলেছেন: সঙ্গে থাকায় ও যৌক্তিক মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো কাটুক সময়।
৪৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশে এমনও মানুষ আছে যারা এখনও বিশ্বাস করে দুনিয়া স্হির! কি অদ্ভুত আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্হার! আমাদের ধর্মীয় গোড়ামী কতটা শক্তিশালী!
থু থু মারতে মন চায় এসব ধারনা সৃষ্টিকারীদের!
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
ম্যাভেরিক বলেছেন: ঘটনা, প্রসংগ কী!
৪৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: মারাত্নক সুন্দর একটা পোস্ট । এই নিয়ে দুইবার পড়লাম । আরো পড়তে হবে কয়েকবার ।
++
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। পড়া ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আনন্দময় কাটুক সময় আপনার।
৪৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
বিল্লা বাবা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। ++++++++++++++ আলোর বেগে কি আদৌ যাওয়া যাবে? মনে করেন আরও ১০০০ বছর পরে
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৩
ম্যাভেরিক বলেছেন: শুভেচ্ছা। পড়া ও মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ। আলোর যে প্রচণ্ড গতি, তাতে মানুষ বহনকারী কোনো যানকে আলোর বেগে নেয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না। তবে ন্যানো সাইজের যানের গতি আলোর বেগের উল্লেখযোগ্য অংশ হতে পারে। বিদ্যুতচুম্বকীয় তরঙ্গের গতি প্রকৃতিগতভাবে আলোর বেগে চলে। কিন্তু মানুষের তৈরি বস্তুযানের জন্য রয়েছে নানা ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতা। আমি ব্যক্তিগতভাবে গতির ব্যাপারে খুব আশাবাদী নই, কারণ ওয়ার্ম হোল, ওয়ার্প ড্রাইভ এরূপ বিশেষ পদ্ধতির যৌক্তিক ভিত্তি খুঁজে পাইনি আমি, কেবল কল্পনা ছাড়া।
৫০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ইস! ইউনিতে থাকা কালিন স্যারেরা যদি এত সহজ সুন্দর সরল করে বুঝাতে পারত, তাহলে আজ হয়ত কল্প-বিজ্ঞান নিয়ে গল্প না লিখে সত্যিকারের বিজ্ঞান নিয়েই লিখতাম ! আমাদের ভাল ছাত্রে অভাব নেই, ভাল শিক্ষকের বড়ই অভাব
যে ডেরিভেশন গরুর মত মুখস্ত করতাম সেটা কি অবলীলায় বুঝিয়ে দিলেন! অবাক!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, দেবদূত ভাই। ভালো লাগল আপনাকে দেখে ও মন্তব্যে।
আপনার কল্পবিজ্ঞান নিয়ে লেখাগুলি অনেক সুন্দর। আপনি এ ব্যাপারে আরও পরিশ্রম করলে আমাদের সাহিত্যে ধারাটি সমৃদ্ধ হবে।
কল্পবিজ্ঞানে তুলনামূলকভাবে স্বাধীনতাও বেশি। এই ডেরিভেশনটিই দেখুন, আমাদের শিক্ষার্থীগণ গৎবাঁধাভাবে মুখস্থ করে ফেলে, কারণ শিক্ষকগণ এভাবেই পড়িয়ে থাকেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায়, এই ডেরিভেশনে যুক্তির মারাত্মক বিভ্রাট রয়েছে। আলোকে কেন উপরের আয়নায় পড়তেই হবে, এমনকি ট্রেনের গতিবেগ যা-ই হোক, আয়না যত উপরেই হোক! পরীক্ষা পাসে মুখস্থের জ্বালায় আমরা প্রশ্নটিই করতে পারি না।
৫১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২২
রিমন।গণিত পাগলা (প্রায়) বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার ব্লগে আসলাম
লেখার কথা কি বলবো, টিপিকাল ম্যভেরিক স্টাইল
আসলে, বসে বসে কার্ল সাগানের কসমস দেখছিলাম, হঠাৎ করে আলেজান্দ্রীয়া এর প্রসংগ আসলো, আসলো Eratosthenes এর প্রসংগ,
আপনি হাইপেশিয়াকে নিয়ে লিখেছেন, Eratosthenes কে নিয়ে কিছু লিখার অনুরোধ নিয়ে আপনার কাছে আসলাম আবার
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: প্রথম ভালালাগা। অনেক দিন পড়ে পোষ্ট দিলেন।
পড়ে সময় নিয়ে পড়ে পড়ে বুঝতে হবে।