নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
গত চার বছর ধরে একবার করে বায়জিত বোস্তামী (রহ) মাজারে যাওয়া হচ্ছে। কোন কারণ নেই এমনি ঘুরতে যাওয়া। চট্টগ্রামের বায়জিত থানায় অবস্থিত ইতিহাস বিখ্যাত এই অলীর মাজার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বিভিন্ন নিয়ত করে এখানে আসে। গত শুক্রবার সর্বশেষ এই মাজারে গিয়েছিলাম। আজ সেদিনের দেখা কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরছি-
১। যোগাযোগ যন্ত্রনাঃ আগে খুব সহজেই ২ নং গেট থেকে বাস বা লেগুনা দিয়ে এই মাজারে যাওয়া যেত। কিন্তু ফ্লাইওভারের লুপ নির্মাণের জন্য ২ নং গেটে রাস্তা খোড়াখুড়ি করায় প্রচন্ঠ জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য স্বস্তির কথা এই রাস্তার কিছু অংশ যাটযট থাকলেও পুরো রাস্তা মোটামুটি ফাকা। বৃষ্টির দিন না যাওয়াই ভাল।
২। মাদারী কাছিমঃ আমাদের দেশের প্রতিটি মাজারের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। এই মাজারের উল্লেখযোগ্য দিক হলো বিশাল আকারের কাছিম। মাজার সংলগ্ন পুকুরে বিশাল আকৃতির অনেক কাছিম রয়েছে। এদের সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম ধারনা। অনেকের মতে এই কাছিম এর পূর্ব পুরুষদের বায়জিত বোস্তমী নিজে নিয়ে এসেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই কাছিম কে একটু ছোয়ার জন্য ও ছবি তোলার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে। ১০/২০টা প্যাকেট খাবার দোকান থেকে কিনে সবাই খাওয়ানোর চেষ্টা করে। প্যাকেটে থাকে কলা, পরটা, মাংসের টুকরা। যাদের হাত থেকে কাছিমগুলো খাবার খায়না তারা খুবই কষ্ট পায়। যাদের হাত থেকে খাবার খায় তারা খুশী হয়। এক মহিলার হাতের খাবার না খাওয়াতে সে কান্না করছিল। আরেকজন বাড়ি থেকে ভোগ রান্না করে মুঠা মুঠা করে খাওয়াচ্ছিল। আসলে এই কাছিমগুলোর উপরকার/অপকার করার ক্ষমতা নেই। তারপরও মানুষ তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করে যা শরীয়তের পরিপন্থি। অনেকই পুকুরের পানিতে হাত-মুখ ধোয়া পূন্নের কাজ মনে করে। এক মহিলা তার ছেলেকে জোর করে গোসল করালেন। আরেক লোক তার মেয়েকে মুখ ধোয়াতে চাইলেন, বাচ্চা মেয়েটি ভয়ে কান্না জুড়ে দিল।
৩। গাছে সুতা বাধাঃ সিড়ি দিয়ে উপড়ে উঠে সামনে গেলেই ১টি গাছ দেখতে পাওয়া যায়। গাছের গোড়া থেকে আগা লাল রঙের সুতা দিয়ে মোড়ানো। মানুষ নিয়ত করে সুতা বাধে গাছে। যেমন- সন্তান হওয়া, ছেলে/মেয়ে হওয়া, ব্যবসায় উন্নতি, প্রেম/ভালবাসায় সফল হওয়া, সংসারের অশান্তি দূর হওয়া, বিদেশ যাত্রা মঙ্গল হওয়া আরো হরেক রকম। নিয়ত পুরা হলে সেই সুতা আবার একদিন এসে খুলে দিয়ে যায়। এই সুতা বাধা ইসলামে কোথাও অনুমোদন নেই।
৪। ছবি তোলাঃ সবচেয়ে খারাপ লাগে ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ, বাচ্চা-কাচ্চা সবাই পর্দা প্রথাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাজারে , সিড়িতে, মাজারের ভিতরে ছবি তুলছে। ছবি তোলা আমাদের ধর্মে নিষিদ্ধ, তারপরও থেমে নেই মাজারে সেল্ফি তোলা।
৫। মোমবাতি, আগরবাতির ব্যবসাঃ অন্যান্য মাজারের মত এখানেও এই ব্যবসা জমজমাট। তাছাড়া মান্নতের মুরগী, গরু, ছাগলতো আছেই।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। সবাইকে সঠিক পথে পরিচালনা করুন।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ। যেতে ইচ্চা না করলেও যেতে হয়। কারণ দূর থেকে মেহমান চট্টগ্রাম আসলে বায়জিদে যাওয়ার বায়না ধরে, তখন না নিয়ে গিয়ে উপায় থাকেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
বারিধারা বলেছেন: ওটা যে বায়েজিদ বোস্তামির মাজার - এটা আপনাকে কে বলল? বায়েজিদ বোস্তামির জন্ম মৃত্যু সবই ইরাকে। বাংলাদেশে উনি এসেছিলেন এরকম কোন ইতিহাস নেই। চট্টগ্রামের বায়েজিদে তার কোন কবর নেই - আছে একটা কুরসী। বাংলাদেশে মাজার ব্যবসায়ীদের রাজধানী হল চট্টগ্রাম। তারাই বায়েজিদের কুরসীকে মাজার বলে চালাচ্ছে। সরকারী টাকায় কাছিম পুষে সেগুলোকে খাওয়ানোর জন্য শুটকি বেঁচে টু পাইস কামাচ্ছে - পাশাপাশি আতর, মোম, আগরবাতির ব্যবসা তো আছেই। এসব জায়গায় যাবার রুচি হয় কি করে?