নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের বিপরীতে পার করে এসেছি সহস্রকাল, হঠাৎ এক উদ্ভ্রান্ত অবয়বে বেঁচে থাকি এপার ওপার।
আমার বাসার সামনের বাসায় একটা ছোট্ট ছেলে ছিল নাম বাবলু। তার বাবা চায়ের দোকানদার। একদিন আমি একটা ম্যাট্রেস কিনে বাসার সামনে আসতেই বাবলুর বাবা আমাকে সাহায্য করলো ম্যাট্রেস তিনতলার উপরে উঠিয়ে দিতে। সেটা আবার আমাদের বাসার যে বুয়া ছিল উনি দেখে বাবলুর বাবাকে বিস্কুট আর এক গ্লাস পানি খেতে দিয়েছিলো। তারপর বাবলুর বাবা আর বাসার বুয়ার মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো।
বাবলুর বাবা মাঝে মাঝেই এটা সেটা চাওয়া শুরু করলো বুয়ার থেকে বুয়াও আমাদের না জানিয়ে সব কিছু দিতে থাকলো। একদিন আমার বাড়ির মানুষগুলো বুয়াকে ধরে একটু কড়া ভাষায় বললো আমাদের না জানিয়ে তুমি ঘরের দামি দামি জিনিসগুলো বাবলুর বাবাকে দিয়ে দিচ্ছ কেন ? বুয়া সবাইকে অবাক করে দিয়ে বললো এটা বাবলুর বাবার অধিকার। সে ম্যাট্রেস তিনতলায় তুলতে সাহায্য করেছিল তাই সে যা চাবে তাই দিবো। তখন সবাই বুয়াকে বোঝাতে শুরু করলো এটা ঠিক নয়। সেদিন তো সৌজন্যতার খাতিরে তাকে বিস্কুট আর পানি দিয়েছিলে। তুমি যদি এখন আমাদের কথা না শোনো তবে আমরাও বাধ্য হবো তোমাকে কাজে না রাখতে। তখন বুয়া সবাইকে আরো অবাক করে দিয়ে বললো আপনারা চাইলেই আমাকে কাজ থেকে বের করে দিতে পারেননা। এই বাড়িতে আমার অধিকার অনেক বেশি। কারণ আমি এই বাড়ির সব কাজকর্ম করি যার কারণে আপনারা দুইবেলা ভালোমন্দ খাতে পারেন। আমার কোনো বিকল্প এই বাড়িতে নেই। এমন কি বুয়া আমাদের বাসার লোকজনদের গায়ে পর্যন্ত হাত তুললো। তখন সবাই খেপে যেয়ে বুয়াকে মারতে গেলো আর তখনি বুয়া রাগে কটমট করে পাশের বাড়ির বাবলুর বাবার কাছে যেয়ে আশ্রয় নিলো।
বাবলুর বাবা একটা ক্রিমিনাল টাইপের লোক। সব অপকর্মকারী বাবলুর বাবার চায়ের দোকানে বসে চা খায় আর বিভিন্ন রকমের নাশকতার ফন্দি আটে। এখন বুয়া আর বাবলুর বাবা মিলে আমাদের বাড়িতে বিভিন্নভাবে হামলা আর অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছে। আমার কয়েকজন মামা আছেন। এরা সারাজীবন আমার বাবার ঘাড়ে ভর দিয়ে খেয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতে সামান্য কোনোকিছু ও কন্ট্রিবিউট করেনি কোনোদিন। এরা পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে খাচ্ছে আর বলতেছে বুয়াকে নাহয় আবার নিয়ে এস নইলে এসব অশান্তি থামাবে কে। তাকে নিয়ে এসে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার বাসার কাজে লাগিয়ে দাও। এসব মামাদের কিছু বন্ধুবান্ধব বিদেশে আছে যারা আগে বুয়াকে দিয়ে মদ গাজা এসব আনিয়ে নিতো তারাও সারাদিন বুয়ার গুণগান গাচ্ছে।
আমাদের বাড়ির নতুন ছেলেমেয়েরা আর কোনোভাবেই বুয়াকে নিয়ে আসতে রাজি নয়। তারা এখন বলতেছে দাদা যেই বাড়ি রেখে গেছে আমরা নিজেরা নিজেরাই কাজ করে এখন বাড়ির শান্তি বজায় রাখবো। দরকার হলে বাবলুর বাবার দোকান থেকে বিকেলের চা আর নাস্তা খাবো না। আশেপাশে অনেক ভালো ভালো দোকান আছে যেখানে আমরা আগে যাইনি নিজেরা। বুয়া শুধু ওই বাবলুর বাবার দোকান থেকেই সব নিয়ে আসতো। এখন আর সেটা চলবে না।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
মায়াস্পর্শ বলেছেন: বদ বুয়া পার্ট ২ লিখবো তাই এমন করে রেখেছি।
বুয়ার অত্যাচারে বাসার সবাই অতিষ্ঠ।
বুয়া অবশ্যই ভালো নয়।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
শুরুতে রম্য মনে হলেও, পরে বিষয়টা সিরিয়াস হয়ে গেলো।
বুয়া বাসার মানুষের গায়ে হাত তোলে, আবার বাসার মানুষরা বুয়াকে মারতে যায়।
এ অবস্থা কেনো?
Kind of abusive.
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
মায়াস্পর্শ বলেছেন: আমাদের বাসার মানুষগুলো সময়ের কাজ সময়ে করেনা। যদি প্রথমেই বাবলুর বাবাকে শুধু চা আর বিস্কুট দেওয়া অবধি বুয়াকে সীমাবদ্ধ রাখতো তবে এতো কিছু হতো না। যে যতটুকু উপকার করেছে তাকে তার চেয়ে সামান্য বেশি উপকার করলেই চুকে যেত। কিন্তু বুয়া বাবলুর বাবাকে আমাদের বাসার সব কিছু দেওয়া শুরু করলেও বাসার পুরোনো মানুষজন চুপচাপ ছিল। বুয়াকে কিছু না বলতে বলতে বুয়াও সবাইকে চোখ রাঙানি দেওয়া শুরু করলো। এটা বাসার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা সহ্য করতে না পেরে বুয়া যে এতদিন ভুল করে এসেছে তা জানিয়ে দিলো।
বুয়ার মারতে আসা বা বুয়াকে মারতে যাওয়া এটা এবিসিভ নয়। মাঝে মাঝে সঠিক কর্ম সম্পাদন না করলে বাসার অবস্থা বেহাল হয়ে যাবে। একটা কথা আছে, মাইরের ওপর ওষুধ নাই।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বদ বুয়া পার্ট ২ লিখবো তাই এমন করে রেখেছি।
তাহলে চলবে লিখে দিবে, নইলে মনে হলো হঠাৎ শেষ হয়ে গেলো।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মায়াস্পর্শ বলেছেন: দেখি সামনে বুয়া আর কি কি করে। তার ওপর ভিত্তি করে পার্ট -২ লিখবো।
এ বিষয়ে কয়েকজন বুয়া বিশেষজ্ঞরা সাথে কথা বলতে হবে।
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিড অভিনয় তে অতি পাকা, বলিউড এ ট্রাই করে না কেন? বুয়া যে বদ কামের বেটি হাসিনা সেইটা সে নাকি বুঝতে পারে নাই!!!!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মায়াস্পর্শ বলেছেন: ভাই ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মিরোরডডল যদি এটা না বুঝে তবে বুঝবে কে?
উনি জাস্ট গল্পের প্রেক্ষাপটে মন্তব্য করেছেন।
উনি অভিনয় জানলেও মনে হয়না বলিউডে চেষ্টা করবেন।
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সিরিয়াসলি!!!!
আমার মা বলে আমি বোকা
ভুম বলে অভিনয়ে পাকা
আসলে আমি কোনটা?
বাই দ্যা ওয়ে, বলিউডে কেনো ট্রাই করবো?
আমি নিজেই বলিউড মুভি দর্শক না, ভক্তও না
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মায়াস্পর্শ বলেছেন: ভুম বলে অভিনয়ে পাকা
আসলে আমি কোনটা?
ভুম ভাইয়া কিন্তু একদম ফেলে দেওয়ার মতো কথা বলে নি।
বাই দ্যা ওয়ে, বলিউডে কেনো ট্রাই করবো?
এই লাইনটাই বলে দিচ্ছে আপনি অভিনয়ে পারদর্শী।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বুয়া বদ নাকি বদ বুয়া?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
মায়াস্পর্শ বলেছেন: মামা আর বাপের শালা একই জিনিস
তারপরও আপনি যেইটা ভালো মনে করেন কুতুব ভাই।
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: বুয়ারা কতখানি ভয়ংকর হতে পারে আমার সেটা ভালোই জানা আছে। একবার এক বুয়া বাসায় ডাকাত পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলো। তবে সে ইচ্ছা করে করেনি, নিজের অজান্তেই ডাকাতদেরকে তথ্য দিয়ে ফেলেছিলো। তারপর গভীর রাতে ১০/১২ জনের দল বাসায় ঢুকে পড়ে বাসার জিনিসপত্রসহ গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেছিলো। ঐ বুয়াসহ অন্যবুয়াদের হাত চোখ মুখ বেঁধে, ড্রাইভার দারোয়ান যে যেখানে ছিলো সবাইকেই কুপোকাৎ করে হাত চোখ মুখ বেঁধে একটা রুমে বন্দী করে ডাকাতি শেষে ভোরের আজানের আগেই বেরিয়ে যায়। পরে অবশ্য ডাকাতদেরকে ডাকাতির মাশুল দিতে হয়েছিলো। গাড়িটাও ফিরে পাই।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
মায়াস্পর্শ বলেছেন: কি ভয়ংকর কথা শুনাইলেন আপু। কপাল ভালো মানুষের কোনো ক্ষতি ওরা করেনি। আরো কপাল ভালো গাড়িটাও ফেরত পেয়েছেন।
আমার মা যখন স্ট্রোক করলো তখন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। মাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার পর একটা বুয়া রেখেছিলো কাপড় ধোয়া আর বাসন কোসন মাজার জন্য।
কিন্তু আমার বাবা সেই বুয়াকে পরেরদিনই বিদায় করে দেয়। মা জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন, এরা অসময়ে ক্ষতি করতে বেশি পছন্দ করে।
প্রথম যখন বাসার বাহিরে থাকা হলো তখন এক বুয়াকে হাতে নাতে ধরেছিলাম ব্রকলি আর সয়াবিন তেল চুরি করার সময়। পরে বলে মামা এগুলি নষ্ট হয়ে গেছে আপনারা খাইতে পারবেননা, তাই নিচে নিয়ে যাচ্ছি ফেলে দেওয়ার জন্য। এরা যতটা ভালো ততটাই ভয়ংকর। তবে অনেকেই এদেরকে অস্বাভাবিক ভাবে নির্যাতন করে পৈশাচিক আনন্দ পায় যেটা অপরাধ।
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
শায়মা বলেছেন: চুরি তো কিছুই না, অভাব আছে বলে না হয় করে কিন্তু ভয়ানক যে সব চিত্র আছে জেনেছি বা শুনেছি সে সব শুনলে কাটা দেয় গায়ে।
আমার এক কলিগের বাচ্চাকে যে বুয়ার কাছে রেখে আসতো। সেই বাচ্চাকে মানে অতটুকুন বাচ্চাকে সে মার ধোর করত।
আরেক আত্মীয়ের কাছে শুনেছিলাম ভয়ংকর এক ঘটনা। তার কলিগের বাচ্চাকে রেখে গেছে বুয়ার কাছে। ঐ মহিলা ব্যাংকে জব করতো। তো বুয়া ঘুমিয়েছে ছোট্ট বাচ্চা তার নাকে সুড়সুড়ি দিয়ে দিয়ে দুষ্টুমী করছিলো। বুয়া ঘুম ভেঙ্গে রাগে বাচ্চার গলা টিপে ধরে মেরে ফেলেছে।
ছোট্ট এক দেড় বছরের বাচ্চা। শেষে ভয় পেয়ে আবার ঘুম পাড়ানোর মত করে কাঁথা টাথা দিয়ে ঢেকে সুন্দর করে শুইয়ে রেখেছে। মা ফিরে এসে দেখে বাচ্চা উঠে না। বুয়াও কিছুতেই স্মীকার করে না। পরে পুলিশের মাইর খেয়ে স্মীকার করেছে।
কিন্তু তাতে কি লাভ হলো। ঐ অতটুকুন নিস্পাপ বাচ্চাটা আর কখনও তো ফিরে আসলো না।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
মায়াস্পর্শ বলেছেন: কিছু বলার নাই। সন্তান হারানোর মত কষ্ট দুনিয়াতে আর নাই। আল্লাহ সবার সন্তানকে ভাল রাখুন।
এজন্যই মানুষ নিজেদের চেনা জানার ভিতরেই বুয়া খুজে এখন।
যখন ঢাকায় থাকতাম ব্যাচেলর বাসায়, তখন ব্রাম্মনবাড়িয়ার এক বুয়া ছিল। সবায় আপা বলেই ডাকতাম। সাথে উনার ছোট্ট মেয়েটা আসত নাম শান্তি। সবাই এত্ আদর করতাম যা বলার মতো নয়। সেই আপা আমাদের টাকা ধার দিতো, বাসার গ্যাস না থাকলে উনার বাসা থেকে রান্না করে এনে দিতো। মাসের শেষে ব্যাচেলর বাসায় বাজারের টাকা থাকতো না, ওই আপাই নিজে বাজার করে এনে রান্না করে দিয়ে যেতো। এরকম পাওয়া খুব কঠিন।
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ শুধু যে খারাপই আছে তাই নয়। কিছু ভালো ভালো মানে অতি ভালো মানুষও আছে। যারা অনেক আত্মীয়ের চাইতেও বেশি।
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৩
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
ঘরের বুয়া নিয়ে ১ম শ্রেণীর বাচ্চার কাহিনী ( হোমওয়ার্ক ) ?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৮
মায়াস্পর্শ বলেছেন: ফিল্ডওয়ার্ক।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখাটা মনে হলো ইনকমপ্লিট।
মূল বিষয়টা ঠিক কি, লেখক লেখার মধ্যে দিয়ে কি বোঝালো, পাঠক হিসেবে আমি সেটা বুঝিনি।
বুয়া ভালো না, এটাই?