নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমন মানব জনম আর কি হবে, মন যা কর, ত্বরায় কর এই ভবে...
মুক্তিযুদ্ধের এতোগুলো বছর পরে এদের মাথাব্যাথা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে। কেন ত্রিশ লাখ শহীদের কোন তালিকা নেই। মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক মারা গেলে গড়ে প্রতিদিন ১১হাজারেরও বেশী মানুষ মারতে হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস আর বিহারীদেরকে । তাদের প্রশ্ন প্রতিদিন এত মানুষ মারা কি সম্ভব? আর যদি সেটা সম্ভব হয়েও থাকে তাহলে তার তালিকা নেই কেন? এমন ভাব যেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালিকা করে করে মানুষ মেরেছে এবং তা সংরক্ষণ করেছে।
এই সংশয় প্রকাশকারীরা মনে করে মুক্তিযুদ্ধ আসলে একটা ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান্স টাইপের গেম ছিল, তাইতো এরা মুক্তিযুদ্ধের সাথে ইরাক-সিরিয়ার যুদ্ধের তুলনা করে। তারা ভাবে, ১ কোটি ২০ লাখ লোক পিকনিক করতে ভারতের শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। তিন লাখ মা-বোনেরা তাদের পেয়ারা পাকিস্তানের জাঞ্জুয়াদের মনোরঞ্জনের জন্যে স্বেচ্ছায় নিজেদের সতীত্ব বিসর্জন দিয়েছিল। এরা তথ্য উপাত্ত বিশ্বাস করেনা, ৭১ এর ভয়াবহতা - নৃশংসতার বিবরণ দিয়ে লেখা বইগুলোর মর্মস্পর্শী লাইনগুলো এদের স্পর্শ করেনা। ৪৪/৪৫ বছর পরে এদের চাওয়া শুধু ৩০ লাখ শহীদের নামসহ একটি তালিকা।
আমার ভয় হয় - এরা হয়ত কালকে বলবে, তিন লাখ বীরাঙ্গনারও তালিকা চাই। সেই সাথে তাদের ধর্ষণের উপযুক্ত প্রমাণস্বরূপ সেই সময়কালীন মেডিকেল সার্টিফিকেটও চাই। যদি তারা না দিতে পারে তবে তারা কিসের বীরাঙ্গনা?? ভাবতেই শিউরে ওঠে আপাদমস্তক।
পৃথিবীতে এই পর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে কোনো যুদ্ধতেই বেসামরিক মৃত মানুষের কোন তালিকা হয়নি। কারণ, যুদ্ধ লর্ডস বা ওল্ড ট্রাফোর্ড মাঠে আয়োজন করা ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ না যে যুদ্ধে ধরে ধরে গণনা করতে হবে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা ভোগ করছি মুক্ত ও স্বাধীন স্বদেশ, আজ তাদের অবদানকে স্বীকার করে কোথায় আমরা এগিয়ে যাব, তা না, অবান্তর প্রশ্ন ও তর্ক করে তাদের আত্মত্যাগকে কলঙ্কিত করছি।
এক বুক আক্ষেপ নিয়ে বলতে হচ্ছে আমরা আসলে স্বাধীন হয়েছি কিন্তু আই এম স্যরি টু সে, মেবি উই ডোন্ট ডিজার্ভ দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্স
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
ভীমরুলের হুল বলেছেন: ভাল বলেছেন ।