নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল লাগে এনিম দেখতে। আর তা নিয়ে লেখালেখি করতে।

মোঃ আসিফুল হক

এনিমের ভক্ত, টিভি সিরিজ দেখি, মুভিও দেখি। আর ক্রিকেটের পাগল ভক্ত। ভাল লাগে ঘুরাঘুরি করতেও।

মোঃ আসিফুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

Btooom! – অনলাইন গেমিং; ভার্চুয়াল বাস্তবতা এবং একটি সম্ভাবনাময়তার করুণ মৃত্যু…

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫





রিয়োতো সাকামোতো – বয়স ২২। হতাশ; বিষণ্ণ এবং বেকার এই যুবকের দিন কাটে সারাদিন ঘরে বসে btooom নামক থার্ড পারসন শুটিং গেম খেলে। বর্তমানে সে এই গেইমে ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং এ ১০ নাম্বার এবং তার জীবনের সব হিসেব নিকেশ এই গেইমের স্টেট নিয়ে। কিন্তু এই জীবনের ছেদ ঘটে যখন একদিন সে নিজেকে আবিষ্কার করে একটা গাছের ডালে প্যারাসুটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। সাকামোতো রিওতোর প্রিয় গেইম কি তাহলে বাস্তবতায় রুপ নিল? ভার্চুয়াল লাইফ যখন বাস্তবতায় মিশে যায় তখন কি সে তাতে কুলিয়ে উঠতে পারবে?







এই পর্যন্ত পরার পর বেশ অনেকেই একটু থমকে দাঁড়াবেন; ইতি উতি চাইবেন; তারপর প্রশ্ন করে বসবেন; “মিয়া; ফাইযলামি কর? কয়দিন আগে sword art online দেখসি কি করতে? আর তুমি এইডা কিসের রিভিউ লেখতে বসছ? পইরাতো sword art online এর মতন লাগতেসে। অইটা আর এইটার মধ্যে পার্থক্য কি?”



প্রথমেই এই ব্যাপারটা ক্লিয়ার করা যাক। sword art online এর মত এখানে জগতটা কাল্পনিক না; বরং সকল প্লেয়ারদের ছেড়ে দেওয়া হয় একটা বিশেষ ভাবে তৈরি দ্বীপে। সুতরাং; সেই দিক দিয়ে btooom অনেক বেশি রিএলিস্টিক যদিও লেখক উরাধুরা লেভেলের বোম আর তার মালিকানা এবং ব্যাবহার নিয়ে এইরকম ফিকশন জুড়ে দিয়েছেন যে এইটা যে কোন ফ্যান্টাসিকে হার মানাতে বাধ্য; তবে সেই বিষয়ে পরে আলোচনা আসতেসে। আর দুই নাম্বার হইল; btooom টা SAO এর মতন “লাভ লাভ গুডি গুডি বিপন্ন নায়িকাকে বাচাতে নায়কের অভিযান” ধরণের না; বরং মানব প্রকৃতির অন্ধকার দিককে বেশ গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। btooom দেখার সময় বরং আমার mirai nikki এর কথা বার বার মনে আসছে; যারা দেখেছেন তার তো বুঝতেই পারতেসেন বিষয়টা কি !!!

















এবার আসা যাক তবে আসল রিভিউতে; তবে তার আগে একটা কাজ করতে হবে; সেইটা হল ব্রেইন খাটানো একেবারে অফ করে দিতে হবে। এনিমখানি দেখতে দেখতে “সবার এক দুই মাইলের মধ্যে বোম পড়লে বাচনের আশা নাই; আর নায়কের দুই হাতের মইদ্ধে বোম পড়লে নায়ক সুন্দর হাসিমুখে V পোজ দিতে দিতে কেম্নে ধোঁয়ার ভিতর থেইকা বাইর হয়?” টাইপ প্রশ্ন করা একেবারে হারাম। সে নায়ক; সারা জীবন ঘরের কোনায় ভিডিও গেইম খেইলা কাটায় দিলেও তার রিফ্লেক্স এবং athleticism অসাধারণ এবং পৃথিবীর কুনু বোম তারে কিচ্ছু করতে পারবে না – এই জিনিসের উপর ঈমান আইনা দেখা শুরু করতে হইব। বাকি কাহিনী বা ক্যারেকটার গুলা বেশ ভাল এবং রিএলিস্টিক – সুতরাং তারা পোষায় দিতে পারবে বলে আমি গ্যারান্টি দিতেসি; আপনে টেনশন না নিয়ে বসেন।







এনিমের কাহিনী যদি সংক্ষেপে বলি – একটা ভার্চুয়াল গেইমের কিছু প্লেয়ারকে হাতে একটা ডিভাইস পার্মানেন্টলি খোদাই করে এবং কিছু বোম এবং খাবার সহ ছেড়ে দেওয়া হয় একটা দ্বীপে। হাতের ডিভাইসগুলো একমাত্র প্লেয়ারের হার্টবিট বন্ধ হলেই খুলে যায় ( এই জিনিস বাস্তবে করতে গেলে খবরই আছে !!! ); এবং দ্বীপ থেকে মুক্তির উপায় ৮ টা এইরকম ডিভাইস কালেক্ট করা; সোজা বাংলায় ৮ টা প্লেয়ারকে খুন করা। ৮ টা ডিভাইস কালেক্ট হইলেই একটা হেলিকপ্টার এসে সেই প্লেয়ারকে বাইর করে নিয়ে যাবে। আর সবাইকে বাচায় রাখার জন্য প্রতিদিন দুপুরে হেলিকপ্টার থেকেই খাবার দাবার সাপ্লাই দেওয়া হয়; তবে সেই খাবারের জন্য ফাইট করতে হয় প্লেয়ারদের। সকলের বোম এক রকম না; একেক জনের টা একেক রকম; এর মধ্যে এক ধরণের বোম আছে যা কিনা হোমিং টাইপ !!! ( পুরাই আম্রিকান মিলিটারি মিলিটারি ভাব !!! )



যাই হোক; বেশ মজবুত প্লট। এর উপর দাড়িয়ে যে সকল জিনিস এনিমটাকে আসলে রিভিউ লেখার যোগ্য করে তুলেছে তা হল -



১) নিজের বেচে থাকার জন্য আরেকজনকে মেরে ফেলা – এই দর্শন বা সহজ বাংলায় বললে “survival of the fittest” এ মানুষ যে কত সহজেই গ্রাস হয়ে যায় তার নমুনা !!!



২) বেঁচে থাকার জন্য বৃদ্ধ এবং দুর্বল শরীর এবং মনের মানুষের দ্বারা নেওয়া ছল ছাতুরি এবং প্রতারণা



এবং শেষ মেশ – প্রেডিক্টেবল যেইটা – মানবতা এবং মনুষ্যত্বের জয়।























খুব কঠিন কথা হয়ে যাচ্ছে মে বি। আমরা সহজ কথায় ফিরে আসি। কাহিনী অনেক্তাই বলে দিলাম; এবার কিছুটা বদনাম করি সিরিজের। উপরে এক দফা আলচনা হয়েছে; এর পরেও আরো কিছু আছে। আমার জানামতে মাঙ্গা ৯ ভলুমের; সেইটাকে এনিমে কেন জানি না ১২ পর্বে ঠেসে জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে !!! ফলে বহু প্রশ্নের জবাব অজানাই থেকে গেসে। আর অনেকটাই “শেষ হইয়াও হইল না শেষ” ধরণের ওপেন এন্ডেড ফিনিইশিং দর্শকের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে; আমি ব্যাক্তিগতভাবে যা পছন্দ করি না !!!







সাউন্ড এবং এনিমেশন নিয়ে বলতে হয় বলে বলা; এক কথায় “চলে”। খুব আহামরি কিছু না হলেও কোথাও খাপছাড়া লাগে নি।







এইবার বারনিং প্রশ্ন; “দেখুম? এত্ত যে দোষ আর দোষ বইলা গেলেন; লাভ কি হইল?” আমার উত্তর; অবশ্যই দেখবেন; না দেখলে মিস। গল্পের প্লট আর পর্ব সংখ্যায় গন্ডোগোল থাকতে পারে; কিন্তু গল্পে কোন গন্ডোগোল নাই; অত্যন্ত উপভোগ্য একটা গল্প; সেই সাথে মানব মনের অন্ধকার গলিতে হাতড়ে বেড়ানোর অংশটা “এপিক” না হোক; নিদেনপক্ষে “ব্রিলিয়ান্ট।” সুতরাং; দেখে ফেলেন; হতাশ হবেন না। :) :)







age restriction: হাল্কা নূডিটি এবং বেশ ভাল ভায়োলেন্স আছে; সুতরাং একেবারে ছোটদের না দেখাই ভাল। :) :)









এনিম নিয়ে আগ্রহী হলে; আড্ডা দিতে চাইলে; কিছু জানতে এবং জানাতে চাইলে জয়েন করতে পারেন এই গ্রুপে।







( বাংলায় এনিম রিভিউ লেখক এবং পাঠকদের জন্য একটা বাংলা রিভিউ ব্লগ খোলা হয়েছে; সময় করে ঘুরে আসতে পারেন http://www.animeloversbd.com সাইটটি থেকে। আর এই লেখাটি এই সাইটেই পূর্বে প্রকাশিত। এখানে ডাউনলোড লিঙ্কও দেওয়া আছে। )





তো দেখা শুরু করে দিন এই জমজমাট এনিমটি। হ্যাপি এনিমিং !!! :) :)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: এনিম রিভিউ এর যেই সাইট টা সেখানে একটু গুঁতাগুঁতি করলাম।
চমৎকার কন্টেন্ট।
অনেক সুন্দর সুন্দর রিভিউ।

কিন্তু কিছু সমস্যা না কাটালেই না।
১) কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা ফন্টে লেখা -- এইটা যে কোন ওয়েব সাইটের সবচেয়ে বড়ো নেগেটিভ দিক হতে পারে। প্রচণ্ড চোখ ব্যাথা করে। মাথা ঘুরে। বই তে বা যে কোন ব্লগ সাইটে দেখবেন সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর কালো বা গাঢ় নীল দিয়ে লেখা। যেই কালারের কলমের কালি হয়, এগুলা বহু পরীক্ষার ফসল।

কালো আর গাঢ় নীল কালি ছাড়া তাই কলম দিয়ে লেখে না কেউ।

২) কমেন্ট দিতে গেলে লগ ইন রেজিস্টার হাবি জাবি দিয়ে যাওয়ার টাইম নাই আসলেই। এই কারণে কমেন্ট করবে না মানুষ। কোন একটা ক্যাপচা দিয়ে এনোনিমাস কমেন্টের সুযোগ দেন। ক্যাপচা না দিলে স্পামিং হতে পারে। এননিমাস কমেন্টে দরকার হলে এমন সিস্টেম করে দেন যে মডারেশন হবে।


আমি অনেক অনেক আগের পাড় এনিমে ভক্ত। এখন জব লাইফে খুব ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এনিমের সময় পাইনা। কিন্তু আমি যখন পাগলের মত এনিমে দেখতাম, তখন এনিমের নামই কম পোলাপান শুনছিলো। আমি শুধু আপনাদের রিভিউ নিয়ে একটা ছোট্ট পরামর্শ দিতে চাই। সেটা হচ্ছে, আমরা কেউ সেই এনিম কোম্পানিতে কাজ করিনা। তাই না? হাবিজাবি এনিমে জোর করে দেখানর মাঝে কোন কৃতিত্ব নাই। বরং যারা এনিমে লাভার, তাদের সময় বাঁচিয়ে দিয়ে সতর্ক করা যে এই ফাউল এনিমেটা দেখবেন না-- এইটাও রিভিউ এর একটা লক্ষ্য। আপনাদের সাইটে ত দেখলাম ম্যাক্সিমাম এনিমেকে এমন উপরে উঠাইছে-- যার অনেকগুলা এনিমে নিয়েই আমি ব্যক্তিগত ভাবে হতাশ ছিলাম।



আপনাদের ব্লগের কন্টেন্ট, লেখা সব আমার খুব ভাল্লাগছে। আপনাদের কাজে অনেক শুভকামনা।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩০

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: কষ্ট করে সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই একটা জিনিস ক্লিয়ার করে নেই; আমি সাইট তৈরির সাথে জড়িত ছিলাম না; সাইটের ক্রিএটররা আমাকে অনারারি এডমিনশীপ দিয়েছেন বটে; তবে আমি পুরো মেসেজটাই উনাদের পৌছে দেবার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর মাত্র সাইটটা ওপেন হল; এখনও অনেক কাজ বাকি; আর যারা বানিয়েছেন অর্ধেক বানানোর পর উনাদের শুনলাম এক্সাম শুরু হয়েছে; শেষ হইলে আরও উন্নতি করার চেষ্টা হবে ইনশাল্লাহ। :) :)


আর সব "পজেটিভ রিভিউ" এর ব্যাপারে; আমার আসলে কোন এনিমই তেমন খারাপ লাগে না (অন্ধ ভক্ত টাইপ আর কি !!! ) তাও সাধারণ মানুষের কাছে কোনটা খারাপ লাগতে পারে তা চিন্তা করে অইভাবে কিছুটা লেখার চেষ্টা করি। সামনে এই ব্যাপারে আরও সচেতন থাকব আশা করি।


আবারও ধন্যবাদ। :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.