নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল লাগে এনিম দেখতে। আর তা নিয়ে লেখালেখি করতে।

মোঃ আসিফুল হক

এনিমের ভক্ত, টিভি সিরিজ দেখি, মুভিও দেখি। আর ক্রিকেটের পাগল ভক্ত। ভাল লাগে ঘুরাঘুরি করতেও।

মোঃ আসিফুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহরপল্লীতে বৃত্তবন্দীঃ সূর্যস্নানে ভাজা ইলিশ অথবা ইছামতি নামের নদীটি

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৩





মিড টার্মের ছুটি চলছে। ফেইসবুকের গৃহপাতা জুড়ে হয় “বীচে ঘুরছি” নয়ত “বীচে যাচ্ছি” টাইপ আপডেটে সয়লাব অবস্থা। হাতে কমবেশি ৪টে টার্ম প্রজেক্ট আর টুকিটাকি কিছু কাজের চাপ; একটা দিন ব্যয় মানেই যেখানে অনেক কিছু; সেখানে বন্ধুবান্ধব কারোরই তেমন সময় নেই। তারপরেও সবার চেক ইন দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে “কি আছে গেবনে” বলে ফোন দিলাম এই সবের জন্য go to man আসিফ উদ দৌলাকে – “এই মঙ্গলবার যেইভাবে পারিস একদিনের ট্যুরের একটা ব্যাবস্থা কর। কই করবি; কিভাবে করবি – কিচ্ছু জানি না।“ দৌলা ছেলে খারাপ হইলেও মানুষ ভাল। “দেখতেসি” বলে ফোন রেখে দিল। সোমবার সন্ধ্যায় ফোন পাইলাম – “কাল সকালে রেডি থাকিস; বান্দুরা জাইতেসি; মিনার আছে সাথে; ঘুরুম ঘারুম; আর হলে আইসা সকালে ঘুম থেইকা তুলবি আমাদের“।









সকাল ৮.৩০। আমার যাত্রা শুরু। হলে গিয়ে জাগায় তুললাম দুই কুম্ভকর্ণ দৌলা আর মিনারকে। প্রথম গন্তব্য চিরচেনা গুলিস্তান। সেখান থেকে বান্দুরার সরাসরি বাস। ভাড়া জনপ্রতি ৬৫ টাকা। সার্ভিস খুব একটা খারাপ না। শুরু হল বাস চলা; হইল যে হইলই; বাস আর থামাথামির নাম নাই। বুড়িগঙ্গা, ইছামতি নদী পার হয়ে জিঞ্জিরা কেরানিগঞ্জের উপর দিয়ে বাস চলছে দক্ষিণে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক চলার পর একদম বান্দুরা (শেষ স্টপেজে) গিয়ে নামলাম। দুপুর তখন প্রায় ১১.৩০। এদিক সেদিক খানিক ঘুরাঘুরি করে অটো রিকশায়। গন্তব্য কলাকোপা; ভাড়া ১৫ টাকা। সেইখানে জজ বাড়ি; উকিল বাড়ি আর আনসারদের তত্ত্বাবধানে চালানো কোন একটা ট্রেনিং সেন্টার। পুরোনো বাড়িগুলোতে মানুষ জনের বাস; তাই আর ভিতরে যাওয়া হয় নি। ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর খানিকক্ষণ ফটোসেশন শেষে উকিল বাড়ি ঘুরে দেখে সেখান থেকে আবার অটোরিকশা; এবারের গন্তব্য জয়পাড়া।









জয়পাড়া যাওয়ার একমাত্র কারণ সেখান থেকে মাওয়া যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। ভাড়া ২০ টাকা। জয়পাড়া গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে খানিক এইদিক সেইদিক ঘুরাঘুরি করে বাসে চড়ে বসলাম; মাওয়া যাব। বাস শ্রীনগর পর্যন্ত। সেখানে নেমে ভটভটিতে মাওয়া ফেরি ঘাট; ১০ টাকা করে। আশেপাশের দৃশ্য আর রাস্তার সৌন্দর্যে ভটভটিতে সামনের সিটে না ওঠার জন্য আফসোস হতে লাগলো। ফেরি ঘাটে খানিকক্ষণ গাড়ি লোডিং আনলোডিং দেখলাম। পরিকল্পনা ছিল একটা ফেরিতে উঠে যাব; পদ্মার মাঝ থেকে সূর্যাস্ত দেখব। সময়ের অভাবে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ঘাটের পাশেই চায়ের দোকানে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। অতঃপর? জি হ্যা; মাওয়া গেলাম আর ইলিশ হবে না তা তো হবে না !! খানিক চাঁদের আলো আর খানিক ফ্লুরোসেন্ট বাতির নিচে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে সদ্য ভাজা ইলিশ পেটে চালান করে আরেক দফা চা পান। অতঃপর বাড়ি ফেরার পালা। সরাসরি ঢাকার বাস; ৭০ টাকা করে খরচ করে গুলিস্তান। সেখান থেকে আবার হলে খানিকক্ষণ আড্ডা শেষে ফিরে এলাম নিজ বাসায়।











বুলেট পয়েন্ট ১ – ভাড়া সহ যাবতীয় জিনিস পাতি বেশ সস্তাই ছিল বলে মনে হইসে। দিনশেষে খাওয়া এবং যাতায়াত খরচসহ আমাদের জনপ্রতি খরচ হইসে ৩৭১ টাকা; একদিনের ভ্রমণের জন্য যা খুবই রিজনেবল।

বুলেট পয়েন্ট ২ - বাস দিয়ে সরাসরি বান্দুরা না এসে কলাকোপায় নেমেই ট্যুরের বাকিটা দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়। একেবারে বান্দুরায় দেখার মতন তেমন অত কিছু পাই নি।

বুলেট পয়েন্ট ৩ – লেখাটা খানিকটা স্মৃতি থেকে লেখা এবং টাকা পয়সার সমস্ত হিসাব নিকাশ দৌলা সাহেব সামলানোয় কিছু কিছু জায়গার নাম এবং টাকা পয়সার হিসাবে খানিকটা এদিক সেদিক হতে পারে। তথ্যগত ভুল ক্ষমাসুন্দরদৃষ্টি প্রার্থী।

বুলেট পয়েন্ট ৪ – ছবিগুলো আমার এবং দৌলার মোবাইলে তোলা। ছবিগুলো সরবরাহ করার জন্য দৌলাকে কৃতজ্ঞতা।





মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫১

নিঃসঙ্গ পৃথিবী বলেছেন: ভাই আপনার হৈমন্তী/হাজার বছর ধরে স্টাইলের লেখা মিস করতেসি। পারলে সামনের ভ্রমণ কাহিনী গুলোর স্যাটায়ার ব্লগ চাই

:) :) :D :D B-) ;) ;) B-)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: একটু প্রেশারে আছি বেশ কিছু জিনিস নিয়ে; খানিকটা ফ্রি হয়ে কোন ট্যুর দিলে ইনশাল্লাহ সময় নিয়ে লেখার চেষ্টা করব। পড়ার জন্য এবং মতামতের জন্য ধন্যবাদ ! :)

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ! :)

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ !

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২২

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: :)

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

চিরতার রস বলেছেন: বান্দুরা গিয়া আবার কলাকোপায় আসলেন কেনো বুঝলাম নাহ। কলাকোপার উপর দিয়েই তো বান্দরা যেতে হয়। বান্দুরা পর্যন্ত না গিয়ে কলাকোপাতেই তো নেমে গেলেই পারতেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৪

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: বুলেট পয়েন্ট ২ এ সেইটাই বলছি। আগে থেকে জানা না থাকার কারণে এইটা করসি। বান্সুরা পর্যন্ত নাগিয়ে কলাকোপায় নেমে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হত ! :/ :/

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ! :)

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: +++++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ! :)

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

নীল ভোমরা বলেছেন: ছবির ক্যাপশন কই?!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৭

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: ছবি তোলাও হইসে ধুম ধাম; সিলেক্টও করসি ধুমধাম; এডিট ফেডিট কোন কিছুই চিন্তা ভাবনা না করে করা; সব ছবির মধ্যে যেই ছবি গুলা বেশি পছন্দ হইসে শুধু অইগুলাই সবাইকে দেখানোর জন্য আপ দিয়ে দিসি। :P

এই জন্য ক্যাপশন নাই। তবে পরে সময় পাইলে লেখাটা এডিট করার সময় ক্যাপশন দিয়ে দিতে চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ :)

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫

উদাস কিশোর বলেছেন: দারুন ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ! :)

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮

রাবার বলেছেন: সুন্দর +++++++্

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মোঃ আসিফুল হক বলেছেন: লেখা না জায়গা? :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.